গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ - মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। আমরা সেই সকল কারণগুলো আজকে জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ গুলো কি।
ভূমিকা
গর্ব অবস্থায় বেশিরভাগ মায়েরা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। এই সময়টা নারীদের জীবনে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত একটি সময় এবং খুবই জটিল একটি সময়। একটি মহিলা মা হতে চলেছে এটা তার জন্য যেমন সুখবর এবং পরম প্রাপ্তির। কিন্তু এই ধরনের ব্যথা এই সময়টাকে খুবই কষ্টকর করে তোলে। অনেকের জন্য এই ব্যথা তেমন সমস্যা নাও হতে পারে।
আবার কারো কারো জন্য এটি মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেই সাথে মহিলাদের কোমর ব্যাথার ব্যায়াম এবং প্রতিকার নিয়েও আলোচনা থাকবে। তাহলে চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ
গর্ভকালীন সময়ে প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে প্রায় ৮০ জন নারী কোমর ব্যাথায় ভুগে থাকে। বিশেষ করে শেষ তিন মাসের ব্যথা অনেকটাই বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকেও ব্যাথা হতে পারে। গর্ভের শিশু যেদিকে থাকে সেদিকে সচরাচর ব্যাথা একটু বেশি হয়। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ গুলো জানব।
কারন
হরমোনাল কারণঃ প্রোজেস্টেরন এবং রিলাক্সেশন হরমোন গর্ভবতী নারীর অস্থি সন্ধির হাড় গুলোকে নরম এবং ঢিলে করে দেয়। এর কারণ হচ্ছে সন্তান জন্মদানের জন্য মায়ের শরীরকে প্রস্তুত করা হয়। অস্থি সন্ধির এই পরিবর্তনের কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
জরায়ুর আকার পরিবর্তনের ফলেঃ গর্ভবতী মহিলাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জরায়ু ও বড় হতে থাকে। এই হতে পারে কোমরে ব্যথা।
ওজন বৃদ্ধির কারণেঃ গর্ভবতী মহিলাদের ওজন অনেক বৃদ্ধি পায়। এ ওজন বয়ে বেড়াতে গিয়ে কোমরের হাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের লক্ষণ
রাউন্ড লিগামেন্ট এর কারনেঃ আমাদের পেলভিশে রাউন্ড লিগামেন্ট রয়েছে। জরায়ু বড় হয় সাথে সাথে রাবারের মতো বড় হয়ে যায় এবং পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে হালকা নড়াচাড়া করলে ব্যথা পাওয়া যায়।
করণীয়
- গর্ভবতী মহিলাদের ও কোমর ব্যথার কারণ গুলো সম্পর্কে আমরা জানলাম। এবার চলুন করণীয় সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক।
- আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার বিভিন্ন পেশি শক্ত এবং মজবুত থাকবে। যারা ব্যায়াম করে তারা কোমর ব্যথার সঙ্গে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
- শারীরিক পরিবর্তণ এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোমরের হাড়ে সবসময় চাপ থাকে। তাই অনেকক্ষণ বসে কোন কাজ না করে নির্দিষ্ট সময় পরপর একটু হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করুন।
- একটানা বসে থাকলে কোমর ব্যথা আরো বাড়বে।
সতর্কতা
- নড়াচড়া বা চলাফেরা কোন সময় তাড়াহুড়া করবেন না। বসে থেকে উঠলে কিংবা দাঁড়িয়ে থেকে বসতে গেলে আসতে ধীরে বসুন।
- এ সময়েও কোন ভারী জিনিসপত্র তুলবেন না। এরপরও যদি করতে হয় তাহলে প্রথমে হাঁটু ভেঙ্গে বসুন। এবার ধীরে ধীরে জিনিসটা আস্তে করে তোলেন। কোন ভাবে দাঁড়িয়ে কোমর বাঁকা করে কিছু তুলতে যাবেন না।
- ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত বালিশ দিয়ে পিঠে সাপোর্ট দিয়ে ঘুমান। পেটের নিচে বালিশ দিতে পারেন। চেষ্টা করুন যে কোন এক পাশ ফিরে ঘুমাতে। কোন সময় চিত হয়ে ঘুমাবেন না।
মহিলাদের কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
- ব্যথার স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিলে ব্যথা অনেকটাই কমে। যদি আইস ব্যাগ না থাকে তাহলে একটি সুতি কাপড়ের বরফ মুড়ে সেঁক দিতে পারেন। এছাড়াও গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিলে ভালো ফল পাবেন। প্রতিদিন অন্ত ১০ মিনিটে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা দেয়া যাবে না।
- গর্ভাবস্থায় যেহেতু পেট অনেক বেড়ে যায়। তাই এই সময় সোজা হয়ে হাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব সোজা হয়ে হাঁটার জন্য। এতে কোমরের চাপ অনেকটাই কমবে।
- কোমর ব্যথা দূর করতে ম্যাসাজ ও ভীষণ উপকারী। যখন খুব বেশি ব্যথা হবে তখন খালি হাতে কোমরে হালকা ম্যাসেজ করতে পারেন। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ম্যাসাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথা খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। এ সকল ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে পুরোপুরি কোমর ব্যথূ নিরাময় না হলেও ব্যাথার তীব্রতা অনেকটাই কমবে।
কোমরের বাম পাশের ব্যাথার কারণ
আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা কোমরের বাম পাশের ব্যাথার কারণ কি সেগুলো জানব। বিভিন্ন কারণে কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়। সকলের সুবিধার্থে কোমরের বাম পাশে ব্যথার কারণ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম ।
গর্ভধারণ করলেঃ গর্ভধারণ করলে ভ্রুনের বৃদ্ধি এবং আশেপাশের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো পরিবর্তন হয়। আর স্নায়ু গুলো সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়।
সায়াটিকা নার্ভঃ সায়াটিকা নার্ভ মেরুদন্ডের নিচের দিকের একটি বড় আকারের নার্ভ। যদি স্পাইনাল কর্ডের ডিস গুলো হারনাইটেড হয়ে যায় তাহলে এটি সায়াটিক স্নায়ুকে সংকুচিত করে ফলে এবং এর উপরে চাপ দেয়। ফলে কোমরের বাম দিকে একটি তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
অস্টিওপোরোসিসঃ অস্টিওপোরোসি শরীরের হাড়কে দুর্বল করে তোলে এবং ভঙ্গুর করে দেয়। এর ফলে হাড় ঘন ঘন ফ্যাকচার হয় এবং কম্প্রেশন হয়। এ অবস্থায় ভেতর অস্বাভাবিক বক্রতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আস্তে আস্তে মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যায়। যার ফলে স্নায়ু গুলো গুলো প্রভাবিত হয় এবং কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়।
ফিব্রমিয়াগ্লিয়াঃ এটা এমন এক ধরনের রোগ যার ফলে পেশিতে ব্যাথা হয় পাশাপাশি ক্লান্তি ,অনিদ্রা, মেজাজ পরিবর্তন এবং মেমরি লস হতে পারে।
ডিম্বাশয় সিস্টঃ অনেক সময় মহিলাদের ডিম্বাশয় এর মধ্যে সিস্ট গঠিত হয়, এটি ডিম্বাশয়ের সিস্ট হিসেবে পরিচিত। ডিম্বাশয় সিস্ট এর উপস্থিতির ফলে কোমরের বাম দিকে ব্যথা হয় অনেক। সময় সিস্টগুলোকে সরিয়ে ফেলার জন্য অপারেশন করা হয় যার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়।
গ্যাস্ট্রলাইসিসঃ গ্যাস্ট্রলাইসিসের কারনে পেটের অভ্যন্তরে ব্যথা হয়। এতে জ্বালাপোড়া এবং পেটের বাম দিকে বা ডানদিকে ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। যার ফলে কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়।
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনঃ যে সকল মহিলারা বেশি সন্তান গর্ভধারন করেন তাদের এ সমস্যাটা বেশি হয়। অনেকবার গর্ভধারণের ফলে মূত্রনালী সংক্রমণ হয়ে যায়। যার ফলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় কোমরের বাম পাশে ব্যথা হয়।
এছাড়াও কিছু কারণে কোমরের বাম পাশে ব্যথা হতে পারে। যেমন কিডনিতে পাথর, ডাইভারটিকুলাইসিস, আলসার, প্যানক্রিয়াটাইসিস, কোন প্রকার টান পড়লে, কোন ভারী জিনিস তোলার সময়, কোন ব্যায়াম করার সময়, এসব কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ
শতকরা প্রায় 90 ভাগ মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় কোমর ব্যথা সমস্যায় ভুগে। কোমর ব্যথা নিজে কোন অসুখ নয় কিন্তু এটি নানা রকম রোগের সংকেত দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ ।
- কোমরে পাঁচটি হার রয়েছে কোমরের হাড় গুলো যদি বয়সের কারণে বাঁকা হয়ে যায় তখন কোমর ব্যথা হতে পারে।
- আইপিএল আইডি কোমর ব্যথার একটি অন্যতম কারণ এটি 25 থেকে 40 বছর বয়সের মানুষের বেশি হয়। মানুষের হাড়ের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গা থাকে এটি পূরণ থাকে তালের শ্বাসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। এতে চাপের ফলে ও কোমর ব্যথা হতে পারে। এটি খুব বড় একটি সমস্যা।
- আপনি পূর্বে যদি কোন বড় আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে কোমর ব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি বুকে ব্যথা হয়। যদি আপনার আগে কখনো যক্ষা হয়ে থাকে তাহলে কোমর ব্যথাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন।
- ক্যান্সার, অষ্ট্রপোরোসিস, এইডস, স্টেরয়েড এর সমস্যা এগুলো থাকলে কোমর ব্যথা অবহেলা করা একদমই ঠিক নয়।
- কোমর ব্যথা অল্প থাকতে এর চিকিৎসা নিয়ে সারিয়ে তোলা উচিত। তা না হলে বড় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম
কোমরে যখন খুব বেশি ব্যথা থাকে তখন ব্যায়াম করা সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যথা যখন একটু কম থাকে তখন ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে উপকৃত হবেন। কোমরে ব্যথা থাকলে অবশ্যই ব্যায়াম এর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এই সময় ব্যায়াম করলে কাজে দিবে। সাধারণত খুব বেশি ব্যথা হলে ৫-৭ দিন পর স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়।
ব্যায়াম করলে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করলে সাধারণ কারণে যদি কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে অনেকটাই কমে যাবে।
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটো শরীরের দুপাশে রাখতে হবে। পা দুটো সোজা করে শুয়ে পড়তে হবে। হাটু ভাজ না করেই এক পা উপরের দিকে তুলতে হবে। ১০ সেকেন্ড এভাবে থাকতে হবে। এরপর অন্য পা টিও একইভাবে উপরে তুলতে হবে। এরপর দুটি পা একসঙ্গে তুলতে হবে। এবার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন।
১০ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। তারপর অন্য হাটু ১০ সেকেন্ড এভাবে চেপে ধরে রাখুন। তারপরে দুই হাটু একসঙ্গে ভাজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে থাকুন। সর্বশেষে শরীর সোজা করে পায়ের পাতার দিকে করে ১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি স্টেপ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ২-৩ বার করে করতে হবে। এতে করে কোমরের মাংসপেশীর ইনফ্লামেশন কমবে। কোমর শক্ত হবে। এছাড়াও অন্য ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।
মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার
মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার সম্পর্কে এবারে আমরা জানবো। মহিলাদের কোমরে ব্যথা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ কোমর ব্যথার পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। রোগীর কোমর ব্যথা কি কারনে হয়েছে, কোথায় হচ্ছে এবং কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায় কি সবকিছু জানার জন্য একজন চিকিৎসকের অবশ্যই প্রয়োজন।
তবে চিকিৎসার পাশাপাশি যে সকল ঘরোয়া উপায়ে কোমর ব্যথা দূর করা সম্ভব সেগুলো তুলে ধরা হলো।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার ফলে শরীরের অন্য রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
- এক জায়গায় অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হয়। তাই একটু পরপর জায়গা চেঞ্জ করুন এবং হাঁটার চেষ্টা করুন। বসার সময় অবশ্যই ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল করে বসতে হবে।
- নরম বিছানায় ম্যাট্রেস কিংবা ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না। চেষ্টা করবেন শক্ত বিছানায় ঘুমানোর জন্য।
- অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে সঠিক ওজন বজায় রাখুন।
- কালোজিরা, রসুন এবং মেথি ভালোমতো সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিন। তারপর হালকা গরম থাকতে কোমরে তেলটি দিয়ে মাসাজ করুন। এটা রাতে ঘুমানোর আগে করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন।
- তলপেট কিংবা কোমরের ব্যথার ক্ষেত্রে গরম পানির ব্যাগ অত্যন্ত উপকারী। দিনে ২-৩ বার গরম সেঁক দিতে পারেন।
- নিয়মিত আদা চা খেলে কোমরের ব্যথা কমতে সহায়তা করে।
এত কিছু করার পরেও যদি আপনার কোমরে ব্যথা না কমে তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন কোমরের ব্যথা সাধারণ কোন বিষয় না। এটা চিকিৎসকে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
শেষ কথা
মহিলা এবং পুরুষ সকলেরই কোমর ব্যথা হতে পারে। কিন্তু মহিলাদের কোমরে ব্যথা হলে এটি নিয়ে বসে থাকা উচিত নয়। ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি চিকিৎসা নিলে খুবই ভালো হয়। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ, মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে।
যদি আপনার কাছে আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের কাছে শেয়ার করুন। আমাদের লেখা সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url