তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি - কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয় জেনে নিন
আজকে আমরা জানবো তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি কোনটি। তরমুজ কোন মাটিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আজকের আয়োজন তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি নিয়ে। আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা বিস্তারিত করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এতে আছে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। তরমুজে আছে ৯০ থেকে ৯২ ভাগ পানি। যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
ভূমিকা
তরমুজ একটি গরমের সময় অত্যন্ত সুস্বাদু তৃপ্তিদায়ক ফল। তরমুজ তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে যেসব উন্নত জাতের তরমুজ পাওয়া যায় তা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে নিয়ে আসতে হয়। শংকর জাতের তরমুজের বীজ থেকে চাষ করা হয়ে থাকে উন্নত জাতের তরমুজ। যে জমিতে প্রচুর সূর্যের আলো পায় সে জমিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়ে থাকে।
তবে একাধিক আদ্র জমি তরমুজ চাষের জন্য ক্ষতিকর। তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি হল বেলে মাটি ও বেলে দোআঁশ মাটি। অতএব উন্নত মানের তরমুজের জন্য চারা নির্বাচন করতে হবে। আধুনিক জাতসমূহের মধ্যে বেবি তরমুজ,সুগার বেবী,ব্ল্যাক ডায়মন্ড , আনারকলি, চ্যাম্পিয়ন,ট্রপিকাল ড্রাগন্, এই জাতের তরমুজগুলো নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রোপন করতে হয়।
বারোমাসি তরমুজ চারা উন্নত জাতসমূহ যেমন- ভিক্টর সুপার F1, গ্রিন ড্রাগন, ব্ল্যাক জয়েন্ট F1, ওসেন সুগার F1, ব্লাড সান, ড্রাগন ট্রপিকাল ইত্যাদি এগুলো ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। তরমুজের বীজ দ্বারা সাধারণত বংশবিস্তার করে থাকে। বীজ রোপণের সময় সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়।
এছাড়াও আগাম কিছু তরমুজের জাত আছে যেগুলো নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রোপণ হয়ে থাকে। আগাম ফসল পাওয়ার ক্ষেত্রে জানুয়ারীর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ রোপণ করলে শীতের হাত থেকে চারা রক্ষা পাই। এছাড়াও বীজ রোপণের জন্য উষ্ণ তাপমাত্রা সহনশীল। আসুন জেনে নেওয়া যাক তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি সম্পর্কে।
কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়, তরমুজের জাতের নাম, তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়, বারোমাসি তরমুজ চাষ পদ্ধতি, হাইব্রিড তরমুজ চাষ পদ্ধতি, শীতকালের তরমুজ চাষ পদ্ধতি, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি, টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি, এ সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি
আজকে আমরা জানব তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি কোনটি। তরমুজ চাষের জন্য আমরা সব সময় একটি উষ্ণ তাপমাত্রা, প্রচুর সূর্যের আলো পাওয়া যায় এমন একটি জমি যা আমাদের তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়াও আমরা সবার আগে দেখে নেব তরমুজ চাষের জন্য মাটি টি উপযুক্ত কিনা।
তরমুজ চাষের জন্য আমরা সব সময় মাটির নির্বাচন করব বেলে মাটি ও বেলে দোআঁশ মাটি ও উর্বর দোআঁশ মাটি। এইসব জমিতে তরমুজ চাষ করলে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও আমাদের দেশে উৎপাদন মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এটি তরমুজ চাষের উপযোগী সময় এবং এইসব মাটিতে আগাম ফসল পেতে হলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বীজ রোপন করতে হবে। এরপর তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হবে।
মাটি তৈরি করার আগে আমাদের ভালোভাবে আগাছা গুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপরে জমিতে ৩ থেকে ৪ বার চাষ দিতে হবে। এছাড়াও ভালোভাবে মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপরে আমাদের বীজের মাদা তৈরি করতে হবে। তৈরির সময় ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যেন কোন আগাছা না থাকে। সাধারণত বীজ রোপন ১০ থেকে ১২ দিন আগে মাদা তৈরি করতে হয়।
প্রতি মাদায় ৪ থেকে ৫ টি বীজ রোপন করা যায়। মাদা তৈরি করার সময় ভালোভাবে জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে। অন্তত প্রতি মাদা ২ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতি মাদার ৬০ সেমি প্রস্থ ও ৪০ সেমি গভীর করতে হবে। এরপরে বীজের বয়স যখন ২৮ থেকে ৩২ দিন হবে বা ৩ থেকে ৪ টি পাতা গজাবে কখন আমরা চারাটি মাদাই রোপন করব।
আমরা প্রতি জমিতে হিসাব করে চারা সংগ্রহ করবো। যেমন এক হেক্টর জমিতে ৮৫০ থেকে ১০০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। আমরা সব সময় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নেব তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি কোনটি। যে মাটিতে তরমুজ চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়
আজকে আমরা জেনে নেব কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়। কোন মাটিতে তরমুজ চাষ করলে আমরা ভালো ফলন পেতে পারি। সাধারণত সব জমিতে তরমুজ চাষ করা যায়। আমাদের সব থেকে উত্তম নির্বাচিত তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি হল বেলে মাটি ও বেলে দোআঁশ মাটি ও পলি দোআঁশ মাটি।
তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী একটা মাটি এই মাটিতে তরমুজ চাষ করলে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়। চলুন আমরা জেনে নেই কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়। বেলে দোআঁশ মাটি সব থেকে তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী মনে করি। কারণ এই মাটি কোন পানি জমে থাকে না। পানি না থাকার কারণে আমরা অনেক ফলন পেয়ে থাকি।
অতএব আমাদের ভালো ফলন পেতে হলে ভালোভাবে জমি তৈরি করতে হবে। জমি তৈরির আগে আগাছা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপরে ৩ থেকে ৪ চাষ করতে হবে। এরপর ভালোভাবে মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুর করে নিতে হবে। এরপরে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে মাদা তৈরি করতে হবে। মাদা তৈরি করার সময় জৈব সার, ইউরিয়া সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মাদা তৈরি অবশ্যই ২ মিটার পর পর করতে হবে। প্রতি মাদায় ৪ থেকে ৫বীজ রোপন করতে হবে। চারা বয়স ২৮ থেকে ৩২ দিন হলে ৪ থেকে ৫ পাতা গজালে চারা গজানোর পর প্রতি মাদায় দুটি করে চারা রেখে বাদবাকি তুলে ফেলতে হবে। যেন চার দুটি অতি দ্রুত শক্তিশালী হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। এতে করে ফলন ভালো হয়।
চারা ভালো রাখার জন্য তরমুজের জমিতে পরিমিত হারে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রতি এক বিঘা জমিতে ৩ থেকে ৪ বার সেচ দিতে হয়। গাছে ফল আসার সময় প্রতি এক হেক্টর জমিতে ইউরিয়া সার ৬০ কেজি, জৈব সার ২৮০ কেজি, টিএসপি ৬০ কেজি, আর সব মিলিয়ে ৮০ কেজি সার দিতে হবে।
ভালোভাবে বুঝে আমাদের তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি নির্বাচন করতে হবে। অথবা তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি নির্বাচিত করে তরমুজ চাষ করতে হবে। যেমন পলি দোআঁশ মাটি বেলে দোআঁশ মাটি ও বেলে মাটি এইসব মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়।
তরমুজের জাতের নাম
আমাদের দেশে অনেক ধরনের তরমুজ পাওয়া যায়। সারা বছর আমরা বিভিন্ন যাতে তরমুজ পায়। যেমন বাংলালিংক, ব্লাককুইন, হানিডিউ, গোল্ডেন গ্লামার, কিংবা সাগর কিং তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালের ফল। যদি ও এখন বারোমাসি জাতের তরমুজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাধারণত বাজারে ডোরাকাটা তরমুজ বেশি দেখা যায়। ভেতরটা লাল বাইরে সবুজ।
এছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে উৎপাদন হচ্ছে হলুদ তরমুজের। ভেতরটা টকটকে লাল খেতে দারুন সুস্বাদু। কৃষি বিভাগ গবেষণা করে দেখেছে তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি হলে এই জাতের তরমুজ চাষ করলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৬০ টন ফলন পাওয়া সম্ভব। তরমুজ সব থেকে জনপ্রিয়তা আছে বাংলালিংক। এই জাতের তরমুজ এখন আমাদের দেশে বেশি চাষ হচ্ছে।
কারণ হল এই ফলটি আকারে অনেক বড় হয়। উৎপাদন হয় অনেক বেশি। হাইব্রিড যাতের তরমুজের মধ্যে হানিকুইন, ব্ল্যাককুইন, বাংলালিংক সহ কয়েকটি জাতের তরমুজের এখন বেশি চাষ হচ্ছে। এছাড়াও যে সব এলাকায় তরমুজের বেশি চাষ হয় যেমন বরিশাল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন দক্ষিণ এলাকায় আর কিছু চর এলাকায় বারোমাসি এই হাইব্রিড তরমুজ গুলো ব্যাপক চাষ হয়ে আসছে।
এছাড়াও আমাদের দেশে ডোরাকাটা ধরনের বাংলালিংক তরমুজটি বেশি চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে আজকাল সবুজের পাশাপাশি হলুদ আর কালো তরমুজের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সব কিছু কৃষকদের হাতে নাগালে থাকায় তরমুজ এর উৎপাদন ও ফলন বাড়ছে।
তরমুজের আধুনিক জাতগুলোর মধ্যে আছে সুগার বেবি, বেবি তরমুজ, ভিক্টর সুপার F1, ব্ল্যাক জায়েন্ট F1, গ্রিন ড্রাগন ইত্যাদি। এইসব জাতের তরমুজ জনপ্রিয়তা বেশি। এছাড়াও ফলন বেশি পাওয়া যায়।
তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়
তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালের ফল। আমাদের দেশে সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়। এছাড়াও অগ্রিম ফসল পেতে হলে আমাদের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মধ্যে বীজ রোপন করতে হবে। শীতের হাত থেকে কচি চারা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য পলি টানেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাদায় সাধারণত সরাসরি বীজ রোপন পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও চারা তৈরি করে মাদাতে চারা রোপন করাই উত্তম। চারা গজানোর পরে প্রতি মাদায় দুটি করে চারা রোপন সব থেকে ভালো। দুটির বেশি চারা মাদায় রোপন করলে গাছের ফলন ভালো পাওয়া যায় না। চারা রোপন করার সময় ভালোভাবে লক্ষ্য করা লাগবে যে প্রতি মাদায় ২ মিটার পরিমাণ টাকা রয়েছে কিনা।
প্রতি মাদা ৫০ সেমি প্রস্থ করতে হবে ও ৩০ সেমি গভীর হতে হবে। চারা বয়স যখন ২৮ থেকে ৩২ দিন হবে অথবা তিন থেকে চারটি পাতা গজাবে সেই সময় আমরা মাদায় চারা রোপণ করব। অথবা জানুয়ারি মাসে চারা রোপণ করলে আমরা এপ্রিল মাসের মধ্যেই তরমুজের অগ্রিম ফলন পেতে পারি। তরমুজের মৌসুম বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
এই সময়কার আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। এছাড়াও অগ্রিম তরমুজের ফলন পেতে হলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে জমিতে চারা লাগানো সম্পন্ন করতে হবে। তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় সঠিক সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস যা তরমুজ চাষের অত্যন্ত উপযোগী।
বারোমাসি তরমুজ চাষ পদ্ধতি
তরমুজ একটি জনপ্রিয় ফল। তরমুজের ভিতরে খুব রসালো ও সুস্বাদু হয়ে থাকে যা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী। আমাদের দেশে তরমুজ চাষ করে চাষিরা খুব লাভবান হচ্ছে। আসুন আমার বারোমাসি তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। তরমুজের অনেক জাত সমূহ রয়েছে। এর মধ্যে যেমন সুগার বেবি, হানিকুইন, ব্ল্যাককুইন, ড্রাগন, বেবি তরমুজ, জায়েন্ট ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো আছে বারোমাসি তরমুজ জাত সমূহ যেমন ওসেন সুগার F1, ব্ল্যাক জায়েন্ট F1, বঙ্গ লিংক F1, গ্রিন ড্রাগন, ভিক্টর সুপার F1, চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি। এইসব তরমুজের বারোমাসি জাতগুলো নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চারা রোপন করতে হয়। এগুলো ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের উপযোগী সময়।
এছাড়াও অগ্রিম কিছু জাত আছে যেগুলো নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চারা রোপণ করলে অগ্রিম ফলন পাওয়া যায়। তরমুজ চাষ করার আগে সঠিক জমি নির্বাচন করতে হবে। জমিটি তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি কিনা সেটা যাচাই করে নিতে হবে। পলি দোআঁশ মাটি ও বেলে মাটি অথবা বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি।
এছাড়াও জমি তৈরি করার সময় ভালোভাবে আগাছা গুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে দুই থেকে তিনবার চাষ দিতে হবে। এরপরে ভালোভাবে মই দিয়ে মাটিগুলো সম্পূর্ণ ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপরে মাদা তৈরি করতে হবে। প্রতি মাদা ২ মিটার দূরত্ব হতে হবে। মাদার তৈরি করার পরে ভালোভাবে জৈব সার বা ইউরিয়া সার মিশিয়ে নিতে হবে।
প্রতি মাদা ৫০ সেমি প্রস্তুত ও ৩০ সেমি গভীর হতে হবে। প্রতি মাদায় দুইটি করে চারা রোপণ করা টা উত্তম। চারার বয়স যখন ৩০ থেকে ৩২ দিন হবে অথবা চার থেকে পাঁচটি পাতা গজাবে এটি চারা রোপন করার জন্য উপযোগী। প্রথম দিকে পাতাতে পোকা ডিমও বাচ্চা ধরে নষ্ট করে ফেলতে পারে।
পোকার সংখ্যা বেশি হলে রিপকোড ম্যাথলিয়ন ৫৭, ইসি সুমিথিয়ন ১ মিলি /লিটার করে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার স্প্রে করতে হবে। পোকা গাছের কচি ডগা ও পাতা রস চুষে খেয়ে ক্ষতি করতে পারে।
মন্তব্য
এতক্ষণ ধরে আমরা আর্টিকেলের মধ্যে তরমুজ চাষের উপযুক্ত মাটি, কোন মাটিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম। আপনারা নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি পড়ে সবকিছু বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনি আপনার মূল্যবান তথ্যটি আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পেরেছেন।
আমার লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এ সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। অন্য অন্য সকল বিষয়ের তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। এখানে আমরা নতুন নতুন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url