ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় - ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় তা নিয়া আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি জানতে চান ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। সেই সাথে আমরা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি তা নিয়েও আলোচনা করব।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুরা ভিটামিন এ এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় সে বিষয়ে।

ভূমিকা

ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শরীরের ভিটামিন এ এর অভাব রাতকানা রোগের প্রধান কারণ। যেহেতু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই ভিটামিন এ এর অভাব হলে আপনি নানা রকম রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। শিশুরাও বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

যারা ভিটামিন এ যুক্ত খাবার কম খায় তাদের শরীরের ঘাটতি থাকে এবং বিভিন্ন রকম রোগ হয়। আমরা আজকে ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি, কোন কোন ফলে ভিটামিন এ আছে, ভিটামিন এ এর অভাবে কি রোগ হয়, ভিটামিন এর অভাব জনিত রোগের প্রতিকার। এ সমস্ত বিষয়গুলো আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ

ভিটামিন এ আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। এটি একটি চর্বির দ্রবণীয় ভিটামিন। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি শক্তিশালী, প্রতিরোধ ব্যবস্থা, প্রজনন ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি সহ আরো অনেক শারীরিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণত খাবারের মাধ্যমে দুই ধরনের ভিটামিন এ আমরা পেয়ে থাকি। 

একটি হচ্ছে প্রিফ্রম ভিটামিন এ যা মাছ মাংস ডিম এবং দুধ জাতীয় দ্রব্যে পাওয়া যায় এবং অন্যটি হচ্ছে প্রোভিটামিন। এ এগুলো বিভিন্ন প্রকার ফল, শাক-সবজি এগুলো থেকে পাওয়া যায়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেলে সাধারণত আমাদের শরীরে ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা দেয় না। যাদের ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয় তাদের কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। 

যেমন গর্ভবতী নারী, বুকের দুধ দানকারী মা এবং শিশু। ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় এবং ভিটামিন এর অভাবে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় সে বিষয়ে আমরা এখন জানবো।

ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়ঃ ভিটামিন এ ত্বক এর কোষ গঠন করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন প্রকার সাথে লড়াই করে থাকে ভিটামিন এ। ত্বক শুষ্ক হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তবে অনেকদিন যাবৎ যদি ভিটামিন এ এর ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।

চোখের পানি শুকিয়ে যায়ঃ ভিটামিন এ ঘাটতির ফলে চোখে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চোখের পানি শুকিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ না পেলে সম্পূর্ণ অন্ধ কিংবা কর্নিয়া মারা যেতে পারে।

রাতকানা রোগ হয়ঃ ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। বিভিন্ন রকম গবেষণা থেকে জানা গেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাতকানা রোগের প্রবণতা অনেক বেশি।

বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারেঃ ভিটামিন এ নারী পুরুষ উভয়ের প্রজননে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। একজন নারী যদি গর্ভবতী হতে সমস্যা হয় তাহলে এর প্রধান কারণ ভিটামিন এ হতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন এ এর অভাবে নারী এবং পুরুষ উভয় বন্ধাত্বের শিকার হতে পারে।

শিশুর বৃদ্ধিতে বিলম্ব হয়ঃ মানব দেহের সঠিক বিকাশের জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যেসব শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ পায় না তাদের বৃদ্ধি স্থগিত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে ভিটামিন এ শিশুদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গলা এবং বুকের সংক্রমণ হয়ঃ ঘন ঘন সংক্রমণ হলে বিশেষ করে গলা এবং বুকে ব্যথা হলে তবে ভিটামিন এ এর অভাব এর অন্যতম একটি লক্ষণ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্ক ব্যক্তিদের পুরো ভিটামিন এ উচ্চ রক্ত চাপ এবং হার্টের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

ক্ষত নিরাময়ে সমস্যা হয়ঃ যে কোনো ভাবে যদি শরীরে ক্ষত হয় বিভিন্ন প্রকার আঘাত কিংবা অপারেশন এবং তা সেরে উঠতে দেরি হয় তাহলে তা ভিটামিন এ এর অভাবের অন্যতম কারণ।

ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়

আমাদের দেশে প্রতি বছর নয় মাস থেকে চার বছর বয়সী শিশুরা ভিটামিন এ এর অভাব জনিত কারণে তাদের দৃষ্টিশক্তি হারায়। ভিটামিন এ শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন এ এর অন্য নাম ইমিউনিটি ভিটামিন। 

পাঁচ মাস থেকে বাচ্চাদের যখন বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার দেয়া শুরু হয় তখন থেকে ভিটামিন এ এর অভাব তীব্র মাত্রাই দেখা দিতে থাকে। একটি শিশুর প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম ভিটামিন এ প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়।
  • ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হয়। এই সমস্যা হলে শিশুরা রাতে চোখে ভালো দেখতে পায় না।
  • চোখের ভিতরে শুকিয়ে যাই। কাঁদার সময় চোখের পানি বের হয় না।
  • চোখের পর্দা ঘোলাটে হয়। মনির ওপরে সাদা সাদা দাগ পড়ে।
  • পুরো চোখের মনি আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়। এবং শিশু পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়।
  • শিশুর ত্বক শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে যায়। অনেক সময় তা ব্যাঙের চামড়ার মত হয়ে যায়।
  • ঘন ঘন শ্বাসনালী এবং মুত্রনালীর সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
  • শিশুর বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। মৃত্যু ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধ হওয়া প্রতি দুইটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু এক মাসের মধ্যেই মারা যায়।
  • ভিটামিন এ এর অভাব হলে শিশু ঘন ঘন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
  • শিশুদের হাম সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ দেখা দেয়।
এই সকল রোগের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত দিতে হবে।

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি

আমরা জানি ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরে কি রোগ হয়। রোগ গুলো থেকে রক্ষা পেতে ভিটামিন এসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আমরা এবারে আলোচনা করব ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি। ভিটামিন এ প্রাণী এবং উদ্ভিদ সকল প্রকার খাবারে পাওয়া যায়। হলুদ ও সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান। 

শাকসবজি এবং ফলের রং যত গাঢ় হয় ভিটামিন এর পরিমাণ তত বেশি হয়। গাজর, কুমড়া, পাকা পেঁপে, মাখন, ঘি, অন্যান্য সবজি এবং ফলে ভিটামিন এ বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকার মাংসাশী প্রাণী যেমন হাঙর, কড, হলিবাট ইত্যাদি মাছের কলিজা, মাছের তেল বা তেলযুক্ত মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি খাবার থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। 

মিষ্টি আলু, আম, পালং শাক, ব্রকলি এগুলোতেও ভিটামিন এ রয়েছে। এক কথায় আমরা যে সব খাবার প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি সবগুলোতেই কমবেশি ভিটামিন এ বিদ্যমান। তবে কিছু কিছু খাবারের বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যেগুলো ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দিলে বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।

কোন কোন ফলে ভিটামিন এ আছে

অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কোন কোন ফলে ভিটামিন এ আছে। প্রায় সব প্রকার ফলেই ভিটামিন এ রয়েছে। তবে পাকা আম, পাকা কাঠাল, পাকা পেঁপে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এছাড়াও জাম্বুরা, পেয়ারা, সবুজ আপেল, কাঁচামরিচ এগুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

ভিটামিন এ এর অভাবে কি রোগ হয়

ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় তা নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। শিশুদের যদি ভিটামিন এর অভাব হয় তাহলে স্বাভাবিক বিকাশ বাধা গ্রস্থ হয়। বিশেষ করে 9 মাস থেকে চার বছর বয়সী যেসব রয়েছে তাদের তাদের ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ বেশি দেখা যায়। 

ক্যারাটোমালেশিয়া নামক রোগে ৫ বছর বয়সের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। এর ফলে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা না হলে বাচ্চা অন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভিটামিন এ এর অভাব হলে শিশুদের ডায়রিয়া, হাম এইসব রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ভিটামিন এর অভাবে কি রোগ হয় চলুন এবার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

রাতকানা রোগঃ ভিটামিন এ এর অভাবে সব থেকে বেশি যে রোগটি হতে পারে তা হলো রাতকানা রোগ। রাতকানা রোগ হলে দিনের বেলায় রোগী স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে কিন্তু রাতের বেলা দেখতে পায় না। অনেকেই ভুল দেখে আবার কেউ কেউ একেবারেই দেখতে পায় না।

রক্তস্বল্পতাঃ শরীরের ভিটামিন এ এর অভাব হলে আয়রনের ক্রিয়া-কলাপ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। রক্তস্বল্পতা থেকে অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বলি রেখাঃ ভিটামিন এ এর অভাব হলে ত্বক অনেকটা শুষ্ক এবং রক্ষা হয়ে যায়। এর ফলে কম বয়সের মধ্যে বলি রেখা দেখা দেয় এবং বার্ধক্যের ছাপ ফুটে ওঠে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়ঃ গবেষণা থেকে জানা গেছে ২১% মানুষ স্কিন ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয় শুধুমাত্র ভিটামিন এ এর অভাবে।

এছাড়াও ভিটামিন এ এর অভাবে এইডস, স্তন ক্যান্সার, নিশ্বাসের সমস্যা, ভ্রুনের সমস্যা, চুল পড়া ইত্যাদি হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত নয়। এটিও শরীরের বিকাশে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শরীর শিথিল হয়ে যায়। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে, মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, লিভারের সমস্যা দেখা দেয়, ত্বক খসখসে হয়ে যায়।

মানুষের শরীরে ভিটামিন এর প্রয়োজন তবে তা মাত্রা অনুযায়ী।আমাদেরকে ভিটামিন এ এর অভাব জনিত এই সকল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলোতে ভিটামিন এ রয়েছে। তাহলেই আমরা সুস্থ থাকতে পারবো।

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগের প্রতিকার

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগের প্রতিকার করতে হলে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে লিভার, ডিম, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, কমলা, হলুদ ফল ও রঙিন শাকসবজি এবং সবুজ শাক। ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া জরুরী। 

তবে অভাবের তীব্রতা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বয়সের ওপরে নির্ভর করে উচ্চমাত্রার ইনজেকশন দেওয়া হয়। যদি ভিটামিন এ এর ঘাটতি অন্য কোন চিকিৎসার কারণে হয়ে থাকে তবে তা আক্রান্ত ব্যক্তির ভিটামিন এ শোষণ করতে অসুবিধা করে। শিশুদের যদি ভিটামিন এ এর অভাবে রোগ দেখা দেয় তাহলে তাতে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং যদি বেশি অভাব দেখা দেয় তাহলে পাম তেল খাওয়ানো যেতে পারে।

অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের ফলে শরীরের উপরে প্রভাব পড়তে পারে। অতএব ভিটামিন এ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি রয়েছে যা শরীরকে ভিটামিন এ শোষণ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন এ এর অভাব হলে শরীর সূর্যের আলোতে খোলা অবস্থায় রাখতে হবে। 

অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় ভিটামিন এ এর ঘাটতি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আপনার যদি মনে হয় আপনার ভিটামিন এর ঘাটতি রয়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। উপরোক্ত পদ্ধতির গুলো মাধ্যমে আপনি ভিটামিন এর অভাবজনিত রোগের প্রতিকার করাতে পারেন।

মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কি কি তা নিয়েও বিস্তারিত বলেছি। আপনি হয়তো এতক্ষণের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

আপনার বাসায় যদি কোন শিশু থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান যাতে রাতকানার মত একটি মৃত্যুজুকি সম্পূর্ণ রোগ থেকে সে দূরে থাকে। আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারেন। কোন মতামত জানানোর থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এরকম আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url