দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ
প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ প্রায় একই রকম। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ দেখা যায় না। পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ। যে সকল মায়েরা প্রথমবার গর্ভধারণ করেন তারা প্রথম এক মাসেও বুঝতে পারেন না যে তারা গর্ভধারণ করেছেন গর্ভবতী মায়েরা প্রথম যেই লক্ষণটি খেয়াল করেন তা হল পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালের শুরু ধরা হয় তার সর্বশেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে।এটি হচ্ছে গর্ভাবস্থার প্রথম উল্লেখযোগ্য একটি লক্ষণ।নিচে আমরা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানবো।
ভূমিকা
একজন নারী যখন প্রথম গর্ভধারণ করে তখন কিছু কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন।যেমন বমি বমি লাগে,ক্লান্তি অনুভব করে,সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়,তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হয় ,ঘন ঘন প্রসাবের চাপ আসে,খাবারে অরুচি হয়,মুখে অদ্ভত রকমের একটি স্বাদ অনুভূত হয়।এই সকল লক্ষণগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরে শুরু হয়।আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ
একজন নারী গর্ভবতী কিনা তা গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার মাধ্যমে জানা যায়। যেগুলোকে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ বলা হয়।কিন্তু এমন কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা সে ব্যাপারে ইঙ্গিত করে তার মধ্যে অন্যতম হলো পিরিয়ড মিস হওয়া।এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ গুলির মধ্যে অন্যতম কখনো কখনো এমন হয় যে পিরিয়ড মিস হয় একটি স্বাভাবিক বিষয় যার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভধারণের প্রায় এক সপ্তাহ পরে একজন গর্ভবতী মা কিছু গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ অনুভব করেন। যেমন-
পিরিয়ড সময় মত না হওয়াঃ গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে পিরিয়ড মিস হওয়া।তবে অন্যান্য কারণেও পিরিয়ড মিস হতে পারে।যেমন শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অথবা মানসিক চাপের কারণে।
স্তনের সংবেদনশীলতাঃ স্তনের সংবেদনশীলতা,রং পরিবর্তন এবং সামান্য ব্যথা এগুলো গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে পড়ে।এই সমস্যাগুলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চলে যায় যদি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
ঘনঘন প্রস্রাবের চাপঃ গর্ভধারণের পরে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া একটি প্রাথমিক লক্ষন।এই সময় শরীরের রক্ত উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে মুত্রাশয়ের তরল পদার্থ জমা হতে থাকে।
বমি বমি ভাবঃ দিনের পুরোটা সময় বিশেষ করে সকালবেলা বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া গর্ভাবস্থার একটি প্রাথমিক লক্ষণ।
জ্বর জ্বর ভাবঃ গর্ভধারণের পর একজন নারীর শরীরে অনেক রকমের হরমোনের পরিবর্তন হয়।যার ফলে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়।এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুর্বলতা ক্লান্তি অথবা জ্বর।
পেটে ব্যথা হওয়াঃ গর্ভধারণের পর অনেক নারীর জরায়ুতে ব্যথা হতে পারে।হরমনের পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের ও সূত্রপাত হতে পারে।
খাবারের রুচির পরিবর্তনঃ গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণে তার রুচিতেও কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।যেমন একটি খাবারের প্রতি তার আগ্রহ বাড়তে পারে অথবা কমতে পারে।যদি একজন মহিলা তার এই রুচির পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য উপসর্গগুলো লক্ষ্য করেন তবে তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।রুচির পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘ্রাণ শক্তিরও পরিবর্তন ঘটে।কারণ স্বাদ এবং ঘ্রাণ একে অপরের সাথে জড়িত।
গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো সাধারণত গর্ভধারণের ৬ থেকে ৪১ দিনের মধ্যেই দেখা দেয়।কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরে লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।
মাসিক গর্ভকালীন লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় যেহেতু নয় মাসের একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া তাই এই ৯ মাসের প্রতি মাসে বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা যায়। আসুন জেনে নেই একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতি মাসে কি কি লক্ষণ বা মাসিক গর্ভকালীন লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
প্রথম মাসঃ স্তন ফুলে যাবে এবং ব্যথা হবে ক্লান্তি অনুভব করা অস্বস্তি বোধ করা এবং বমি হওয়া গর্ভবস্থায় প্রথম মাসের লক্ষণ।
দ্বিতীয় মাসঃ খাবার গ্রহণের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যাবে এবং তুলনামূলকভাবে মেজাজের পরিবর্তন দেখা যাবে। এগুলো দ্বিতীয় মাসের উপসর্গ।
তৃতীয় মাসঃ ওজন বাড়তে থাকবে এবং পেট তুলনামূল ক বড় হতে থাকবে।অর্থাৎ শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়।
চতুর্থ মাসঃ পেটের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করা যায় এবং চেহারায় কিছুটা উজ্জ্বলতা দেখার যায়।
পঞ্চম মাস এই মাসের শিশুর নড়াচড়া আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং গর্ভবতী মা অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন।
ষষ্ঠ মাসঃ এই অবস্থায় শরীরে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ,যার ফলে কিডনিতে ব্যথা হতে পারে ।এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসেরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সপ্তম মাসঃ এ অবস্থায় তলপেটে কিছুটা ব্যথা অনুভূত হয় ।এই ব্যথা মাঝেমাঝে এতটাই তীব্র হয় যে, প্রসব ব্যথার মতো মনে হয়।এছাড়াও হাত পা ও মুখ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ তুলনামূলকভাবে ফুলতে থাকে।
অষ্টম মাসঃ এই সময়ে গর্ভবতীর শরীরে বাচ্চার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।এ অবস্থায় গর্ভবতী মা কে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
নবম মাসঃ এই সময়ে প্রসব ব্যথা শুরু হয়। কোমর ও পেটে প্রচন্ডরকম ব্যথা হয় ।সাথে সাথে গর্ভবতী মায়ের যোনি থেকে পানি বের হয়ে আসে। যা সন্তান জন্মের সঠিক সময়।
দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণগুলো এই একই রকমই হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় তেমন কোন পার্থক্য নেই।
পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ
অনেকেই এটা জানতে চান যে পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ কি না। একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তার শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেক্টেরন আরো অধিক পরিমাণে তৈরি হয়। হরমোনের এই পরিবর্তনের কারণে সাদাস্রাব বৃদ্ধি পেতে পারে। শুধুমাত্র সাদাস্রাব গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত নাও হতে পারে।
নানা রকম কারণে এটি হতে পারে যেমন হরমোনের তারতম্য, বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ, মানসিক চাপ অথবা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। শুধুমাত্র শ্রাবের উপরে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা উচিত নয়। তার পরেও যদি স্রাব এবং অন্যান্য উপস্বর্গ দেখে মনে হয় যে আপনি গর্ভবতী তাহলে অবশ্যই আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো উচিত। পিরিয়ড মিস হওয়ার পর থেকেই এগুলো সঠিক ফলাফল দেয়। অর্থাৎ পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ ই একমাত্র লক্ষণ নয়।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
পিরিয়ড মিস হওয়া মানেই গর্ভধারণ নয়। সুতরাং পিরিয়ড মিস হয়েছে মানেই আমি গর্ভধারণ করেছি এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। তাই আমাদের জানা উচিত মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। তাড়াহুড়ো না করে অন্তত সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করা উচিত। অন্ততপক্ষে পিরিয়ড মিস হওয়ার ১৪ দিন পরে পরীক্ষা করালে সঠিক ফলাফল জানা যায়।
এর আগে টেস্ট করলে ফলাফল ভুলও হতে পারে। আর যাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয় তারা একটু বেশি দিন অপেক্ষা করে 30 থেকে 35 দিন পর টেস্ট করুন। তাহলে সঠিক ফলাফল জানতে পারবেন। এখান থেকে আমার এটা বুঝতে পারি যেমাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়
অনেকেরই এটা জানার ইচ্ছা থাকে যে, প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়। একজন নারী যদি কনসিভ করে তাহলে স্বাভাবিকভাবে তার পরের মাস থেকে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে। বিবাহিত অথবা অবিবাহিত যেকোনো মহিলার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে 28 অথবা 35 দিন এর মধ্যে পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিছু কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি অন্যরকম অর্থাৎ তাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তারা যদি বুঝতে পারেন যে পরের মাসে পিরিয়ড মিস হয়েছে তাহলে প্রাথমিকভাবে ধরে নিতে পারেন যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। আর যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তারা আরো কিছুদিন অপেক্ষা করার পর অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিবেন।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, শুধুমাত্র পিরিয়ড মিস হওয়াই প্রেগনেন্সির একমাত্র লক্ষ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে পিরিয়ড মিস না হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই গর্ভধারণ করে। আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হওয়ার চেষ্টা করেন এবং শারীরবৃত্তিও কিছু ঘটনাবলী লক্ষ্য করেন তাহলে সাথে সাথে সতর্ক হোন।
পিরিয়ড মিস হওয়া ছাড়া ও শরীরের কোন পরিবর্তন দেখলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নিন। পিরিয়ড মিস হওয়া ছাড়াও যে সকল লক্ষণ দেখা দিতে পারে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
মর্নিং সিকনেসঃ মর্নিং সিকনেসকে প্রেগনেন্সির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বলা হয় এই লক্ষণটি দিনে অথবা রাতে যে কোন সময় দেখা দিতে পারে গর্ভধারণের একমাস পরেই এটি শুরু হয়। প্রায় ছয় সপ্তাহ পরে বমি শুরু হয়। এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের স্তরবিদ্ধি পাওয়ার কারণে গা গলায় প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলাদের পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে এই লক্ষণটি দেখা যায়।
মুড সুইংঃদ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গর্ভকালে যেহেতু হরমোনের নানা রকম পরিবর্তন হয় তাই এই সময় মোট সুইং দেখা যায় হঠাৎ করে রেগে যাওয়া কষ্ট পাওয়া আনন্দ পাওয়া অতিরিক্ত এক্সাইটেড হয়ে যাওয়া এগুলো মুডসিং এর মধ্যে পড়ে।
মাথা ব্যথা করা ও মাথা ভারী হয়ে থাকাঃ গর্ভকালীন শুরুর দিক থেকেই মাথাব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে রক্ত সঞ্চালন এবং হরমোনের স্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পায় সেজন্য এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।
ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়াঃ ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ ও প্রেগনেন্সির অন্যতম লক্ষণ।এই সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি প্রসব করার প্রয়োজন পড়ে। শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কিডনি বেশি পরিমাণ তরল নিঃসৃত করে এবং মূত্রথলিতে বেশি পরিমাণ তরল পদার্থ জমতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গালে ব্রণ দূর করার উপায়
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসেঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গর্ভধারণ করার পরে অনেক মহিলাদের খাবারে অরুচি চলে আসে।আবার অনেকের খাবারের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই বেড়ে যায়।এমনকি যেকোনো সময় যেকোনো কিছু খাওয়ার ইচ্ছা জাগতে পারে সেটা রাতে হোক কিংবা দিনে।
গলা শুকিয়ে যাওয়াঃ অনেক সময় কারো কারো প্রচুর জ্বলতেস্টা পাই।
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার প্রধান ও একমাত্র লক্ষণই হলো পিরিয়ড মিস হওয়া। একজন বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস হওয়া মানে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয় তিনি গর্ভধারণ করেছেন এছাড়াও বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে সেই লক্ষণগুলো যদি একজন নারীর শরীরে লক্ষ্য করা যায় তাহলে বোঝা যায় যে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভধারণ করেছেন।
একজন মায়ের ক্ষেত্রে প্রথম কিংবা দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ সমূহ অনেক ক্ষেত্রে একই রকম হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোর মধ্যে কিছুটা ভিন্নতার লক্ষ্য করা যায়। বাচ্চা প্রথম হোক বা দ্বিতীয় মায়ের কাছে সবাই সমান গুরুত্ব পূর্ণ। সুতরাং গর্ভবতী মাকে যতটা সম্ভব যত্নে রাখা উচিত। তাহলে বাচ্চাও সুষ্ঠুভাবে জন্ম নেবে।
দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ এর ক্ষেত্রে হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু, বমি বমি ভাব, নিজের সবচেয়ে বেশি পছন্দের খাবারটা খেতে গেলে গন্ধ লাগা এবং খাওয়ার সাথে সাথে বমি হয়ে যাওয়া অন্যতম লক্ষণ। ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যাওয়া এবং কোনোভাবেই তা না কমা এগুলো সবই একজন গর্ভবতী মায়ের লক্ষণ।
অর্থাৎ আসল কথা হলো এটা যে প্রথম এবংদ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণগুলো প্রায় একই রকম এই সকল সমস্যার দিকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বিশেষ করে আপনার পিরিয়ড সময় মত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ,প্রথমবার গর্ভধারণের লক্ষণ,কত দিন পরে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে,গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে সবগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদেরকেও শেয়ার করে এটি জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url