ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি এ বিষয়টি নিয়ে জানবো। অনেকেই ইসলাম ধর্মের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ জানেন না। তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেল।
ইসলাম অর্থ
যারা ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি জানতে চান তারা আমাদের আজকের লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের আভিধানিক পরিচয়- ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণ, সন্ধি, শান্তি, নিরাপত্তা, সুস্থতায ইত্যাদি। ইসলাম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। 

আজকের আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে ইসলাম শব্দের অর্থ কি শান্তি, ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি, ইসলাম শব্দের উৎপত্তি, ইসলাম শব্দের মূল ধাতু কি, ইসলাম ধর্মের বয়স কত, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান, কোরআন শব্দের অর্থ কি এবং ইসলাম কেন শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

ইসলাম শব্দের অর্থ কি শান্তি

অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন ইসলাম শব্দের অর্থ কি শান্তি? ইসলাম একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে দুটি। একটি হচ্ছে শান্তি এবং অপরটি আত্মসমর্পণ করা। ইসলাম শব্দের সংজ্ঞা হচ্ছে ইসলাম একটি শান্তির উদ্দেশ্যে এক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা। মুলত ইসলাম শব্দটি আক্ষরিক অর্থে যা বোঝায় তা যদি কেউ মেনে চলে তাহলে সে একজন প্রকৃত মুসলিম। অর্থাৎ ইসলাম শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণ। একজন মুসলিম আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ, আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ মানে, জগতের সৃষ্টিকর্তা, ধারক এবং পুনরুত্থানকা‌রী মানে।

ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মনোনীত একমাত্র দ্বীন। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক, জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিধান ইসলামের রয়েছে। যিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন তিনি মুসলিম। অর্থাৎ মুসলমান। তাহলে চলুন ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি জেনে নি।

ইসলাম শব্দটি মূলত এসেছে সিলমুন ধাতু থেকে। সিলমুন শব্দের অর্থ হচ্ছে শান্তি। ইসলাম এর শাব্দিক অর্থ আত্মসমর্পণ। মানুষ যেহেতু আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কোন বিষয়ে শান্তি অর্জন করে তাই শান্তি ও আত্মসমর্পণ সমর্থক শব্দ হয়েছে। অর্থাৎ ইসলাম বলতে আমরা নিজেকে বিনায়াবনত করা, হুকুম মেনে চলা, কোন আপত্তি ছাড়াই আদেশ নিষেধ মেনে চলা, সর্বান্তকরণে কেবলমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এবাদত করা, আল্লাহ যা বলেছেন তার সবকিছু বিশ্বাস করা এবং এক আল্লাহর উপরে বিশ্বাস এবং আস্থা রাখা।

 আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য যে জীবন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন সেটি মেনে চলা। ইসলাম কোন বিশেষ ব্যক্তি বা কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর একার ধর্ম নয়। এটি এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা ইসলাম শব্দের অর্থ থেকেই বোঝা যায়। ইসলাম শব্দটি থেকে বোঝা যায় এই জীবন ব্যবস্থা কোন ব্যক্তির কাছে থেকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি কিংবা এটি কোন বিচ্ছিন্ন একটি জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। 

ইসলামের দাবি হচ্ছে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ ইসলাম যা বোঝাই তা মেনে চলবে এবং তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন ঘটাবে। আরবি ভাষার অভিধান অনুযায়ী ইসলাম শব্দের অর্থ হলো আত্মসমর্পণ করা, নিজেকে বিনয় করা, হুকুম মান্য করা, কোন আপত্তি ছাড়া আদেশ নিষেধ মেনে চলা, সব সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এবাদত করা, তিনি যা বলেছেন তা সবকিছু বিশ্বাস করে এবং তার ওপরে বিশ্বাস এবং আস্থা রাখতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম আমাদের জীবন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন তার নাম হচ্ছে ইসলাম। 

কোরানের মতে এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা বা আরব দেশগুলোর জন্য নয়। ইসলাম পৃথিবীর সকল ধর্ম - বর্ণ, জাতি, ধনী-গরীব, সাদাকালো সবার জন্যই। ইসলাম নতুন কোন ধর্ম নয়। বরং সৃষ্টি শুরু থেকে ইসলাম এর উৎপত্তি। আদম হচ্ছে এই পৃথিবীর প্রথম মানব এবং ইসলামের প্রথম নবী। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

ইসলাম শব্দের উৎপত্তি

ইসলাম ধর্ম মতে ইসলাম শুধুমাত্র কোন নতুন ধর্ম নয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই ইসলামের উৎপত্তি। আদম আলাইহি সাল্লাম হচ্ছেন এই পৃথিবীর প্রথম মানব এবং মানব জাতির মধ্যে ইসলামের প্রথম নবী এবং সর্বশেষ নবী হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ তাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। ইতিহাসগত ভাবে এর উৎপত্তি সপ্তম শতকের শুরুর দিকে। হযরত মুহাম্মদ এর পর থেকে অষ্টম শতক থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামী স্বর্ণযুগ বলা হয়।

ইসলাম শব্দের মূল ধাতু কি

ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এর মূল ধাতু হচ্ছে সিলমুন। কোন কোন অভিধান কারের মতে ইসলামের শাব্দিক অর্থ শান্তি ও আত্মসমর্পণ। কোন কোন অভিধানকারী বলেছেন ইসলাম শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। যেমন অনুগত হওয়া বা আনুগত্য মেনে নেওয়া, বিনম্র হওয়া, নিরাপত্তা, আত্মসমর্পণ ইত্যাদি।

ইসলাম ধর্মের বয়স কত

অধিকাংশ ইতিহাসবিদরা মনে করেন যে ইসলামের উৎপত্তি মক্কা এবং মদিনায় সপ্তম শতাব্দীর শুরু থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর মাধ্যমে। মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন ইসলামের শেষ নবী। তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং 610 খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর কাছ থেকে প্রথম ওহি লাভ করেন। তিনি মক্কা ও মদিনায় ধর্ম প্রচার শুরু করেন। যেখানে তিনি ইসলামের শিক্ষা প্রচার করেন। 

মুসলমানরা এটা বিশ্বাস করে যে ইসলাম 1400 বছর আগে আরবের মক্কায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলাম অনুসারীদের মুসলমান বলা হয়। মুসলমানরা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করেন। ইমাম আবু দাউদ এর সুন্নাহ। ইমাম বুখারীর, ইমাম তিরমিযীর জামি এবং অন্যান্য আরো ১৫ টিরও বেশি হাদিসে বর্ণিত আছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন পৃথিবীতে ইসলামের একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল রয়েছে। এই হাদিসগুলো থেকে জানা যায় আল্লাহ ইসলামকে তুলনামূলকভাবে পনেরশো বছর আগে দিয়েছেন। এরপর তিনি কেয়ামত কায়েম করবেন।

কোরআন শব্দের অর্থ কি

আল কুরআন শব্দটি আলকরুন শব্দমূল থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে দুইটি। একটি পড়া এবং অন্যটি একত্রিত করা।

কোরআন এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পাঠ করা। এই মহাগ্রন্থটি প্রতিনিয়ত অগণিত মানুষ পাঠ করে থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য তুমি তোমার জিব্বা সাথে সঞ্চালন কর না। নিশ্চয়ই এটি সংরক্ষণ ও পাঠ করার দায়িত্ব আমার। সুতরাং যখন আমি এটা পাঠ করি তখন তুমি সেই পাঠের অনুসরণ করো। অথবা নিশ্চয়ই এর বিবৃতির দায়িত্ব আমার।

কোরআন মানে হচ্ছে একত্রিত করা। যেহেতু শরিয়া সংক্রান্ত সকল বিধি নিষেধ, ইতিহাস, উপদেশ, বিজ্ঞান এবং জীবন সম্পর্কিত সকল কিছু এতে আছে। কুরআনের আরেকটি অর্থ হচ্ছে জমাকৃত। কারণ এই কিতাবটি অগণিত মানুষের হৃদয়ে জমা করা হয়েছে। কুরআন শব্দের অর্থ সাদৃশ্য। কুরআনের এক অংশ অপর অংশকে সত্যায়িত করে।

ইসলাম কেন শ্রেষ্ঠ ধর্ম

ইসলাম সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণ করা বা শান্তি। ব্যক্তিজীবন, পরিবার ও সমাজ, রাষ্ট্র সবকিছুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করায় হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল লক্ষ্য। যে সকল কাজে অশান্তির সৃষ্টি হয় সেগুলো ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেননি। তিনি সত্যের উপাসক ছিলেন। নবী হওয়ার পূর্বে মক্কাতে তিনি সত্যবাদীদের জন্য আল-আমিন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে ঈমান। 

আল্লাহ এক অদ্বিতীয়। তার কোন শরিক নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বার্তাবাহক। এই বিশ্বাসের নামেই হচ্ছে ঈমান। যে ঈমান নিয়ে আসে তার পরিচয় হয় মুসলমা।ন মুসলমানরা নবীর অনুসারী হয়। আল্লাহর এবাদত করে। এবাদত শব্দের অর্থ হচ্ছে সেবা করা। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এগুলো ইবাদতের অংশ। এর মধ্যে যদি ভুল হয় তাহলে তা ক্ষমা করার অধিকার আল্লাহ রাখেন। এ বিষয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে। 

কিন্তু আল্লার সৃষ্টির প্রতি যে ইবাদত রয়েছে তা যদি আমরা পালন না করি এর জন্য যে গুনা হবে তা ক্ষমা করার মালিক একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ক্ষমা না করে তাহলে আল্লাহতালা ক্ষমা করে না। এমন বিধান কি অন্য কোন গ্রন্থে আছে। বান্দার হককে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর হকের পরে স্থান দেওয়া রয়েছে। এরপরে নামাজ। ভোরবেলা ফজর, দুপুরে জোহর, বিকেলে আসর, সন্ধ্যায় মাগরিব, আর রাতে এশার নামাজ অবশ্যই পালন করতে হবে। এটি ফরজ। 

মুসলমানরা একসাথে হয়ে দুই, চার, চার, তিন ও চার রাকাত ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করে। পবিত্র হওয়ার জন্য অজু করে। প্রতিদিন পাঁচবার ওযু করার ফলে হাত, মুখ, নাক, পা, মাথা পানি দিয়ে তিনবার করে বিশেষ নিয়ম মেনে ধুতে হয়। এতে মানসিক এবং শারীরিক প্রশান্তি লাভ করা যায়। প্রতিদিন পাঁচবার ছাড়াও ইসলাম ধর্মে সপ্তাহিক, অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।

 প্রতি শুক্রবার মসজিদে দুই রাকাত ফরজ নামাজে দুই ঈদে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ, বছরে একবার পবিত্র কাবা ঘরে তাওয়াফ করতে হয়। অন্য কোন ধর্মে এমন ব্যবস্থা আছে বলে আমাদের জানা নেই। নামাজের মাধ্যমে মানুষের মনে আল্লার প্রেম সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রকৃত নামাজ আদায়কারীরা কোন অন্যায় কাজ করতে পারে না। 

এর পরে আছে বছরে একমাস রোজা পালন। রমজান মাসে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেকটি নর-নারী একই সময়ে সেহরি খায়। একই সময়ে ইফতার করে। এতে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে একটি শৃঙ্খলা আসে। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও অতিরিক্ত ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ার ফলে প্রতিটি রোজাদারদের শরীর ও মন পরিশালিত থাকে। সারাটা দিন পানাহার, কামাচার থেকে বিরত থাকার জন্য একজন রোজাদার ব্যক্তি খুদার কষ্ট বুঝতে পারে। যা একজন বেরোজাদার কখনো বুঝতে পারে না। 

এতে মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এবং আনুগত্য বৃদ্ধি পায়। নামাজ ও রোজার মাধ্যমে মানুষের মনে আল্লাহর প্রেম সৃষ্টি হয়। চরিত্র এবং বিনয় হয়। মানুষের মধ্যে ভাতৃত্ব এবং মনুষত্ব জেগে ওঠে। জীবনে একবার হজ পালন করা ধনী মুসলমানদের জন্য ফরজ। হজ ফলনের মাধ্যমে একজন হাজী শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। সারা বিশ্বের মুসলমান আরাফাত ময়দানে একত্রিত হয়ে যায়। 

এ দিন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের রূপ নেয়। যার ফলে বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে বিশ্ব ভাতৃত্ববোধের সৃষ্টি হয়। কৃষকের কৃষিকাজে, জেলের মাছ ধরা, মাঝির নৌকা চালানো সবকিছুই ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। এক কথায় সৎভাবে সকল কাজ সম্পাদিত করাই হচ্ছে ইবাদত। আসুন আমরা আল্লাহ এবং তার সৃষ্ট সবার প্রতি আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি। সমাজ, দেশ এবং বিশ্ব গড়ি।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ইসলাম শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, বিষয়টি সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। ইসলাম সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয় নিয়ে পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা রয়েছে। আপনি হয়তোবা এতো বিষয়গুলো পড়ে অবহিত হয়েছেন। 

আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো অনেক নতুন নতুন বিষয়ে পোস্ট করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url