ভোরের বাতাসের উপকারিতা
আমরা যারা বর্তমান সময়ের মানুষরা, আমরা গভীর রাত পর্যন্ত জাগতে খুব ভালোবাসি।ভোরের বাতাসের উপকারিতা ও সকালে ঘুম থেকে উঠার হাদিস তেমন কিছু জানিনা। আজ আমরা এগুলো সম্পর্কে জানব। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো উচিত এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠা উচিত।
উঠার উপকারিতা এবং অন্যান্য দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভূমিকা
আমাদের চেয়ে যারা বয়সে বড় তারা আমাদেরকে সবসময় বলেন, যে খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ভালো। কারণ ভোরের বাতাসের উপকারিতা অনেক। কিন্তু আমরা কেউ ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতেই চায় না। আসলে আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার যে উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে অবহিত নই।আজকে আমরা সেই সকল বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন দুটোই প্রফুল্ল থাকে, ঘুম ভালো হয়,রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে, সারাদিনের পরিকল্পনা করা যায়। এছাড়াও আরো নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। চলুন সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সকালে ঘুম থেকে উঠার শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা
সকালে ঘুম থেকে উঠার শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা অফুরন্ত। যারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কেবলমাত্র তারাই জানে সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা। বিখ্যাত মনিষী ব্রিঞ্জার ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন-"ভোরের মুখে সোনার রং থাক, তারা নিশ্চয়ই জানেন এর উপকারিতা যারা রোজ সকালে ওঠেন"।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, যে সকল ব্যক্তি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেন তারা কাজে খুবই সক্রিয় থাকেন এবং অন্যদের তুলনায় কাজ শেষ করতে কম সময় নেন। যাদের ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নেই তারা এই সুফল গুলো জেনে নিতে পারেন-
মানসিক সুস্থতাঃ সকালে ঘুম থেকে ওঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। একটা ব্যক্তি যখন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠেন তখন কাজ করার জন্য তিনি অনেকটা বেশি সময় পান। মানসিক চাপ কম থাকে। মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণঃ সারাদিনের তুলনায় ভোরের বাতাস অনেকটাই বিশুদ্ধ থাকে। ভোরের বাতাসের উপকারিতা অনেক। এই বাতাসের নিঃশ্বাস নিলে শরীর সতেজ থাকবে।
আয়ু বৃদ্ধি পায়ঃ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পায়।যুক্ত রাজ্যে ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষের উপর জরিপ করে দেখা গেছে যারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠে তাদের তুলনায় যারা সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ কম।
ভালো ফলাফল করা যায়ঃ গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যে সকল শিক্ষার্থীরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো রেজাল্ট করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়ঃ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হলে অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে হয়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমালে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
অধিক কাজের সুযোগঃ যারা সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠেন তারা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করার জন্য সারা দিনে অনেকটা সময় পান।সুতরাং তারা অন্যদের তুলনায় বেশি কাজ করতে পারেন এবং কাজে কম সময় নেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, পরিকল্পনা অথবা লক্ষ্য অর্জনে পারদর্শী হন।
জীবন সুখের হয়ঃ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে জীবনে ইতিবাচক বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে,ভোরে যাদের ঘুম ভাঙ্গে তারা জীবনে বেশি সুখী এবং এই সুখ অল্প কিছু সময়ের জন্য নয় বরং সারাটা জীবন ধরেই বিরাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি তৈরি হয়।এর ফলস্বরূপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা মানব শরীরকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।
ভোরের বাতাসের উপকারিতা
ভোরের বাতাসের উপকারিতা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা সবাই জানি, early to bed and early to rise makes a man healthy wealthy and wise অর্থাৎ তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ওঠা একজন মানুষকে সুস্থ ধনী ও জ্ঞানী করে তোলে। একজন ব্যক্তি তখনি ভোরের বাতাসের উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবে যখন সে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠবে।
কথায় বলে-"সকালের হাওয়া, সাত কবিরাজের দাওয়া"। সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস হল সকালের বাতাস। সকালের বিশুদ্ধ বাতাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকে। ভোরের বাতাসে কোন ধূলিকণা,কারখানার ধোয়া কোন কিছুই থাকেনা।সেজন্য ভোরের বাতাসের উপকারিতা অনেকটাই বেশি। সে দিক দিয়ে বিবেচনা করলে সারা দিনের বাতাসে প্রচুর রোগ জীবাণু থাকে। একজন মানুষের সুস্থ জীবন পেতে হলে অবশ্যই ভোরের বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া উচিত।
সকালে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়
সকালে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় এই বিষয়ে আমাদের হইত কোন ধারনাই নাই। ভোরের বাতাসের উপকারিতা ও জানি না। দিনের বেলায় হাজারো রকমের কোলাহল থাকে অন্যদিকে রাত একদম নীরব থাকে। রাতের এই নীরবতার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত রেখেছেন। আর সেটি হলো ঘুম। যা একজন ব্যক্তির শরীরের খুবই প্রয়োজন। পৃথিবীর সবকিছু নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়, ঠিক তেমন ঘুমের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট সময় এবং নিয়ম।
দিনের বেলায় ঘুম শরীর ও মনের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ফজর ও আসর নামাজের পর ঘুমানো শরীরের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় ঘুমালে শরীরে নানা রকম রোগ বাসা বাধে, বিভিন্ন রোগের উপসর্গ সৃষ্টি হয়। অহেতুক সময় নষ্ট করে অনেকেই এখন রাতে দেরিতে ঘুমান। কোন কাজ না থাকলেও অযথা রাত জেগে থাকেন।
বিছানায় শুয়ে পড়ার পরও দেখা যায় মোবাইলে স্ক্রল করতে ৩-৪ ঘন্টা এমনিতেই কেটে যায়। যা শরীরের জন্য কোন ভাবেই উপকারী নয়। স্বাস্থ্য বিষয়ক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, রাত জাগার ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন-
- সমস্যার আশঙ্কা
- চেহারায় মলিনতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমা
- উচ্চ রক্তচাপ
- ব্রেনের শক্তি কমে যাওয়া
- সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলা
- হার্টের সমস্যা
রাতে দেরিতে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়
রাতে দেরিতে ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়? আমরা কি জানি? আমাদের এক একজনের ঘুমানোর অভ্যাস একেক রকম। কেউ সন্ধ্যা রাতে ঘুমায় তো কেউ মাঝ রাতে, আবার কেউ শেষ রাতে। ঘুমানোর এই অভ্যাস শরীরের অনেক কিছুর পরিবর্তন করে। দেরিতে ঘুমাতে গেলে শরীরের ভিতরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়, খাওয়া দাওয়া অভ্যাসও পরিবর্তন শুরু হয়। দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল সকাল উঠে পড়ার কারণে ঘুম সম্পূর্ণ হয় না।
ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় জানা গেছে, রাত এগারো টার পর ঘুমাতে গেলে হার্টের রোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি আরো অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেই দেরিতে ঘুমানোর ফলে শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে।
ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারেঃ ঘুম সম্পর্কিত অনেক গবেষণায় এটা জানা গেছে যে দেরি করে ঘুমানোর ফলে শরীর এবং মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক রকম চাপ পড়ে। যে কারণে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে। এছাড়াও কিডনির ক্ষতি হয় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মত সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
আয়ু কমে যাবেঃ অনেকেই আমরা ব্যস্ততার কারণেই রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাই। কিন্তু সকালবেলায় কাজে যাওয়ার তাড়নায় ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে হয় যার ফলে ঠিকমতো ঘুম হয় না। এই কারণে শরীরের ভিতরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। আর এই কারণেই মানসিক অবসাদ এ আক্রান্ত হতে থাকে। স্ট্রেস বাড়ার কারণে মানুষের আয়ু আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়ঃ ঠিকমত ঘুম না হলে ব্রেন ভালোমতো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায় না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের মধ্যে বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। এই কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
ওজন বৃদ্ধি পায়ঃ একটা মানুষ যদি দিনের পর দিন রাত জাগতে থাকে তাহলে তার হজম শক্তি কমে যায়। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। ফলে তার পেটে সমস্যা হতে থাকে এবং ওজনও পৃথিবীতে থাকে ওজন বাড়লে ধীরে ধীরে সুগার, প্রেসার এবং কোলেস্টেরল এর মত নানা রকম রোগ শরীরের বাসা বাঁধতে পারে।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমেঃ রাত হলো মস্তিষ্কের বিশ্রাম নেওয়ার সময়। এ সময় কাজ করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশন, স্লো কগনিটিভ ফাংশন, স্মৃতিশক্তি লোপ, হাই পোলারডিস অর্ডার এর মতো আরও সব সমস্যা মাথা ছাড়াতে ওঠে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার হাদিস
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা সারা দিনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে সারাদিনের সময় অনেকটা বাড়ে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যাবে, সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ ভোর রাতে কল্যাণ ও বরকত সবচেয়ে বেশি থাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোর বেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন।সকালে ঘুম থেকে উঠার হাদিস অনেকগুল রয়েছে।
সখর গামেদি (রাঃ) রাত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) এ দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুর অংশ বরকতময় করুন। (তিরমিজি, হাদিস ১১৯৫)
হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, এ কারণে রাসূল(রাঃ) কোন যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন, বর্ণনাকারী বলেন সখর (রাঃ) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম শুরু করতেন ভোরবেলা। এতে তার ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং বিপুল প্রাচুর্য লাভ করেন।(আবু দাউদ, হাদিস- ২৬০৬)
এছাড়াও অন্য হাদিসে এসেছে, ভোরে বান্দার রিজিক বন্টন হয়। যারা ওই সময়টাতে ঘুমিয়ে থাকে, তারা সার্বিক সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। রিজিকে বরকতের ছোঁয়া পায় না। এ বিষয়ে রাসুল (সাঃ) বলেন, সকালবেলা রিজিকের অন্বেষণ কর, কারণ সকাল বেলা বরকতপূর্ণ ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। (মাজমাউজ জাও্যায়েদ, হাদিস-৬২২০)
রাসুল (সাঃ)-এর কন্যা ফাতেমা (রাঃ) বলেন একবার রাসূল(সাঃ) ভোরবেলা আমার ঘরে এসে আমাকে ঘুমে দেখতে পেলেন, তখন তিনি আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বলে্ হে প্রিয় কন্যা, ওঠ, তোমার রবের পক্ষ থেকে রিযিক গ্রহণ করো। অলসদের দলভুক্ত হয় না। কেননা আল্লাহ তায়ালা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিযিক বন্টন করে থাকেন।(আত-তাগরিব ওয়াত তারহিব,হাদিস-২৬১৬)
সকালে ঘুম থেকে উঠার হাদিস গুলো পড়ে আমরা নিশ্চয়ই সকালে ঘুম থেকে ওঠার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি
লেখক এর মন্তব্য
আজকের আলোচনা থেকে আমরা এটা জানলাম যে সকাল সকাল উঠতে হলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া উচিত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে সকল কাজকর্ম সকাল সকাল শুরু করা যায়, মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।ভোরের বাতাসের উপকারিতা ও কম নয়। এছারাও আরো নানারকম উপকারিতা রয়েছে। অতএব আমাদের সকলেরই উচিত যাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা।
আমাদের এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনের কাছে লেখা টি শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url