ত্বকের,রক্তের,পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় বিস্তারিত জানুন
এলার্জির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। হয়তো নিজের নয়তো আত্মীয়স্বজনের এলার্জি সমস্যা থাকেই থাকে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেই সাথে থাকছে ত্বকের, রক্তের, মুখের এলার্জি এবং বাচ্চার এলার্জি দূর করার উপায়।
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত আমাদের ক্ষতিকর জিনিস থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এসব জিনিসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ার ফলে এলার্জি লক্ষণ গুলো দেখা দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
ভূমিকা
একেকজনের একেক জিনিস এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কমন কিছু জিনিসের সংস্পর্শে এলে সবারই এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। যেমন নির্দিষ্ট কিছু খাবার, ধুলাবালি, ঠান্ডা আবহাওয়া, গৃহপালিত পশু পাখি, পরাগরেণু, ফুলের রেনু, সূর্য রশ্মি, ছত্রাক, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, কীটনাশক, বিশেষ ধরনের রাবারের তৈরির গ্লাভস ও কনডম, স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ।
এই সকল কারণে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এলার্জির সমস্যা হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন শরীরে চুলকানি হয়, ফুসকুড়ি উঠে, শরীর ফুলে যায়, হাঁচি কাশি হতে পারে, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব। একেকজনের একেক রকমের এলার্জি হয়।
কারো পায়ে, কারো মুখে, কারো চোখে, কারো রক্তে। এ ধরনের নানা রকম এলার্জি দেখা দেয়। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো পায়ের এলার্জি দূর করার উপায়। সেই সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রসঙ্গ গুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে। সুতরাং বিস্তারিত জানতে হলে লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পায়ের এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তার মধ্যে এক ধরনের এলার্জি রয়েছে যা পায়ে সংক্রমণ ঘটায়। পায়ে এলার্জি হলে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন - পা চুলকাতে থাকে, চুলকানোর পরে ক্ষত হয়ে যায়, এবং ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়, ফোসকা উঠতে পারে, রেশ দেখা দেয়, ফোলা, লাল হয়ে যায়, সাদা দাগ হয়।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জি হলেও পায়ের ত্বকের কোন লক্ষণ দেখা দেয় না। এটা সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গের রোগের লক্ষণ। পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। চলুন জেনে নেই পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় সমূহ কি কি।
ঠান্ডা প্রয়োগ করেঃ একটি বড় গামলা তে পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ দিন যেন পানি ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপর সেই ঠান্ডা পানিতে পা ঢুকিয়ে বসে থাকুন। আবার একটি কাপড়ের ভেতর বরফ নিয়ে পায়ে বরফের সেদ দিতে পারেন। পায়ে ঠান্ডা প্রয়োগের ফলে জ্বালাপোড়া কমানো সম্ভব এবং চুলকানিও অনেকটা কমে।
খাবার লবণ ও গরম পানির মিশ্রণঃ লবণে রয়েছে প্রদাহ নাশক এবং জীবাণু ধ্বংসকারী ক্ষমতা। যা পায়ের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। একটি বোলের মধ্যে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর সেই বোলের মধ্যে পা ঢুকিয়ে কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল যেমন ত্বকের সুস্থতা কমায় তেমনি রোগ জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। এজন্য পা ধুয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এবার হাতের তালুতে নারিকেল তেল নিয়ে পায়ে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাতে পায়ে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।
দই এর ব্যবহারঃ পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে আপনি দই ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র খাওয়া নয় পায়ের এলার্জি দূর করতেও দই ব্যবহার করা যায়। পরিষ্কার পায়ে পরিমান মত দই ঘষে লাগান। এবার ৩০ মিনিট রাখার পরে পা সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ভালো ফল পেতে হলে প্রতিদিন একবার করে পায়ে দই ব্যবহার করুন।
টি ট্রি অয়েলঃ প্রদাহ নাশক এবং জীবাণু বিরোধী ক্ষমতা রয়েছে টি ট্রি অয়েলে। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, কিংবা এলোভেরা জেল এর সাথে টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। তিরিশ মিনিট রেখে পা ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে দুইবার এই পদ্ধতিতে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন।
নিম পাতাঃ নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। নিমপাতা চর্ম রোগের প্রাথমিক সমাধান। নিমপাতা চুলকানি কমাতে এবং ক্ষত সারাতে সক্ষম। একটি পাত্রে নিম পাতা পানির মধ্যে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট গরম করতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা হলে সেই পানি দিয়ে পা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ঔষধের ব্যবহারঃ এছাড়াও পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসরা। যেমন Cetirizine, Loratadine, Fexofenadine ইত্যাদি।
এছাড়াও পায়ের এলার্জি দূর করার জন্য পায়ের প্রতি একটু যত্নশীল হতে হবে। সেই সাথে শরীর ও মন সুস্থ রাখা খুবই জরুরী। আরো কয়েকটি টিপস হল-
- সারাক্ষণ পা চুলকানো থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে।
- কোনভাবেই হাতের নখের সাহায্যে পা চুলকানো যাবে না। এজন্য অবশ্যই হাতের নখ ছোট রাখতে হবে।
- পায়ে সাবান ব্যবহার করা যাবে না। কারণ সাবানে উপস্থিত ক্ষার ও বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান এলার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে যাতে করে শরীরে পানি স্বল্পতা না দেখা দেয়।
- শরীরে যাতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি না হয় সেজন্য শাকসবজি এবং ফলমূল নিয়মিত খেতে হবে।
ত্বকের এলার্জি দূর করার উপায়
প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরই ত্বকের এলার্জির সমস্যা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এটি দূর করার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এর ফলে চর্ম এলার্জি দেখা দেয়। চলুন জেনে নেই ত্বকের এলার্জি দূর করার উপায় কি। ত্বকে এলার্জি হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। যেমন বায়ু দূষণ, শরীরের অনুপযুক্ত খাবার, পোকামাকড় কামড় দিলে, আবহাওয়া পরিবর্তন হলে। বিভিন্ন কারণে ত্বকের এলার্জি দেখা দিতে পারে। এলার্জি এড়ানোর জন্য আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারি। যেমন-
- বাইরে বেরোনোর সময় মুখ এবং শরীরের কাপড় দিয়ে ঢেকে বের হতে হবে।
- বাইরে থেকে আসার পরে সাথে সাথে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যাতে করে ধুলাবালি না লেগে থাকে।
- সারাদিন শেষে সন্ধ্যায় বাসার আসার পরে গোসল করে ফেলুন।
- এলোভেরা জেল বা অ্যালোভেরা থেকে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করুন।
- শুধুমাত্র ফিল্টার জল ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের এলার্জি দূর করার উপায় নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
- কর্পূর এবং নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে এলার্জি জায়গাতে লাগালে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
- ফিটকিরির পানি দিয়ে এলার্জি হওয়া জায়গা ধুয়ে পরিষ্কার করে কর্পূর এবং সরিষার তেল সে জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
- এলার্জি আক্রান্ত জায়গাতে এলোভেরা জেল লাগালে দ্রুত আরাম পাবেন। কারণ এলোভেরা জীবাণু প্রতিরোধ করতে সক্ষম এবং এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে।
- নিম পাতা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা তা বেটে পেস্ট তৈরি করে এলার্জি জায়গাতে লাগাতে হবে। এতে করে এলার্জির সমস্যা খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবেন।
- আদা, মৌরি, পুদিনা পাতা একসাথে পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি খান। প্রতিদিন ২-৩ বার করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ত্বকে এলার্জি থাকলে আপনি যে কাজগুলো কখনোই করবেন না। তাহলো-
- চুলকানো যাবে না
- নিয়মিত সাবান ব্যবহার করা যাবে না
- শরীরে খোলা বাতাস লাগাতে হবে
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি যদি জানেন আপনার কিসে অ্যালার্জি তবে তা থেকে অবশ্যই নিজেকে দূরে রাখুন।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
বড়দের তুলনায় বাচ্চারা এলার্জিতে বেশি আক্রান্ত হয়। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার বাচ্চা এলার্জিতে আক্রান্ত। যেমন হাঁচি, কাশি, রেশ হওয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, বমি, খিচুনি, ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে আপনি বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
ডাস্ট এলার্জি হলেঃ যদি ধুলাবালি থেকে এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে আপনার বাচ্চার নাক মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখুন।
ত্বকের এলার্জিঃ যদি ত্বকে অ্যালার্জি হয় তাহলে ত্বক জ্বলতে পারে কিংবা চুলকানি হতে পারে। এক্ষেত্রে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ফুসকুড়ি বা রেশের মতো হলে ঠান্ডা পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে জায়গাটি ঢেকে রাখুন। এতে বাচ্চা আরাম পাবে। বাচ্চার গোসলের পানিতে বেকিং সোডা বা ওটমিল মিশালেও এলার্জি দূর করা সম্ভব।
হাঁচি কাশি হলেঃ যদি এলার্জির কারণে হাঁচি কাশি হয় তাহলে গরম পানির ভাপ নেওয়াটা খুব বেশি উপকারী। তবে এটির জন্য বাচ্চা কিছুটা বড় হওয়া প্রয়োজন। একেবারেই ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
পেটে ব্যথা হলেঃ যদি এলার্জির কারণে পেটে ব্যথা হয় তাহলে কাঁচা কলা সেদ্ধ, অ্যাপেল সস, ভাত, টোস্ট এগুলা খেলে আরাম পাবে। তবে এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো পানি খাওয়াতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াঃ যদি এলার্জির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং ঘরোয়া টোটকা তে কোন কাজ না হয়, তাহলে অবশ্যই দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমরা পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। চলুন এবার জেনে নেই রক্তে এলার্জি হলে রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আপনার যদি অ্যালার্জি সমস্যা হয় তাহলে আপনি নিজেই তা বুঝতে পারবেন। আপনার যে বিষয়গুলো থেকে এলার্জির সমস্যা হবে সেগুলো থেকে আপনি অবশ্যই দূরে থাকবেন।
আপনার যদি রক্তে এলার্জি থাকে এবং আপনি ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি কমাতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোন বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। যদি নিয়ম মেনে না চলেন তাহলে আপনি কোনভাবেই এটি থেকে পরিত্রান পাবেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
ধূমপান পরিহার করুনঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি। ধূমপানের কারণে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং অবশ্যই ধূমপান পরিহার করতে হব।
অ্যালকোহল ত্যাগ করুনঃ অ্যালকোহল আমাদের শরীরের এলার্জিকে বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং আপনার যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনি কোন ধরনের মদ্যপান করবেন না।
এলার্জিযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ আপনার যদি রক্তে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনি এলার্জিযুক্ত খাবারগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কারণ এলার্জিযুক্ত খাবার খেলে আপনার অ্যালার্জি খুব দ্রুত বাড়তে থাকবে। এলার্জি বৃদ্ধি পেয়ে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে আপনার জীবন সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।
সুতরাং আপনার যে সকল খাবারে এলার্জি রয়েছে তা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন- তিল, দুধ, ডিম, চিনা বাদাম, মাছ, কাঠবাদাম, পাইনবাদাম ব্রাজিল নাটস, বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন চিংড়ির, কাঁকড়া, ইলিশ, পাঙ্গাস। এ সকল খাবারের প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থাকে।
সুগন্ধি ব্যবহার করবেন নাঃ আমরা অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা অনেকেই সুগন্ধি সহ্য করতে পারেন না। তাই যাদের সুগন্ধিতে এলার্জি রয়েছে অর্থাৎ যে সকল সুগন্ধিতে এলার্জি হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
রক্তে এলার্জি কমানোর বিভিন্ন ওষুধঃ রক্ত এলার্জি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। এই সকল ঔষধ গ্রহণ করলে আপনার রক্তে এলার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এগুলো কোনভাবেই একা একা গ্রহণ করা যাবে না। অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক ওষুধের সাইড ইফেক্ট থাকে এবং অনেকের এডজাস্ট হয় না। রক্তে এলার্জির ওষুধ গুলো হল Acitrin, Citin, Cetmax, Atrizin, Rizin,Alargol, Cetrizin,Alatrol ইত্যাদি।
মুখে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমরা অনেকেই মুখে এলার্জির সমস্যা নিয়ে ভুগতে থাকি। চলুন জেনে নেই মুখে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি।
ট্রি টি অয়েলঃ মুখে এলার্জি সমস্যা দারুণভাবে কাজ করে।এতে এন্টি মাইক্রোপ্রেয়াল এবং এন্টি আইফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা ত্বকের এলার্জি থেকে মুক্তি প্রদান করতে পারে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিড বিদ্যমান। যা ত্বকের চুলকানি কমে এলার্জির প্রকোপ দূর করে। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্য জেনে নিতে হবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে এলার্জি আছে কিনা থাকলে ব্যবহার করা যাবে না।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং এলার্জি জনিত চুলকানি কমায়। নারিকেল তেল কুসুম গরম করে এলার্জি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে দিতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। উপকার পেতে হলে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।
এলোভেরা জেলঃ এলোভেরা জেল ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। টাটকা এলোভেরা সরাসরি মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায়
অনেকের ঠান্ডা এলার্জি বিদ্যমান। চলুন ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায় কি।
পেয়ারঃ পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বিদ্যমান। ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করার জন্য এটি দারুন ভালো কাজ করে। পেয়ারার পাশাপাশি লেবুর চা কিংবা লেবু শরবত খেতে পারেন।
ঘিঃ ঠান্ডা জনিত অ্যালার্জি দূর করতে খাবারের সাথে ঘি খাওয়া শুরু করুন। নিয়মিত ঘি খেলে ঠান্ডার সমস্যা কেটে যাবে।
কালোজিরাঃ কালোজিরা খেলে ঠান্ডা জনিত অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোজিরার ভর্তা কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে কালোজিরার বড়ি খেতে পারেন। উপকার পেতে হলে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মধুঃ গ্রামাঞ্চলে এখনো ঠান্ডার চিকিৎসার জন্য মধু ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যাদের ঠান্ডা জনিত এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা দিনের ২ চামচ করে মধু খেতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিভিন্ন রকম এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যেমন পায়ের এলার্জি দূর করার উপায়, রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়, ত্বকের এলার্জি দূর করার উপায়, মুখে এনার্জি দূর করার উপায়, ঠান্ডা অ্যালার্জি দূর করার উপায়।
আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অ্যালার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছেন। আমরা অনেকেই সচেতনতার অভাবে যে কোন ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলি এবং তা থেকে সুস্থতা আশা করি। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করেছি কিন্তু কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো খাওয়া যাবেনা।
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় এর মধ্যে যে ঘরোয়া টিপসগুলো দেওয়া হয়েছে তা থেকে আপনি উপকৃত হতে পারেন। আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url