টনসিল চেনার উপায় - টনসিল হওয়ার কারণ বিস্তারিত জানুন
টনসিল চেনার উপায় গুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। টনসিল আমাদের মুখের মধ্যে লিঙ্গয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডোনয়েড নামে চারটি গ্রুপে অবস্থান করে। এই চারটি টনসিলের মধ্যে কোন একটিতে ব্যথা হলে তাকে টনসিলাইসিস বলে।
সাধারণত ঠান্ডা জনিত কারণে টনসিলের সমস্যা হয়ে থাকে। আজকে আমরা টনসিল চেনার উপায়, টনসিল হওয়ার কারণ এবং আরো অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ভূমিকা
আমরা অনেকেই মনে করি যে টনসিলের সমস্যা শুধুমাত্র শিশুদেরই হয়। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই সঠিক নয়। এটি শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হয়। ঠান্ডা খাবার খেলে, স্যাতস্যতে জায়গায় থাকলে কিংবা পুষ্টির অভাবে সমস্যা হতে পারে। টনসিল হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, খাবার খেতে অনীহা, মুখ খুলতে কষ্ট হয়, কান ব্যথা করে, মুখ দিয়ে লালা পরে, কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়।
এছাড়াও নানা রকম লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় যে সমস্যা হয়েছে। আজকে আমরা টনসিল সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন টনসিল চেনার উপায় কি, হওয়ার কারণ কি, করনীয় কি ইত্যাদি। সুতরাং এই বিষয়ে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
টনসিল চেনার উপায়
কেউ যদি বলে আমার গলায় ব্যথা করছে, তাহলে আমরা খুব সহজেই বলে দেই এটা টনসিলের ব্যথা। আমরা কি জানি এই টনসিল টা কি? কেন হয়? টনসিল চেনার উপায় গুলো কি? আসলে টনসিল হল মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটা বিশেষ অংশ। যা আমাদের মুখের মধ্যে লিঙ্গোয়াল, প্যালেটাইন, টিউবাল ও এডেনয়েড হিসেবে অবস্থান করে।
এই টনসিল গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে যদি ব্যথা হয় তাহলে তাকে টনসিলাইসিস বলা হয়। ভাইরাসজনিত রোগ গুলোর মধ্যে টনসিল একটি। টনসিল আপনাদের শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বেশি হয়। যদি অনেকদিন যাবত এটি চলতে থাকে তাহলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এডিনয়েড টনসিল চার থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যে খুব বেশি সক্রিয় থাকে।
শীতকাল আসলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য সময়ে তুলনায় অনেকটাই কমে যায়।। যার ফলে রোগ জীবাণু দ্বারা বেশি আক্রান্ত হয়। শীতকালীন রোগে শিশুরা সব থেকে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। টনসিল ও এডিনয়েড এর ব্যথা ছাড়াও টনসিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে নানা রকম জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। টনসিল চেনার উপায়গুলো এবার জেনে নেওয়া যাক।
- লালচে এবং আকারে বড় টনসিল
- টনসিলে সাদা সাদা দাগ পরে
- গলায় প্রচন্ড ব্যথা হয় সেজন্য খেতে সমস্যা হয়
- জ্বরের মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে
- কণ্ঠস্বর অনেকটা ভারী হয়ে যায়
- পেটে ব্যথা হয়
- ঘাড়ের পিছন দিকে ব্যথা করে
- মাথা ব্যথা হয়
- মুখে দুর্গন্ধ হয়
- টনসিল গুলো তে প্যাচ দেখা যায়
ছোট বাচ্চাদের টনসিল চেনার উপায় গুলো একটি একটু অন্যরকম এগুলোর মধ্যে রয়েছে
- অস্বস্তিকর পেটে ব্যথা
- বারে বারে বমি হওয়া
- খেতে চায় না
- হঠাৎ করেই প্রচন্ড জ্বর আসে
- টনসিলগুলো আকারে বড় হয়ে যায় এবং সাদা দাগ পরে
টনসিল হওয়ার কারণ
টনসিল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস সংক্রমণ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ও টনসিল গ্রন্থি সংক্রমিত করতে পারে। Streptococcus pyogenes নামক ব্যাকটেরিয়া টনসিল সৃষ্টির জন্য দায়ী। ব্যাকটেরিয়া জনিত যে সকল টনসিলাইসিস রয়েছে সেগুলো ছোট বাচ্চাদের তুলনায় শিশু কিশোর বেশি সংক্রমিত হয়।
ভাইরাস জনিত টনসিলাইসিস এর তুলনাই ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিলাইসিস ভালো হতে বেশি সময় লাগে। অর্থাৎ টনসিল হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণ অন্যতম। ভাইরাসের কারণে যে সকল টনসিলাইসিস হয় সেগুলো চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।
টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
যদি টনসিল এর সমস্যা থাকে তাহলে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এ সকল খাবার গুলো এড়িয়ে চললে টনসিলের সমস্যা অনেকটাই কন্ট্রোলে চলে আসে। আমরা টনসিল চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছি এবার চলুন জেনে নেই টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না-
জাঙ্কফুডঃ চিপস, চটপটি, ফুচকা, চানাচুর ইত্যাদি যত রকমের জাঙ্কফুড রয়েছে সবগুলো খাবার বর্জন করতে হবে।
কোমল পানীয়ঃ যেকোনো ধরনের কমল পানীয় থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। কেননা টনসিলার সমস্যায় এগুলো খুবই ক্ষতিকারী।
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারঃ অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত হবে না। কারণ এগুলো টনসিলের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
টক জাতীয় খাবারঃ টক জাতীয় খাবার টনসিলের ব্যথা বাড়াতে সহায়ক। সেজন্য টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
অন্যান্যঃ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, মিষ্টি আলু, চিনা বাদাম, মুলা, দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবার যেমন চিজ, পনির, দই, চিনি, পাকা কলা, শুকনো ফল, ময়দা রুটি, মধু, মিষ্টি জাতীয় খাবার, রান্না করা গাজর এগুলো খাওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও যে খাবারগুলো হজমে বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো এড়িয়ে চলা উত্তম। উল্লিখিত খবর গুলো এড়িয়ে চললে সমস্যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব।
টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায়
টনসিলের ব্যথা সম্পর্কে কেবলমাত্র যারা টনসিলে আক্রান্ত তারাই জানেন। আমাদের মুখ, কান, গলা, নাক দিয়ে যে সকল জীবাণু প্রবেশ করে তাদের প্রতিরোধ করায় টনসিলের কাজ। প্রতিরোধ করতে গিয়ে কোন কোন সময় টনসিল নিজেই আক্রান্ত হতে পড়ে। টনসিল আক্রান্ত হলে অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তাই টনসিলের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কিন্তু টনসিলের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে আমরা কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারি। এতে করে টনসিলের ব্যথা অনেকটাই কমে আসে।
- লবণ পানি একসাথে নিয়ে কুলকুচি করতে হবে
- দিনে ২-৩ বার আদা চা খেতে হবে
- পানির সাথে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেলে উপকৃত হওয়া যায়
- গ্রিন টি এর সাথে মধু মেশিয়ে খেলে টনসিলের ব্যথা কমে
- দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যায়
- গরম পানির ভাপ নিলেও টনসিলের সমস্যা অনেকটাই কমে
উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ম মেনে চললে টনসিলের সমস্যা সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আমরা চেষ্টা করব নিয়ম মেনে চলার যাতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
টনসিলাইসিসে আক্রান্ত বাচ্চা একাধিক শারীরিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে গলা ব্যথা, খাবার খেতে পারেনা, জ্বর, গলা ভেঙে যায়, শ্বাস প্রশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়, কানে ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুরা টনসিলাইসিসে আক্রান্ত হলে কিছু খেতে চায় না এবং সারাদিন বিরক্ত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুরা সাধারণত ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেই টনসিলাইসিসে আক্রান্ত হয়।এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে বাবা-মায়ের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া। তাহলে সন্তান তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। শিশুদের টনসিলের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো প্রয়োগ করলে টনসিলাইসিস খুব সহজেই সমাধান করা যায়।
লবণ পানি দিয়ে গারগাল করাঃ টনসিল এর সমস্যা হলে এর প্রধান ওষুধ হিসেবে লবণ এবং পানি একসাথে নিয়ে গারগল জরুরী। গরম পানিতে গারগাল করলে টনসিলের ব্যথা অনেকটা কমে যায়। কিন্তু শিশুরা খুব সহজে এটা করতে চায় না সেজন্য তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
গরম পানি ও মধু মিশিয়ে খাওয়াঃ টনসিলের সমস্যার সমাধানের জন্য গরম পানি এবং এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে বাচ্চাকে আস্তে আস্তে খাওয়াতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ রয়েছে যা টনসিলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনার বাচ্চা যদি টনসিলাইসিস হয় তাহলে এখন থেকেই গরম পানি এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ানো শুরু করুন। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন আশা করা যায়।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহারঃ আবহাওয়া যদি শুষ্ক থাকে তাহলে গলা ব্যথা বাড়তে থাকে। এই সময় যদি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যায় তাহলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ানো যায়। যাতে টনসিলের ব্যথা অনেকটাই কমে আসে। হেলথ লাইন থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বিশেষ করে ভাইরাল টনসিল এর সমস্যায় হিউমিডিফায়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই বাচ্চার শোয়ার ঘরে হিউমিডিফায়ার চালিয়ে রাখুন তাতে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
তুলসী ও মধুর মিশ্রণঃ তুলসী ও মধুর মিশ্রণ টনসিলের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তুলসী গলার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং মধুতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিজ রয়েছে। সেজন্য মধু এবং তুলসীর মিশ্রণ একসাথে করে খাওয়ালে শিশুদের গলা ব্যথার সমস্যা কমতে থাকে। অন্ততপক্ষে দিনে দুইবার এই মিশ্রণটি বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে।
চিকিৎসকের কাছে যাওয়াঃ যদি দেখেন ঘরোয়া সব টোটকা ব্যবহার করার ফলেও বাচ্চার টনসিলের সমস্যা কমছে না এবং নিম্নলিখিত উপসর্গগুলির দেখা দিয়েছে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো হবে।
- জ্বর না কমা
- 48 ঘন্টার বেশি গলা ব্যথা
- বাচ্চা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে
- গলা অতিরিক্ত ফুলে গেছে
- গলা ব্যথার কারণে বাচ্চা একদম খেতে পারছে না
এই ধরনের পরিস্থিতি যদি চলে আসে তাহলে বাসায় বসে আর অপেক্ষা করা একেবারেই উচিত নয়। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
টনসিল ফোলা কমানোর উপায়
টনসিলাইসিসে আক্রান্ত হলে খাবার খেতে এবং ঢোক গিলার সময় গলায় ব্যথা হয়। টনসিলাইসিস কমানোর জন্য নানা রকম ওষুধ রয়েছে তবে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যথা এবং ফোলা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। চলুন জেনে নেই টনসিল ফলা কমানোর উপায় সমূহ-
লেবু এবং মধুঃ এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু এবং সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খেলে টনসিলের ব্যথা ব্যথা একদিনের মধ্যে কমতে শুরু করে।
লবণ পানির ভাপ নেওয়াঃ পানিতে লবণ দিয়ে ফুটিয়ে ভাপ নিলে টনসিলের ব্যথা কমে। ভাপ নেওয়ার সময় অবশ্যই কান এবং মাথা জড়িয়ে বসতে হবে।
গ্রিন টি এবং মধুঃ আধা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু একসাথে নিয়ে দশ মিনিট ফোটাতে হবে। দিনে অন্তত দুই তিনবার এইটা হওয়া উচিত। গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা জীবাণুর সাথে লড়তে সাহায্য করে। মধুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে যা টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে।
হলুদ ও দুধঃ আমরা সবাই জানি হলুদ ঠান্ডা জনিত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। দুধের সাথে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা দূর হয়। কারণ হলুদের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
নরম খাবার খাওয়াঃ টনসিলের সমস্যা হলে শক্ত খাবার খেলে গলায় ব্যথা করে সেজন্য যতটা সম্ভব নরম খাবার খেতে হবে। টনসিল হলে তা তো আর সাথে সাথে সেরে যায় না, এক দুই দিনসময় লাগে । সেই সময়টাই শক্ত খাবার খেলে কষ্ট বেশি হয় তাই যতটা সম্ভব নরম খাবার খাওয়া জরুরী।
টনসিল হলে লেবু খাওয়া যাবে
টনসিল চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিয়েছি, সেই সাথে সাথে আমরা টনসিল রোধ করার জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো লেবু খাওয়া যাবে কিনা। টনসিলাইসিস সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই ভুগে থাকি।টনসিলাইসিস এর একটি বিশেষ সমস্যা হল গলায় ব্যথা করা। এক্ষেত্রে লেবু খুবি কার্যকারী।
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ লেবুর রস এক চামচ মধু এবং এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা কমে যায়। গলা ব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত এটি খেতেই থাকতে হবে। দেখা যাবে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বলতে পারি যে, টনসিল হলে লেবুর রস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানলাম টনসিল চেনার উপায় গুলো কি, টনসিল হলে গলায় ব্যথা হওয়া, জ্বর হওয়া, পেটে ব্যথা, ঘরের পিছন দিকে ব্যথা, মুখে দুর্গন্ধ, মাথা ব্যথা ইত্যাদি আরো অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রতিকার হিসেবে আমরা চিকিৎসকের কাছে তো অবশ্যই যাব কিন্তু তার আগে ঘরে কিছু নিয়ম মেনে চললে টনসিলের ব্যথা কমানো যায়। আশা করছি আমাদের আজকের এই লেখাটি থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে গেছেন।
আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি সবগুলো তথ্য তুলে ধরার জন্য। যদি আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে নিয়মিত নতুন তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন এবং আপনার ব্যবহৃত সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করতে পা্রেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url