কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে পড়ুন এখানে

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয় হচ্ছে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে। অনেকেই কুয়েত ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন না। সেজন্য আমাদের আজকের এই পোস্টে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কুয়েত যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন না। তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আয়োজন। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে এবং কুয়েত ভিসার দাম কত তা নিয়ে বিস্তারিত জানবো।

ভূমিকা

আপনি কি কুয়েত যেতে চান। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের ভিসা পেতে হলে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে, কুয়েত ভিসার দাম কত, কুয়েত কাজের ভিসা, কুয়েত ভিসা আবেদন এই সকল বিষয়গুলো জানা জরুরী। তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা এই সকল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সৌন্দর্য দেখার জন্য কুয়েতে হাজার হাজার বাংলাদেশী প্রতিবছর যায়। টুরিস্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার ভিসার মাধ্যমে গিয়ে থাকেন। 
কুয়েত ভিসা
এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশীরা বৈধভাবে কুয়েত যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে। কুয়েত যেতে হলে আপনার এই সংক্রান্ত জ্ঞান থাকা জরু।রি সকল বিষয়গুলি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন। আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কুয়েত ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কুয়েত ভিসা দাম কত

কুয়েত ভিসার দাম এক কথায় বলা সম্ভব নয়। কারণ কুয়েতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ভিসা রয়েছে এবং একেকটি ভিসার জন্য একেক রকমের খরচ হয়। তাহলে চলুন কোন ভিসার জন্য কি রকম খরচ হয় জেনে নিই । ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দামের কম বেশি হয়। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসা দেওয়া হয়। এখন কুয়েতে ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে গেছে। 

আপনার যদি কোনো পরিচয় লোক কুয়েতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকে বলে দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে গেলে অনেকটাই খরচ পড়ে। বর্তমান বাংলাদেশে বেকার যুবকদের অন্যতম কাজের একটি গন্তব্য হচ্ছে কুয়েত। এ দেশে বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা পাওয়া যায়। কোম্পানি ভেদে ও কাজে ধরনের উপর নির্ভর করে ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়। কুয়েত কাজের ভিসার দাম সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আসলে কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে। আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন কথা বলতে পারে এক সপ্তাহ, এক মাস, দুই মাস, ১৫ দিন এরকম। আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করেন তাহলে প্রসেসিং হয়ে সম্পূর্ণ হয়ে ভিসা পেতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগতে পারে। কুয়েত ভিসা প্রসেসিং এর কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যেগুলো সম্পূর্ণ করতে মাঝে মাঝে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে। আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন এবং কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেন তাহলে এক মাসের মধ্যে কুয়েত ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

কুয়েত ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

বর্তমানে কুয়েত ভিসা প্রসেসিং খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। অনেক সময় লেগে যায়। ভিসা প্রসেসিং এর প্রথম কাজ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আগে জেনে নেওয়া যাক ডকুমেন্টগুলো কি কি।
  • প্রথমে লাগবে ভিসা আবেদন পত্র।
  • ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট।
  • বায়োডাটা।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • কাজের অফার লেটার।
  • কাজের চুক্তিপত্র।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • করোনা ভাইসিনের সার্টিফিকেট।
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
  • প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা।
কুয়েত যাওয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসায় কোন বয়স সীমা লাগে না। তবে যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে। তা না হলে ভিসা পাওয়া সম্ভব না।
আবেদন ফরম পূরণ করে এই কাগজপত্র গুলো জমা দিলে কোম্পানি থেকে একটি সন লেটার পাঠানো হয়। সন লেটার যদি পাঠায় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার ভিসা প্রসেসিং প্রায় শেষের দিকে।

কুয়েত কাজের ভিসা

আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশের অনুমোদিত অনেক এজেন্সি রয়েছে এদের মাধ্যমে যেতে পারেন। যদি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করাতে সমস্যা হয় তাহলে সরাসরি কুয়েত এম্বাসিতে কাজে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক দালালের মাধ্যমে কাজের ভিসা করে থাকে। 

কুয়েত কাজের ভিসা করা সব থেকে বিশ্বস্ত উপায় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বায়োসেল অথবা অন্য কোন এজেন্সি। এ সকল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করলে আপনার জন্য খুব ভালো হবে। এর নিজে থেকে আপনাকে জানিয়ে দিবে কুয়েত কাজের ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট দরকার হবে। অর্থাৎ এজেন্সি ভিসা প্রসেসিং এর সকল দায়িত্ব নিবে। শুধু আপনাকে এজেন্সিকে টাকা দিতে হবে। কুয়েতে যদি আপনার কোন আত্মীয় থাকে তাহলে তার মাধ্যমে ভিসা নিয়ে অ্যাম্বাসিতে টাকা জমা দিয়ে ভিসা টি খুব সহজে প্রসেসিং করে নিতে পারেন।

কুয়েত ভিসা আবেদন করার নিয়ম

বর্তমানে কুয়েত ভিসা নিয়ে অনেক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এরকম প্রতারণার এড়াতে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রযুক্তির এই যুগে হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কুয়েত কাজের ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। চলুন কুয়েত ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মটি জেনে নেওয়া যাক।
  • কুয়েত ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে কুয়েতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • ওয়েবসাইটে ঢোকার পরে সেখান থেকে আপনাকে আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এই ফর্মের উপরে আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে দিতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করার সময় কোন মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না।
  • সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করার পরে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করে দিতে হবে।
  • আপনার কাছে যদি অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি কঠিন মনে হয় তাহলে সরাসরি বাংলাদেশে অবস্থিত কুয়েত ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে, কুয়েত ভিসা আবেদন করার নিয়ম, কুয়েত কাজের ভিসা, কুয়েত ভিসা প্রসেসিং এবং কুয়েত ভিসার দাম কত এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি উপরোক্ত পোস্টটি পড়ে এ বিষয়টিতে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। আপনি কুয়েতে যাওয়ার আগে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারেন। 

তাহলে কুয়েত কাজের নিয়ে গিয়ে খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে ভালো বেতন পাবেন। লেখাটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমাদের লেখা সম্পর্কে কোন মতামত জানানোর থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url