মেডিটেশন করার সঠিক সময় - মেডিটেশন কত প্রকার
মেডিটেশন করার সঠিক সময় জানা থাকলে মেডিটেশন থেকে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আপনি যদি মেডিটেশন করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার জন্য। মেডিটেশন সাধারণত মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। মেডিটেশন করার সঠিক সময় ও মেডিটেশন কত প্রকার সকল বিষয়ে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
মেডিটেশন সাধারণত টেনশন থেকে মুক্তি দেয়। মনকে শান্ত রাখার জন্য আমরা মেডিটেশন করে থাকি। এছাড়াও নানা রকম সমস্যার সমাধান মেডিটেশন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমাদের কর্মব্যস্ত জীবন সুখী করার জন্য, সুস্থ জীবন এবং শান্ত মনের জন্য মেডিটেশন করা জরুরী। মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকে, শরীর সুস্থ থাকে, টেনশন মুক্ত থাকা যায়। মেডিটেশনের মাধ্যমে ৭৫ পার্সেন্ট শরীর ও মনের সমস্যা যেমন মাইগ্রেন, সাইনোসাইটিস, শরীরে বিভিন্ন স্থানের ব্যথা, হজম ক্রিয়ার সমস্যা, আইবিএস, এসিডিটি, ডায়াবেটিস এগুলো থেকে মুক্তি মিলে।
এছাড়াও বিভিন্ন রকম রোগের নিরাময় হিসেবে মেডিটেশন ভূমিকা রাখে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মেডিটেশন সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেমন মেডিটেশন করার সঠিক সময় কখন, মেডিটেশন কত প্রকার কি কি, মেডিটেশন করলে কিভাবে উপকৃত হওয়া যায়, এরকম আনুষঙ্গিক আরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সুতরাং আপনি যদি মেডিটেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের লেখাটির মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মেডিটেশন করার সঠিক সময়
আপনি হয়তো মেডিটেশন করার কথা চিন্তা করছেন। কিন্তু মেডিটেশন করার সঠিক সময় সম্পর্কে ধারণা নেই। চলুন আমরা এ বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করি। মেডিটেশন সাধারণত যে কোন সময় করা যেতে পারে। আপনার যখনই সময় হবে কিংবা আপনি বোধ করবেন তাহলে মেডিটেশন করতে পারেন।
কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মেডিটেশনের সময় আপনার চারপাশে যেন কোন কোলাহল না থাকে। তাতে করে মেডিটেশনের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে মেডিটেশন করার সঠিক সময় হল সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে। ঘুম থেকে উঠেই আপনি মোবাইল ধরবেন না, কোন ইমেইল চেক করবেন না, অন্য কোন অ্যাক্টিভিটিস করার আগেই মেডিটেশন করুন।
এতে আপনার শরীরের সকল ইন্দ্রিয় গুলো সক্রিয় হবে এবং মন শান্ত হবে। এছাড়াও সন্ধ্যা বেলা মেডিটেশন করা যেতে পারে। মেডিটেশন করার সঠিক সময় হল ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এবং সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে। এই সময়ই চারিদিকটা বেশ শান্ত থাকে এবং আমাদের মনও অনেকটা শান্ত থাকে। তাই অবশ্যই মেডিটেশনের সময় আপনার এই বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মেডিটেশন কত প্রকার
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন মেডিটেশন সাধারণত কত প্রকার। মেডিটেশন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে মেডিটেশন। করার সঠিক সময় যেহেতু আমরা জানি তাই বিভিন্ন প্রকার মেডিটেশন সম্পর্কেও আমাদের জানা জরুরী। চলুন জেনে নেই জনপ্রিয় কিছু মেডিটেশন এর প্রকারভেদ
প্রেমময় মেডিটেশনঃ এর প্রধান লক্ষ্য হলো সবকিছুর উপরে দয়া এবং ভালোবাসার মনোভাব গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে একজন মেডিটেশন অনুশীলনকারী অনুশীলনের সময় তাদের মনকে উন্মুক্ত করে দেয় প্রেমময় দয়া লাভের জন্য। যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা প্রিয়জনের কাছে প্রেমের বার্তা পাঠায় এবং প্রেমময় দয়ার অনুভূতি অনুভব না করে ততক্ষণ পর্যন্ত করে।
বিপাসনা মেডিটেশনঃ এটি সাধারণত বৌদ্ধদের একটি মেডিটেশনের কৌশল। এটি বিশ্বের ৯৫ টি দেশে শেখানো হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নেপাল, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, কানাডা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এটি শেখানো হয়। বিপাসনা মেডিটেশন এর মাধ্যমে শারীরিক এবং মনের একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়।
মন্ত্র মেডিটেশনঃ এটি একটি হিন্দু ধর্মীয় মেডিটেশন প্রক্রিয়া। সংস্কৃত ভাষায় মন্ত্রের অর্থ হচ্ছে মনের যন্ত্র। মন্ত্র ধ্যানের মূলমন্ত্রণ হচ্ছে ওম। অনুশীলনকারী তার শরীরের মধ্যে স্পন্দন অনুভব করে যদি সে বারবার ওম শব্দটি পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। বেশিরভাগ অনুশীলনকারী বিপাসনা ধানের চেয়ে মন্ত্র ধানকে সহজ বলে থাকেন। কারণ এই মন্ত্র ধ্যানে মনোনিবেশ করা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সহজ।
মননশীলতা মেডিটেশনঃ এই মেডিটেশনের মাধ্যমে সাধারণত অতীতের চিন্তা কিংবা ভবিষ্যতের ভয়কে জয় করে বর্তমান পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে উৎসাহিত করে। এই ধ্যান টি মানুষ যে কোন জায়গাতেই করতে পারে। এই মুননশীল মেডিটেশন মানুষের মনের নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
প্রগতিশীল মেডিটেশনঃ এ ধরনের মেডিটেশন অনুশীলনকারীরা সম্পূর্ণ শরীরের মাধ্যমে কাজ করে। এর মাধ্যমে শিথিলতার অনুভূতি জাগে। এর প্রধান কাজ হল উত্তেজনাকে লক্ষ্য করা এবং তা থেকে মুক্তি দেওয়া। এছাড়াও এটি দীর্ঘস্থায়ী পেশীর ব্যথা নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শ্বাস সচেতনতা মেডিটেশনঃ এই ধরনের মেডিটেশন কারীরা ধীরে ধীরে এবং খুব গভীরভাবে শ্বাস নেয়। এর প্রধান লক্ষ্য মনের ভিতর প্রবেশ করা। অন্যান্য সকল চিন্তা ভাবনা বাদ দেওয়া। এই ধ্যান করলে টেনশন কমে, মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
হাটা মেডিটেশনঃ এটি সাধারণত চোখ খোলা রেখে সম্পূর্ণ করতে হয়। হাটা ধ্যান আপনাকে আপনার শরীরের সংবেদনগুলো সম্পর্কে সচেতন করবে। এটি সাধারণত হাঁটার চেয়ে আরো ধীর গতিতে করতে হয়। এটি মানুষকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে মানুষ ক্লান্তি এবং অলসতা কাটিয়ে উঠতে পারে।
মেডিটেশন করার উপকারিতা
মেডিটেশন করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মেডিটেশন আপনার মন ও মেজাজ, শারীরিক এবং মানসিক কিংবা আধ্যাত্বিক ভাবে সুস্থ রাখে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই মেডিটেশন করার উপকারিতা গুলো কি-
মন ও মেজাজের উপকারিতাঃ যারা মেডিটেশন করে তাদের ক্ষেত্রে তাদের মস্তিষ্কের জন্য একটি এন্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। কারণ মেডিটেশন রাগ, হতাশা, একাকীত্ব এই জিনিসগুলো দূর করতে সহায়তা করে। মেডিটেশন আপনার মস্তিষ্ককে উন্নত করে।
শারীরিক উপকারিতাঃ নিয়মিত মেডিটেশন করলে শারীরিকভাবে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
- হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালজাইমা, স্ট্রোক স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
- যাদের ডায়াবেটিস, ফাইব্রো মাইলোসিয়া, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি এবং প্রদাহজনিত রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত মেডিটেশন করলে এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- নিয়মিত মেডিটেশন করলে স্ট্রেস, টেনশন, মাথাব্যাথা, পেশির ব্যথা এবং জয়েন্টের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
মানসিক উপকারিতাঃ নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা যায় এবং অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
- মানুষের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়, উদ্বেগ কমে, সৃজনশীলতা বাড়ে এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ে।
- মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকে এর ফলে বিষন্নতা এবং হতাশা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ঘুম ভালো হয়।
- মেডিটেশন করলে বার্ধক্য দেরিতে আসে। ফলে আপনাকে দেখতে তরুণের মতো দেখায়।
আধ্যাত্মিক উপকারিতাঃ মেডিটেশনের কোন ধর্ম হয় না। যে কোন মানুষ চাইলেই মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারে। মেডিটেশন সাধারণত ব্যক্তিগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে সহায়তা করে। নিজের সম্পর্কে আপনি যত বেশি জানবেন, তত পরিমাণে আপনি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবেন।
মেডিটেশনের ক্ষতিকর দিক
আমরা অনেকেই চিন্তা করি মেডিটেশন করলে কোন ক্ষতি হবে কিনা। না মেডিটেশন করলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু মেডিটেশন করা শুরুর দিকে বেশ কিছু বিষয় দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন- খাবার পরে সাথে সাথে মেডিটেশনে বসা ঠিক নয়। এতে করে হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার অনেক বেশি সময় ধরে বসে থাকলে সমস্যা হতে পারে।
অবশ্যই মেডিটেশন করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে বসতে হবে যাতে অনেকক্ষণ বসে থাকা যায়। বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। খুব আস্তে ধীরে বসে মনোনিবেশ করতে হবে।
রাতে মেডিটেশন করার নিয়ম
রাতে মেডিটেশন করার সঠিক সময় এবং নিয়ম জানা খুবই জরুরী। রাতে বলতে সাধারণত সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে মেডিটেশন করা খুবই উপকারী। এই সময়ই খুবই নিরিবিলি একটা পরিবেশ থাকে। মেডিটেশন এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি জায়গা নির্বাচন করে নিতে হবে। যদি সেরকম কোন জায়গা না থাকে তাহলে আপনি বিছানাতেও মেডিটেশন করতে পারেন।
মেডিটেশনের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ঢিলাঢোলা পোশাক পড়তে হবে। খুব শান্ত মেজাজে বসতে হবে এবং চোখ বন্ধ করে নিতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিতে হবে আর ছাড়তে হবে। এভাবে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনি মেডিটেশন করতে পারেন। তাহলে আপনি কাঙ্খিত উপকার পাবেন।
মেডিটেশন কিভাবে করে
মেডিটেশন করা খুব সহজ একটি বিষয়। আমরা অনেকেই মনে করি মেডিটেশন হয়তো খুব কঠিন বিষয়। হয়তো বা খুব কষ্ট হয়। এভাবে আমরা হাল ছেড়ে দেই। কিন্তু একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কোন কিছুর ফল পেতে হলে কিছুটা সময় তো লাগেই। তাই শুরুর দিকে অবশ্যই কিছুটা সময় নিয়ে শান্তভাবে চেষ্টা করতে হবে। চলুন জেনে নেই মেডিটেশন কিভাবে করে, মেডিটেশন করার সঠিক সময় বসে মেডিটেশন সঠিকভাবে করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
স্থান নির্বাচনঃ মেডিটেশনের জন্য সবসময়ই খোলা এবং শান্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কারণ খোলা জায়গায় বসে মেডিটেশন করা সব থেকে বেশি উপকারী। তাই এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে কোন চিৎকার চেঁচামেচি নেই। কোন কোলাহল নেই। মেডিটেশন করার সময় আপনাকে এটি মাথায় রাখতে হবে যে আপনি সম্পূর্ণ একটি আলাদা জগতে আছেন।
সময় নির্বাচনঃ মেডিটেশনের সময় অবশ্যই সঠিক সময়ের দিকে ফোকাস করতে হবে। ভোরবেলা এবং সন্ধ্যা বেলা মেডিটেশন করা খুবই উপকারী। আপনি যদি সকাল কিংবা সন্ধ্যায় সময় না পান তাহলে আপনি দিনের যেকোনো সময় মেডিটেশন করতে পারেন। কিন্তু প্রতিদিন একই সময় নির্বাচন করতে হবে এবং প্রতিদিন সেই সময়ই মেডিটেশন অনুশীলন করতে হবে।
সোজা এবং শান্ত থাকার অভ্যাসঃ খুব শান্তভাবে চোখ বন্ধ করে বসুন। মেডিটেশন করার সময় খুব আরামদায়ক অবস্থায় বসুন। যাতে করে অনেক বেশি সময় যাবত বসে থাকতে পারেন। প্রতিদিন মেডিটেশনে বসলে আস্তে আস্তে এর সময় কাল বৃদ্ধি পাবে। চোখ বন্ধ করে বসে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং গলার ভাবের উপর সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করুন।
ধীরে ধীরে দীর্ঘস্বাস নেওয়াঃ মেডিটেশনের শুরুর দিকে মনোনিবেশ করতে কিছুটা অসুবিধা হয়। আপনি বসে থাকেন এক জায়গায় কিন্তু আপনার মন অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এটি থেকে বাঁচতে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং মনকে স্থির করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার মন শান্ত হয়ে আসছে এবং শরীরে শীতলতা অনুভব করছেন।
শ্বাসের উপরে মনোনিবেশ করাঃ শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া বজায় রেখে আপনাকে নিঃশ্বাসের উপরে ফোকাস করতে হবে। দুই চোখের মাঝখানে সম্পূর্ণ মনোযোগ আটকে রাখতে হবে।
মুখে হাসি রাখাঃ মেডিটেশনের সময় অবশ্যই মুখে মৃদু হাসি রাখতে হবে। এটি আপনার মনকে শান্ত রাখবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শেষ হলে আস্তে আস্তে চোখ খুলুন। দেখবেন মনের মধ্যে একটা শান্তি অনুভব করছেন। এতে করে আপনি প্রতিদিন মেডিটেশন করতে উৎসাহিত হবেন।
শেষ কথা
কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত মেডিটেশন করে তাহলে তার শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্বিক শান্তি মিলে। মেডিটেশন করতেই হবে এমন মন মানসিকতা নিয়ে মেডিটেশন করা যায় না। যদি আগ্রহ থাকে তবেই মেডিটেশন করুন। যদি আগ্রহ নিয়ে মেডিটেশন করেন তাহলে নিজের পরিবর্তন দেখে আপনি নিজেই অবাক হবেন।
দেখবেন আপনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারছেন। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মেডিটেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করলাম। যেমন মেডিটেশন করার সঠিক সময়। আশা করছি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি পেয়ে গেছেন।
যদি আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ এখানে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করা হয়। চাইলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url