সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক - তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা থাকছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক বর্তমান যুগে সামাজিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন জরিপে তরুণ সমাজের উপর সামাজিক গণমাধ্যমে উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে সঙ্গে থাকুন।
ভূমিকা
সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষ বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার ফলে পড়াশুনা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে মানুষের অপব্যবহার এবং হুমকির মুখে পড়ে।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক দিক হল তরুণ সমাজের উপর সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বর্তমান যুগের সামাজিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন জরিপে তরুণ সমাজের উপর সামাজিক গণমাধ্যম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এজন্য পারিবারিক পর্যায়ে সচেতন হওয়া উচিত। এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক দিক, সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা, শিক্ষা ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার, তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব, সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা নিয়ে আমরা আজকে আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে আমাদের দেশে তরুণ সমাজের ওপর সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে আমাদের দেশে গণমাধ্যমের জরিপে দেখা গেছে যে তরুণ সমাজ শতকরা ৯৫ শতাংশ হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া আমাদের দেশে একই সঙ্গে অভিজ্ঞদের যথাযথভাবে ভূমিকা পালন করা উচিত।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মা যদি সন্তানকে ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন তাহলে এর সন্তান অন্য জায়গায় ভালোবাসা খুঁজে বেড়াবে না। আপনার সন্তান হবে আদর্শবান সন্তান। হবে মানুষের মত মানুষ। সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোন আসক্তি থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে। পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী হওয়া উচিত।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক হলো তরুণ সমাজকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যুব ও তরুণ সমাজকে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে রোধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক, বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে।
এছাড়াও ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট দেখেন ৩ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। এদের মাধ্যমে বেশিরভাগ ভিডিও করে থাকেন। ১৪ থেকে ৩৪ বছর বয়সী মানুষ বিশেষ করে শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আসক্ত করে থাকেন। এরা বেশিরভাগই ভিডিও টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে করে থাকেন। এসব ভিডিও কারণে প্রচুর সময় নষ্ট করছেন।
যুব সমাজের সব ভিডিও আসক্তির কারণে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক পড়াশোনা ও কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা
সোশ্যাল মিডিয়া অস্বাভাবিকভাবে গত কয়েক বছর ধরে এগিয়ে চলেছে। ২০০৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ও ছোট শর্ট ভিডিও, কনটেন্ট এর মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের দেশে ফেসবুক ইউজার ৪ শতাংশের বেশি। দিন দিন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপকার পাচ্ছে।
একটি সামাজিক ব্যবহারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে উন্নত দেশ গুলো সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছে। অপরদিকে কিছু সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক আছে।
- মানুষ যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো সময় যোগাযোগ করতে পারে। শেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম এবং মূল সুবিধা হচ্ছে কালেক্টিভিটি। যা সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে কোন মানুষের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ করতে পারা যায়।
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতার, টাকার জন্য ও উপদেশের জন্য হতে পারে দিকনির্দেশনা। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সমস্যার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। যা পেতে সাহায্য করবে আপনার সমাজ।
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত অভিজ্ঞ পেশাদারদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া অনেক সহজ। সোশ্যাল মিডিয়া একজন শিক্ষক। শিক্ষার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অনেক উপকারিতা রয়েছে।
- অনেক সময় টিভি চ্যানেল অনেক সমস্যা দেখা দেয় ।তাই সোশ্যাল মিডিয়া মূল সুবিধা হচ্ছে আপনি সব সময় আপডেট করতে পারবেন। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক সময় দ্রুত কাজ পৌঁছাতে পারে। যেমন আপনার বিজনেস অফলাইন বা অনলাইনে যাই হোক না কেন পুরো পৃথিবীজুড়ে প্রচারণা চালানো যায় না। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমিউনিটি করতে অনেক ভূমিকা রাখে এজেন্সি। এছাড়া গরীবদের জন্য সহযোগিতার একমাত্র প্লাটফর্ম হল সোশ্যাল মিডিয়া।
- মানুষ প্রতিদিন জীবন যাত্রা উন্নতি করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করছে এবং নিত্য নতুন উপাদান যোগ করে। সোশ্যাল মিডিয়া সচেতনতা তৈরি করে এবং জীবন মান উন্নত করে।
- সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক অর্থাৎ নিরাপত্তা এজেন্সি অপকর্মের নজর রাখতে পারে এবং সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরকার নিরাপত্তা এজেন্সিকে সাহায্য করে।
- মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় মান উন্নত করে। সোশ্যাল মিডিয়া সচেতনতা তৈরি করে এবং নিত্যনতুন উপাদান যোগ করে।
- সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা একটি বিজনেসকে মুহূর্তের মধ্যে যেমন ভাবে শেষ করে দিতে পারে তেমনি আরেকটি বিজনেস কে ভালো পারফরমেন্স অর্জন করতে সহায়তা করে।
- সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের পৃথিবীতে যেহেতু নানান ধর্ম নানান বিশ্বাস আছে তাই নিজস্ব ধর্ম এবং মতবাদ শিখতে সাহায্য করে থাকে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মতের গ্রুপ যোগ দেওয়া যায়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা খুব সহজেই হ্যাক হতে পারে ।এছাড়াও ইন্টারনেট ছড়িয়ে যেতে পারে মুহূর্তের মধ্যে। অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ব্যক্তিগত জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহার ঠিকই তেমনি কারো অ্যাকাউন্ট সাম্প্রতিক তথ্য বেহাত হয়ে গেলে আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এইসব হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মারাত্মক অপব্যবহার কারণে।
- ব্যক্তিগত জীবন অনেক ক্ষতি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক গুলো বিশেষ করে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া নেশা খুব খারাপ হতে পারে। এছাড়াও তারা খুব বাজেভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যায়।
- বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় কয়েক ধরনের প্রতারণা লক্ষ্য করা যায়। যা বেশিরভাগই সময় ঘটে থাকে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপকর্মে ছড়িয়ে পড়ে।
- সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক আজকাল নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সির কাছে ব্যক্তিগত একাউন্ট এর ফলে গোপনীয় করা কাজ থেকেও অসম্ভব করে তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার কখনো কখনো ভুলে বা না জেনে আপনার একাউন্টের কিছু আলোচনা করে থাকলে তার এজেন্সির অফিসার দেখবেন যা হয়তো আপনি টেরও পাবেন না।
- সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম খুবই সহজে কারো খ্যাতি বা জোশ মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে। ঠিক তেমনি কোন বিজনেস ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
- বিশেষজ্ঞদের মতে অনেকেরই প্রেমের প্রস্তাব বা বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ঠিক তেমনি অপরকে ভুয়া অনুভূতি ভুলে এবং ভুল মিথ্যা দিয়ে প্রচারণা করে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
- সোশ্যাল মিডিয়াম অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে স্বাস্থ্যবিষয়ক অনেক ক্ষতি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের খুব বেশি সময় দিলে মস্তিষ্ক অলস করে তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক হিসাবে যা প্রত্যেক দিনের রুটিনের বাজে প্রভাব ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহার করার ফলে।
- অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া শুধু ব্যবহারের কারণে নয় বরং ইন্টারনেটের সব পাগলামি শেয়ার করা হয়। বাস্তবে করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে যুব সমাজ।
- সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে যে কারণে অনেক ইন্টারনেট কিছু ধনী এবং নেশাগ্রস্ত মানুষ ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে তারা নেতিবাচক চিন্তাধারা এবং কর্মকাণ্ড উৎসাহী হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় অসুবিধা ইন্টারনেট অপব্যবহারকারী।
তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
আমরা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বু।ঝি আমরা যাকে ফেসবুক নামে চিনি এটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া। এরকম আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেমন হোয়াটস আপ, টুইটার, ভাইবার, গুগল প্লাস, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াকে সংজ্ঞায় রূপান্তরিত করলে যা দাঁড়ায় তা হলো আমরা যার মাধ্যমে আমাদের নিত্যনতুন দিনে খবর সব সময়ের মাধ্যমে হাজারো মানুষের কাছে লিখিত ভিডিওর মাধ্যমে একই সময়ে পাঠাতে পারি তার নাম হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে আমাদের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে আমাদের অনেক চাহিদা খুব সহজেই পূর্ণতা পায়। তরুণ প্রজন্ম যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক লাভবান হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্মের মাঝে এই ক্ষতি হওয়ার প্রভাব ফেলছে। পৃথিবীতে ফেসবুক ব্যবহারকারী ১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে অধিকাংশ যুবক। এতে কোন সন্দেহ নেই ।যদিও আগামী প্রজন্মের জন্য এটি একটি ভালো দিক।
কিন্তু তখন এই ফেসবুক নামক বস্তুটি। তরুণ প্রজন্মের যুবকরা সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে নিজের যেভাবে সময় ব্যয় করে পড়ার টেবিলে খুবই কম সময় দিচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে ১০০ জন তরুণদের মধ্যে এক ঘন্টা থেকে একটু বেশি সময় ধরে ৩২ জন ২ থেকে ৩ ঘন্টায়, ৪৩ জন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা, ১৮ জন ৬ থেকে ৭ ঘন্টায়, ৪ জন ৮ ঘন্টা থেকে তার বেশি সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত থাকে ৩ জন।
আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটিরও বেশি। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৬৭ লাখ। এছাড়াও অর্থ বছরে দাঁড়িয়েছে তার অর্ধেক এর বেশি। এখন ইন্টারনেট আর এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানা যায় প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি করে ফেসবুক একাউন্ট খোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ যা দেশের জন্মের হারের চেয়েও বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক এ তাকিয়ে এক গবেষণায় প্রতিবেদনে দেখা গেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের ভীত ও উদ্যোগী করে তুলছে ।এই সংখ্যাটি ১০ হাজার তরুণ তরুণের উপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের সবার বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইনস্টাগ্রাম অত্যন্ত নীতিবাচক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আশা করছি তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক রয়েছে। এ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অপব্যবহারের প্রভাবে অল্পবয়সী তরুণরা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছে। পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। খেলাধুলা ছেড়ে দিয়ে দিন রাত ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তরুণ প্রজন্মের যুবকরা এতে করে আমাদের দেশের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে।
বর্তমানে আপনার পুরো বিশ্ব একটি সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে। এটা প্রমাণিত যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার আপডেট চেক করা হয়। কোথায় কি হচ্ছে, কে কি পোস্ট করছে তা নিয়ে সবসময়ই কৌতূহল করি। তবে বাস্তবতা সত্য হলে যে সোশ্যাল মিডিয়া আপনাকে দিনে দিনে কাবু করে দিচ্ছে। ততটা বেশি আসক্ত হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য।
দেখা দিচ্ছে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এমন কি হতাশাগ্রস্ত ও ডিপ্রেশনে থাকছেন সবসময়। বর্তমান সোশ্যাল সাইটগুলো ব্যবহার সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ইউটিউব এ ওয়েবসাইট এই অ্যাপ গুলো ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি। এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারি প্রায় ২ মিলিয়ন রয়েছে।
সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪.৭০ মিলিয়ন মানুষ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকটিভ রয়েছেন। একটি জরিপে সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক দিক বিবেচনা করে দেখা গেছে যে যেখানে নারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনাই ৪৫.৭০ শতাংশ। সাধারণত একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রতিদিন ২ ঘন্টা ২৯ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যয় করে থাকে।
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেল মধ্যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেই সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক, সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা, শিক্ষা ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার, তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব, সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা এই সবগুলো নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
আপনি হয়তো বা এতক্ষণে পোস্টটি পড়ে সবগুলো বিষয়ে একটা ধারণা পেয়েছেন। লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ে পোস্ট লিখে থাকি। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url