দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় - দাতের ব্যথায় করনীয় ওষুধ
সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আপনার কি দাঁতের মাড়ি ফুলে গেছে? আপনি কি দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানতে চান। আপনি যদি দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকে আমরা দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় এর সাথে দাঁতের ব্যথায় করণীয় ঔষধ ঘরোয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনার যদি জানা না থাকে দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি তাহলে আমাদের আজকের লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক।
ভূমিকা
দাঁত শুধু আমাদের খাবার চিবিয়ে খাওয়াতেই কাজে লাগে না। এটি আমাদের মুখের সৌন্দর্য রক্ষা করে। অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। যার কারণ মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা। মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রধান লক্ষণ হল মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া। এ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
যেমন দাঁতে ব্যথা, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, দাঁতের শিরশিরানি ইত্যাদি। আপনিও কি এই একই সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আসুন আমরা আজকে জানবো দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি, কিভাবে ঘরোয়াভাবে আপনি এর চিকিৎসা করতে পারেন। সেই সাথে সাথে আমরা আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
যেমন দাঁতের ব্যথায় করণীয় ওষুধ ঘরোয়া, দাঁত পরিষ্কার করার সহজ উপায় , দাঁতের ব্যথায় করণীয় ঔষধ, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়, পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়। তো চলুন সবগুলো বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।
দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয়
দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার পেছনে নানা রকম কারণ থাকতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পুষ্টির ঘাটতি, ভিটামিন সি এর অভাব, দাঁতের খাবার আটকে থাকা এগুলোর যেকোনো একটি কারণেই মাড়ি ফুলে যেতে পারে। এর যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে মুখের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। চলুন জেনে নেই দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি।
ইউক্যালিপটাস অয়েল ব্যবহার করুনঃ ইউক্যালিপটাস অয়েল মাড়ির ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং দুর্বল মাড়িকে ঠিক করতে সাহায্য করে। মাড়ির নতুন কোষ তৈরি করতেও ভূমিকা রাখে।
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করুনঃ মুখের নানারকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লবণ পানির গুরুত্ব অপরিসীম। লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয় এবং মাড়ির ফোলা অনেকটাই কমে আসে।
সরিষার তেল লাগানঃ সরিষার তেলে এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। সরষের তেল এবং লবণ মিশিয়ে মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন। এটি আপনি দিনে তিন চারবার করতে পারেন। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিলবে।
এলোভেরা জেলঃ এলোভেরা তে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা মাড়ির ফোলা ভাব, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মুখের সংক্রমণ সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে।
হলুদ ব্যবহার করুনঃ হলুদের রয়েছে কারকিউমিন আন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা মাড়ির ফোলা কমাতে সহায়তা করে।
টি ট্রি অয়েলঃ এই অয়েল দিয়ে মাড়ির গোড়ায় মালিশ করলে মাড়ির ফোলা অনেকটাই কমে যায়।
লেবু পানিঃ সকালে দাঁত মাজার আগেই যদি লেবু পানি দিয়ে কুলকুচি করা হয় তাহলে মাড়ির সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
লবঙ্গঃ দাঁতের সমস্যাই লবঙ্গ একটি উপকারী উপাদান। দাঁতের ব্যথা কিংবা মাড়ি ফোলার সমস্যা লবঙ্গ দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারে।
দাতের ব্যথায় করনীয় ঔষধ ঘরোয়া
দাঁতে ব্যথা হলে কথা বলা তো যায় না, খাওয়াও যায় না। কোন কাজে মন বসে না। ঘুমও হয় না। এ অবস্থায় আমরা খুব সহজেই ওষুধের দোকান থেকে পেন কিলার নিয়ে এসে খেয়ে ফেলি। পেইন কিলার খেয়ে আমাদের ব্যথা অনেকটাই কমে আসে। তবে সেটা কয়েক ঘন্টার জন্য। তারপর আবার সেই একই সমস্যা। প্রথমে কম, তারপর আস্তে আস্তে অনেক বেশি।
একটা সময় দাঁতের অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক সময় দাঁত গর্ত হয়ে যায়। এই গর্ত যখন একদম মাড়ি পর্যন্ত চলে যায় তখন দাঁতে ব্যথা হয়। এছাড়াও দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হতে পারে। ক্যালসিয়ামের কম থাকলেও দাঁতে সমস্যা হয়। তাই শুরু থেকেই সবাইকে সাবধান হতে হয়।
এই পর্বে আমরা দাঁতে ব্যথার করণীয় ঔষধ ঘরোয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন জেনে নেই দাঁতের ব্যথায় করণীয় ঔষধ ঘরোয়া টোটকা গুলো।
- আলু কেটে দাঁতে লাগাতে পারেন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এবং দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
- লবঙ্গ তেল ব্যথাযুক্ত জায়গায় লাগাতে পারেন। লবঙ্গের মধ্যে ব্যথা নিবারণকারী উপাদান বিদ্যমান যা দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে।
- পেয়ারা পাতা দাঁতের ব্যথা কমানোর অন্যতম হাতিয়ার। কারণ পেয়ারা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনক্রিমেন্ট বৈশিষ্ট্য। দাঁতে ব্যথা হলে অবশ্যই পেয়ারা পাতা মুখে রাখুন। তাহলে অনেকটাই শান্তি পাবেন।
- দাঁতের ব্যথা যদি কমাতে চান তাহলে সরিষার তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান।
- যেকোনো ধরনের ব্যাথা কমানোর জন্য কাঁচা রসুন খুব ভালো কাজ করে। তাই দাঁতের ব্যথা কমাতে চাইলে কাঁচা রসুন কেটে দাঁতে লাগান।
- দাঁতে ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে যদি মাড়ি ফেলার সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা সেদ দিতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে আসবে।
- হালকা গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। যত বেশি সময় ধরে করবেন তত ভালো উপকার পাবেন। যদি কোন জীবাণুর কারণে দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে লবণ পানি খুব উপকারে দিবে। লবণ পানি মাড়িতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
দাঁত পরিষ্কার করার সহজ উপায়
আপনার মুখের হাসি তখনই সুন্দর লাগবে যখন আপনার দাঁতগুলো পরিষ্কার থাকবে। দাঁত সুন্দর রাখতে আমরা অনেক কিছুই করি যাতে আমাদের দাঁতগুলো পরিষ্কার থাকে এবং সুন্দর দেখায়। কিন্তু আমরা অনেকেই দাঁতের যত্নে উদাসীন।
দাঁত নিয়ে বছরে একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও আমরা যায় না। দাঁতের রং অনেক সময় হলুদ হয়ে যায়। যা নিয়ে আমরা লোকজনের সামনে অস্বস্তিতে পরি। কিন্তু নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিলে আমরা এই সমস্যার সমাধান পেতে পারি। চলুন জেনে নেই দাঁত পরিষ্কার করার সহজ উপায় কি কি।
লেবুর রসঃ দাঁত পরিষ্কার করতে লেবুর কোন বিকল্প নেই। লেবু খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়। এক চিমটি লবণ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত পরিষ্কার হয়। এছাড়াও লেবুর খোসা দিয়ে দাঁত স্ক্রাবিং করলে দাঁত সাদা এবং ঝকঝকে হয়।
কমলার খোসাঃ দাঁত পরিষ্কার করতে কমলার খোসা জাদুর মত কাজে লাগে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে কমলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। এতে করে দাঁত সাদা এবং মজবুত হবে।
মাশরুমঃ দাঁত সাদা করতে মাশরুম খান। মাশরুমে পলিস্যাকারাইড প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের সংক্রমণ হতে দেয় না।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি তে ফ্লোরাইড বিদ্যমান। এছাড়াও গ্রিন টি অ্যান্টি অ্যাসিটি হওয়ার কারণে দাঁতে হলুদ রঙ ধরা থেকে রক্ষা করে।
বেকিং পাউডারঃ পেস্টের সাথে সামান্য পরিমাণ বেকিং পাউডার নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি এটি করতে পারেন।
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরি এর অ্যাসিটিক উপাদান ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্ট্রবেরি ব্রাশের সাহায্যে নিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে মুখের যেকোনো ধরনের এসিডিটি হ্রাস পায় এবং দাঁতের ড্যামেজ থেকে রক্ষা মেলে।
আশা করছি আপনি দাঁত পরিষ্কার করার সহজ উপায় গুলো বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনি সাদা এবং ঝকঝকে দাঁত পেতে পারেন।
দাতের ব্যথায় করনীয় ওষুধ
শুধুমাত্র আমাদের অবহেলার কারণে দাঁত নষ্ট হয়ে গিয়ে দাঁতে ব্যথা হয়। বিভিন্ন কারণে আঘাত পেলেও দাঁত মরে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। দাঁতের মজ্জা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলেও ব্যাথা হতে পারে। দাঁতে এবং মাড়িতে ব্রাশের মাধ্যমে ঘষা লেগে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতে ব্যথা হয়। ফলে ঠান্ডা জাতীয় পানি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, এগুলো খেলে দাঁত এবং দাঁতের মাড়িতে ব্যথা লক্ষ্য করা যায়।
দাঁতের ব্যথার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাস্তা করার পর দুই বেলা ব্রাশ করা খুবই জরুরী। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে বেশি করে পানি খেতে হবে। ধূমপান, অ্যালকোহল, ঠান্ডা জাতীয় পানি, গুলো খাওয়া যাবে না। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হয়ে যায় তাহলে কুসুম গরম পানি দিয়ে সাথে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
যে পেস্ট এ নুন আছে বা বাসায় যে পেস্ট ব্যবহার করা হয় তা দাঁতে লাগিয়ে রাখলেও ব্যথা কমে। ২-৩ মিনিট দাঁতে এভাবে লাগিয়ে রাখতে পারেন। লবণে যেহেতু অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাই লবণ দাঁতের ব্যথা খুব দ্রুত কমাতে পারে। তবে স্থায়ীভাবে দাঁতে ব্যথা কমাতে হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ব্যথা নাশক ওষুধ রয়েছে। যেমন-
- Etoricoxib 60 mg/90 mg/ 120 mg
- Etorix
- Etocox
- Toty
- Fabetor
এছাড়াও আরো অনেক কোম্পানি এই ব্যথা নাশক ওষুধ তৈরি করে থাকে। তবে এই ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। এই ওষুধগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়
দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি। কিন্তু দাঁতের মাড়ি ফোলার সাথে সাথে দাঁতের মাড়িতে প্রচন্ড ব্যথা হয়। এই ব্যথা অন্য যেকোন স্বাস্থ্য সমস্যার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বেশি শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে মাড়িতে ব্যথা হতে পারে।
যদি অসহ্য কর ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই একজন ডেন্টিস্ট এর কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু অল্প কিছু ব্যথা হলে ঘরোয়া ভাবেই এর চিকিৎসা করতে পারেন। চলুন জেনে নেই দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয়, দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে করণীয় কি।
লবণ পানি: দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর জন্য লবণ পানি অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে মুখের মধ্যে এই পানি নিয়ে কয়েক সেকেন্ড কুলকুচি করুন। মাড়ির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে এভাবে দিনে অন্তত দুই তিনবার কুলকুচি করতে থাকুন।
এলোভেরা জেল: এলোভেরা জেলে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা মাড়ির ব্যথা সারাতে সহায়তা করে। একটি বাটিতে এলোভেরা জেল নিয়ে তা ভালোভাবে ফেটিয়ে মাড়িতে লাগান। এক মিনিট মত রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াতে দিনে দুইবার এলোভেরা জেল ব্যাথ্যযুক্ত মাড়িতে লাগান।
লেমন গ্রাস তেল: লেমন গ্লাস তেল দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে এবং দাঁতকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। দুই তিন ফোটা লেমন গ্রাস এসেন্সিয়াল অয়েল একটা পানির সাথে মেশান। এই দ্রবণটি নিয়ে ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত কুলকুচি করতে থাকুন। ভালো ফলাফল পেতে দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
হলুদ ও মধুর জেল: হলুদের এন্টিঅক্সিডেন্ট মাড়ির রক্তপাত এবং লাল হওয়া নিরাময় করে। মধু মুখের মধ্যে প্লাগ গঠন করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে লাগিয়ে 15 মিনিট রাখুন। ভালো ফলাফল পেতে দিনে দুবার ব্যবহার করুন।
নারিকেল তেল: নারিকেল তেলে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে মাড়ির ব্যথা কমে। এক্ষেত্রে মুখের মধ্যে 2 চামচ নারিকেল তেল নিয়ে বিশ মিনিট মতো ভালোভাবে মুখের মধ্যে রাখুন। পরে পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং দাঁত ব্রাশ করুন।
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
দাঁতের মধ্যে যদি খাবার আটকে থাকে তাহলে দাঁতের মধ্যে ধোকা ধরে এবং গর্ত তৈরি হয়, এ থেকে ব্যথা শুরু হয়। পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় নিচে আলোচনা করা হলো। দাঁতে পোকার ফলে দাঁতের মাড়িও ফুলে যেতে পারে। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় সম্পর্কে আমরা আগেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়।
- পোকা দাঁতের ব্যথা হলে আপনি আমলকি রসের সাথে কর্পূর যোগ করে দাঁতে লাগাতে পারেন। এটা করলে দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
- দাঁতে পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কেটে চেপে রাখুন। এতে করে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
- নিম পাতা ফুটানো পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে মুখে দিয়ে কুলকুচি করে দাত ধুয়ে ফেলু।ন এতে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
- যদি দাঁতে পোকার কারণে মারাত্মক ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে সরিষার তেল, হলুদ এবং লবণ একসাথে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। তাৎক্ষণিকভাবে উপকার পাবেন।
- আদার পেস্ট বানিয়ে দাঁতে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে উপকৃত হবেন।
- আপনি যদি দাঁতের সমস্যায় ভোগেন তাহলে দাঁতের নিচে লবঙ্গ চেপে ধরে রাখুন। এতে করে দাঁতের ব্যথা নিরাময় হয় ।
যখনই আপনার দাঁতে ব্যথা হবে এই উপায়গুলো ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন ব্যাথা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবে।ন তবে দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের জন্য অবশ্যই দাঁতের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনি হয়তো এ বিষয়টি নিয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। শুধুমাত্র আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা সবগুলো তথ্য এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।
আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি আপনি জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। তাতেই আমাদের সার্থকতা। আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
লেখাটি ভাল লেগে থাকলে আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url