ব্যবসার টাকা জমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ব্যবসার টাকা জমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ব্যবসার টাকা জমানো নিয়ে আপনি যদি চিন্তায় থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন ব্যবসার টাকা জমানোর উপায় কি। সেই সাথে ঘরে টাকা আসার উপায় নিয়েও আলোচনা রয়েছে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ব্যবসার টাকা জমানার উপায়, ঘরে টাকা আসার উপায় কি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। তবে সামনে যে আরো কঠিন কোন সময় আসবে না এমনটা নয়। সামনে আরো অনেক কঠিন সময় আসতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব সঞ্চয় করা উচিত। সঞ্চয় করে রাখলে তা যেমন আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করে তেমনি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দান করে।
ব্যবসা টাকা জমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বর্তমান সময়ের চাহিদা। আমরা সব সময় ভাবি যে এই সমস্যাটা কেটে যাক, এরপরে টাকা জমাবো। এটা ভাবতে ভাবতে সময় পার হয়ে যায় কিন্তু টাকা আর জমানো হয়ে ওঠেনা। তাই সঞ্জয় করতে চাইলে এসব ভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে।
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ব্যবসার টাকা জমানোর উপায়, ঘরে টাকা আসার উপায়, ব্যাংকে টাকা জমানোর নিয়ম, টাকা বিনিয়োগ করার উপায়। এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই সবগুলো বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ব্যবসার টাকা জমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো ব্যবসার টাকা জমানোর উপায়। টাকা জমানো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে, বিভিন্ন রকম বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাথে মোকাবেলা করতে এবং আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়তা করে।
কিন্তু টাকা জমানো খুব একটা সহজ বিষয় নয়। এখনকার জীবনে আমাদের সবার আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক গুণ বেশি। তবে কিছু কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিয়মিত টাকা জমাতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যবসার টাকা জমানোর উপায় গুলো কি।
ঋণ পরিশোধ করুনঃ টাকা জমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ঋণ। যদি ঋণ থাকে তাহলে যা আয় হয় তার একটা অংশ শেষ হয়ে যায়। তাই যদি ঋণ থেকে থাকে তাহলে সেটা আগে শোধ করে তারপর সঞ্চয় করা শুরু করুন।
প্রতিদিনের হিসাব রাখুনঃ প্রতিদিনের হিসাব রাখার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি যখন আপনার প্রতিদিনের খরচের হিসাব জানবেন এবং নির্দিষ্ট স্থানে সেটা লিখে রাখবেন তখন টাকা জমানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। যদি হিসাব রাখা হয় তাহলে টাকার উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। তাই প্রতিদিনের হিসাব রাখতে হবে।
প্রয়োজন এবং চাহিদার পার্থক্য বুঝুনঃ আমরা ঝোঁকের মাথায় হঠাৎ করেই খরচ করে ফেলি। এই খরচ গুলো টাকা জমানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা। টাকা জমানার ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমেই দেখা উচিত কোন জিনিসটা আমাদের বেশি প্রয়োজন। আর কোন চাহিদাটা পরে পূরণ করলেও চলবে। আমাদের যদি কোন কিছু পছন্দ হয় তাহলে আমরা হুট করেই সেটা কিনে ফেলি।
আপনার যখন হুট করে কোন কিছু কেনার ইচ্ছা হবে তখন আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন এই শখ টি পূরণ করতে হলে আপনার জমানো টাকা থেকে কতগুলো কমে যাবে। সেটা মনে করায় দেবে তখন আপনি চিন্তা করবেন যে বড় টিভি কেনা এখন আদৌ আপনার জরুরী কিনা। যখন আপনার হাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকবে এবং জমানো টাকা থেকেও খরচ করতে হবে না তখন টিভি কেনার কথা চিন্তা করতে পারেন।
নগদ টাকা ব্যবহার করুনঃ বর্তমান সময়ে আমাদের সবার কাছেই ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড থাকে। কিন্তু খরচের সময় যতটা সম্ভব কার্ড এড়িয়ে চলা ভালো। এতে খরচ করার মন মানসিকতা বাড়ে। ক্রেডিট কাডের ক্ষেত্রে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে দেরি হলে অনেক রকমের ঝামেলা হয়। কিন্তু নগদ টাকায় কেনাকাটা করলে এসব ঝামেলা হয় না।
খরচ করার সময় মানিব্যাগের হিসাব ঠিকঠাক থাকে। যদি নিতান্তই নগদ টাকা কাছে না থাকে তাহলে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
আগে সঞ্চয় করুন পরে খরচ করুনঃ আপনার আয় কম বা বেশি যেরকমই হোক না কেন মাসের শুরুতেই সেই টাকাকে ৫০, ৩০ এবং ২০ এর অনুপাতে ভাগ করুন। ৫০ ভাগ টাকা অতি প্রয়োজনীয় খরচের জন্য (বাড়ি ভাড়া, বিল, খাবার ইত্যাদি) ৩০ ভাগ বিনোদন এবং অন্যান্য খরচের জন্য রাখুন এবং ২০ ভাগ সঞ্চয় করুন। যদি এই অনুপাত আপনার মনের মতো না হয় তাহলে নিজের মতো করে বন্টন করে নিন। তবে মাসে শুরুতেই কিছু টাকা জমানোর অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী।
জেনে বুঝে বিনিয়োগ করুনঃ টাকা জমানার পাশাপাশি তা যদি আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আরো ভালো। এতে করে কিছু বাড়তি টাকা আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বুঝেশুনে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা এমন অনেক প্রলোভন কারী রয়েছে যারা অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করার কথা বলে থাকে।
এগুলোতে টাকা বিনিয়োগ করবেন না। শুরুতে বেশি টাকা বিনিয়োগ না করে অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন সেটা ছোট ব্যবসা হতে পারে, স্টক মার্কেট বা বন্ড হতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই অল্প পরিমানে করতে হবে। যাতে ক্ষতি হলেও বড় কোন বিপদে না পড়েন।
খরচ কমানোর চেষ্টা করুনঃ প্রতিটি সংসারে মাসিক কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটার প্রয়োজন পড়ে। তার মধ্যে কাচাবাজার বাদ দিয়ে অন্যান্য জিনিসপত্র একসাথে কেনার চেষ্টা করুন। কারণ বারবার কিনতে গেলে খরচ বেশি হয়। এছাড়াও খেয়াল করেন কোথাও যদি ছাড়ে বিক্রি হয় তাহলে সেখান থেকে জিনিসপত্র কিনুন। ছাড়ে কিনতে গিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিনে ফেলা যাবে না। এভাবে মাসিক বাজার থেকে কিছু টাকা জমানো সম্ভব।
বুঝে উপহার দিন: বিভিন্ন উৎসবে অনুষ্ঠানে আমরা কাছের মানুষদের উপহার দেই। উপহার দেয়ার আগে অবশ্যই বাজেট করে নিতে হবে। নিজের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি বাজেট তৈরি করুন। নিজের সামর্থের চেয়ে দামি উপহার দিয়ে নিজের পকেটে টান ফেলার কোন মানেই হয় না। যদি একবারে সবাইকে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ভাগ ভাগ করে দিন। প্রয়োজনে ছোট ছোট উপহার দিন।
লোকের কথায় কান দেওয়া যাবে না: আমাদেরকে অনেক সময় হিসেব করে চলার কারণে নানা রকমের টিপ্পনি শুনতে হয় যেমন হিসেবি, কিপটে এগুলো। কিন্তু কিছু টাকা সঞ্চয় করে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে জীবন যাপন করা লজ্জার কিছু নয়। আপনি হয়তো বেহিসাবি খরচ করলে তাৎক্ষণিক বাহবা পেতে পারেন। কিন্তু অসময়ে কাউকেই পাশে পাবেন না।তাই লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজে টাকা জমান।
ঘরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন: আমরা অনেকেই বাইরের খাবার খেতে খুব ভালোবাসি। কর্মক্ষেত্রে গেলেও বাইরের খাবার কিনে খাই। কিন্তু এটা আমাদের খরচ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এর চেয়ে ভালো হবে যদি আমরা বাসার খাবার খাই। এতে টাকাও বাঁচবে আবার স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে পারব। ঘরে তৈরি করলে খাবারের খরচও কমে। অফিসে যদি খাবারের ব্যবস্থা থাকে তাহলে সেটাই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
উপরিক্ত উপায় গুলো যদি আপনি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পরে দেখবেন আপনার ব্যবসার জন্য টাকা জমানো হয়ে গেছে। তখন আপনি ছোট করে একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং তা আস্তে আস্তে বড় করতে পারবেন।
ঘরে টাকা আসার উপায়
ঘরে টাকা আসার উপায় একথাটি শুনলেই আমরা মনের মধ্যে একটি অন্যরকম উৎসাহ এবং আনন্দ অনুভব করি। টাকা আমাদের সকলের জীবনে অপরিহার্য। টাকার জন্য আমরা আমাদের জীবনমান উন্নত করতে পারি। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি এবং ভবিষ্যতের জন্য জমা করতে পারি। বর্তমান সময়ের ঘরে টাকা আসার নানা রকম উপায় রয়েছে। যেমন কিছু ঐতিহ্যবাহী উপায় রয়েছে, কিছু অনলাইন উপায় রয়েছে, অফলাইন মাধ্যম রয়েছে। চলুন ঘরে টাকা আসার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ঐতিহ্যবাহী উপায়
চাকরি: ঘরে টাকা আসার সবচেয়ে সহজ এবং ঐতিহ্যবাহী উপায় হলো চাকরি করা।
ব্যবসা: আপনার যদি নিজস্ব একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে আরো বেশি পরিমাণ টাকা আসার সম্ভাবনা থাকে।
কৃষি: কৃষি কে বাংলাদেশের মেরুদন্ড বলা হয়। আপনার যদি কৃষি কাজের অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ঘরে টাকা নিয়ে আসতে পারেন।
পশুপালন: পশুপালনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই টাকা রোজগার করতে পারেন। পশুপালন একটি লাভজনক ব্যবসা।
জনপ্রিয় অনলাইন উপায়
ফ্রিল্যান্সিং: বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে আপনি আপনার দক্ষতাকে ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং: একটি ব্লগ তৈরি করে বিজ্ঞাপন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
youtube: একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে এবং বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব।
অনলাইন ব্যবসা: আপনি একটি অনলাইন ব্যবসা দাঁড়িয়ে খুব সহজেই আপনার পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ঘরে টাকা আসার জন্য আপনি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ এবং বিনিয়োগের পরিমাণ এর উপরে নির্ভর করে যেকোনো একটি উপায় বেছে নিতে পারেন।
অফলাইন মাধ্যম
- আপনি যদি গান গাইতে পারেন তাহলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
- আপনি যদি নাচ করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে টাকা আয় করা সম্ভব।
- আপনার যদি কোন বিষয়ে ভালো জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে আপনি টিউশনি করেও টাকা আয় করতে পারেন।
- আপনি যদি হস্তশিল্পে পারদর্শী হন তাহলে আপনি আপনার তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন।
- আপনি যদি খুব ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে খাবার বানিয়ে তা বিক্রি করে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
শুধু এই তালিকায় নয় এর বাইরে আরো অনেক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনার উপযুক্ত উপায়টি আপনাকে বেছে নিতে হবে।
ব্যাংকে টাকা জমানোর নিয়ম
অনেকেই ব্যাংকে টাকা জমানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা ব্যাংকে টাকা জমানোর নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। ব্যাংকের টাকা জমানোর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। যেমন-
সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব: এটি খুবই সাধারণ একটি একাউন্ট। এই একাউন্টে আপনি যেকোনো সময় টাকা জমা রাখতে পারেন এবং যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন করতে পারেন।
কারেন্ট একাউন্ট: কারেন্ট একাউন্ট সাধারণত ব্যবসার জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টে যে কোন সময় টাকা জমা রাখা যায় এবং উত্তোলন করা যায়।
ফিক্সড ডিপোজিট: ডিপোজিট এমন একটি অ্যাকাউন্ট যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখা হয়। এবং ওই সময়ের মধ্যে আপনি সেই একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
রিকারিং ডিপোজিট: রিকারিং ডিপোজিট একাউন্টে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখা যায়।
আপনার প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলবেন এবং টাকা জমা রাখবেন তা বেছে নিতে পারেন।
টাকা বিনিয়োগ করার উপায়
কম বা বেশি যাই হোক না কেন আমাদের সবার কাছে কিছু না কিছু টাকা থাকে। এবং আমরা সবাই চাই যা টাকা আছে তা থেকে তাড়াতাড়ি বেশি টাকা হোক। কিন্তু টাকা তো এমনি এমনি বারেনা। টাকা বাড়ানো মানে সোজা কথায় টাকার সাহায্যে বা টাকা বিনিয়োগ করে টাকা আয় করা। বিশ্বের যত বড় বড় লোকেরা রয়েছে তারা কিন্তু এভাবে বড়লোক হয়েছে।
এবং তারা দিনে দিনে আরও বড়লোক হচ্ছে এই উপায়টি অবলম্বন করে। টাকা বাড়ানো মানে টাকা আরো জমা করা নয়। টাকা দিয়ে টাকা বাড়ানো মানে জমানো বা প্রয়োজনের উপরে টাকা বিনিয়োগ করে টাকা করা। টাকা বিনিয়োগ করার উপায় গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
- সরাসরি ইকুইটি বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা
- ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইটিএফ করা
- ডেড (ঋণ) মিউচুয়াল ফান্ড এবি নিয়োগ
- এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম
- পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড
- সরাসরি গভর্নমেন্ট বন্ড
- ইউনিট লিংক ইন্সুরেন্স প্ল্যান
- জমি বা বাড়ি কিনে রাখা
- সোনা কিনে রাখা
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ব্যবসার টাকা জমানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটে আপনাদের জন্য উপকারী হবে। যদি আমাদের লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের লেখা সম্পর্কে কোন মতামত জানানোর থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url