যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় - বড়দের সাথে কথা বলার নিয়ম

যারা যারা যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পারেন না আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমরা অনেকেই কথা বলার সময় যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পারি না। আজকে আজকে আমরা যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় সম্পর্কে জানব। যুক্তি দিয়ে কথা বলার জন্য যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় জানা অত্যন্ত জরুরী। আপনাদের সুবিধার্থে যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলো আলোচনা করা হলো।
ছবি
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকেন তাহলে যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

ভূমিকা

আমরা আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক জ্ঞানী মানুষকে দেখেছি যারা জ্ঞানী হওয়া সত্বেও নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। আবার এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা ছাত্রছাত্রীদের পড়া বোঝাতে ভালোমতো সক্ষম নয়। তার জন্য এটা কখনোই নয় যে তারা জ্ঞানী নয়। নিঃসন্দেহে তারা জ্ঞানী কিন্তু তাদের কথা বলার ধরনটা ঠিক নাই। 

সুন্দর করে কথা বলার পেছনে অন্যতম অবদান রাখে যুক্তি দিয়ে কথা বলা। যে কোনো কথা যদি যুক্তি দিয়ে বলা হয় তাহলে অন্যজনের বুঝতে সুবিধা হয়। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায়, বড়দের সাথে কথা বলার নিয়ম, শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা, মিটিংয়ে কথা বলার কৌশল, এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।

যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায়

আমরা যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি তখন আমাদের অবশ্যই তা যুক্তি দিয়ে বলা উচিত। এজন্য আমাদের যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলো জেনে রাখতে হবে। যুক্তি দিয়ে কথা বলার কিছু কৌশল রয়েছে। যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই মানুষের সাথে সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নিয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় এবং যুক্তি দিয়ে কথা বলার কৌশল সম্পর্কে।

ভালো শ্রোতা হতে হবে: যুক্তি দিয়ে কথা বলার প্রথম শর্ত হল আপনাকে প্রথমে ভালো একজন শ্রোতা হতে হবে। কেননা আপনি যদি অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে না শুনেন তাহলে আপনি সেই বিষয়ে সঠিকভাবে কথা বলতে পারবেন না এবং যুক্তিও উপস্থাপন করতে পারবেন না। সেজন্যই আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। যাতে করে আপনি অন্যের কথা ভালোভাবে শুনেন এবং সঠিক উত্তর এবং যুক্তি সহকারে কথা বলতে পারেন।

হাসিমুখে কথা বলতে হবে: কথা দিয়ে মানুষের মন জয় করার পূর্ব শর্ত হলো অন্যের সাথে অবশ্যই আপনাকে হাসিমুখে কথা বলতে হবে। তাহলে অন্যজন আপনার সাথে কথা বলতে সহজ হবে এবং আপনি আপনার যুক্তি খুব সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন: আপনি যে বিষয়ে কথা বলছেন তার উপরে অন্যের সামনে আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করুন। কথার সাথে প্রয়োজনীয় তর্ক, কিছুটা হাস্যরস এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে অন্যের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। প্রশ্ন কম করে নিজের কথাকে ব্যাখ্যা করে শ্রোতার মনকে খুব সহজেই জয় করা সম্ভব।

বিষয়টি বুঝতে শিখুন: আপনি যে বিষয়ে কথা বলছেন তা আগে নিজে বুঝুন। আপনি যদি বিষয়টি বুঝতে পারেন তবেই আপনি খুব সহজেই যুক্তি দিয়ে কথাটি উপস্থাপন করতে পারেন। আর যদি বিষয়টি আপনি না বুঝে থাকেন তাহলে যুক্তিসহকারে কথা বলা একেবারেই অসম্ভব।

বই পড়ার অভ্যাস করুন: সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা এবং যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় জানতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বই পড়তে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যেকোন ভালো মানের বই পড়তে পারেন। যা আপনাকে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে সাহায্য করবে।
মূল বিষয়টির উপরে লক্ষ্য রাখুন: অনেক সময় আমরা কথা বলতে বলতে মূল বিষয় থেকে একেবারেই বেরিয়ে যাই। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। কথা বলার সময় সবসময় মূল বিষয়টার উপরে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতএব যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। অর্থাৎ মূল বিষয়টি যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনি যুক্তিসহকারে অন্যকে বোঝাতে সক্ষম হবেন।

বড়দের সাথে কথা বলার নিয়ম

প্রত্যেকটা মানুষই তার মনের ভাব প্রকাশ করে কথা বলার মাধ্যমে। বড়দের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে আমাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। বড়দের সাথে কথা বলার নিয়নম সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা খুবই জরুরী। কেননা বড়দেরকে সবসময় সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত। চলুন জেনে নেই বড়দের সাথে কথা বলার কিছু নিয়ম।

কথা শুরুতে এবং শেষে সালাম দেয়া: বড়দের সাথে কথা শুরু করার সময় অবশ্যই সালাম দিয়ে কথা শুরু করতে হবে। সালাম দেয়ার মাধ্যমে বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সালাম দেওয়া নবীজির সুন্নত। কথা শেষেও সালাম দেওয়া সুন্নত। বড়দের সাথে কথা শেষ করে চলে যাওয়ার সময় অবশ্যই সালাম দিয়ে শেষ করতে হবে।

স্পষ্ট কথা বলতে হবে: পরিষ্কার উচ্চারণ করে স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে হবে। বাক্যের প্রতিটি কথা যেন অপর পাশের ব্যাক্তি টি বুঝতে পারে। প্রয়োজনে একটি কথা আবার শুদ্ধভাবে বলতে হবে।

কথার মাঝে কথা না বলা: বড়রা যখন কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তখন ছোটদের সে কথার মাঝখানে কথা না বলাটাই উত্তম। আবার একসঙ্গে দুজনে কথা বললে কেউ কারো কথা বোঝেনা। তাই উচিত একজনের কথা শেষ হলে আরেকজনের কথা বলা। এক্ষেত্রে অবশ্যই বড়দের আগে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। তাদের কথা বলা শেষ হলে তারপরে কথা বলুন।

কর্কষ কন্ঠে কথা না বলা: উচ্চস্বরে বা কর্কষ কন্ঠে কথা বলা এক ধরনের অভদ্রতা। বড়দের সামনে কখনো এটি দেখানো উচিত নয়। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হবে। অতএব বড়দের সাথে কথা বলার সময়ই উচ্চস্বরে কথা বলা পরিহার করুন।

বড়দের সামনে সাবধানতা অবলম্বন করা: ছোটরা যখন বড়দের সামনে কথা বলবে তখন অবশ্যই বড়দের সম্মানের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। আপনার কোন কথায় যেন কেউ কষ্ট না পায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। বড়দের মতের বিপরীতে কথা বলার প্রয়োজন হলে আদব এবং সম্মান বজায় রেখে নিজের দ্বিমত প্রকাশ করুন।

তৃতীয় জন কে এড়িয়ে কথা না বলা: মনে করুন আপনি এবং আপনার বন্ধু একসাথে রয়েছেন। এরই মধ্যে একজন গুরুজনের সঙ্গে আপনাদের দেখা হয়ে গেল। তার সামনে আপনারা দুজন যদি তাকে এড়িয়ে কথা বলেন এটা এক ধরনের অভদ্রতা। এবং সেই ব্যক্তিকে অসম্মান দেখানো হয়। এ বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।

মনে রাখতে হবে কথা হলো এক ধরনের তীর। ধনুক থেকে যেমন তীর একবার বের হয়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ঠিক তেমনি কথাও ফিরিয়ে আনা যায় না। সুতরাং বড়দের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা

আমরা অনেকেই শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই কিন্তু ও হয়ে ওঠেনা। কারণ শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা একটি আর্ট। যা সবাই খুব সহজে রপ্ত করতে পারে না। চলুন জেনে নেই কিভাবে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলা যায়। শুদ্ধ এবং সুন্দরভাবে কথা বলা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
অফিস, বন্ধু-বান্ধব, পারিবারিক কথোপকথন, চাকরির ইন্টারভিউ সব জায়গাতেই সুন্দরভাবে কথা বলাটা খুবই প্রয়োজন। সুন্দরভাবে কথা বলতে হলে অবশ্যই আপনাকে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে হবে। শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য আপনি কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কি।

আঞ্চলিক ভাষা বাদ দিন: আমরা সাধারণত আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে থাকি। যে যে অঞ্চলে বাস করি সেই অঞ্চলের কথা বলি। আমাদের যতটা সম্ভব আঞ্চলিক ভাষার টান বাদ দিতে হবে। বইয়ের ভাষা শত ভাগ শুদ্ধ থাকে। তাই বইয়ের ভাষা রপ্ত করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারবেন।

কোর্স করতে পারেন: আপনি চাইলে শুদ্ধবাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য একটি বাংলা ভাষার কোর্স করে নিতে পারেন। কারণ বিভিন্ন ধরনের কোর্সে শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলা খুব সহজেই শেখানো হয়।

নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন: নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস রাখুন যে অন্যরা যদি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে তাহলে আমি কেন পারব না। বন্ধু দের সাথে কথা বলার সময় আমরা প্রায় ভুলভাল কথা বলে থাকি। এগুলো আমাদেরকে শুধরে নিয়ে কথা বলতে হবে। আমরা প্রতিদিনের কথা বলার মধ্যে বেশ কিছু ভুল শব্দ উচ্চারণ করে ফেলি। কিন্তু এই কমন বিষয়গুলো পাল্টে ফেলতে পারলেই আমরা শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারি।

নিজেই নিজের সাথে শুদ্ধভাবে কথা বলুন: আমরা অনেক সময়ে নিজের সাথে কথা বলে থাকি। কাউকে কোন কথা বলার সময় কিংবা কোন কিছু করার আগে আমরা তা নিয়ে চিন্তা করি। এই যে আমরা নিজের সাথে নিজে কথা বলি এই সময় আমরা যে অশুদ্ধ শব্দগুলো ব্যবহার করি তা বাদ দিতে হবে। কারণ, আপনি যখন মন থেকে কিছু বলবেন তখন যদি তা শুদ্ধভাবে বলেন তবে আপনি প্রকাশের সময় শুদ্ধ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন।
নিজের মনের সাথে কথা বলে যখন ভরসা পাবেন যে আমি এখন শুদ্ধভাবে কথা প্রকাশ করতে পারবো। তখন বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সদস্যদের সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে থাকুন। প্রথমে হতো শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে দেখলে অনেকে হাসাহাসি করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি বলতে বলতে অস্বস্তিবোধ টা কেটে যাবে।

অধ্যাবসায়ী হন: আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ অধ্যাবসায়ী হতে হবে। কিছুদিন চেষ্টা করলেন তারপর আবার ছেড়ে দিলেন এমন করলে আপনি কখনোই শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারবেন না। আর আজকাল একটু কিভাবে গুছিয়ে কথা বলাটা এক ধরনের ম্যাচিউরিটির মধ্যে পড়ে। মনে রাখতে হবে কোন কাজেই একদিনে সফল হওয়া যায় না।

মিটিং এ কথা বলার কৌশল

আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের চাকরি করে থাকি তারা বিভিন্ন রকম মিটিং এ অংশগ্রহণ করে থাকি। আমাদের নানারকম মানুষের সাথে কথা বলতে হয়।স আমরা যদি মিটিংয়ে কথা বলার কৌশল সম্পর্কে না জানি এবং যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় না জানি তাহলে অন্য মানুষদের নিজের মনোভাব বুঝাতে পারবো না। তাই যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় এবং মিটিংয়ে কথা বলার কৌশল সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা উচিত।

পরিপাটি হয়ে মিটিংয়ে যোগদান: আমরা সকলেই পরিপাটি মানুষদের কে একটু বেশিই পছন্দ করে থাকি। আপনি যদি সুন্দরভাবে পরিপাটি হয়ে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন তবে সবাই আপনার সাথে কথা বলতে উৎসাহ প্রকাশ করবে। তাই মিটিংয়ে কথা বলার কৌশলের মধ্যে পরিপাটি হয়ে অফিস যাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্পষ্ট এবং গুছিয়ে কথা বলা: মিটিং এ কোন কথা বলার সময় অবশ্যই তা স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে। যেন মুখের মধ্যে তা জড়িয়ে না যায় এবং একটার পরে আরেকটা কথা খুবই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলতে হবে। কেননা আপনি যদি স্পষ্ট এবং গুছিয়ে কথা না বলতে পারেন তাহলে বাইরের মানুষের সামনে আপনি এবং আপনার অফিসের সম্মানহানি হতে পারে। তাই অবশ্যই মিটিং এ কথা বলার সময় স্পষ্ট এবং গুছিয়ে কথা বলতে হবে।

মনোযোগ সহকারে অন্যের কথা শোনা: মিটিং এ কোন কথা বলার জন্য অবশ্যই আগে আপনাকে অন্যের কথা খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। আপনি যদি অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে না শুনেন তাহলে আপনি সেই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন না এবং সেটার উত্তরও দিতে পারবেন না। তাই অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনতে হবে।

যৌক্তিক প্রশ্ন করতে হবে: আপনি যদি মনোযোগ সহকারে কোন কথা শুনেন তাহলে আপনার মনের মধ্যে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। সেই প্রশ্নগুলো অবশ্যই আপনাকে যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন লজ্জাবোধ করা যাবে না। সরাসরি সকলের সামনেই যৌক্তিক প্রশ্ন উপস্থাপন করুন।

মতামত প্রকাশ করুন: মিটিং এর সবার কথা শোনার পরে এবং সবার মতামত জানার পরে আপনার নিজেরও একটি মতামত রয়েছে তা সবার সামনে প্রকাশ করুন। আপনি যদি মিটিংয়ে মতামত প্রকাশ করেন এবং তা অন্য সকলের মতামতের সাথে মিলে যায়। তাহলে সবার কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে।

ফোনে কথা বলার নিয়ম

মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা যেন আমাদের এখন এক মুহূর্ত কল্পনা করতে পারি না। কর্মজীবী মানুষ, শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাই এখন ফোন চালানোতে অভ্যস্ত। তবে যারা নতুন ফোন ব্যবহার করেন তারা অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে অভ্যস্ত থাকে না। কৌতুহল বসত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী। 
ফোনে কথা বলার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। আমরা অনেকেই হয়তো সেগুলোও জানি কিন্তু অসচেতনতার কারণে কখনো কখনো ভুল হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের ফোন আলাপ অনেকের কাছে বিরক্তি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকে আমরা জেনে নেব ফোনে কথা বলার সাধারণ কিছু নিয়ম এবং ফোনে যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায় গুলো।

নিজের পরিচয় দিন: অপরিচিত কারো সাথে ফোনে প্রথম আলাপ হলে প্রথমেই নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করুন। কেন ফোন করেছেন এবং কার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন বিষয়টি অপর পক্ষের মানুষের কাছে পরিষ্কার করে নিন।
লাউড স্পিকারে কখনোই কথা বলবেন না: লাউড স্পিকার দিয়ে কখনোই কথা বলবেন না। আপনাকে এটা মনে রাখতে হবে যে অপরপক্ষে যিনি কথা বলছেন তিনি শুধুমাত্র আপনাকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলছেন। তাই প্রয়োজনীয় কথা অন্যদের শোনানো থেকে বিরত থাকুন।

উচ্চস্বরে কথা না বলা: ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। এটি খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। আপনি কথা যত জোরে বলুন কিংবা আসতে বলুন বিপরীত পাশের মানুষের তাতে কোন তারতম্য ঘটবে না। বরং আপনি যদি উচ্চস্বরে কথা বলেন তাহলে আপনার পাশের মানুষটির চরম বিরক্ত লাগতে পারে।

খারাপ ব্যবহার করবেন না: অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এলেই অযথা খারাপ ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। যদি বুঝতে পারেন ভুল নাম্বার থেকে ফোন এসেছে তাহলে যে ফোন করেছে তাকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে ফোনটি রেখে দিন।
অফিসে বা মিটিংয়ে ফোন সাইলেন্ট রাখুন: অফিসের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা কোন মিটিং চলাকালীন আপনার ফোনটি অবশ্যই সাইলেন্ট করে রেখেছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন।

মেসেজ করুন: কারো ফোন যদি আপনি রিসিভ করতে না পারেন তাহলে ফ্রি হয়ে তাকে একটা মেসেজ করে রাখুন। যাতে যে ফোন করেছিল সে বুঝতে পারে যে আপনি কেন ফোন রিসিভ করতে পারেননি।

অনুমতি ছাড়া কারো ফোন রিসিভ করবেন না: অনুমতি ছাড়া কারো ফোন রিসিভ করা উচিত নয়। অনেকেই দেখা যায় পরিচিত লোকজনের মেসেজ পড়তে থাকে। এই কাজটি খুবই খারাপ একটি কাজ। এটি কখনোই করবেন না।

অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলা: ফোনে প্রয়োজনে চেয়ে বেশি অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথা বলা উচিত নয়। এতে অপর পাশের ব্যক্তিটি বিরক্তি হতে পারে। কাজেই আপনার প্রয়োজনীয় কথা শেষ হয়ে গেলে ফোন রেখে দিন।

সবার সামনে কথা না বলা: ব্যক্তিগত কথাগুলো সবার সামনে ফোনে না বলাই উত্তম। সবাই বিষয়টি ভালোভাবে নাই বা নিতে পারে। তাই আপনার ব্যক্তিগত ফোন আসলে আপনি আড়ালে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলুন।

রিংটোন সেট আপ: ফোনের রিংটোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যা আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে সহায়তা করে। কাজেই এদিকেও নজর রাখা জরুরী।

কথা শেষ করা: কথা শেষ হয়ে গেলে শুভকামনা জানিয়ে কথা শেষ করুন। হঠাৎ করে কথার মাঝে লাইন কেটে দিবেন না। এটা খুবই খারাপ একটি অভ্যাস।

লেখকের শেষ কথা

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল যুক্তি দিয়ে কথা বলার উপায়। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি যুক্তি দিয়ে কথা বলতে না পারেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে হয়তো একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন। আর এটাই আমাদের সার্থকতা। আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আরো বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

যেমন- বড়দের সাথে কথা বলার নিয়ম, বাংলা ভাষায় কথা বলা, মিটিং এ কথা বলার কৌশল, ফোনে কথা বলার নিয়ম। আশা করছি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। আমাদের লেখাটি সম্পর্কে আপনার প্রতি কোন মতামত জনম থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 

আপনি আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কারণ, আমরা এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করে থাকি। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url