গালে ব্রণ দূর করার উপায় আপনি জানেন কি?

গালে ব্রণ দূর করার উপায় কি এটা নিয়ে আমরা অনেকেই গুগলে সার্চ করি। কারণ ব্রণ আমাদের প্রায় সবারই একটি বিশেষ সমস্যা। এটি সমাধানের বিষয়গুলো আমাদের সবারই জানা উচিত। সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় এবং অন্যান্য সকল উপায় গুলো নিয়েই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি লিখা।ব্রণের ছবি

সুতরাং আপনারা যদি ব্রণ দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের লেখা এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

ভূমিকা

ব্রণের সমস্যা আমাদের প্রায় সকলেরই রয়েছে। আমাদের শরীরের মধ্যে সবচেয়ে সেনসিটিভ অঙ্গ হচ্ছে মুখ। আর এই মুখের মধ্যে কপালে, গালে গোটা গোটা হয়ে ব্রণ উঠলে তাকি ভালো দেখায়? নিশ্চয়ই না। এই ব্রোন থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের গালে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ব্রণ দূর করার নানারকম উপায় রয়েছে।

এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই আমরা ব্রণের সমস্যা সমাধান পেতে পারি। এবং আমাদের ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখতে পারি। বিভিন্ন রকম ত্বকের জন্য ব্রণ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো বিভিন্ন রকম। চলুন জেনে নেই ব্রণ মুক্ত ত্বক পেতে আমাদের কি কি উপায় অবলম্বন করা উচিত। যাতে আমরা ভালো ফলাফল পেতে পারি।

গালে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণের সমস্যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। মুখে ব্রণের দাগ থাকলে আমাদের আত্মবিশ্বাসও অনেকটা কমে যায়। কিন্তু এই ব্রণ একবার দেখা দিলে আর বিদায় নিতে চায় না। এই ব্রণ কে বিদায় করতে হলে গালে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে হবে। শুধু জানলেই হবে না সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।

বিভিন্ন রকম প্রসাধনী পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোতে কেমিক্যাল থাকে সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়া আপনার জন্য বেশি নিরাপদ। তবে অবশ্যই সঠিক উপায় গুলো জানতে হবে। এতে খুব সহজেই সুফল পাওয়া যাবে। নানা কারণেই আমাদের ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে ব্রণ দেখা দেয়। তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্রণ বেশি দেখা দেয়।
আমাদের ত্বকে সেবাম নামক একটি পদার্থ উৎপাদিত হয়, এটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপাদন হয় তাহলে ত্বক রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় এবং ব্রণ উঠে। চলুন গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলোই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মুখের তৈলাক্ত ভাব কমাতে হবেঃ মুখের ব্রণ দূর করার প্রথম শর্ত হচ্ছে মুখের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এবং নিয়ম করে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ মুখ যদি পরিষ্কার না থাকে এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব থাকে, তাহলে যত কিছুই ব্যবহার করা হোক না কেন কোন কিছুতেই সুফল পাওয়া যাবে না। তাই অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই মুখের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চন্দনের ব্যবহারঃ চন্দনের রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও অনেক গুণাবলী রয়েছে। ত্বক ভালো রাখতে এটি বেশ কার্য কারি। ব্রণের সমস্যা যদি আমরা দূর করতে চাই তাহলে চন্দন ব্যবহার করতে পারি। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ব্রনের উপরে লাগাতে হবে।

হলুদ লাগালেঃ আমরা সকলেই ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে কম বেশি জানি। তবে গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে হলুদ অত্যন্ত কার্যকরী। হলুদের সঙ্গে চন্দন আর পানি একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। ফলাফল দেখলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

নিম পাতার পেস্টঃ আমরা সবাই এটা জানি যে নিমপাতা হাজার রকম রোগের ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই নিম পাতার যদি পেস্ট বানিয়ে ব্রুণের ওপর লাগানো হয় তাহলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। নিম পাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা যোগ করা যায়। অতএব নিম পাতার পেস্ট এবং এলোভেরা একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন খুব ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।

তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা কেবল কাশি উপশম করতে কিংবা শরীরের সুস্থ রাখতেই ব্যবহৃত হয় না বরং এটি ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে ব্রণের সমস্যা দূর করতেও আমরা এই পাতা ব্যবহার করতে পারি তুলসী পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিয়ে মুখে লাগাতে হবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে আমরা যদি এই ঘরোয়া টোটকা গুলো ব্যবহার করে তাহলে খুব সহজেই ব্রণের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

সেনসিটিভ ত্বক মানে হচ্ছে স্পর্শকাতুর ত্বক। সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো আমরা অনেকেই জানতে চাই। কারণ সেনসিটিভ ত্বকে ব্রণ হওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। চলুন জেনে নেই সেনসিটিভ ত্বকে কি কি উপায়ে ব্রণ দূর করা যেতে পারে।

ত্বক পরিষ্কার রাখাঃ সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করতে হলে অবশ্যই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। সেজন্য দিনে অন্তত দুইবার ভালোভাবে পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ব্রণ রোধের পণ্য ব্যবহারঃ কিছু পণ্য তৈরি করা হয় যেগুলা শুধুমাত্র সেনসিটিভ ত্বকের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এগুলোতে সাধারণত বেঞ্জয়েল পার অক্সাইড, অ্যাজুলিটিয়াম ক্লোরাইড এবং এন্টিবায়োটিক থাকে। যেগুলো ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলে।

বিভিন্ন রকম ব্রোন স্পট ট্রিটমেন্ট নেয়াঃ এ ধরনের স্পট ট্রিটমেন্ট গুলো ব্রণের কোষগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি মেরে ফেলে। তবে এই পণ্যগুলো ব্যবহার করা আগে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।

ব্রণের উপরে চাপ না দেওয়াঃ ব্রণের উপরে চাপ দিলে বা ব্রণ গুলো স্পর্শ করলে এগুলো আরো খারাপ দিকে চলে যায়।

ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংকস না খাওয়াঃ অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার এবং কোমল পানি গুলো ত্বকে তেল উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যেগুলো ত্বকে ব্রণ উঠতে সহায়তা করে। তাই এই ধরনের খাবার গুলো এড়িয়ে চলার উত্তম।

ধূমপান না করাঃ যারা ধূমপায়ী ব্যক্তি রয়েছেন তাদের ত্বকের নিচে রক্ত প্রবাহ এই ধূমপানের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। যা ত্বককে ব্রণের দিকে ঠেলে দেয়।
সেনসিটিভ ত্বকের গালে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় ও অবলম্বন করতে পারি। যেমন-

এলোভেরা জেলঃ এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ কমে এবং ব্রণের যে ফোলা ভাব থাকে সেটাও কমে।

মধুঃ মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের প্রবণতা অনেকটাই কমে।

একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়

মুখে ব্রণ হওয়া খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। এটি আমাদের মুখের সৌন্দর্যকে অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে। অনেক সময়ই ব্রণ একবার হয়ে সেরে গিয়ে আবার হয়। অনেকের তো সারতে চায় না। চলুন জেনে নেই মাত্র একদিনের মধ্যে গালে ব্রণ দূর করার উপায়।

গ্রিন টিঃ ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে তারপর ব্রণ এর উপরে মাখতে হবে।
টমেটোঃ ত্বকের যেকোনো রকমের সংক্রমণ কমাতে টমেটো ব্যবহার করা যেতে পারে। টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সরিষাঃ সরিষার তেলে সাইলিক এসিড রয়েছে। যা সংক্রমনকে ধ্বংস করে। এক টেবিল চামচের চার ভাগের এক ভাগ সরিষা গুড়া এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর মুছে ফে্লুন।

রসুনঃ রসুনের রস লাগানোর পরে আপনার যতখন ইচ্ছা ততক্ষন রাখতে পারেন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশ ব্রণের উপর লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারঃ ব্রণের সমস্যায় ভিনেগার দারুন কাজ করে। তুলোর সাথে ভিনেগার লাগিয়ে ব্রণ এর উপরে ভিনেগার লাগাতে হবে। কোনভাবেই সম্পূর্ণ মুখে ভিনেগার লাগানো যাবে না। এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে।

লেবুর রসঃ রাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস ব্রণের মুখে লাগে রাখতে হবে। সকাল বেলায় অনেকটাই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

ব্রণ শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদেরও একটি বিশাল সমস্যা। ত্বকের যত্ন না নেওয়া, তৈলাক্ত ত্বক ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ব্রণ উঠতে পারে। যদি সমস্যা বেশি হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে তার আগে প্রতিরধ করার জন্য অবশ্যই কিছু ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করে দেখা উচিত।চলুন জেনে নেই ছেলেদের মুখে গালে ব্রণ দূর করার সহজ উপায় গুলো কি কি-

ডিমের সাদা অংশঃ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যামাইনোসাইড এবং প্রোটিন। যা ব্রণ উপরে কাজ করে। তবে অবশ্যই ডিমের সাদা অংশটুকু ব্যবহার করতে হবে। ডিমের সাদা অংশটুকু নিয়ে মুখে হাত অথবা নরম ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রাখতে হবে। তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

বরফঃ বরফ দিয়েও ব্রণ কমানো সম্ভব। কারণ বরফের যে ঠান্ডা ভাবটি রয়েছে তা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে একটি বরফের টুকরোকে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কয়েক মিনিট ব্রনের উপরে ধরে রাখতে হবে। পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে দিয়ে কয়েকবার ব্যবহার করতে হবে।
পেঁপেঃ পেঁপের ত্বকের বাড়তি তেল এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণ দূর করতেও চমৎকার কাজ করে। পেঁপের পেস্ট বানিয়ে নিয়ে ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রণ যতদিন না কমে ততদিন পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে হবে।

কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করলেও এই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন

  • বাইরে থেকে ঘরে এসে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে।
  • সবসময়ই মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার গোসল করতে হবে।
  • ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ, মধু এগুলো লাগাতে হবে।
  • প্রতিদিন অন্তত তিন চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • মুখে সাবান এর পরিবর্তে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।

খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

  • বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হব।
  • তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
  • প্রচুর পানি খেতে হবে।
  • পেট পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে।
  • সব সময় টাটকা ফলমূল খেতে হবে।

দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

মুখে যদি ব্রণ উঠে তাহলে এই ব্রণ এবং ব্রণের দাগ মুখের সৌন্দর্য অনেক অংশে কমিয়ে ফেল্র। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও নষ্ট করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এই ব্রণ সমস্যার সমাধান করার জন্য। যদি ডায়েটলিস্টে সেই খাবারগুলোকে প্রাধান্য দেয় তাহলে ব্রণের সমস্যা সহজে সমাধান হবে এবং হারানো গ্লও ফিরে আসবে।

পানিঃ ব্রণের সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কারণ ব্রণ দূর করতে হলে ত্বকে ভেতর থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। শরীরে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে পানি। নিয়মিত অন্তত তিন লিটার পানি পান করার অভ্যাস আমাদের করা উচিত।

লেবুর রসঃ লেবুর রস আমাদের ত্বক সতেজ রাখে। রক্তের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এনজাইম তৈরি করে। দূষণ দূর করতে এবং লিভার কে সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করে।

তরমুজঃ তরমুজ ত্বকের দাগ দূর করার জন্য অনন্য একটি উপাদান। এতে ভিটামিন এ, বি এবং সি রয়েছে। ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়।

দইঃ দই খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলতে পারেন।দইয়ে এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকে। যা ত্বক পরিষ্কার রাখতে খুবই কার্যকরী।

আখরোটঃ নিয়মিত খেলে ত্বকের মিষ্টতা ও কমলতা বৃদ্ধি পায়। আখরোট তেলে লিগনিন অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের গঠন বজায় রাখে।

বাদাম জাতীয় খাবার ঃ আমাদের ত্বকের সেলেনিয়াম নামক একটি পদার্থ উৎপাদিত হয়। বাদাম জাতীয় খাবার খেলে এর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। আর ত্বকে যদি সেলেনিয়াম এর মাত্রা বেশি হয় তাহলে সেটা সূর্যের তাপে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আপেলঃ আপেলে পেকটিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। যা ব্রণের শত্রু হিসেবে বিবেচিত। তাই আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে এবং ব্রণ মুক্ত রাখতে আপেল খাওয়া উচিত।

তিতা জাতীয় খাবারঃ ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখতে নিয়মিত করোলা খেতে পারেন। তিতা জাতীয় খাবার খেলে ত্বকে সহজে ব্রণ হতে পারেনা।

এসব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্রণের উপরে নিয়মিত নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এবং ব্রণের কালো দাগ দূর করতে নারিকেল তেল মেসেজ করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে ব্রণের দাগ অনেকটাই কমে এসেছে।

এক রাতে ব্রণ দূর করার উপায়

আমাদের যাদের মুখে ব্রণ রয়েছে শুধু আমরাই এই সমস্যাটা বুঝতে পারে যে কেমন লাগে। এমনটা হচ্ছে যে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছি মুখে অনেক ব্রণ। এক রাতের মধ্যে যদি ব্রণগুলো কমিয়ে ফেলা যেত, তাহলে কতই না ভালো হতো। তাই না? চলুন জেনে নেই এক রাতে গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো কি-

মধুঃ ত্বকের যত্নে এবং ব্রণের সমস্যায় মধু খুবই কার্যকরি। মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লেমেটরি গুনাবলি রয়েছে। যা ব্রণ কমিয়ে দেয়। ব্রণের উপরে রাতের বেলা মধু লাগিয়ে রাখলে সকালে ধুয়ে ফেলার পরে দেখা যায় ব্রণ অনেকটাই কমে এসেছে।

বরফঃ বরফ একটি পরিষ্কার কাপড়ের মুড়িয়ে ব্রণের উপরে ঘষে ঘষে আলতোভাবে লাগাতে হবে। এটি ব্রণের ব্যথা এবং ফোলা ভাব দূর করতে সহায়তা করে এবং ব্রণ অনেকটা কমায়।
গ্রিন টিঃ আমরা সবাই জানি গ্রিন টি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। গরম পানিতে একটি ব্যাগ রেখে ঠান্ডা হতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি ব্রণের উপরে লাগাতে হবে। এই গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি ইনক্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা রাতে রাতি ব্রণ দূর করতে পারে।

টি ট্রি অয়েলঃ টি ট্রি ওয়েলে অ্যান্টি ব্যাকটে্রিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি নারিকেলের তেলের সাথে ২-১ফোঁটা মিশিয়ে ব্রনের উপরে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়।

টুথপেস্টঃ যদি ব্রণের উপরে রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখা হয় তাহলে সকালবেলা উঠে দেখা যায় ব্রণটা একদমই ছোট হয়ে গেছে এবং আস্তে আস্তে এটি একদম হারিয়ে যাই।

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ উঠতে পারে। কারণ ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে খুব সহজেই তাতে ধুলাবালি আটকে যায়। এবং লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায়। একবার যদি তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ উঠে তাহলে তার সারিয়ে তোলা খুবই কষ্টকর। চলুন জেনে নেই তৈলাক্ত ত্বকে বা গালে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো-

লেবু ও মধুর পেস্টঃ লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক এসিড ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ত্বকে ব্রন উঠতে বাধা প্রদান করে। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি ১৫ মিনিট মতো ব্রণের উপরে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণ কম হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার এটি ব্যবহার করা উচিত।

দই এবং বেসনঃ দুই ত্বক নরম রাখতে সহায়তা করে এবং বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে কার্যকরি। দই এবং বেসন একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ব্রণ কমাতে কাজ করে। দুই টেবিল চামচ বেসন আর এক টেবিল চামচ দই একসাথে মিশিয়ে তাতে অল্প একটু মধু এবং হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। এই পেস্ট টি বানানোর পরে মুখে এবং গলায় খুব ভালোভাবে লাগাতে হবে।

১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে হালকা গরম পানি হাতে লাগিয়ে আবরণটি নরম করে নিতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে ঝরে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফল পেতে হলে অবশ্যই এই পেস্ট টি অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

শেষ কথা

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ব্রণের সমস্যার সমাধান নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছি। যেমন- ব্রণ দূর করার উপায়, কিভাবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রণ দূর করা যায্‌ ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করতে আমরা কি করতে পারি এরকম আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আমাদের এই লেখাটি থেকে আপনারা এ বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন।

আমাদের এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এরকম আরো বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url