সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি - ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি জানতে চান সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি, সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কেন করা হয়, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এখানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি এবং ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম নিয়ে আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন
সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন বলতে সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে অপটিমাইজ করা বোঝাই। চলুন সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি এই বিষয়টিতে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন এর প্রধান কাজ হল একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন দিক অপটিমাইজ করা। যাতে করে তা আরো বেশি ব্যবহারকারী মিডিয়া এবং অন্যান্য সাইটগুলো তে অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিংক গুলি শেয়ার করা যায়। 

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি এ বিষয়টি জানবো। সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কী বোঝায়, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি, সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কি বুঝায়

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি সেটা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আসলে কি বোঝায়। সোশ্যাল মিডিয়াকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেমন বাংলাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলা হয়ে থাকে। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন এ ব্যবহারকারী তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন কনটেন্ট শেয়ার করতে পারে। 

অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, কথাবার্তা বলতে পারে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কোন তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল কমিউনিটি বা কৃত্রিম সমাজ গড়ে তুলতে পারে। 

সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণত ইন্টারনেট সংযোগের উপরে নির্ভর করে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। হয়তো কোনোটি ওয়েবসাইট নির্ভর কিংবা কোনোটি বিভিন্ন মোবাইল এপ্লিকেশনের উপরে নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে শুধু যোগাযোগ স্থাপন হয় তা কিন্তু না এটি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা সুযোগ করে দেয়। 

যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। এর ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অন্যদিকে ইউটিউব এও ভিডিও দেখা যায়। যে ভিডিওগুলো অন্য ইউটিউব ব্যবহারকারীরা আপলোড করে থাকে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া মানে হচ্ছে একটি অনলাইন কমিউনিটি। কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তখনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণ্য হয় যখন এর ভিডিও বা পোস্ট গুলো এর ব্যবহারকারীরাই তৈরি করবে। 

যেমন ফেসবুকের এক একটি পোস্ট কোন না কোন ব্যবহারকারী দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। আবার সেগুলো ফেসবুক ইউজাররাই দেখছেন। ইউটিউবেও তেমন youtube ব্যবহারকারীরা ভিডিও আপলোড করে থাকে। এবং অন্য ইউজাররা তা দেখে। যদি এমন হতো যে শুধুমাত্র ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ভিডিও আপলোড করতে পারবে তাহলে আমরা কোন ভিডিও আপলোড করতে পারতাম না। 

শুধু ভিডিও দেখতাম। তখন সেটাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বলা যেত না। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া হল একটি কম্পিউটার ভিত্তিক সিস্টেম যা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সরবরাহ বা আদান প্রদান করা হয়। আমরা প্রায়ই ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপ চ্যাট এবং অন্যান্য আরো সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে নানা ধরনের পোস্ট করে থাকি। এসব গুলোই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন হলো কোন একটি পণ্য বা সেবা বা ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে প্রচার করা বিভিন্ন রকমের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আরএসএস, সামাজিক সংবাদপত্র, বুকমার্কিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন facebook, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার বিভিন্ন রকমের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং ওয়েবসাইট গুলো। 
সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মত। যার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন ধরনের ট্রাফিক তৈরি করা এবং একটি ওয়েবসাইটের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা। সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন এর সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয়বস্তুর সাথে জৈব লিংক স্থাপন করে। 

অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুগল সার্চ এর প্রথমে নিয়ে আসার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন একটি ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন বিষয়বস্তুকে অপটিমাইজ করে অধিক সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারের কাছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য সাইট গুলোতে ওয়েবসাইটের লিংক গুলি শেয়ার করতে উৎসাহিত করা হয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া অবটিমাইজেশন করার জন্য সুন্দর কিছু কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে ফটো এডিটিং বা ভিডিও ক্লিপ অন্যদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করতে উৎসাহিত করে ।এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সেই বিষয়বস্তু এর ওয়েব লিংক এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিতি পায় এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে। 

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশনের উদাহরণ যেমন পোস্টে লাইক কমেন্ট করা, রিটুইটার করা, এ্যাডেম করা, শেয়ার করা এবং কনটেন্ট অন্যদের মধ্যে প্রচার করা। সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন অনলাইন রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নের জন্য একটি উপযুক্ত মাধ্যম। যার ফলে কারো যদি ব্যবসার খারাপ আলোচনা চলে তবে সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন করে তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা যায়। 

২০১০ এর দিকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলো তরুণ প্রজন্মের জন্য খুবই ব্যবহারযোগ্য ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াগুলো টিভিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাগুলি ওয়েব ট্রাফিক তৈরি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রকাশকরা তাদের অনলাইন পোস্টগুলো অপটিমাইজ করতে এবং অধিক লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি সোশ্যাল মিডিয়া টিম তৈরি করে নিয়োগ দেয়। 

অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন হচ্ছে আপনার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে লেখার মাধ্যমে কিংবা ভিডিও ক্লিপ অথবা ফটো এডিটিং এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম।

১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম

সোশ্যাল মিডিয়ার বাংলা অর্থ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য, ছবি, কনটেন্ট কিংবা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমকে সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একজন তার মতামত, ছবি, লিংক, ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করতে পারে এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। আমরা এবার দশটি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম জানব যেগুলো খুবই জনপ্রিয়।

Facebook: ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। বর্তমানে প্রায় 4.2 বিলিয়ন ইউজার রয়েছে। প্রায় দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ দৈনিক ফেসবুক ব্যবহার করে যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ। ফেসবুক রিলস ভিডিও বানিয়েও ইনকাম করা যায়। প্রায় ৬৫ মিলিয়ন এর বেশি বিজনেস ফেসবুকের মেটা বিজনেস ব্যবহার করে থাকছে। এর মধ্যে ৬ মিলিয়ন বিজনেস ফেসবুক এডভারটাইজিং সার্ভিসটি চালু রয়েছে।

Youtube: ইউটিউবের সক্রিয় user 2.56 বিলিয়ন। ২০০৫ সালে ইউটিউব প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন দুই বিলিয়ন ব্যবহারকারী এক ঘন্টারও বেশি সময় যাবৎ ভিডিও দেখে। যা ইউটিউব কে দ্বিতীয় বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হিসেবে মর্যাদা দেয়। যে কোন ব্র্যান্ডের জন্য ভিডিও মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইউটিউব একটি উত্তম হতে পারে।

WhatsApp: whatsapp একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। একে মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে বলা হয়। এটি ফেসবুকের মালিকানাধীন। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সারা পৃথিবীতে প্রায়ই আসি টিরও বেশি দেশে whatsapp ব্যবহার করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের দুই বিলিয়ন ইউজার রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস নামে একটি বিজনেস সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এতে বিজনেস প্রোফাইল খোলা যায়। যার মাধ্যমে কাস্টমারকে বিজনেস সাপোর্ট দেয়া যায়।

Instagram: instagram ও ফেসবুকের মালিকানাধীন একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আকর্ষণীয় ফটো ফিল্টার প্রদানের জন্য instagram অনন্য জায়গা গ্রহণ করেছে। ইনস্টাগ্রামে প্রায় 1.4 বিলিয়ন ইউজার রয়েছে।

Tiktok: টিকটক ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ফেসবুক ইনস্টাগ্রামকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ডাউনলোডেড অ্যাপ এ স্বীকৃত পেয়েছিল 2018 সালে। টিকটক টিনেজারদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিবছর ৩২৫% হারে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে tiktok ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের থেকেও বেশি সময় টিক টক এ দিয়ে থাকে। বাইরের দেশগুলোতে টিকটক একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম।

Twitter: টুইটার ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি মাইক্রো ব্লগিং সাইট। টুইটারের মাধ্যমে রিয়েল টাইম নিউজ শেয়ার করা যায়। এর প্রায় ৪৩৬ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে। টুইটারে সাধারণত সাম্প্রতিক তথ্য এবং বিনোদনের দিকটা বেশি গুরুত্ব দেয়।

Pinterest: pinterest 2010 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন। পিন্টারেস্ট একটি ডিজিটাল পিনবোর্ড প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট, ছবি, লিংক, GIFS এবং ভার্চুয়াল পিন বোর্ডে পাওয়া যায়। নিজের পিনও তৈরি করে শেয়ার করা যায়। ওয়েবসাইট লিংক করা যায়। পিন্টারেস্ট এর তথ্য অনুযায়ী 78% ইউজার মনে করে পিন্টারেস্ট পিন খুবই দরকারি, আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং কৌশল হিসেবে তালিকা ভুক্ত করতে পারেন।

Snapchat: স্ন্যাপ চ্যাট একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্ন্যাপ চ্যাট একটি ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার। যেখানে ফটো শেয়ার করা যায়। এতে প্রায় ৪৯৮ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে। ফেসবুক বা instagram এ যে স্টোরিস ফিচারটি রয়েছে সেটি মূলত স্ন্যাপ চ্যাট এ সর্বপ্রথম চালু হয়েছিল।

Wechat: ২০১১ সালে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার এর মত মেসেজিং প্লাটফর্ম হিসেবে উইচ্যাটের যাত্রা শুরু। কিন্তু উইচ্যাটের মাধ্যমে ইউজাররা শপিং, পেমেন্ট, টাকা ট্রান্সফার, টিকিট, ট্যাক্সি বুক করা সহ আরো অনেক সার্ভিস প্রদান করে থাকে। চীন এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে উইচ্যাট খুবই জনপ্রিয়।

LinkedIn: লিংকড ইন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হিসেবে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে। এটি মাইক্রোসফট এর মালিকানাধীন। লিংকডিনে বিভিন্ন রকম ব্র্যান্ড প্রমোশন করার সুযোগ থাকে। এর ইউজার সংখ্যা প্রায় 304 মিলিয়ন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কী কী

সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন অনেক সুবিধার রয়েছে, ইতিবাচক দিক রয়েছে, ঠিক তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে তথ্য শেয়ার করতে এবং বিশ্বের সব কিছু সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি আমরা এবারে সেগুলো জানব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কেউ ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে এবং যা খুশি তা করতে পারে সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুন্ডামি করা এখন অনেক সহজ। ইন্টারনেটে হুমকি, গুজব এগুলো চলতেই থাকে। যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য হ্যাক হয়ে যেতে পারে এবং তাও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যেতে পারে। 

যা মুহূর্তের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং ব্যক্তিগত জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলে এবং আইডি সম্পর্কিত তথ্য বেহাত হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া খুবই খারাপ একটি নেশা। এর ফলে ব্যক্তিগত জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। বিশেষ করে টিনেজাররা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তারা খুব বাজে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে এবং সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতারণার সম্মুখীন হচ্ছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন খুব সহজে খ্যাতি নিয়ে এসে দিতে পারে তেমনি ধ্বংস করে দিতে পারে একটি মিথ্যা গল্প বানিয়ে। ঠিক তেমনভাবেই একে অন্যজনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং মিথ্যা অনুভূতি প্রকাশ করে প্রতারণা করে থাকে। 

অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি সময় দেয়ার ফলে এটি প্রত্যেক দিনের রুটিনের উপরে খুব বাজে রকম প্রভাব ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়া শুধু ব্যবহারের কারণে নয় বরং ইন্টারনেটে যেসব পাগলামি গুলো শেয়ার করা হয় তা বাস্তবে করতে গিয়ে অনেকে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো অনেকেই ইন্টারনেটের মধ্যে কিছু ধনী এবং নেশাগ্রস্থ লোকদের ফলো করে এবং তাদের সাথে তুলনা করে নিজেদেরকে খুব ছোট মনে করে এবং নেতিবাচক চিন্তাধারা এবং অনৈতিক কাজে উৎসাহী হয়ে পড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা

দিন দিন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক উপকার পাচ্ছে। একটি সমাজ ব্যবস্থাপনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে। উন্নত দেশ থেকে শুরু করে স্বল্পোন্নত দেশ সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এবারে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে মানুষ যে কোন জায়গা থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। এক্ষেত্রে কোন স্থান বা ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক উপকারী। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পেশাদারদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি আপনার সমস্যার কথা বলে সাহায্য এবং দিক নির্দেশনা পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মূল সুবিধা হল আপনি সবসময় আপডেট থাকতে পারেন। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলগুলো পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করে। তাই আসল তথ্য পেতে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক বড় ভূমিকা রাখে। 

আপনার যদি কোন ব্যবসা থেকে থাকে তাহলে তা আপনি খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে পুরো পৃথিবী আপনার জন্য খোলা রয়েছে। তাই সবার কাছে আপনি তার প্রমোশন করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিটি করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এনজিও, সমাজসেবা, দান ইত্যাদি কর্মকাণ্ড গুলো মিডিয়ার জোর প্রচারণা করা যায়। 

এছাড়াও গরিবদের জন্য সহযোগিতা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিময় করা হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা তৈরি করে এবং জীবন মানে উন্নত করে। সরকার এবং নিরাপত্তা এজেন্সি বিভিন্ন অপকর্মের উপরে নজর রাখতে পারে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজনেস কে যেমন বড় করতে পারে তেমনি শেষও করে দিতে পারে। এবং ব্যবসায় আপনার সু খ্যাতিও নিয়ে এসে দিতে পারে।

মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আপনার যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন করে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। 

যা ইতোমধ্যে আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন। আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোন মতামত জানানোর থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। নতুন নতুন বিষয়ে আরো এরকম পোস্ট করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url