কাচা ডুমুরের উপকারিতা - শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানুন
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো কাচা ডুমুরের উপকারিতা। কাঁচা ডুমুরে এমন সব পুষ্টিগুণ রয়েছে যা নিয়মিত সেবনের ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ উপকৃত হয়। আজকে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেই সাথে সাথে শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম কানুন নিয়ম আলোচনা করা হবে।
ডুমুরের মধ্যে রয়েছে জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, এবং আয়রনের মত খনিজ পদার্থ। কাঁচা ডুমুর পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন রকম শাকসবজি খেয়ে থাকি। সেই সঙ্গে যদি তেল মশলা কম করে খাবার তৈরি করে খাওয়া যায় তা শরীরের জন্য আরো ভালো। এর পাশাপাশি আমাদের খাদ্য তালিকায় কিছু ফল যোগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ডুমুর একটি গুনে ভরপুর একটি ফল।
এই ছোট্ট ফলটি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের পরিপূর্ণ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে কাজ করে। এটি হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। এজন্য আমরা কাঁচা ডুমুর খেতে পারি, শুকনো ডুমুরও খেতে পারি। আবার ডুমুর পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারি।
আজকে আমরা কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা, শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম, ডুমুর ফলের উপকারিতা, ডুমুরের পুষ্টিগুণ এই সবগুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি ডুমুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন শুরু করা যাক।
কাচা ডুমুরের উপকারিতা
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমরা নিয়মিত খেজুর, বাদাম, কিসমিস এগুলো খেয়ে থাকি। এখন থেকে এই খাবারগুলোর তালিকায় আমরা ডুমুরও রাখতে পারি। কারণ ডুমুরে রয়েছে অফুরন্ত পুষ্টি ভান্ডার এবং এটি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ উপকৃত হয়।
ডুমুর খালি পেটে খাওয়ার চেয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ডুমুরের মধ্যে রয়েছে জিংক, মেঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং খনিজ পদার্থ। এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। চলুন জেনে নেই কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা গুলো কি কি।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে ডুমুরের ক্লোরোজেনিক এসিড রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি এই ফল ভিজিয়ে রেখে খাই তবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মহা ঔষধঃ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান। যা কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। চিকিৎসকরা পাইলসের রোগীদেরকে ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ ডুমুর মলত্যাগ স্বাভাবিক করে। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ডুমুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আপনি যদি নিজের ওজন কমাতে চান এবং নিজে ডায়েটের মধ্যে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়েট চার্টের ডুমুরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ডুমুরের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডুমুর শরীরে ভালো কিন্তু ও অবশ্যই এর পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ডুমুরে ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। ডুমুর বেশি পরিমাণে খেলে ওজন কমানোর বদলে আরো বেড়ে যেতে পারে।
হাড় মজবুত রাখেঃ ডুমুরকে ক্যালসিয়ামের একটি শক্তিশালী উৎস বলা হয়। এটি আমাদের শরীরের হাড়কে শক্ত এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আমাদের শরীর নিজে থেকে ক্যালসিয়াম তৈরি করতে পারে না। তাই বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করতে হয়। যেমন দুধ, শাকসবজি ইত্যাদি। এগুলোর সাথে ডুমুর যোগ করে নিন। কারণ ডুমুর ক্যালসিয়াম উৎপাদনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডুমুর শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফ্রী রেডিকেল দূর করতে সক্ষম। করোনারি ধমনীতে বাধার সৃষ্টি করে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে। ডুমুর শরীরের লাল ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়ঃ ডুমুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রেডিক্যাল কমাতে পারে। রেডিক্যাল সাধারণত ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য দায়ী। ডুমুরকে এই সকল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রজননে সহায়তা করেঃ ডুমুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, মেঙ্গানিজ এর মত খনিজ পদার্থ। যা প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। সুতরাং আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনি নিয়মিত ডুমুর খেতে পারেন।
কিডনির পাথর প্রতিরোধ করেঃ নিয়মিত ডুমুর খেলে কিডনির পাথর খুব সহজেই ঝরানো সম্ভব। এজন্য কাঁচা ডুমুর রাতের বেলা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা তা খালি পেটে খেতে হবে।
শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম
আমরা আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এর মধ্যে ড্রাই ফুড বা শুকনো ফলও রয়েছে। শুকনো ফল হিসেবে আমরা শুকনো ডুমুর খেতে পারি। কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা যেমন রয়েছে শুকনো ডুমুর খাওয়ারও উপকারিতা রয়েছে। এখন আমরা শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব।
শুকনো ডুমুরের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে রয়েছে। ডুমুর গাছ থেকে নামানোর পর রোদে শুকিয়ে ১-২ মাস সংরক্ষণ করা যায়। কারণ বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখলে ডুমুরে পোকা ধরতে পারে। চলুন শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
- শুকনো ডুমুর মাঝখান দিয়ে কেটে দুই টুকরা করে এক গ্লাস পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালবেলায় সেই পানি ডুমুরসহ খেতে হবে। অবশ্যই কিছুদিন গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খেতে হবে। তা না হলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
- একটি শুকনো ডুমুর কুচি কুচি করে কেটে তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
- শুকনো ডুমুর এবং এক গ্লাস দুধ একসাথে গরম করে ডুমুর সিদ্ধ করে নিতে হবে। এভাবে খেলে বুকে জমে থাকা কফ এবং শুকনো কাশি খুব দ্রুত উপশম হয়।
- যেকোনো ধরনের তরকারি যেমন ঝোলের তরকারি, মাছের তরকারি, মাংসের তরকারি, বিভিন্ন রকম চচ্চরি বা অন্য যেকোনো তরকারির সঙ্গে শুকনো ডুমুর দিয়ে রান্না করা যায়। এভাবে খেলে ডুমুর খাওয়ার প্রতি কোন অরুচি আসে না।
- মেয়েদের যদি অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয় তাহলে এক চামচ মধু এক গ্লাস দুধ এবং ডুমুর একসাথে খেতে পারেন। এতে করে ঋতুস্রাব অনেকটা কমে আসে।
ডুমুর ফল এর উপকারিতা
ডুমুর গাছ সাধারণত ঝোপঝাড়ে অযত্নেই বড় হয়। ডুমুরের পাতা অনেকটা খসখসে হয়। ডুমুর ফল নরম ও মিষ্টি জাতীয় হয়। কাঁচা ডুমুর বা শুকনো ডুমুর যেকোনো ভাবেই খাওয়া যায়। ডুমুরের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেই ডুমুর ফলের উপকারিতা সম্পর্কে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করেঃ ডুমুর আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করতে সক্ষম। বলা যায় এটি একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। এতে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের টিসুগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে ডুমুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে এমন সব উপাদান রয়েছে যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। ডুমুরের বিদ্যমান ফাইবার রক্তে শর্করার মান ভালো রাখে।
হাড় শক্ত করেঃ ডুমুর খেলে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সমূহ সরবরাহ হয়। যা হাড়ের যত্নে খুবই কার্যকর। ডুমুরের ক্যালসিয়াম হাড় সম্পর্কিত সকল ধরনের অসুস্থতা দূর করতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিদ্যমান। তাই ডুমুর খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। যার জন্য ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকটাই কমে আসে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহায্য করে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তবে আপনার খাদ্য তালিকায় ডুমুর যোগ করে নিন।
ভেজানো ডুমুরঃ দুই তিনটি ডুমুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা সেই ডুমুরসহ পানি খেয়ে ফেলতে হবে। এটা খেতে কিছুটা তেতো তেতো মনে হতে পারে। সেজন্য আপনি এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ডুমুর যোগ করুন। আপনার শরীরের রোগ বালাই আপনার অজান্তেই দূর হবে। শরীরের সুস্থতা বজায় থাকবে।
ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম
শুকনো এবং কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। আমরা অনেকেই হয়তো ডুমুর ফল খেয়েছি আবার অনেকেই খাইনি। এখন আমরা জানবো ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
- ডুমুর ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায়
- ডুমুরের বিচি চিবিয়ে খাওয়া যায়
- ডুমুর দিয়ে নানা রকম মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা যায়
- ডুমুরের সাথে মধু মিশিয়েও খাওয়া যায়
- ডুমুর সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়
- ডুমুরের প্রতিটি অংশই ভাবার উপযোগী
মূল কথা হলো ডুমুর ফল খাওয়ার তেমন কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই। এটি এমন একটি ফল যা সবজি, সালাদ, ওষুধ সব ভাবেই আমরা গ্রহণ করতে পারি।
ডুমুরের অপকারিতা
সকল খাদ্য দ্রব্যের যেমন উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। ডুমুর ও তার ব্যতিক্রম নয়। ডুমুর ফলের যেমন অনেকগুলো উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। ডুমুরের অপকারিতা গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- ডুমুর থেকে এক ধরনের আঠালো তরল পদার্থ বের হয় যা শরীরে লাগলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত ডুমুর খেলে শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। তাই ডুমুর খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত ডুমুর ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
- বেশি ডুমুর খেলে শরীরের ওজন বাড়তে থাকে।
- ডুমুর খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ডুমুর ফল রান্নার পদ্ধতি
কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা যেহেতু অনেক বেশি আমরা কাঁচা ডুমুর চিবিয়ে চিবিয়েও খেতে পারি। তবে রান্না করে খেলে এর স্বাদ অনেক গুন বেড়ে যায়। তো রান্না করার জন্য প্রথমে গাছ থেকে ডুমুর পেরে এনে তা সুন্দরমতো কেটে নিতে হবে। তারপরে তা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর অন্য সকল সবজিগুলো যেরকম মসলার সাহায্যে রান্না করা হয় সেভাবেই রান্না করে ফেলতে হবে।
দেখবেন ডুমুরের স্বাদ অনেক গুণে বেড়ে গেছে। ডুমুর দিয়ে বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়। যেমন ডুমুর চিংড়ির ডালনা, ডুমুরের ভর্তা, ডুমুরের তরকারি, চিংড়ি দিয়ে ডুমুরের ডালনা ইত্যাদি।
ডুমুর পাতার উপকারিতা
ডুমুরের মধ্যে যেমন পুষ্টিগুণের সম্ভার রয়েছে ঠিক তেমনি ডুমুর পাতারও কিছু উপকারিতা রয়েছে। কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা, শুকনো ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা, সকল উপকারিতার পাশাপাশি এবার আপনারা জেনে নিন ডুমুর পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
- ডুমুরের পাতা বেটে মুখে বা শরীরে লাগালে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকমের রোগ যেমন আলসার নিরাময় করা সম্ভব।
- শাক হিসেবে ডুমুরের পাতা রান্না করে খাওয়া যায়। এতে করে হার্টের ক্ষতিকারক চর্বি গুলো অনেকটাই কমে আসে। হার্টের রোগীদের দিনে দিনে সুস্থ করে তোলে।
- ডুমুরের পাতা যদি জুস বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- ডুমুর পাতা খেলে রেটিনা বৃদ্ধি পায়।
লেখক এর মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ডুমুর ফল সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন এখানে কাঁচা ডুমুরের উপকারিতা, শুকনো ডুমুর খাওয়ার নিয়ম, ডুমুর পাতার উপকারিতা, এছাড়াও আরো অন্যান্য সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করছি আমাদের লেখাটি থেকে আপনি যেই তথ্যটি খুঁজছিলেন তা খুঁজে পেয়েছেন। আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনার যদি ডুমুর ফল খাওয়ার অভ্যাস না থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকেই নতুন করে অভ্যাস করে তুলুন। কারণ ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল।
আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনি আপনার ব্যবহৃত সোশ্যাল মাধ্যম গুলোতে এটি শেয়ার করে দিতে পারেন। নতুন নতুন বিষয়ে আর্টিকেল পড়তে তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url