কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ - কোমরের মাঝখানে ব্যথার কারণ

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বেশিরভাগ সময়ে কোমর ও পায়ের ব্যথার প্রকৃত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। আজকে আমরা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।
কোমর ও পায়ের ব্যথা
আপনি যদি অনেকদিন যাবৎ কোমর ও পায়ের ব্যথায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই তা চিন্তার কারণ। তাছাড়া প্রায় সময় যদি আপনি কোমর ব্যথায় ভোগেন তাহলে তা বিপদের সংকেত। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা আপনার জন্য জরুরী।

ভূমিকা

মানুষের বয়স যত বাড়ে তার শরীরে অসুখের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। অনেকের অল্প বয়সে কোমর ব্যথা এবং পায়ে ব্যথা হয়। হাটতেও কষ্ট হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটি আরো বিপদজনক। পায়ে ব্যথাও খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। 

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ, কোমরের নিচে ব্যথার কারণ, কোমর ব্যথা সারানোর সহজ উপায়, কোমরের মাঝখানে ব্যাথার কারণ এই সবগুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

কোমরের নিচে ব্যথার কারণ

কোমরের নিচে ব্যথা বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন কিছু সমস্যা জন্মগতভাবে হতে পারে। জন্মের সময় তারা মেরুদন্ডে কিছু ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়। অথবা মেরুদন্ডে কিছু ত্রুটি থাকে যা পরবর্তী সময়ে বাচ্চা বসে, হাটে কিংবা দৌড়াই তখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আবার এই বাচ্চা যখন আরেকটু বড় হয় তারা দৌড়াদৌড়ি করে, খেলাধুলা করে তখন তাদের এনজুরি হতে পারে। 

এই ইঞ্জুরি বিভিন্ন জায়গাতে হতে পারে। এজন্য তাদের লো ব্যাক পেইন হয়। এই বাচ্চাগুলো যখন আবার প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন তাদের কোমরের নিচে ব্যথার মূল কারণ হলো ডিস প্রলেক্স। অনেক সময় ডিসপ্রোলেকস এর প্রয়োজন পড়ে না। কারণ তার বসার পজিশনের জন্য কোমরের নিচে ব্যথা হয়। 

যেমন অনেক সময় ধরে বসে থাকা কিংবা অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে মেরুদন্ডে একটি গ্রাফ হলে মেকানিক্যাল কারণে কোমরের নিচে ব্যথা হয়ে থাকে। শরীরকে অনেক সময় ধরে একই পজিশনে রাখলে লো ব্যাক পেইন দেখা দেয়। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু হরমোনাল চেঞ্জ হয় যার ফলে ঘাড়ে এবং কোমরের নিচে ব্যথা হয়। 
কিন্তু ঘাড়ের ব্যথার চেয়ে কোমরের ব্যথা অনেক বেশি হয়। মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এখন ছেলেদের ও কোমরের নিচে প্রায় ব্যথা দেখা যায়। বিভিন্ন রকম অসুস্থতার কারণেও এবং কোমরের ব্যথা হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন থেকে ব্যথা হয়। ৫০ বছর বয়সের পরে প্রায় ৯০% মানুষ আপ লো ব্যাক পেইনে ভূগে থাকে। 

আমাদের দেশে কোন জরিপ করা নেই কিন্তু ইউকে বা ইউএসএতে এর পরিমাণ অনেক বেশি। ইউকে তে বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ তাদের ওয়ার্ক প্লেসে কাজ করতে পারে না শুধুমাত্র লো ব্যাক পেইনের কারণে। ইউএসএ তে এর পরিমাণ আরও বেশি। সেখানে ১৫০ বিলিয়ন মানুষ লো ব্যাক পেইন এ ভুগে।

কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি অনেক সময় ধরে বসে থাকেন তাহলে আপনার কোমর ব্যথা এবং হাঁটতে গেলে পা ভার ও ঝিনঝিন করে। বেশি হাঁটলে কিংবা দৌড়ালে ব্যাথার তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। 

এ সকল রোগীদের দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের যদি এই সমস্যা হয় তাহলে তারা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যান এবং বছরের পর বছর ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ওষুধ খান। কোমর এবং পায়ের ব্যায়াম করেন এরপরও যদি ব্যথা না কমে তাহলে তারা হতাশ হয়ে পড়ে এবং নিজেরাই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ব্যথার ওষুধ, নার্ভের বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধ ও মাংসপেশি শিথিল করনের ওষুধ খান। 
ওষুধ খেতে খেতে একসময় গিয়ে তাদের পা এবং আঙ্গুল কালো বর্ণের হয়ে যায় এবং ঘা হয়। তখন সারজনের কাছে গেলে তারা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন কোমর ও পায়ের ব্যাথার কারণ কি? কেন হয়? এ ব্যথা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তলপেট এবং পায়ে থাকে কোলেস্টেরল এবং ক্যালসিয়াম জমা হয়ে সংকুচিত করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত সরবরাহ করতে বাধা দেয়। 

ফলে মাংস পেশি হাড় এবং নার্ভ পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পায় না। ফলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং চলাফেরাই সমস্যা হয় যারা। ধূমপায়ী ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তারা তামা গ্রহণ করেন এবং কায়িক পরিশ্রম করেন না। কিংবা কোনরকম ব্যায়াম করে না। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অল্প সময়ে বিরাট আকার ধারণ করে ফেলে। 

বিভিন্ন রকম পরীক্ষার মাধ্যমে কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ নির্ণয় করা যায়। যেমন পায়ের কালার ডপলার সিটি ও এমআর এনজিওগ্রাম করে এই সমস্যা সহজে নির্ণয় করা সম্ভব। হার্টের ব্লকের মত পায়ের ব্লকেও স্টেনরিং বসানো হয় এবং প্রস্থেটিক ড্রাফট করা হয়। ভাস্কুলার সার্জন গন এ রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি

কোমরের দুই পাশে ব্যাথার কারণ কি? এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। কোমরে দুই পাশে ব্যথার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে পেশিতে আঘাত, ডিস্ক প্রলাপস, অস্টিওপলোসিস, ক্যান্সার ইত্যাদি কারণে কোমরের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে। তীব্রতা অনুযায়ী ব্যথার কারণ।

তীব্র কোমর ব্যথাঃ এটি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথাঃ এটি তিন মাসের বেশি সময় ধরে থাকে। নানা রকমের কারণ থাকতে পারে।

পেশিতে আঘাতঃ হঠাৎ করে কোন বাঁকানো, মোছড়ানো বা ভারি কোন বস্তু তোলার ফলে পেশিতে আঘাত লাগতে পারে। ফলে কোমর ব্যথা হয়।

অন্যান্য চিকিৎসার কারণেঃ অন্যান্য চিকিৎসার পার্শ প্রতিক্রিয়া হিসেবে ও কোমরে দুই পাশে ব্যথা হতে পারে। যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সিনড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং গুরুতর সংক্রমণ।
অপারেশনের কারণেঃ অপারেশনের কারণেও কিছু কিছু কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।

জন্মগত কারণঃ এই ব্যথাটি জন্মগত ত্রুটির ফলে হয়। 

কোমরের দুই পাশের ব্যথার কারণ প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ভারী বস্তু উত্তোলনের সময় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে, সঠিক আসবাবপত্র ব্যবহার করতে হবে ও বিশ্রাম করতে হবে, ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিতে হবে। কিছু কিছু লোক মনে করেন যে গ্যাস্ট্রিকের কারণে কোমরের দুই পাশে ব্যথা হয় । 

এটি সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। যা কখনো কখনো কোমরের দুই পাশে ছড়াতে পারে। আপনার যদি কোমরের দুই পাশে ব্যথা হয় তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করুন। আপনার শরীরের অবস্থানের প্রতি আপনি গভীরভাবে মনোযোগ দিন। যদি ব্যথা বুঝতে পারেন তাহলে বিশ্রাম নিয়ে শরীরকে সুস্থ হতে দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। কারণ ঘুম আপনার শরীরকে সুস্থ হতে সহায়তা করবে। পুষ্টিকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয়

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয়। কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ কি এ বিষয়ে আমরা জেনেছি। এবার কোমরে ডান পাশে ব্যথা কেন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত জানবো। আপনার কোমরের নিচে ডান পাশে ব্যথা আপনার মেরুদন্ড পিঠের নরম টিস্যু এবং অন্তর্নিহিত অবস্থার সমস্যার কারণে হতে পারে। 

অনেক সময় ব্যথা কোমর থেকে পিঠে ছড়িয়ে যায়। অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা থাকলে ডান পাশে ব্যথা হয়। তবে ডান কোমরের নিচের দিকে ব্যাথা হলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত বলা হলো।
কিডনিতে পাথর হলেঃ কিডনিতে পাথর হলে মেরুদন্ড সম্পর্কিত কোমরে ব্যথা হয়। ছোট ছোট কিডনি পাথরগুলো মুত্রনালীর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এই ব্যথা হয়। কিডনির অবস্থানের উপরে নির্ভর করে ব্যথা কোমরের ডানে বামে হতে পারে।

পিত্তথলিঃ শরীরের ডান দিকে যকৃতের ঠিক নিচে পিত্তথলি রয়েছে। পিত্ত থলিতে পাথর হলে কমরের ডান দিকে ব্যথা হয়।

আর্থ্রাইটিসঃ ফ্যাসেড জয়েন্ট প্রাইস যেখানে হার্টের স্পেস তৈরি হয় সেখানে থাকে এই স্বাভাবিক হাড়ের বৃদ্ধি অধ্যায়টিস আগে ট্রমা বা অন্য কোন কারণেও হতে পারে। যখন স্পার্স ডানদিকের জয়েন্টে দিকে যায় তখন কোমরের ডান দিকে ব্যথা হয়।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসঃ অ্যাপেন্ডিসাইটিস ব্যথা সাধারণত পেটের মাঝখান থেকে শুরু হয় এবং কয়েক ঘন্টা পরে ব্যথা নিচে ডান দিকে চলে যায়। যেখানে অ্যাপেন্ডিক্স থাকে এবং সেখানে তীব্র ব্যথা হয়। এই অংশের চাপ দিলে কাশি কিংবা হাঁটলে ব্যথা আরো বেশি হয়।

স্যাক্রিলিয়ার জয়েন্ট ডিসঅর্ডারঃ স্যাক্রিলিয়ার জয়েন্ট পেলভিসকে সাক্রাম এর সাথে যুক্ত করে। নিচের মেরুদন্ড এবং তেলবনের মধ্যে ত্রিভুজ আকার হাড় রয়েছে। এ জয়েন গুলির লুপিং বা অস্বাভাবিক নড়াচড়ার কারণে কোমরের ডান পাশের ব্যথা হতে পারে।

স্কলিওসিসঃ স্কুলিওসিস হল মেরুদন্ডের বক্রতা। অস্বাভাবিক বাঁকা হলে বেশি টানটান হয় এবং মেরুদন্ডের একাংশ অতিরিক্ত প্রসারিত হতে পারে এবং অন্য অংশ সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোমরে ডান পাশে ব্যথা দেখা যায়।

কোমরের মাঝখানে ব্যথার কারণ

৯০% মানুষ জীবনে কোন না কোন সময় পিঠ এবং কোমরের ব্যথায় ভুগে থাকে। স্বল্প মেয়াদি ব্যথা হলে এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথা এক মাসের বেশি থাকে। উপযুক্ত চিকিৎসা নিলে ৯০% রোগী দুই মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কোমরের মাঝখানে ব্যথার কারণ গুলো এবার আমরা জানবো।
  • অনেকক্ষণ চেয়ারে একটানা বসে কাজ করার ফলে পিঠ এবং কোমরের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে ।তাই একটানা না বসে থেকে মাঝে মাঝে একটু হাঁটুন।
  • গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ নারীর কোমরের মাঝখানে ব্যথা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভ অবস্থায় শরীরের ওজন বাড়ে, ভারী হয়ে যায়। তাই পেশি এবং সন্ধির উপরে চাপ বাড়ে। ফলেই ব্যথা হয়।
  • অস্টিওপোরোসিস রোগের কারণে কোমরের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ওজনের কারণে ব্যথা হয়। এজন্য ওজন কম রেখে কিছুটা হালকা ব্যায়াম করলেও উপকার হবে।
  • আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে। নানা রকম ডিভাইস এবং গ্যাজেটের সঙ্গে আমাদের দিন কেটে যায়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, অফিসের কাজে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ব্যবহার করে। এর জন্য নতুন করে কোমরের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। 
মনে রাখতে হবে ব্যথা কোন রোগ নয়।বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। কোন ব্যথা কেই কোন ভাবে অবহেলা করা যাবে না এবং ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে অল্প অল্প ব্যথা গুলো যদি দমিয়ে রাখেন তাহলে পরবর্তী সময়ে এটি অনেক বড় আকার ধারণ করে আপনাকে আরো বেশি বিপদে ফেলে দিতে পারে।

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

বেশিরভাগ কোমর ব্যথার কোন প্রকৃত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রয়োজনীয় ওষুধ আর ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমর ব্যথা তিন মাসের মধ্যে সারিয়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় ধরে যদি আপনি কোমর ব্যাথায় ভুগে থাকেন তাহলে তো অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তাছাড়া ও প্রায় সময় যদি আপনি কোমর ব্যথায় ভোগেন তাহলে তা বড় কোন বিপদের সংকেত হতে পারে।

কোমর ব্যথা সারিয়ে তোলার সহজ কিছু উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ম্যাজিকের মত কোমর ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন যদি কোমর ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হালকা গরম সেঁক দিনঃ কোমরের যেখানে ব্যথা রয়েছে সেখানে হালকা গরম করে কাপড়ের সেঁক দিতে পারেন। গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সেঁক দেওয়া যায়। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে এবং আরাম পাওয়া যায়।

তেল মালিশ করুনঃ রসুন, মেথি এবং কালোজিরা সরিষার তেলে ভালোভাবে ভেজে নিন। এই তেলটি একটি পাত্রে রেখে হালকা গরম থাকা অবস্থায় কোমরের ব্যথাযুক্ত জায়গায় মালিশ করুন। দেখবেন ম্যাজিকের মত ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

আদা খানঃ কোমর ব্যথা কমাতে আদা খেতে পারেন। আদাতে পটাশিয়াম নার্ভের সমস্যা দূর হয়। এতে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ব্যায়াম করুনঃ অনেক সময় ধরে বসে কাজ করলে, বসা থেকে উঠতে গিয়ে মাঝে মাঝে কোমর করতে পারে। এজন্য কোমর ভাঁজ করে কিছু শরীরচর্চা করা যায়। তবে মাটিতে বসে কখনো কাজ করবেন না।

শক্ত বিছানায় ঘুমানঃ নরম ম্যাট্রেস কিংবা ফোমের বিছানায় কখনোই ঘুমাবেন না। এতে করে কোমরে ব্যথা আরও বাড়বে।

এছাড়াও এলোভেরা, লেবু, হলুদ এগুলো খেলে কোমর ব্যথা কমে। ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় যে সকল খাবার রয়েছে যেমন- ঘি, দুধ, পনির, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমর ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনার 

আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যাতে করে যারা কোমর ব্যথার সমস্যায় ভুগে তারা তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এতক্ষণ যাবত ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে কোন একটি নতুন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url