কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় - কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি লিখে অনলাইনে অনেকেই সার্চ করে থাকেন। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় এবং কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
কুয়েত
আপনি যদি জানতে চান কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি, পড়া শেষ হলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

কুয়েত হচ্ছে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শান্ত শিষ্ঠ এবং উন্নত একটি দেশ। এই দেশ দেশটিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কাজের জন্য যাই। যারা যাওয়ার জন্য ভাবছেন কিংবা যেতে চাচ্ছেন তাদের এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কুয়েত থেকে কত টাকা খরচ হয়। 

অনেকেই আছে যারা কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি google এ সার্চ করে থাকেন। আপনারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে কুয়েত সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। যা আপনাদের কুয়েতে যাওয়ার জন্য কিছুটা কাজে আসতে পারে। তাহলে চলুন দেরি না করে কুয়েত ভিসা সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

কুয়েত ভিসা ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কুয়েতে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে জানেন না কুয়েতে যেতে কত টাকা খরচ হয়, কুয়েত ভিসা ক্যাটাগরি কি কি। কুয়েতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে চান সেটি আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য সাধারণত তিন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে।
  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • কাজের ভিসা
সরকারি তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কুয়েতে যায়। আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান সে ক্ষেত্রে খরচে কম হবে। কিন্তু যদি কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসার দাম অনেকটা বেড়ে যাবে।

কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কুয়েত কোন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে এবং সেটি আপনার জন্য প্রযোজ্য কিনা। অর্থাৎ আপনি সেই ভিসার জন্য যোগ্য কিনা। যদি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজের জন্য আপনাকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

অনেক ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেখানে আপনি এ ভিসার আন্ডারে ট্রেনিং করতে পারবেন এবং ছয় মাসের সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আমরা এখন আপনাদেরকে কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো এবং কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় সে বিষয়টি জানতে পারবেন। এখান থেকে আপনারা ধারণা পেয়ে যাবেন আপনি কুয়েতে গিয়ে কোন কোন কাজ করতে পারবেন।
  • যারা ড্রাইভার রয়েছেন তারা কুয়েতে গিয়ে ড্রাইভিং এ চাকরি করতে পারেন এবং সেজন্য আপনাদেরকে এজেন্টের মাধ্যমে অথবা নিজেই কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • কুয়েতে অনেক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি রয়েছে। কনস্ট্রাকশন কোম্পানির আন্ডারে আপনি চাইলে কাজ করতে পারবেন এবং এই ভিসার জন্য আপনাকে। আবেদন করতে হবে কনস্ট্রাকশন ভিসা হিসেবে।
  • প্রতিবছর কুয়েতের হোটেলে কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকেও হাজার হাজার কর্মী সেখানে কাজ করে। আপনি কুয়েতে এ ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
বর্তমানে কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য হাজার হাজার ফর্ম জমা হয়। আগে আবেদনের পরে দুই তিন মাস সময় লেগে যেত কিন্তু সেটা এখন দশ দিনে কমিয়ে আনা হয়েছে। আপনি সরাসরি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভিসা সম্পর্কিত সকল কাজকর্ম করে নিতে পারেন। কোন ধরনের দালাল বা কোন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করতে গেলে আপনার অনেক টাকা বেশি খরচ হয়ে যাবে এবং অনেক বেশি সময় নষ্ট হবে এবং আপনি এ ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকারও হতে পারেন।

কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয়

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয়। আপনি যদি কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে বেশ কিছুটা খরচ হয়। যা বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লাগে। সাধারণত কুয়েত যেতে যে খরচ গুলো হয় তার মধ্যে রয়েছে ভিসা, বিমান ভাড়া, মেডিকেল টেস্ট এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকল খরচ মিলিয়ে কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয়।

ভিসা ফিঃ আপনি যদি কুয়েতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কাজের ভিসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফি প্রযোজ্য থাকে। যেমন এজেন্সি ফি, প্রসেসিং ফি এবং সরকারি ফি। সবকিছু মিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করবেন সেখানে সার্ভিস ফি দিতে হতে পারে।

বিমানের টিকিট বাবদঃ বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে বিমানে টিকিট ক্রয় করতে হয়। সাধারণত টিকিটের জন্য মোটামুটি ৩০০০০ থেকে ৫০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। বিভিন্ন সিজন এবং এয়ারলাইন্সের উপর ভিত্তি করে এই খরচের কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

মেডিকেল টেস্টঃ কুয়েতে যাওয়ার আগে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট দরকার হয়। সেজন্য আপনাকে মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্ট করানোর খরচ ৮০০০ থেকে ১৫০০০ টাকার মতো হতে পারে। এই খরচ সম্পূর্ণটা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপর এবং পরীক্ষার ধরনের ওপর।

প্রশিক্ষণ ফিঃ কুয়েতে যাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ নিতে হতে পারে। বিশেষ করে আপনার নিরাপত্তা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। যেমন কাজের প্রশিক্ষণ বা ভাষার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। এই খরচ ১০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অন্যান্য প্রশাসনের ফিঃ বিভিন্ন রকম প্রশাসনিক ফি দরকার হতে পারে। যেমন পাসপোর্ট নবায়ন ফি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ফি। এগুলো সব মিলিয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা মত খরচ হতে পারে।

অন্যান্য খরচঃ কুয়েতে যাওয়ার আগে আরো কিছু খরচ হতে পারে। যেমন আপনার ফি, ভ্রমণের প্রস্তুতি বাবদ এবং প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে গিয়ে থাকা এবং খাওয়ার খরচ। এসব খরচ মিলিয়ে ২০-৩০ হাজার টাকা মতো লাগতে পারে।

আশা করছি, উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে আপনি কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় যে কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

অনেকেই কুয়েতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানতে চান যে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত। এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। কারণ আপনি যদি কুয়েতে গিয়ে কাজ করতে চান বা কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনি কত টাকা বেতন পাবেন সে বিষয়ে অবশ্যই আপনি জানতে চাইবেন। যদি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ভিসা করেন তাহলে আপনি কখনো সঠিক বেতনটি জানতে পারবেন না। 

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে যে আপনি কোন ধরনের কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছেন। কারণ কুয়েতে অনেক ধরনের কোম্পানি আছে যেগুলোতে নির্দিষ্ট ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন দেয়। তাহলে চলুন জেনে নেই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত।
  • হেলপার এর বেতন ৩৫০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা।
  • অয়েল্ডার এর বেতন ৩৭০০০ থেকে ৪৫০০০ টাকা।
  • plumber এর বেতন ৪০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা।
  • ড্রাইভার এর বেতন ৫৫০০০ থেকে ৬৫০০০ টাকা।
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ৫০০০০ থেকে ৬০০০০ টাকা।
  • কন্সট্রাকশন শ্রমিক এর বেতন ৪৫০০০ থেকে ৬০০০০ টাকা।
আশা করছি কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত বিষয়টি সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ এর ঠিকানাঃ
হাউস নং- ১৬, রোড নং- ৪ বারিধারা, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ।
টেলিফোন নাম্বার(+৮৮০)২ ৮৮২-২৭০০ থেকে ৩
মেইলঃ passportvisawing.kuwait@gmail.com

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা, আপনারা যারা কুয়েতে যেতে চান এবং কুয়েত যেতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান আশা করছি তারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে কুয়েত ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছেন। 

আমাদের লেখাটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যদি কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো নতুন নতুন তথ্যবহুল পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url