কোন কোম্পানির রাউটার ভালো বিস্তারিত জানুন

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোন কোম্পানির রাউটার ভালো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি কোন কোম্পানির রাউটার ভালো এই সম্পর্কের বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রাউটার
আর্টিকেলের মধ্যে কোন কোম্পানির রাউটার ভালো এবং 4g পকেট রাউটারের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অনেক। আমরা সবাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। এই ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আমাদের রাউটার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। রাউটার কেনার সময় কোন কোম্পানির রাউটার ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাউটার কেনা উচিত। কেননা তাতে ইন্টারনেটের স্পিড অনেকটাই নির্ভর করে। 

এই সকল কথা চিন্তা করে আমরা আজকে আর্টিকেলের মধ্যে কোন কোম্পানির ভালো, পকেট রাউটারের দাম, কিভাবে রাউটার সেটআপ দিতে হয়, রাউটার থেকে রাউটার তার ছাড়া কানেকশন, রাউটার কিভাবে কাজ করে এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অতএব কোন কোম্পানির রাউটার ভালো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কোন কোম্পানির রাউটার ভালো

বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই যুগে ইন্টারনেট ছাড়া চলা যেন অসম্ভব। যেকোনো ধরনের কাজ করার জন্য আমাদেরকে প্রথমে এমবি অথবা নেট কানেকশন দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সময়ের সিম কার্ড এমবি কেনা অনেকটাই ব্যয়বহুল এবং এটা লিমিটের সঙ্গে থাকে। অন্যদিকে আমরা যদি আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাই তাহলে ওয়াইফাই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। 

ওয়াইফাই স্পিড সিগন্যালের ওপর নির্ভর করে। আর ভালো মানের রাউটার হলে সিগনাল ও ভালো থাকে। আমরা যদি কোন রকম বাধা ছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে চায় তাহলে ইন্টারনেটের স্পিড অবশ্যই ভালো থাকতে হবে। আর ইন্টারনেটের স্পিড ভালো পাওয়ার জন্য একটি ভালো মানের রাউটার ব্যবহার করা প্রয়োজন। 
এজন্য প্রথমে জানতে হবে রাউটার কি? রাউটার হচ্ছে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের একটি যন্ত্র যা আমাদেরকে সহজেই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে। রাউটার তারবিহীন একটি ইন্টারনেট সেবা। রাউটারের কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন- তার ছাড়া কানেকশন, অনেক দূর পর্যন্ত রেঞ্জ, একসঙ্গে অনেকগুলো ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেক্ট করা যায়, রাউটার হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোম্পানির রাউটার ভালো? বর্তমান বাজারে অনেক কোম্পানির রাউটার রয়েছে কিন্তু আপনার জন্য কোন রাউটারটি পারফেক্ট তা আপনি কি করে বুঝবেন। এখন আমরা তেমনি কয়েকটি রাউটারের সঙ্গে পরিচিত হবো
  • Tenda
  • Tenda AC21
  • Xiaomi Mi 4A (Gigabit Edition)
  • TP-Link Archer C54 AC1200
  • TP-Link Archer C64 AC1200
  • TP-Link Archer C20 AC750
  • TP-Link Archer C60 AC1350
  • Mercusys AC12G AC1200
  • TP-Link Deco E4 (Single pack)
  • Asus RT-AX56U AX1800
  • Asus RT-AX58U AX3000
  • Asus RT-AC59U V2 AC1500
  • Asus RT-AX53U AX1800
  • ASUS RT-AX55 AX1800
  • Mercusys MW305R
  • Mercusys AC10 AC1200
  • Xiaomi Mi 4A (Regular Edition)
  • TP-Link TL-WR820N
  • Xiaomi MI 4C R4CM 300
  • Xiaomi Mi AIoT AX3600
  • Netgear AC1200 Dual Band Gaming Router
এখানে আমরা অনেকগুলো ভালো কোম্পানির রাউটারের মডেল লিখে দিয়েছি। এর থেকে আপনি যাচাই করে নিতে পারেন যে কোন কোম্পানির রাউটারটি আপনার জন্য এবং আপনার বাজেটের মধ্যে। ভালো রাউটার চেনার কিছু উপায় রয়েছে। যেমন- কাভারেজ এরিয়া, রাউটারে এন্টেনা, নেটওয়ার্কের রেঞ্জ, device সংখ্যা, রুম সংখ্যা, রাউটার কেনার সময় অবশ্যই এ বিষয়গুলো ভালোভাবে বিবেচনা করে রাউটার কিনতে হবে।

রাউটার এর দাম কত

আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানির রাউটার রয়েছে। কোন কোম্পানির রাউটার ভালো সে নিয়ে আপনারা মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এখন আমরা আনুমানিক কিছু দাম নিয়ে আলোচনা করব। চলুন রাউটারের দাম কেমন হতে পারে এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।

TP-Link Archer C54 AC1200 Beamforming Wi-Fi এই রাউটারটির দাম ২২৫০ টাকা। Tenda F6 4-Antenna Wireless Router এটার দাম ১৪৫০ টাকা। TP-Link Archer C60 AC1350 Wireless Dual Band Router এটার দাম ৩১০০ টাকা। TP-Link WR841N 300Mbps WiFi N Bandwidth Control Router এটা ১৫০০ টাকা। এরকম আরো অনেক রাউটার রয়েছে। আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে দেখে একটি ভালো রাউটার পছন্দ করে কিনতে পারেন।

কিভাবে রাউটার সেটআপ দিতে হয়

যেকোনো ধরনের অনলাইন কাজ যেমন ব্রাউজিং, গেমিং, স্ট্রিমিং এই সবকিছুর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন। ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের জন্য অপরিহার্য একটি ডিভাইসের নাম হচ্ছে রাউটার। রাউটার ব্যবহারের জন্য অবশ্যই রাউটার সেটআপ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। 
আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা কিভাবে রাউটার সেটআপ দিতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত জানবো। রাউটার সেটআপ দেওয়ার জন্য অবশ্যই একটি রাউটার কিনা জরুরী। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কোন কোম্পানির রাউটার ভালো তা বিস্তারিত জেনে একটি ভালো রাউটার পছন্দ করে কিনতে হবে।
  • রাউটার সেটআপ দেওয়ার জন্য রাউটার পাওয়ার এডাপ্টার, ইন্টারনেট কেবল এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য মোবাইল ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
  • রাউটার সেটআপ দেওয়ার জন্য রাউটারটিকে যথাযথ স্থানে রাখতে হবে যদি বাসাবাড়ি অফিস এর সেন্ট্রাল পজিশনে রাখতে হবে। সেইসাথে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন দেয়াল কিংবা বড় আসবাবপত্র অথবা ইলেকট্রনের কোন ডিভাইসের সাথে সিগন্যাল ট্রান্সফারে বাধাগ্রস্ত না হয়।
  • এরপরে রাউটার এ নেটওয়ার্ক কেবল যুক্ত করতে হয়।
  • রাউটার কনফিগারেশন করার জন্য ইন্টারনেট ফোর থেকে ইন্টারনেট কেবল বা ওয়াইফাই সংযোগ করতে হয় এবং মোবাইলের সাথে কানেক্ট করতে হবে।
  • কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে ক্রোম, ফায়ারফক্স, ইউএসবি এর মত ব্রাউজার গুলো ওপেন করে এড্রেস বারে রাউটারের যে ডিফল্ট অ্যাড্রেস রয়েছে এর মাধ্যমে রাউটারের ইন্টারফেস ওপেন করতে হয়।
  • ব্র্যান্ড অনুযায়ী বিভিন্ন রাউটারের ডিফল্ট এড্রেস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই যেকোনো রাউটার কনফিগার করার জন্য ম্যানুয়াল গাইড অবশ্যই পড়ে নেওয়া জরুরি।
  • ব্রাউজারে ডিফল্ট এড্রেস ওপেন করা হয়ে গেলে ডিফল্ট ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হয়।
  • রাউটারের যখন ওয়েব ইন্টারভেল এক্সেস করা হয়ে যাবে তারপর নেটওয়ার্ক সেটিংস কনফিগার করার জন্য ইন্টারনেট সরবরাহকারী থেকে প্রাপ্ত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিতে হয়।
  • পরবর্তী সময়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সহজে বোঝার জন্য ওয়্যারলেস সেটিংসে গিয়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নাম অবশ্যই পরিবর্তন করে নিতে হবে।
  • আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক টি নিরাপদ রাখার জন্য একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন। যাতে ছোট বড় হাতের অক্ষরের সংখ্যা এবং সিম্বল ব্যবহার করতে পারেন।
  • রাউটার এর নিরাপত্তা প্রদানের জন্য উপযুক্ত প্রটোকল ডব্লিউ পি এ ২পিএসকেএইএস সিলেক্ট করে নিতে হবে। এটি ওয়াইফাই রাউটারের জন্য একটি আদর্শ এবং নিরাপদ প্রটোকল।
  • ওয়াইফাই রাউটার অভিজ্ঞতা অপটিমাইজ করার জন্য রাউটারের সেটিং কাস্টমাইজ করা যায়। আশেপাশের কোন রাউটারের সিগন্যাল যেন ইন্টারফেয়ার করতে না পারে সেজন্য আপনি আপনার ওয়াইফাই রাউটারের অটোমেটিক চ্যানেল নির্বাচন অথবা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী চ্যানেল নির্বাচন করতে পারেন।
  • যদি নিজস্ব নেটওয়ার্ক গেস্টদের মধ্যে সরবরাহ না করতে চান তাহলে আলাদা গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলুন।
  • যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ও এস পেরেন্টাল কন্ট্রোল বোর্ড ফরওয়ার্ডিং সহ আরো অন্যান্য সেটিংস গুলো পরিবর্তন করা যেতে পারে।
  • সব শেষ হয়ে গেলে সেভ বাটনে ক্লিক করে ওয়াইফাই রাউটারটি সঠিকভাবে সেটাপ করে নেন।
  • এরপর আপনার রাউটারটি ঠিকভাবে সেটআপ নিয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে যে ইন্টারনেট কানেকশনটি ছিল তা ডিসকানেক্ট করে নিতে হবে। এরপর আপনার নতুন ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
  • নতুন ওয়াইফাই সংযোগ দেয়ার পর মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করে যাচাই করে নিতে পারেন।
  • কখনো যদি রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেটের দরকার হয় তখন ব্র্যান্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে নতুন আপডেট দেখে নিয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী আপডেট করতে পারেন। ফার্মওয়্যর আপডেটেড হলে রাউটারের কর্মক্ষমতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
উপরোক্ত ধাপসমূহ যদি আপনি ভালোভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ওয়াইফাই রাউটারটি সফল হবে সেটা করতে পারবেন এবং খুব ভালো স্পিড পাবেন।

রাউটার থেকে রাউটার তার ছাড়া কানেকশন

আপনার পাশের বাসা যদি ব্রডব্যান্ড লাইন এর রেঞ্জ আপনার বাসা পর্যন্ত চলে আসে তাহলে আপনি কোন রকম তার ছাড়াই নতুন একটি রাউটারের কানেকশন নিতে পারবেন। এই পদ্ধতি ল্যান ল্যান কানেকশন এর মত কিছুটা। রাউটার থেকে রাউটার তার ছাড়া কানেকশন নিতে হলে প্রথম রাউটারে কিছু করার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র দ্বিতীয় রাউটারে কিছু পরিবর্তন করলে হয়। 

প্রথমে রাউটারটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। তারপরে মোবাইল বা পিসিতে কানেক্ট করে ডিফল্ট আইপি অ্যাড্রেস প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করার সময় নাম এবং পাসওয়ার্ড চাইলে উভয় ক্ষেত্রে এডমিন লিখে তারপর লগ ইন করতে হবে। নির্দেশনাগুলো ভালো ভাবে ফলো করতে হবে। তারপরে আপনার ওয়াইফাইয়ের ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। 

রাউটার রিস্টার্ট নিবে এবং পুনরায় কানেক্ট করতে হবে। তারপর ল্যান্ড সেটিং এ আপনার আইপি এড্রেস পরিবর্তন করতে হবে। এখন নতুন আইপি অ্যাড্রেস হিসেবে যেকোনো আইপি এড্রেস ব্যবহার করতে পারেন। তারপরে সেভ করলে রাউটার আবার রিস্টার্ট নিবে। এখন ওয়ারলেস ব্রিজ কানেকশন অপশনে গেলে দেখবেন আপনার নিকটবর্তী সকল কানেকশনগুলো দেখা যাচ্ছে। 
তারপর আপনার পাশের বাসার কানেকশনটা সিলেক্ট করুন এবং পাসওয়ার্ড দিন। সেভ করার পরে খুঁজে বের করতে হবে এটি অনেক রাউটারের সময় অ্যাডভান্স সেটিং এর মধ্যে থাকে আবার অনেক রাউটারে আলাদা ভাবে থাকে। তারপর ডিএইচসিপি অপশনেবল করে দিন। কাজ শেষ এখন অটোমেটিক কানেক্ট হয়ে যাবে। 

রাউটার থেকে রাউটার তাছাড়া কানেকশনের সুবিধা হলো তারের কোন ঝামেলা নেই এবং খরচ কম। শুধুমাত্র রাউটার থেকে রাউটার তার ছাড়া কানেকশন করার জন্য আগে আপনাকে কোন কোম্পানির রাউটার ভালো তা জেনে বুঝে একটু ভালো রাউটার অবশ্যই কিনতে হবে। তারপরে সবকিছু সেটআপ করতে হবে। তাহলেই শুধুমাত্র আপনি একটি ভালো গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

রাউটার কিভাবে কাজ করে

আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা রাউটার কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রাউটারের মূল কাজ হল একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে ইন্টারনেট কানেকশন গ্রহণ করে আরো ভিন্ন ভিন্ন আধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর মধ্যে শেয়ার করা। 

এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে রাউটার এই কাজটি কিভাবে করে? চলুন জেনে নেয়া যাক রাউটার এই কাজগুলো কিভাবে করে। রাউটার কাজ করার জন্য মূলত তিনটি মূল বিষয়ে ধারণ করে থাকে।
  • মেট্রিক ভ্যালু
  • আইপি এড্রেস এবং
  • মডেম
একটি রাউটার পরিচালনা করার জন্য সর্বপ্রথমে তার সঙ্গে একটি মডেম যুক্ত করতে হয়। যার সাহায্যের রাউটার একটি আইএসপি থেকে ইন্টারনেট গ্রহণ করে এবং অন্যান্য ডিভাইসে ডেটা সরবরাহ করে। মডেম যে মেইন কাজটি করে তা হলো রাউটার এর কাছাকাছি অবস্থিত আইপি এড্রেস গুলো খোঁজা শুরু করে।

রাউটারের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য অ্যাড্রেস অত্যন্ত জরুরী। যে কারণে প্রতিটি ডিভাইসের নিজস্ব আইপি এড্রেস রয়েছে। রাউটার যখন মডেম থেকে কোন ডেটা গ্রহণ করে তখন সেই ডাটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাউটারের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানার প্রয়োজন হয়। এই ঠিকানাকে আইপি অ্যাড্রেস বলা হয়। 

সারা বিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ডিজিটাল ডিভাইস রয়েছে। এত অধিক সংখ্যক ডিভাইসের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট ডিভাইস খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। যার কারনে রাউটারের আইপি এড্রেস এর সহযোগিতায় খুব সহজেই ডিভাইসকে খুঁজে বের করে ডাটা প্রদান করতে পারে। 

আই পি এড্রেস খুঁজে পাওয়ার পর রাউটার সেই ডিভাইসের নেটওয়ার্ক ট্রান্সফার করার জন্য সবথেকে কম একটি পাথ খুঁজে বের করে। এই কাজটি করার জন্য মেট্রিক ভেলোর দরকার হয়। মেট্রিক ভ্যালু বিশেষ এক ধরনের সংখ্যা। রাউটারের মধ্যে তার internal অংশ হিসেবে আগের থেকে সংযোগ দেওয়া থাকে। যেই ডিভাইসের ভ্যালু কম সেই কম ভ্যালুযুক্ত ডিভাইসের সঙ্গে নেটওয়ার্ক আগে যুক্ত হয়ে যায়।

আশা করছি এতক্ষণে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে রাউটার কিভাবে কাজ করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কোন কোম্পানির রাউটার ভালো এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করা যায় এতক্ষণে আপনি রাউটার সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা গ্রহণ করতে পেরেছেন। 

সেই সঙ্গে আর্টিকেলের মধ্যে আমরা রাউটার সম্পর্কে তো আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপযোগী হবে। যদি আপনি একজন রাউটার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আমাদের লেখাটির যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের সার্থকতা। 

কেননা আপনাদের জন্য আমরা সকল তথ্যগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেল সম্পর্কে যদি কোন মতামত দেওয়ার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url