বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় - বেগুন গাছে কি সার দিতে হবে বিস্তারিত

আজকে আমরা জানবো বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় এবং বেগুন চাষ পদ্ধতি। আমরা অনেকেই জানি না বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় কখন। এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আজকে আলোচনা করব। আপনি যদি বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে অবহিত না থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য। চলেন শুরু করা যাক।
বেগুন চাষ
আমরা সবাই জানি শীতকাল বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়। সাধারণত বাংলাদেশে শীতকালীন বেগুন বা বারোমাসি বেগুন চাষ করা হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

ভূমিকা

চলুন জেনে নেওয়া যাক বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়। বেগুন সব মাটিতে জন্মে। তবে পলিমাটি ও এটেল ও দো-আঁশ মাটি হলে বেশি উপকারী। শীতকালে বেগুনের বেশি ফলন হয়। বেগুন সবজি হিসাবে খাওয়া হয় এর পুষ্টি গুণগতমান বলার অপেক্ষা রাখে না। বেগুন সারা বছর চাষ করা যায়। এই সবজি বাসায় খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনা সম্ভব।

দৈনন্দিক চাহিদা মিটানো সম্ভব। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বেগুন গাছে কিভাবে পরিচর্যা করতে হয়, বেগুন গাছে কি সার দিতে হয়, বেগুন চাষে কি সার প্রয়োগ করতে হয়, চারা লাগানোর নিয়ম, বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি, হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি, বর্ষাকালে বেগুন চাষ পদ্ধতি, শীতকালীন বেগুন চাষ পদ্ধতি। সবগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়

শীতকালে বেগুন চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। অর্থাৎ শীতকাল বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়। বেগুনের চারা রোপনের উপযুক্ত মাস ভাদ্র- আশ্বিন এবং মাঘ- ফাল্গুন মাস। এই সময়ই বেগুনের চারা রোপন করতে হয়। শীতকালীন বেগুন সব মাটিতেই উৎপাদন করা সম্ভব। তার মধ্যে এটেল দো-আঁশ ও পলিমাটি বেশি উপকারী। এজন্য বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল কারণ শীতকালে বেগুনের ফলন বেশি হয়।

বেগুন গাছে কি সার দিতে হবে

বেগুন গাছে কিছু বাড়তি পরিচর্যা করতে হয়। যেমন-তরল জৈবসার, বায়োজাইম দিলে শিকড় অধিক বৃদ্ধি পায় এবং ফলের আকার ও ওজন বাড়ে। ফুল ধরার সময় এক বার বা দুই বার স্প্রে করতে হবে। ১৫ দিন বা ৩৫ দিন পরে আবার স্প্রে করতে হবে। ইউরিয়া সার অতিরিক্ত দেওয়া যাবে না। চারা রোপনের দুই সপ্তাহ বা ২০ দিন জমিতে জরিপ করতে হবে।

আগাছা নাশক স্প্রে করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পাতা বা ফুলের ডগায় পোকা দেখলে ধ্বংস করার বালাইনাশক দিতে হয়। যেমন-সুপ থাই্‌ব, বুস্ট পেক, বায়োলিনফা, জোবস ইত্যাদি।

বেগুন চাষে সার প্রয়োগ পদ্ধতি

এক হেক্টর জমিতে বেগুন চাষে সার প্রয়োগ পদ্ধতি-
  • গোবর, কমপোস্ট-৫০০০ থেকে ৮০০০ কেজি
  • ইউরিয়া ২৫০ কেজি
  • টিএসপি ২০০ কেজি
  • জিপসাম হলো ১৫০ কেজি
  • এমওপি ১৫০ কেজি
  • বোরিক এসিড ১০ কেজি দিতে হবে
পরিমাপ মতো সার প্রয়োগ জমি শক্তিশালী এবং উর্বর করে তুলে। এতে করে আমাদের বেগুন গাছের শিকড় বৃদ্ধি পায়। ফলের আকার ও ওজন বাড়তে সাহায্য করে।

বেগুন চারা লাগানোর পদ্ধতি

বেগুন চারা লাগানোর পদ্ধতি যদি ঠিক না হয় তাহলে বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়ে চাষ করার ফলেও ভালো ফলন পাওয়া যাবে না। অতএব বেগুন চারা লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেই বেগুন চারা লাগানোর সঠিক পদ্ধতি কি। বেগুনের জমিতে গভীরভাবে চাষ, মই দিয়ে সমান করে আগাছা মুক্ত করতে হবে।

চারা রোপনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে জীবাণুনাশক তেত্রিশ ইসি প্রতি বিঘাতে ৩০০ মিলি স্প্রে করতে হবে। বেগুন চারা লাগানোর পদ্ধতি যেমন জমি তৈরি শেষে কার্বোটাফ ৫ কেজি এক থেকে দুই কেজি বিঘাতে দিতে হবে। এবং প্রতি হেক্টর জমিতে জৈব সার ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কেজি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার অতিরিক্ত দেওয়া যাবে না। এটাই হলো বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় এবং এভাবে বেগুন চাষ করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা যায়।

বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি

সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সবজি আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই চাষাবাদ করা যায়। শতাধিক জাতের বেগুন পাওয়া যায়। এবং বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় এবং চাষের আগে জমি ভালো করে আগাছা মুক্ত করতে হবে। চাষ দেওয়ার পরে মাটি ঝুরঝুরে করে সমান করতে হবে।

বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়ে বেগুন চাষের জন্য বেলে মাটি বা দোআঁশ মাটি হলে বেগুন চাষাবাদের জন্য উত্তম জমি। ভালো বেগুন পেতে হলে ভালো চাষ করা প্রয়োজন। বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি জন্য বীজ তলায় বেলে মাটি সব থেকে উত্তম। বীজতলায় পানি নিষ্কাশন, ছায়ার মুক্ত থাকতে হবে। এমন স্থান বেছে নিলে আমরা বেগুন চাষ আধুনিক পদ্ধতিতে করতে পারব।

হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি

সাধারণত আমাদের দেশে দুই ভাগে বেগুন চাষ বিভক্ত করা হয়। যেমন হল শীতকালীন বেগুন আর বারোমাসি বেগুন। হাইব্রিড বেগুন সাধারণ পরিষদ কালে চাষ করা হয়ে থাকে। হাইব্রিড দেখুন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে এবারের বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের দেশে সাধারণত দুই ধরনের মাটিতে বেগুন চাষ করা হয়। হালকা বেলে মাটি বা এটেল দো-আঁশ মাটি।

তবে সব ধরনের মাটিতেই বেগুন চাষ করা সম্ভব। কিন্তু এই মাটি হল বেগুন চাষের জন্য উপযোগী মাটি। এই মাটিতে বেগুন চাষ করলে ফলন বেশি হয়। আমরা হাইব্রিড বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে আমরা জমি তৈরির জন্য দুই থেকে তিনবার চাষ করব। তারপরে আমরা ভালোভাবে মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুর করে নিব।

তারপরে আমরা উপযুক্ত চারাটি নির্বাচিত করব এবং চারার বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৪০ দিন। এ সময় চারাতে তিন থেকে চারটি পাতা গজায় এবং প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। চারার রোপন একটু দেরি হলে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বীজতলা থেকে তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে শিকড় যেন নষ্ট না হয়ে যায়। এইজন্য বীজ তোলার এক থেকে দুই ঘন্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিব। তাহলে চারা গুলো আর নষ্ট হবে না।

চারা জমিতে লাগানোর পর যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য বিকালের দিকে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। বেগুন মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য উপাদান শোষণ করে। সার মাটির প্রচুর পরিমাণ উর্বরতা বাড়ায়। চারা লাগালো ১৫ থেকে ২০ দিন পর জমিতে রস না থাকলে সার প্রয়োগের পর পরে সেচ দিতে হবে। এবং এভাবেই হাইব্রিড বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় নির্বাচিত করুন।

পার্পল কিং বেগুন চাষ পদ্ধতি

সাধারণত আমরা বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়ের জন্য একটা সময় নির্বাচন করি। যেমন শীতকাল হলো সঠিক সময় এবং শীতকালে বেগুনের ফলন বেশি পাওয়া যাই। আমাদের বেগুন চাষ পদ্ধতি নির্বাচন করতে হলে মাঠের জমি তৈরি করার জন্য তিন থেকে চার বার চাষ করতে হবে। এবং ভালোভাবে মই দিয়ে মাটির ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।

তারপরে চারার বয়স ২৫ থেকে ৩৫ দিন হলে জমিতে চারা রোপণ করতে হবে। চারাতে দুই থেকে তিনটি পাতায় গজালে এবং চারা প্রায় ১০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হয়ে যায়। জমিতে বেগুন চাষের জন্য ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। এক গ্রাম বেগুনের বীজে ২৫০ থেকে ৩০০ টি বীজ থাকে।

বীজ বোনার পর মাটি হালকা করে চেপে দিতে হয়। বস্তা বা পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে বীজ তলা ঢেকে দিতে হবে। সকাল সন্ধ্যা হালকা করে পানি দিতে হবে। প্রয়োজনে চারা গজানোর আগ পর্যন্ত ২-৩ দিন হালকা করে পানি দিতে হবে। বেগুন চারাটি প্রাপ্তবয়স্ক হলে বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

বর্ষাকালে বেগুন চাষ পদ্ধতি

সাধারণত আমরা বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকি। কারণ বর্ষাকালে বেগুন চাষ পদ্ধতি নিয়ে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। যেমন হলো বর্ষাকালে বেগুন চাষ করলে বেগুনের গাছ এর গোড়া নষ্ট হয়ে যায়, ভালোভাবে বেগুন গাছ বেড়ে উঠে না, বেগুন গাছের পাতায় পচন ধরে ইত্যাদি। আমরা বর্ষাকালে বেগুন চাষের জন্য প্রথমে একটি উপযুক্ত জমি নির্বাচিত করব।

জমির ধরন হবে উঁচু জায়গাতে এবং মাটি হিসেবে আমরা বেলে মাটি নির্বাচিত করব যা আমাদের বর্ষাকালে বেগুন চাষে জন্য উপযুক্ত মাটি। আমরা বর্ষাকালে বেগুন চাষে জন্য আর একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি যেমন হল দুই পাশ দিয়ে মাটি উঁচু করে মাঝখান দিয়ে নালা করে গভীর ভাবে নিচু করে আমরা বর্ষাকালে বেগুন চাষ করতে পারি।

আমরা বেগুন গাছের গোড়ায় প্লাস্টিক পলি ব্যবহার করতে পারি। এতে কোন বেগুন গাছের ক্ষতি হয় না এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করাতে বেগুন গাছের গোড়ায় কোন পানি থাকে না। এতে বেগুন গাছের কোন ক্ষতি করতে পারে না। এজন্য বেগুন গাছের গোড়ায় প্লাস্টিক দিয়ে আমরা বেগুন চাষ করতে পারি। অতএব বেগুন চাষ করার আগে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।

দুই থেকে তিন বার জমিতে চাষ করতে হবে। ভালো করে মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে এবং আগাছা গুলো পরিষ্কার করতে হবে। এই পদ্ধতিতে বর্ষাকালে বেগুন চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

শীতকালীন বেগুন চাষ পদ্ধতি

আমাদের দেশে সাধারণত শীতকাল বেগুন চাষের উপযুক্ত সময়। কারন শীতকালে বেগুনের ফলন বেশি পাওয়া যায়। আমাদের দেশে অনেক ধরনের বেগুন চাষ হয়ে থাকে। যেমন হল- তারা পুরি, ইসলামপুরি, নয়ন তারা, সিংগনাথ ,পোটলা , কাজলা , ঝুঁপি ও হাইব্রিড, ইত্যাদি। এইসব বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল।
শীতকালীন বেগুন চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এবং আমরা জানবো আমাদের করণীয় কি কি থাকে। প্রথমে আমরা সব সময় ভালো জমি নির্বাচিত করব এবং জমির ধরন হতে হবে হালকা বেলে মাটি বা পলি দো-আঁশ মাটি। আমাদের বেগুন চাষের জন্য উপযুক্ত জমি। এখন আমরা জানবো জমির তৈরি কিভাবে করতে হয়।

প্রথমত আমরা আগাছা পরিষ্কার করে নেব এবং তার পরের জমিতে তিন থেকে চারবার ভালো করে জমি চাষ করতে হবে। ভালোভাবে মই দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটি গুলো যেন ঝুরঝুরে হয়ে যায়। আমরা বাড়িতে যে জৈব সারটি তৈরি করে থাকি সেটি জমিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব। যা আমাদের জমিতে উর্বর শক্তিতে বাড়তি সহায়তা করে।

আমাদের জমিতে জৈব সার একটি বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে যা আমাদের বেশি ফলন পেতে সাহায্য করে। তারপর আমাদের বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় হিসেবে জমি নির্বাচন করে চারা রোপন করতে হবে। আমাদের চার রোপণ আগে ভালো করে চারা দেখে নিতে হবে চারা লাগানোর উপযুক্ত হয়েছে কিনা।

কিভাবে বুঝব চারা লাগানোর উপযুক্ত হয়েছে কিনা। চারা যখন ৩০ থেকে ৩৫ দিন হয় বা ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয় বা দুই থেকে তিনটি পাতা দেখা দিলে এই সময় চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্বাচিত হয়। চারা নষ্ট না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকেছ। অতএব আমাদের দেশে এভাবেই বেগুন চাষে উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা শীতকালীন বেগুন চাষের উপযুক্ত পদ্ধতি।

শেষ কথা

এতক্ষণ ধরে আমরা আর্টিকেলের মধ্যে বেগুন চাষের উপযুক্ত সময় বা বেগুন গাছে সার দেওয়া নিয়ে আলোচনা করলাম। বেগুন চাষ কিভাবে করলে ভালো হবে,কোন জমিতে বেগুন লাগালে ভালো ফলন হবে, শীতকালে বেগুন চাষ করর নিয়ম, হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষের নিয়ম, প্রতিকার সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আপনার মূল্যবান তথ্যটি আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।

আমার লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এ সম্পর্কে যদি আপনি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। অন্যান্য সকল বিষয়ে তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ফলো করুন আমরা প্রতি দিন নিত্য নতুন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url