শরীরের গরম কমানোর উপায় - শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা শরীরের গরম কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি না জেনে থাকেন শরীরের গরম কমানোর উপায় কি তাহলে আমাদের আজকের লেখাটি আপনার জন্য। শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি কি করা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শরীর গরম হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। এগুলো নিয়ে আজকের আলোচনা।
ছবি
অনেক সময় শরীর প্রচন্ড গরম থাকে। যারা জানতে চেয়েছেন যে শরীরের গরম কমানোর উপায় কি এবং শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত। তাদের জন্য আমরা এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা শরীরের গরম কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা শরীরে সবসময় গরম তাপমাত্রা অনুভব করে। কিন্তু সে নিজে তার শরীরে হাত দিলে বুঝতে পারে না। যদি অন্য কেউ তার শরীরে হাত দেয় তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারে যে তার শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি। 

এই নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে। অনেকেই আবার এটি নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু করে। আপনারা হয়তো অনেকেই শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক সমাধান পাননি। আমরা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সম্পূর্ণ বিষয়গুলো সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। 

মাথা ও শরীর গরম হওয়ার কারণ, শরীরের গরম কমানোর উপায়, শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত, মেয়েদের শরীর কেন গরম থাকে এসব বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি উপকৃত হবেন।

মাথা ও শরীর গরম হওয়ার কারণ

মানুষ যদি অনেক সময় ধরে কোন একটি বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন থাকে অথবা যদি কোন বিষয়ে হঠাৎ করে বড় কোন আকার ধারণ করে অথবা আপাত কোন দৃষ্টিতে সেটি চিন্তার বিষয় মনে না হলেও তা নিয়ে ভিতরে ভিতরে চিন্তা করে অনেক বড় করে ফেলে। সেক্ষেত্রে মাথা ও শরীর গরম হতে পারে। এগুলো মাথা ও শরীর গরম হওয়ার কারণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। 

অনেক সময়ে দুশ্চিন্তার কারণে কোন কাজে সঠিকভাবে মনোযোগ স্থাপন করা যায় না এবং রাতে ঘুমও ভালো হয় না। যার ফলে পরের দিনে শরীরের অনেক দুর্বল হয়ে যায় এবং নিজেকে অসহায় মনে হয়। নিজের মধ্যে সবসময়ই একটা অস্থিরতা কাজ করে। কাজেই আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে বুঝতে পারেন কোন কাজটি করলে ভালো হবে। 

কোনটি করবেন সে বিষয়টি নির্ণয় করতে না পারার ফলে বিষয়টি নিয়ে আস্তে আস্তে আরো চিন্তা হতে থাকে। সেই কারণে অনেক সময় মাথায় এবং শরীর গরম হতে পারে। এই সময় আপনি যদি বাইরে সময় দেন যেমন এখন যদি আপনি অফিসে থাকেন সে ক্ষেত্রে অফিস থেকে বাইরে চলে যেতে পারেন। এতে করে আপনার কিছুটা ভালো লাগতে পারে। 

আবার অনেক সময় কেউ যদি ঘরে থাকে সেক্ষেত্রে ঘর থেকে বাইরে গিয়ে হাটাহাটি করলে, কারো সাথে কথা বললে সে ক্ষেত্রে ভালো লাগতে পারে। খেয়াল করে দেখবেন আপনি যখন বাইরে থাকবেন তখন এই সমস্ত চিন্তাগুলো আপনার মাথায় থাকবে না। কিন্তু আবার যখন আপনার আগের জায়গাতে ফিরে যাবেন তখন হঠাৎ করেই আবার মাথা এবং শরীর দুটোই গরম হয়ে যাবে। 

অর্থাৎ এ বিষয়টি পরিষ্কার যে আপনি যখন বাইরে থাকেন এবং বাইরে সময় দেন তখন আপনি এই মানসিক টেনশন গুলো থেকে বের হয়ে আসেন। যার ফলে আপনার শরীর ও মাথা দুইটাই ভালো থাকে অর্থাৎ ঠান্ডা থাকে। আপনি যে জায়গাতে থাকেন তা আপনার জন্য নিরাপদ নয়। অর্থাৎ আপনার বাসযোগ্য নয়। 

সেক্ষেত্রে চাইলে আপনি আপনার জায়গা পরিবর্তন করতে পারেন। সে জায়গার মানুষগুলোর থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকতে পারেন। অনেক সময় অনেকেই আমাদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে মাথা ও শরীর গরম হয়ে যায়। আবার যখন একাকীত্ব বোধ করবেন তখন মুভি দেখতে পারেন অথবা শিক্ষনীয় কোন বই পড়তে পারেন। 

এ বিষয়গুলো আপনাকে চিন্তামুক্ত রাখবে। এগুলো ছাড়াও শারীরিক কিছু কারণে ও আপনার শরীর ও মাথা গরম থাকতে পারে। সুতরাং আপনার শারীরিক সমস্যাগুলো আগে দেখে বুঝে নিতে হবে। যদি কারো থাইরয়েড বা হরমোন জনিত সমস্যা থেকে থাকে বা অন্য আরও সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে।এই বিষয়ে অবগত হতে হবে।

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত

প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে মাত্রাতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। এ অবস্থায় শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও শরীরকে সুস্থ রাখতে আমরা আরামদায়ক কিছু খাবার খেতে পারি। 

কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের গরম কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। এ সময় অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কৃত্রিম স্বাদ এবং রং যুক্ত কোন পানীয় খাওয়া যাবে না।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। বোরহানি, জিরা পানি, পুদিনার চাটনি, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। পুদিনা পাতা সালাতের সঙ্গেও খাওয়া যায়। পুদিনা গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। যারা চা খেতে পছন্দ করেন তারা পুদিনা পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন।

শসা: শসাতে পানি ও ফাইবার বিদ্যমান। যা গরম কে হার মানাতে পারে। এটা খেলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়।

লাউ: গ্রীষ্মকালে লাউ খুব সহজেই পাওয়া যায়। লাউ ওজন কমাতে এবং হজমে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিয়মিত লাউয়ের তরকারি খেতে পারেন। লাউয়ের স্যুপ খেতে পারেন কিংবা দইয়ের সাথে লাউ মিশিয়েও খাওয়া যায়।

ঢেঁড়স: গ্রীষ্মকালীন সবজি হিসেবে ঢেঁড়স প্রায় সবারই পছন্দ। ভর্তা, ভাজি, তরকারি যেকোনোভাবে ঢেঁড়স খাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঢেঁড়স অত্যন্ত উপকারী।

দই: টক দই গরমকালের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইসিস বিদ্যমান। এটি শরীরের এনার্জি বাড়াতে পারে। তাই এই গরমে স্বস্তির ছোঁয়া পেতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।

তোকমা: তোকমা প্রাকৃতিকভাবে গরম দূর করে। দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে ধরে রাখে। দুধের সঙ্গে তোকমা দানা খাওয়া যায়। এছাড়া লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

তরমুজ: তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি বিদ্যমান। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। তরমুজ উচ্চ লাইকোপেন সমৃদ্ধ। যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে থাকে।

টমেটো: শরীরের গরম কমানোর উপায় এর মধ্যে টমেটো খাওয়া উল্লেখযোগ্য। টমেটো দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে। দুশ্চিন্তা কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আশা করছি আপনি শরীরের গরম কমানোর উপায় এবং শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন।

শরীরের গরম কমানোর উপায়

আপনি কি শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে জানেন? যদি না জানেন তাহলে আপনি কি জানতে চান শরীরের গরম কমানোর উপায় কি! তাহলে আজকের পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমরা শরীরের গরম কমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন জেনে নেয়া যাক শরীরের গরম কমানোর উপায়।
  • পাতলা এবং হালকা রঙের পোশাক পরুন।
  • বাইরে চলাচল করার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
  • শরীরের পানি শূন্যতা যেন না হয় সে জন্য অতিরিক্ত পানি এবং শরবত পান করুন।
  • স্যালাইনে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে সহায়তা করে। অনেক বেশি সময় গরমের মধ্যে থাকলে স্যালাইন পানি খান।
  • গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে জুস বানিয়ে খান।
  • মাংস খাওয়ার বদলে বেশি করে ফল ও সবজি খান।
  • প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। যদি গারো রং হয় তাহলে এটি পানি স্বল্পতার লক্ষণ।
  • সব সময় সঙ্গে ছাতা বা টুপি রাখুন।
  • ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • যতটা সম্ভব বাসায় থাকার চেষ্টা করুন।
  • যত ধরনের ঠান্ডা খাবার রয়েছে সেগুলো খান।
আশা করছি আপনি শরীরের গরম কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ঠান্ডা গরম লাগলে করণীয়

ঠান্ডা গরম লাগা যদিও জটিল কিছু নয়, কিন্তু এটি খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। সবার সামনে হাঁচি দেওয়া, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, চলাফেরাই ব্যাঘাত ইত্যাদি এগুলো খুবই অস্বস্তি কর। ঠান্ডা কত দিন থাকবে কিংবা আপনার উপরে কেমন প্রভাব ফেলবে সেটা নির্ভর করবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়। 

সাধারণ শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষরা এই ঠান্ডা গরমের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। ঠান্ডা যদি লাগে তাহলে দেখতে হবে এটি এলার্জি জাতীয় ঠান্ডা নাকি ভাইরাস জনিত। ভাইরাস জনিত ঠান্ডা হলে কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি এলার্জি জনিত ঠান্ডা হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু টোটকা apply করে দেখতে পারেন। যেমন-
  • নাক যদি বন্ধ থাকে তাহলে একটি গামলাতে গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোটা মেন্থল মিশিয়ে মাথা তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে সেই ভাপ নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে।
  • ঠান্ডা গরম যদি হয় তাহলে বারবার গলা শুকিয়ে যাই। সেজন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। যাতে পানি শূন্যতা দেখা না যায়। আদা দিয়ে লেবু চা পান করতে পারেন‌।‌‌ সরষে, রসুন, গোলমরিচ এগুলো দিয়ে খাবার খান।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডার সমস্যা এলার্জি বা ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে। এজন্য এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোন দরকার নেই ।অস্বস্তির দূর করার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধি যথেষ্ট।
  • ঠান্ডা পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এসি তে অতিরিক্ত ঠান্ডায় থাকা যাবে না।
  • শিশুরা যেন ঘেমে না যায় এবং ঘামলেও ঘাম যেন শরীরে না শুকায় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বারবার শরীর মুছে দিন।
  • গলা ব্যাথার সঙ্গে জ্বর ও ঢোক গিলতে সমস্যা হলে গরম পানিতে এন্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে দিনে দুই তিনবার গড়গড়া করুন।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন লেবু, কমলালেবু, আমলকি, আমড়া ইত্যাদি। কারণ ঠান্ডার সমস্যা সমাধান করতে ভিটামিন সি সাহায্য করে।

শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ

শরীর গরম থাকা আর জ্বর হওয়া এক জিনিস নয়। মানুষের শরীরের হালকা গরম থাকতেই পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮. ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যদি এর বেশি কিংবা সন্ধ্যার পরে ৯৯.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয় তাহলে জ্বর হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। প্রায় সন্ধ্যা বেলা যদি জ্বর আসে, রাতে শরীর ঘামে, কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যক্ষার আশঙ্কা করা হয়ে থাকে। 

জ্বরের সঙ্গে যদি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, তলপেটে ব্যথা থাকে তাহলে মূত্রথলির সংক্রমণ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। শরীরে নানা রকম সংক্রমণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হতে পারে। কালা জ্বর, ম্যালেরিয়া, গোদরোগ সহ নানান রোগের জীবাণু একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সংক্রমিত হতে পারে। আবহাওয়া ও তাপমাত্রার কারণে সংক্রমণ হতে পারে। 

বয়স্ক মহিলাদের হরমোনের তারতম্যের জন্য শরীর ও মাথা গরম হয়। এই সমস্যাটি সাধারণত দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। তবে যদি দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। জ্বরের সঠিক কারণ নির্ণয় না করে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। 

এতে করে পরে রোগ নির্ণয়ের অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। বগলে কিংবা কানের পিছনে থার্মোমিটার লাগিয়ে খুব সহজেই জ্বর মাপা যায়। নির্দিষ্ট সময় পর পর যদি জ্বর মেপে লিখে রাখা হয় তাহলে নির্ণয় করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন

আপনি কি জানেন মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন? মেয়েদের শরীর গরম থাকার কারণ যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। চলুন জেনে নেই মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের শরীর বেশি গরম থাকে। তবে কুমারী মেয়েদের শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম থাকে। 

কুমারী মেয়েদের শরীর বেশি গরম থাকার কারণ হলো তাদের যোনী স্রাব। সাদা স্রাব বা স্পর্শে উষ্ণতা হলো যৌন সংক্রমণের লক্ষণ। যার মাধ্যে এই সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণ বিদ্যমান। মেয়েদের শরীরের হরমোনের কারণে বেশি গরম থাকে। মেয়েদের শরীর গরম কেন হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • পরিবেশগত কারণে মেয়েদের শরীর সবসময় গরম থাকে। মেয়েরা প্রায় ঘরের মধ্যে থাকে। সাথে মেয়েরা সব সময় বেশি জামাকাপড় পড়ে ছেলেদের চেয়ে। সব সময় ঘরে থাকার কারণে মেয়েরা বাইরের আবহাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এ কারণে তাদের শরীর গরম থাকে।
  • আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের নরম প্রকৃতির মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মেয়েদের শরীরে রক্ত প্রবাহ সব সময় হয়ে থাকে। মেয়েদের শরীরের চামড়া অনেক পাতলা তাই তাদের শরীর প্রায় সময় গরম থাকে।
  • মেয়েদের শরীরে কিছু বিশেষ হরমোন রয়েছে। এই হরমোনের কারণে মেয়েরা হঠাৎ করেই রেগে যায়। আবার কোন সময় অভিমান করে ফেলে। প্রায় সময় রক্ত প্রবাহিত হওয়ার কারণে মেয়েদের শরীর গরম থাকে।
  • এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যারা প্রায় সময় অসুস্থ থাকে। মেয়েদের মাসিকের সময় বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়। এ সময় দেহে কিছু অভাব থাকার কারণে শরীর গরম থাকে।
  • শারীরিক পরিশ্রম বেশি করলেও শরীর অনেক সময় গরম থাকতে পারে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো অনেক দিন ধরেই এই বিষয়গুলো জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করছিলেন। যেমন মাথা ও শরীর কেন গরম হয়, শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ, শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত, মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন। সমস্ত বিষয়গুলো হয়তো আপনি কোথাও না কোথাও খুঁজেছেন কিন্তু সঠিক তথ্যগুলো একসঙ্গে পাননি। 

আজকের আয়োজনটি আপনাদের জন্য ছিল। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে। আর যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url