হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি - মাথা ব্যথা কিসের লক্ষণ
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি জানতে চান হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। হঠাৎ করে মাথাব্যথার কারণ এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা কিসের লক্ষণ তা নিয়ে ও আলোচনা থাকছে।
মাথা থাকলেই মাথা ব্যাথা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি? এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ভাবতে থাকেন। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ নিয়ে আলোচনা করব।
ভূমিকা
মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ব্যথার তীব্রতা, ব্যথার ধরন, ব্যথার স্থান বিবেচনা করে ব্যথা আলাদা আলাদা হয়। কিন্তু রোগীরা অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে পারেনা। যেমন কবে থেকে শুরু হয়েছে, কিভাবে শুরু হয়েছে, তখন কি ঘটেছিল, এরকম আরো অনেক কিছু।
যাই হোক আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা হঠাৎ করে মাথা ব্যাথার কারণ কি, মাথা ব্যথা কিসের লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় মাথাব্যথা কেন হয়, প্রচুর মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি, হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি। এসব গুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি কিছুদিন পরপর হঠাৎ করে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে শেষ করলে আপনি আপনার হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
মাথা ব্যথা কিসের লক্ষণ
মাথা ব্যথার কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। এটি এমন এক ব্যথা যা মাথায় এবং মাথার চারপাশে হয়। মাথাব্যথা প্রায়ই সকল মানুষেরই হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা কোন রোগ নয়। তবে কিছু কিছু মাথা ব্যথা রয়েছে যেগুলো কিছু লোকের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা মাথাব্যথা কে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করেছেন।
একটি হচ্ছে প্রাইমারি হেডেক এবং অন্যটি সেকেন্ডারি হেডেক। মাথাব্যথার প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাইমারি হেডেক মধ্যে পড়ে এবং এগুলো সিরিয়াস কোন রোগের লক্ষণ নয়। অন্যদিকে সেকেন্ডারি হেডেক মাথা, ঘাড় বা শরীরের অন্য কোন অংশে সিরিয়াস কিছু রোগ নির্দেশ করে থাকে। মোটকথা সেকেন্ডারি হেডেক ১০% হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১% টিউমারের কারণ হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে রোগের মধ্যে কোন খারাপ লক্ষণ আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। ঠিক তেমনি মাথাব্যথার কিছু ধারনা রোগীদের থাকা দরকার। মাথা ব্যথা কিছু খারাপ লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। নিচের সেগুলো তুলে ধরা হলো-
- মাথাব্যথা যদি ৫০ বছর বয়সে বা তার বেশি বয়সে গিয়ে প্রথম হয়।
- মাথাব্যথা শুরু হওয়ার পর থেকে দিনে দিনে এটার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে। ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। এছাড়াও টিভি মেনিনজাইটিস, সার কইডোসিস, লিম্ফোমা, কর্কট রোগ এবং মেটাসটিসিসের মতো দেখা দিতে পারে।
- হার্টের সমস্যা, হাই প্রেসার, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, রক্তে সমস্যা আছে এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে হঠাৎ মাথা ব্যথা হলে স্ট্রোক হতে পারে।
- তীব্র মাথাব্যথার সাথে জ্বর, স্ট্রোক করা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
- সাথে সাথে আচরণ চলাফেরা এবং কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দেয় এবং সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
- জীবনের প্রথম মাথাব্যথা যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে। একে ঠান্ডার ক্লাব হেডেক বলে।
- মাথায় আঘাতের পর মাথা ব্যথা হলে।
- গর্ভাবস্থায় বা গর্ভাবস্থার পরে মাথা ব্যথা হতে পারে।
যদি এই সকল লক্ষণগুলো আপনি দেখতে পান এবং বুঝতে পারেন যে আপনি স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা দিনে দিনে হারিয়ে ফেলেছেন। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও বারেবারে হচ্ছে বা কোন খারাপ লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় মাথা ব্যথা কেন হয়
গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েদেরই মাথাব্যথা হয়। কিন্তু গর্ব অবস্থায় হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি? মাথাব্যথা গর্ভের বাচ্চার জন্য খুব একটা ক্ষতিকর না। তারপরেও গর্ভবতী মায়ের জন্য তাকে অস্বস্তি দিতে পারে। এই মাথা ব্যথা সারতে কিছুটা সময় লাগে। গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহের দিকে মাথাব্যথা নিয়ে গর্ভবতী মা বেশ ভুগতে পারে। তবে এই সমস্যাটি সময়ের সাথে সাথে অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে কারো কারো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- অনেক সময় না খেয়ে থাকলে। কারণ অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় এবং মাথা ব্যথা হয়।
- শরীরে পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে।
- মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে।
- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এবং শরীরে ক্লান্তি অনুভব করলে।
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিলে।
- অস্বাভাবিক দেহভঙ্গিতে শুয়ে থাকলে কিংবা বসে অথবা দাঁড়িয়ে থাকলে।
- অনেক সময় যাবত মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের উপরেপ্রেসার পড়ে এবং মাথাব্যথা শুরু হয়।
- ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এবং পানিও বেশি খাওয়ার কারণেও হতে পারে।
এছাড়াও মারাত্মক কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। যেমন রক্তক্ষরণ বা ব্রেনের পর্দার ইনফেকশন ইত্যাদি। এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য আপনি মাথায় ঠান্ডা সেদ দিতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, একটানা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে, ক্যাফিন যুক্ত খাবার এবং পানিওগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
মাথা ব্যথা বাড়িয়ে তোলে এমন জিনিস এড়িয়ে চলুন। যেমন তীব্র শব্দ, অনেক উজ্জ্বল সাদা আলো, নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং তীব্র গন্ধ। এছাড়াও একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম জিনিসের কারণে মাথাব্যথা হয়। সেজন্য আপনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন জিনিসের মাথাব্যথা হয় সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। এরপরেও যদি মাথাব্যথা সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কেননা গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রচুর মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি
মাথা ব্যথা নিয়ে ভোগেনি এমন লোক পাওয়া ভার। অনেক সময় কাজের চাপ কিংবা বিশ্রাম না নেওয়ার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। প্রচুর মাথা ব্যথা হলে খুবই যন্ত্রনা দায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে মাথা ব্যথা কোন রোগ নয়। এটি একটি উপসর্গ। সাধারণত ঘুম কম হলে কিংবা অনেক সময় না খেয়ে থাকলে, পানি কম খেলে, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপের কারণে মাথাব্যথা হয়। তবে কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো প্রয়োগ করলে মাথা ব্যথা থেকে খুব দ্রুত প্রতিকার পাওয়া যায়।
- পানি শূন্যতা মাথা ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। আপনাকে সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। মাথাব্যথা যদি না কমে তাহলে এক বা দুই গ্লাস ঠান্ডা পানি খেতে পারেন। এতে করে মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
- মাথাব্যথা শুরু হলে অন্ধকার কোন ঘরে বিশ্রাম নিতে হবে। এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাথা ব্যথা কমে যায়।
- প্রচুর মাথা ব্যথা শুরু হলে ঠান্ডা জাতীয় কিছু মাথার উপরে চেপে ধরে রাখুন। এতে করে মাথার ব্যথা অনেকটাই কমবে।
- একটি নরম কাপড় নিয়ে তা গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে চোখের উপরে দিয়ে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় হালকা গরম পানিতে গোসল করলে। বিশেষ করে যদি টেনশনের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এটি খুব ভালো কাজ করে।
- মাথাব্যথার সময় আদা চা খেলে মাথার ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। মাথা ব্যথা হলে আদা মুখের মধ্যে নিয়ে চিবুলেও ব্যথার উপশম হয়।
- বিভিন্ন রকমের তেল যেমন লেভেন্ডার পেপারমেনট, ইউক্যালিপাস এগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। সম্ভব হলে এগুলো মাথায় লাগান এবং এগুলোর সুভাষ আপনার চারপাশের বাতাসে ছড়ানো।
- আকুপ্রেশন করতে পারেন। বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনির মাঝখানের অংশে অন্য হাতে বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনী দিয়ে চাপ দেন এবং ঘুরে ঘুরে মেসেজ করুন। একইভাবে অন্য হাতেও করুন। এভাবে এক মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যথা কমে আসে।
- কিছু লবঙ্গ তাওয়াই দিয়ে গরম করে এর ঘ্রাণ নিন। দেখুন মাথা ব্যথা চলে যাবে।
- সব সময় হাসি খুশি মন নিয়ে থাকুন। মনকে যদি ইতিবাচক এবং ভালো বিষয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারেন তবে মাথা ব্যথা এক মিনিটের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।
এ সকল ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করেও যদি আপনার ব্যথা না কমে তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি? আর্টিকেলের এই অংশে আমরা হঠাৎ করে মাথা ব্যাথার কারন কি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। মাথা ব্যথায় কষ্ট পান না এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাঝে মাঝে মাথা ব্যথার কারণে কোন কাজ করাই সম্ভব হয় না। তখন আমরা অনেক রকম ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।
এটি আমাদের সাময়িকভাবে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় কিন্তু স্থায়ীভাবে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রায় দেড়শ প্রকার মাথা ব্যথা রয়েছে এবং প্রতিটি মাথা ব্যথার নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। তাই মাথা ব্যথা ড়লে অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। সামান্য কারণে যেমন মাথাব্যথা হতে পারে তেমন অনেক বড় রকমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তাই মাথাব্যথার সম্পূর্ণ হিস্ট্রি খুঁজে দেখে এর সঠিক কারণ বের করে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া দরকার। মাথাব্যথা বলতে আমরা সাধারণত ঘাড় এবং মাথার ব্যথা কি বুঝিয়ে থাকি। আমাদের মস্তিষ্ক এবং মাথার হাড়ের চারপাশে রয়েছে রক্তনালী, নার্ভ, ও তাদের আবরণ, মাথার চামড়ার নিচের মাংসপেশী, সাইনাস, চোখ, কান ও ঘাড়ের মাংসপেশী মূলত এগুলোর ব্যথা এবং টান মাথাব্যথা হিসেবে পরিচিত।
মাথাব্যথা সাধারনত দুই প্রকারের। একটি প্রাইমারি এবং অন্যটি সেকেন্ডারি হেডেক। সাধারণত দুশ্চিন্তার কারণে মাথাব্যথা হলে, প্লাস্টার হেডেক হলে কিংবা মাইগ্রেনের সমস্যা হলে একে প্রাইমারি হেডেক বলে। অন্য দিকে সাইনোসাইটিস, স্ট্রোক, মাথাব্যথা, মাথায় আঘাত জনিত কারণ কিংবা মস্তিষ্কের টিউমার এগুলো হল সেকেন্ডারি হেডেক।
আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কমন মাথাব্যথা হলো দুশ্চিন্তার কারণে মাথাব্যথা। কাজের চাপ, বিশ্রাম নেয়ার অভাব এবং অনেক দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করলে কিংবা ঘুমের সময় মাথা এদিক ওদিক হয়ে থাকলে ব্যাথা হতে পারে। এধরনের ব্যথায় সম্পূর্ণ মাথা জুড়ে মাথাব্যথা হয়ে থাকে এবং খুব একটা তীব্র হয় না। তবে সব সময় থাকে। সকালের দিকে ব্যথা কম হয় এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।
আরেকটি আছে মাইগ্রেনের ব্যাথা। এই ব্যাথাতে মূলত মেয়েরা বেশি ভোগে থাকে। ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। বেশি আলো এবং শারীরিক পরিশ্রমের ফলে ব্যথা বাড়তে পারে। শরীরের পরিপাক ক্রিয়া এবং মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা হলেও এটির ঝুঁকি বাড়ে। মাইগ্রেনের সম্পন্ন সুস্থ করে তোলে এমন কোন চিকিৎসা এখনো নাই।
তবে এই ব্যথা এড়ানোর জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে। যেগুলো খেলে এবং নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে দূরে থাকা যায়। অন্যদিকে সেকেন্ডারি হেডেক টিউমার, সিজার, ব্রেনের রক্তনালীতে ইনফেকশন এ সকল কারণে হতে পারে। এই ধরনের মাথা ব্যথায় দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ যত দেরি হবে তত বেশি ঝুঁকি।
আরো অনেক রকমের মাথাব্যথা রয়েছে যেমন সাইকোজেনিক পেইন, সেক্সুয়াল হেডেক, হরমোনাল হেডেক, ক্রনিক ডেইলি হেডেক, সাইনাস এর কারণে, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি। আশা করছি হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি এ বিষয়টি আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
তীব্র মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
মাথা ব্যথার সমস্যায় আমরা কমবেশি প্রায় সবাই ভুগে থাকি। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যেমন দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন, ব্যথা নাশক ঔষধ বেশি পরিমাণে খাওয়া, শরীরে পানি কম হলে ইত্যাদি। কখনো কখনো এই ব্যথা এত তীব্র হয় যে সহ্য করা যায় না। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা অনেকে ওষুধ খেয়ে থাকি।
তবে ওষুধ খাওয়ার আগে তীব্র মাথাব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি পালন করে দেখতে পারি। যেগুলা তীব্র মাথাব্যথা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয়।
আদাঃ আদা মাথার রক্তনালীর রক্ত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে। আদার রস এবং লেবুর রসে সমপরিমাণ মিশিয়ে খেলে মাথাব্যথা কমে যায়। ভালো ফল পেতে আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।
আবার এক চামচ আদার গুঁড়ো দুই চামচ পানির মধ্যে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে কপালে কয়েক মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও আদার গুঁড়া বা কাঁচা আদা সিদ্ধ করে সেই পানিতে ভাপ নিতে পারেন। আবার শুধু আদাও মুখ হয়ে নিয়ে চিবোতে পারেন। এতে করেও মাথাব্যথা অনেকটা কমে।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতাতে মেন্থল এবং মেন্থন রয়েছে। যা মাথা ব্যথা দূর করতে খুবই উপযোগী। এক মুঠো পুদিনা পাতা নিয়ে পাতা থেকে রস বের করে সেই রস কপালে লাগাতে হবে। এছাড়াও পুদিনা পাতার চা খেতে পারেন।
বরফঃ বরফ ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ব্যথা কমিয়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে বরফের প্যাক ঘাড়ে দিতে হবে। এতে করে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটাই কমে। এছাড়াও এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা বরফ পানিতে ভিজিয়ে মাথায় পাঁচ মিনিট দিয়ে রাখুন। দিনে কয়েকবার এভাবে লাগালে মাথা ব্যথা কমে যায়। কিন্তু যাদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা এটি করা থেকে বিরত থাকুন।
পানিঃ প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে অনেক রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিকে ডিহাইড্রেশন বলা হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে মাথা ব্যথা হলে অনেকটা পানি পান করলে সমস্যা আস্তে আস্তে কমে আসে। এছাড়া এমন ধরনের ফল খেতে পারেন যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি। এভাবে তীব্র মাথাব্যথা কমে আসে।
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা হঠাৎ করে মাথা ব্যথার কারণ কি এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই আর্টিকেলটি পড়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। আমরা আর্টিকেলের মধ্যে আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যেমন- গর্ভাবস্থায় মাথাব্যথা কেন হয়, অতিরিক্ত মাথা ব্যথায় করণীয় কি, তীব্র মাথা ব্যথা কমানোর উপায় ইত্যাদি।
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারে আসবে। আমাদের লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url