কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হলো কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন। কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার আলাদা আলাদা ঔষধি গুণাবলী বিদ্যমান। আমরা আজকে জানবো কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা একসাথে ব্যবহার করলে কি কি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব।
কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতা ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আদিকাল থেকেই পরিচিত। এছাড়াও কাঁচা হলুদে ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক বিদ্যমান। নিমপাতা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিশোধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ভূমিকা
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। শরীরের যত্নে ও ত্বকের সৌন্দর্য চর্চার জন্য নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত আছে যে-"যে বাড়িতে নিম গাছ থাকে সেই বাড়িতে একজন ডাক্তার বাস করে"।মানুষের শরীর, ত্বক ও চুল সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন, নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এবং নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সুতরাং কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানতে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন শুরু করা যাক।
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুণাগুণ বলে শেষ করার নয়। ত্বকের যত্নে বহু কাল ধরে মানবসমাজের জনপ্রিয়। এই নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ শরীরে ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। সাধারণত ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়।
অন্যদিকে নিম পাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিরোধ এবং প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। নিম পাতা এলার্জি, ঘামাচি এ ধরনের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি একটি শক্তিশালী জীবাণুনাশোক। চলুন জেনে নেই কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করেঃ কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করে। এজন্য এক চা চামচ নিমপাতা বাটা, এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চা চামচ মুলতানি মাটি এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হয়।
সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস না দেওয়াই ভালো। এটি ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন করে এক মাস এটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করেঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে কোন প্রকার প্রসাধনী ব্যবহার করার পরিবর্তে নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এগুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এজন্য চার-পাঁচটি নিমপাতা, কয়েক টুকরা কাঁচা হলুদ এবং এক গ্লাস পানি নিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে।
সিদ্ধ করা পানিতে কাঁচা হলুদ বাটা মেশাতে হবে। এরপর ছেকে আলাদা করে ফ্রিজে রাখতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে তুলার সাহায্যে ঠান্ডা পানি গুলো চোখের নিচে লাগান। দেখবেন এক সপ্তাহেই উপকার পাচ্ছেন।
ব্রণের সমস্যা দূর করেঃ একমুঠো নিম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তিন-চার টুকরা কাঁচা হলুদ একসাথে করে বেটে নিতে হবে। তারপর এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি অন্ততপক্ষে টানা দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন। দেখবেন ব্রণ একেবারে ভ্যানিশ হয়ে গেছে।
ত্বক সতেজ রাখেঃ প্রথমে নিম পাতা সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করা পানি আলাদা করে রাখতে হবে। এরপর নিন পাতা, কাঁচা হলুদ এবং মধু একসাথে নিয়ে ব্লেন্ড করে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখে, হাতে, পায়ে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
শুকিয়ে গেলে প্রথমে নিম পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ভেজা থাকতে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এভাবে নিম পাতা ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের সতেজোতা ফিরে পাবেন।
ত্বকের তেল দূর করেঃ ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য নিম পাতা এবং হলুদ বেটে তা তৈলাক্ত ত্বকের উপরে লাগাতে হবে। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে যদি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব চিরতরে বিদায় নিবে।
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও নিমপাতার তেতো স্বাদের কারণে এবং উটকো গন্ধের জন্য আমরা অনেকেই তা সহ্য করতে পারি না। শীতের সময় শরীরে, মুখে কোন প্রকার পেগ লাগাতে ইচ্ছা করে না। তাই বলে কি সেই সময়টা শরীরের কোন যত্ন করতে হবে না। এর একটি সমস্যা সমাধান হল নিম পাতার বড়ি।
নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ দিয়ে খুব সহজেই বড়ি বানানো যায়। যা কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এবং এটি খেতে সুস্বাদু। এই বড়ি বানানোর জন্য এক আটি নিম পাতা, কাঁচা হলুদ ২৫০ গ্রাম এবং প্রয়োজন মত পানি লাগবে। প্রথমে নিম পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে তে হবে। কাঁচা হলুদ খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতা আলাদা আলাদা ভাবে পাটায় খুব মিহি হবে বাটতে হবে। এবার কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার পেস্ট ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট করে নিয়ে হাতে তালুর সাহায্যে বড়ি বানাতে হবে। কিন্তু খুব ছোট করে বানানো যাবেনা।
কারণ রোদে শুকালে সেগুলো আরো ছোট হয়ে যায়। বড়ি গুলো ভালোভাবে শুকালে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই বড়ি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই নিম পাতার বড়ি খাওয়ার উপকারিতা।
- মুখের ব্রণ এবং ব্রনের দাগ দূর করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ অত্যন্ত কার্যকরী।
- নিম পাতার বড়ি শরীরের ওজন ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
- ত্বকের রং উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে।
- ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
- বার্ধক্য জনিত নানারকম সমস্যা প্রতিরোধ করে। কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।
- পরিপাক যন্ত্রকে সচল রাখে। সঠিক বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।
- শরীরের এলার্জি, চুলকানি ইত্যাদি দূর করে।
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার বড়ি খেলে এই শীতের মধ্যেও আপনি পেতে পারেন সুস্থ ও সুন্দর ত্বক। তাই দেরি না করে খুব সহজেই বানিয়ে নিন কাঁচা হলুদ ও নিমপাতার বড়ি এবং প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। পার্থক্যটা আপনি এক মাসের মধ্যেই বুঝতে পারবেন।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এলার্জি থাকলে যে শুধু চুলকানি হয় তা কিন্তু নয়। হাঁচি-কাশি কিংবা হাঁপানি এগুলো এলার্জির মধ্যে পড়ে। এলার্জি যে কত বড় ভয়ংকর একটি সমস্যা তা শুধুমাত্র যাদের আছে তারাই জানেন। এলার্জির কারণে আমরা আমাদের পছন্দের নানা রকম খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেই।
যেমন- গরুর দুধ, হাঁসের ডিম, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, পুঁটি, বেগুন, কচু, হাঁসের মাংস ইত্যাদি। চর্মরোগ, নাক দিয়ে পানি পড়া এলার্জির কারণে হয়ে থাকে। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু ওষুধ ছাড়াও এলার্জি দূর করা সম্ভব। নিমপাতা ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জি কে চিরবিদায় জানানো যায়। চলুন জেনে নেই এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
নিমপাতা ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে রাখতে হবে। এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া এবং এক চা চামচ ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর চামচ দিয়ে নেড়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে, এবং রাতে শোয়ার আগে খান। এভাবে যদি একমাস নিম পাতার পানি খান তাহলে এলার্জি অনেকটাই কমে আসবে।
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় তা আমরা অনেকেই জানি। ত্বক ভালো রাখতে নিম পাতার ব্যবহারও সেই আদিকাল থেকে। নিম পাতা শুধু আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে নানা ধরনের জীবাণু দূর করে না, সেই সঙ্গে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। চলুন জেনে নেই নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়।
- নিম পাতা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।
- নিম পাতা ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
- ত্বকের দাগ দূর করতে নিম পাতা ভূমিকা রাখে।
- নিম পাতা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে পারে।
- নিম পাতা মুখে দিলে ব্রণ এবং ব্রনের দাগ চলে যায়।
- ব্ল্যাকহেডস দূর করে।
- ত্বক তেল মুক্ত করে।
- লোমকূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা দূর করে।
- রুক্ষ ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে শরীরের অর্ধেক রোগ সেরে যায়। নিম পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। নিম পাতার স্বাদ যদিও তেতো কিন্তু এর ঔষধি গুণাবলীর কোন শেষ নেই। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন জেনে নেই খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় বা উপকারিতা গুলো কি।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তেই আছে। আমরা অনেকেই ঘরোয়া ভাবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। ঘরোয়া প্রতিকার গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস খাওয়া। এটি খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্ত পরিষ্কার রাখেঃ নিম পাতা রক্ত থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে রক্তকে ডিটক্সিফাই করে। অর্থাৎ নিমের ঔষধি গুন শরীরের রক্ত সম্পূর্ণ রূপে পরিষ্কার করতে সক্ষম। আপনার যদি রক্ত পরিষ্কার থাকে তাহলে আপনার কোন রোগ হবে না।
পেটের জন্য উপকারীঃ নিম পাতা যে শুধু ত্বকের জন্যই উপকারীতা কিন্তু নয়। এটি পেটের জন্য ভীষণ উপকারী। নিম পাতাতে উপস্থিত গুনাগুন সমূহ এসিডিটি এবং পেটের ব্যথা নিরাময় করতে পারে। এজন্য নিম পাতা পানি সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিম পাতায় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিম পাতা সর্দি, কাশি নিরাময় করতে ব্যবহৃত হয়।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। কিন্তু পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতাও রয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
উপকারিতা
ত্বকের জন্য নিম পাতা দারুন উপকারি। নিমপাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের ব্রণ দূর হয়। শুষ্কতা দূর হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়। যেমন- ব্ল্যাকহেডস, বড় ছিদ্র, দাগ ইত্যাদি।
- নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। যা চুলের খুশকি দূর করতে পারে। এটি চুল পড়া রোধ করে।
- শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখে।
- নিম পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
- নিম পাতা দাঁতের ব্যথা সারাতেও ভূমিকা রাখে।
- এতে বিদ্যমান অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণ রোধ করে এবং হজমে সাহায্য করে।
- নিম পাতা বেটে লাগালে ত্বকের বা দেহের যে যে কোনো রকম চুলকানি দূর হয়।
- পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূল ছাল বা পাতা লাগালে ব্যথা কমে।
- এলার্জির সমস্যা সমাধান করে।
- নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ এবং জ্বালাপোড়া দূর হয়।
অপকারিতা
- খালি পেটে নিম পাতা এক মাসের বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে পারেন।
- নিম পাতার রস খেলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে। এরকম সমস্যা যদি প্রত্যেকবার হয় তাহলে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিন।
- গর্ভবতী মহিলাদের নিমপাতা এড়িয়ে চলা দরকার। কারণ এটি গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- যাদের নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার রয়েছে তাদের অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ নিম পাতা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- যে কোন ধরনের অপারেশনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
- অনেক সময় নিম পাতা বন্ধাত্বের কারণ হতে পারে। যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণ নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়।
লেখক এর শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি যে কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার যদি আমরা খাই আমাদের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই নিম পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত নিমপাতা সেবন করা কারোর জন্যই উপকারী নয়। আশা করছি আমাদের আজকের লেখাটি থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। যদি আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। নিয়মিত নতুন নতুন বিষয়ে আর্টিকেল পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে। পারেন কারণ আমরা এখানে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করে থাকি। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url