কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো - গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ চেনার উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো তা নিয়ে। আপনারা অবশ্যই জানতে চান কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো। গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ চেনার উপায় এবং কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গ্যাস সিলিন্ডার
আমরা কমবেশি অনেকেই এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে থাকি। সেজন্য আমাদের জানা আবশ্যক যে কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

বাংলাদেশের বাসা বাড়িগুলোতে এখন সিলিন্ডারের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রায় ৬০ লাখেরও বেশি গ্রাহক এল পি জি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে। সাথে সাথে বিস্ফোরণের ঘটনাও শোনা যায় অনেক। গ্যাস সংকটের কারণে বাসা বাড়িতে এখন এল পি জি গ্যাস বেশি ব্যবহার করে। 

কিন্তু চাহিদা বাড়লেও মানুষ দুর্ঘটনা দেখে দেখে এখন এল পি জি ব্যবহারে অনেকটাই সচেতন। বাজারে কোন কোম্পানির গ্যাস ভালো, সঠিক মাপ, ওজনের হালকা সকল বিষয়ে গ্রাহক এখন সচেতন। 

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো, গ্যাস সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে, গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ চেনার উপায়, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ কেন হয়, কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম, এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সঙ্গেই থাকুন।

গ্যাস সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে

আমরা সকলেই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না গ্যাস সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে। আসলে সিলিন্ডারে যে গ্যাস থাকে তার নাম বিউটেন। সিলিন্ডারে করে বাজারে যে গ্যাস বিক্রি হয় তার প্রধান উপাদান হলো বিউটেন। সাধারণ তাপমাত্রায় এবং চাপে গ্যাসীয় অবস্থাতে থাকতে পারে। 

যা উচ্চচাপ মুক্ত জারে সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং স্থানান্তর করতে সুবিধা হয়। আবার এল পি জি তে বিউটেন এবং প্রোপেনের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে লঘু মিথেন এবং ইথেন। এগুলো দূরবর্তী স্থানে পরিবহন করা সহজ হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি হতে উৎপন্ন হয় মিথেন। দহনের ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মিথেন কয়লার তুলনায় ৫০% কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে। প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা শক্তি উৎপাদনের জন্য খনিজ তেল এবং কয়লা যথাক্রমে ৮১% ও ৭০% কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে। এল পি জি অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি গুলো চেয়ে কম দূষণ ঘটায় এবং এটি দহনের পরে কোন অবশেষে থাকে না।

গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ চেনার উপায়

একটি নতুন এল পি জি সিলিন্ডারের মেয়াদ ১০ বছর থাকে। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে উৎপাদনের তারিখ লেখা হয়। তারপর থেকে ১০ বছর সেই সিলিন্ডার টি নিরাপদ। দশ বছর পরে সিলিন্ডার পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। পরীক্ষায় যেগুলো সিলিন্ডার নিরাপদ বলে মনে হয় সেগুলো আবার 10 বছরের জন্য বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

অতএব সিলিন্ডারের মেয়াদ আছে কিনা তা সিলিন্ডারের গায়ে দেখা যাবে। বাসায় নিয়ে আসার আগেই মেয়াদ দেখে নিয়ে আসা ভালো। তরলিকিত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বিধিমালা ২০০৪ অনুযায়ী সিলিন্ডার অবশ্যই নির্ধারিত সময় পর পর পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। সিএনজি সিলিন্ডার পাঁচ বছর পর পর পরীক্ষা করার নিয়ম। 

এছাড়াও সিলিন্ডারের গায়ে A B C এরকম শব্দ লেখা থাকে। যদি এই সিলেন্ডারের গায়ে A লেখা থাকে তাহলে সেটির মেয়াদ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত। যদি B লেখা থাকে তবে মেয়াদ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। একইভাবে যদি সিলিন্ডারে C লেখা থাকে তাহলে তার মেয়াদ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং D লেখা থাকলে তার মেয়াদ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ চেনার খুব সহজ উপায়।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কেন হয়

আমাদের দেশে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো তা জেনে গ্যাস সিলিন্ডার কেনা উচিত। ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2021 সালে বাংলাদেশে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৮৯৪। 

অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দুইটিরও বেশি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ দুর্ঘটনা গুলো মূলত গ্যাসের লিকেজ থেকেই ঘটে থাকে। সিলিন্ডারের হোস পাইপ, গ্যাস ভাল্বের রেগুলেটর, এগুলোর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশের ত্রুটির কারণে গ্যাস লিক হয়ে যায়। সেই লিক থেকে গ্যাস বাইরে বের হয়ে কোথাও জমা হতে থাকে। 

জমাকৃত গ্যাস সামান্য পরিমাণ আগুন কিংবা স্কুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসলেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশের কারণে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ত্রুটি ভাল্ব ও রেগুলেটরে থাকে। কিছু যন্ত্রাংশ মানহীন অবস্থায় রয়েছে যেগুলো লিক হয়ে যায়। 

সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ রোধ করতে সিলিন্ডার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়ানো উচিত। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। সেখানে পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ নেই। তারপরেও সেখানে কোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে না। কারণ সেখানে সিলিন্ডার এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 

আমাদের দেশে সিলিন্ডার গুলোতে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়। এগুলো পরীক্ষার দায়িত্ব বিস্ফোরক অধিদপ্তরের। কিন্তু এগুলোর মান পরীক্ষা যথাযথভাবে করা হয় না। সেজন্যই এই সুযোগে বাজারে নানা রকম মানহীন গ্যাস সিলিন্ডার ও এতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ এড়াতে এই বিষয়গুলোর প্রতি কড়া নজর দেওয়া উচিত।

কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো। হ্যাঁ, আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো। কারণ নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলেন নানা রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাজারে সরকারি, বেসরকারি সব মিলিয়ে সর্বমোট ৩০ টি কোম্পানির অন্ততপক্ষে 2 কোটি সিলিন্ডার রয়েছে। 

অধিদপ্তর কর্মকর্তারা জানান বাজারের রান্নার জন্য যেসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হয় সেগুলো যথেষ্ট নিরাপদ। কিন্তু তারপরেও সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা রকম দুর্ঘটনার শিকার আমরা হই। বিশেষ করে এল পি জি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার কথা আমরা প্রায়ই শুনি। এল পি জি সিলিন্ডার বেশি বিস্ফোরণ হয়। 

এদিক দিয়ে দেখলে বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার, ওমেরা সিলিন্ডার কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বেক্সিমকো কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার এগুলো মানের দিক থেকে অনেকটাই ভালো। জানা গেছে এলপিজি বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত প্রায় 40 জন লোক মারা গেছে এবং ৮০ জন আহত হয়েছে। এখন বাজারে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডারে চাহিদা বেশি রয়েছে। 

কিন্তু দিনে দিনে বেক্সিমকো গ্যাস সিলিন্ডারে চাহিদা বাড়ছে। বেক্সিমকো সিলিন্ডারে বাইরে থেকে গ্যাস দেখা যায় এবং বিস্ফোরণ নিরোধক হওয়াই এই কোম্পানির গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে যে স্মার্ট এই সিলিন্ডার টি কোন ধরনের দুর্ঘটনায় বিস্ফোরণ হবে না। এর ওজন অন্যান্য সিলিন্ডারের তুলনায় অর্ধেক। এর সব থেকে বড় সুবিধা হল এটি বিস্ফোরণ নিরোধক। 

আশা করছি কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো এ বিষয়ে আপনি একটি ধারণা পেয়েছেন। গ্যাস সিলিন্ডার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই বুঝে শুনে একটি ভালো কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার কিনুন।

গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম

গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। শুধু কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো দেখে একটি ভালো সিলিন্ডার নিয়ে আসলেই হবে না। এটি ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। আমরা এবারে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম আলোচনা করব।
  • কেনার সময় কোম্পানির সিল, পাইপের রাবার এর রিং, রেগুলেটর ঠিক আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা রেগুলেটর কিনে নিতে হবে।
  • সিলিন্ডারে সংযোগ দেওয়ার জন্য একজন দক্ষ লোক দ্বারা সংযোগ দিয়ে নিতে হবে। কোনভাবেই নিজে সংযোগ দেওয়া যাবে না।
  • এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়ার সময় টানা হেঁচড়া, ধাক্কা দেওয়া, মাটিতে গড়ানো এসব করা যাবে না। সিলিন্ডার টি খাড়া ভাবে রাখতে হবে।
  • সিলিন্ডার মাটিতে সমান জায়গাতে রাখতে হবে। সিলিন্ডার থেকে চুলা কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। চুলা থেকে সিলিন্ডার লম্বা পাইপের সাহায্যে 3 ফুট দূরে রাখতে হবে।
  • সিলিন্ডার রান্নাঘরে চুলার নিচে কিংবা ক্যাবিনেটের ভিতরে অথবা বন্ধ অবস্থায় রাখা যাবে না। খোলামেলা জায়গায় এবং সমান জায়গায় রাখতে হবে। যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস রয়েছে।
  • বিদ্যুৎ, দাহ্য পদার্থ, বিস্ফোরক পদার্থ এবং অন্য কোন গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আলাদা রাখতে হবে।
  • সিলিন্ডারের আশেপাশে আগুন জালানো কিংবা ধূমপান করা যাবে না।
  • সিলিন্ডারের উপরে ভারী কিছু রাখা যাবে না।
  • রান্না শুরু করার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে রান্নাঘরের দরজা জানালা খুলে দিতে হবে। রান্না শেষে সিলিন্ডারের রেগুলেটর, সুইচ বন্ধ করে রাখতে হবে।
  • ঘরের ভেতরে যদি গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায় তাহলে ম্যাচের কাঠি জ্বালানো, ইলেকট্রিক সুইচ দেওয়া, সিলিন্ডারের রেগুলেটর কিংবা মোবাইল ফোন অন বা অফ করা যাবে না।
  • সিলিন্ডারের লিকেজ খুঁজতে মোমবাতি বা ম্যাচের কাঠি ব্যবহার করা যাবে না। সাবানের ফেনা দিয়ে লিকেজ পরীক্ষা করুন।
  • বছরে অন্তত একবার গ্যাস সিলিন্ডার এবং এতে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে নিতে হবে। কোন সমস্যা হলে সেগুলো পাল্টে ফেলতে হবে। মেরামত বা ঝালাই করা যাবে না।
  • অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য চাপ দেওয়া, গরম করা যাবে না। এতে করে গ্যাস বিস্ফোরণ হতে পারে।
  • দুই চাকার যানবাহন অর্থাৎ সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলে এটি পরিবহন না করাই ভালো।
  • যেকোনো ধরনের জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য রান্নাঘরে নিরাপত্তা মূলক কিছু জিনিসপত্র যেমন গ্যাস ডিটেক্টর এবং মোটা কাপড় রাখতে হবে।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ভালো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেই সাথে গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ দেখার উপায়ও বলে দিয়েছি। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সবগুলো বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

আপনি যদি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে চান তাহলে অবশ্যই একটি ভাল কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার কিনুন। যাতে বিস্ফোরণের ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে। আমাদের লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। যদি আপনার কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url