ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম - প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত

আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম এই সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। বিশেষ করে ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে। 
ওজন কমাতে লেবু পানি
আপনি যদি আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই বিষয়গুলো জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। চলুন দেরি না করে ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত, প্রতিদিন কয়টি লেবু খেলে ওজন কমে, লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, লেবু পানির অন্যান্য উপকারিতা এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। এই বিষয়গুলো যদি আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম

আমাদের ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস লেবু পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা অনেকেই জানি লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লেবু তে আছে সাইট্রাস এসিড। এটি প্রাথমিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কোষ কে ক্ষতিকারক ফ্রী রেডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এমনকি লেবু পানির সাথে অনেকে মধু মিশিয়ে পান করে থাকেন। তবে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে চিনি বা মিষ্টি কিছু মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। তবে এক কাপ পরিমাণ পানিতে অর্ধেক পরিমাণ লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন এবং শরীরে ফ্যাট কমাতে লেবু পানির অনেক উপকার রয়েছে।

লেবু পানি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। হাইড্রেশন যা শরীরে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। লেবু পানি ডিহাইড্রেশন দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। লেবু পানি শরীরের ওজন কমাতে পারে আরও দ্রুত। গবেষণা দেখা গেছে বেশি পরিমাণে লেবু পানি পান করার ফলে শরীরের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে ওজন কমতে সহায়তা করে।

ওজন কমাতে অনেকের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি সকালে খালি পেটে লেবু পানি পান করা। লেবু ও পানি দুটো উপাদান আলাদা ভাবে শরীরের জন্য উপকারী। যেমন লেবুর রস মিশানো পানি স্বাদে ও গুনে সরবত হিসেবে চমৎকার একটি পানীয়। পাকস্থলী বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ভারী খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানির পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন লেবু পানি।

ওজন কমাতে সকালে লেবু পানিঃ এই ক্ষেত্রে দিনের শুরুতে লেবু পানি দিয়ে ৪০০ মিলিলিটার কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়ায়। এই কারণে সারা দিনে আপনি যা খান তা সহজেই হজম করে এবং সারাদিনে খাবার কম খাওয়া জন্য শরীরে ক্যালরি কম প্রবেশ করে। এই কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

যেভাবে পান করবেন লেবু পানিঃ সকালে খাবার খাওয়ার আগে অন্তত ৪০ মিনিট আগে লেবু পানি পান করুন। লেবু পানি আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে এবং চা কফি পরিবর্ত লেবু পানি পান করেন। তবে দিনে দুইবারের বেশি লেবু পানি পান করবেন না। কারণ এতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। যা অতিরিক্ত পরিমাণ পান করলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

লেবু পানিতে অতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকার জন্য দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই পান করার পর ভালো হবে কুলি করে পরিষ্কার করে নিন। আপনার যদি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি খালি পেটে প্রতিদিন সকালে লেবু পানি মিশিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিলে ক্ষুধা কম লাগে। খাওয়া কম হয় এ কারণে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না।

প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আমরা লেবু পানি রাখতে পারি। ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম মেনে লেবু পানি খেলে শরীরের জন্য অনেক কার্যক।রী এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। সে ক্ষেত্রে আমরা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় লেবু পানি দিনে দুইবার পান করতে পারি। এতে কোন সমস্যা নেই।

ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত, শরীর সুস্থ রাখতে হলে বিভিন্ন অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলা দরকার‌ যেমন দিনের সাত আট গ্লাস পানি পান করা যেমন ভালো অভ্যাস। অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ কার্যকর। প্রতিদিন নিয়ম করে লেবু পানি খাওয়া যেমন উপকার তেমনি ত্বক ভালো রাখে, আপনার শরীর ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

আশা করছি ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি ধারণাটি পেয়েছেন। এই নিয়ম মেনে খেলে আপনি খুব ভালো উপকার পাবেন।

প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত

এপারে আমরা জানবো প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত এবং কতটুকু লেবু প্রতিদিন খেলে আপনার শরীরের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। আপনি প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের সাথে লেবু খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরে ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। 

প্রতিদিন লেবু খান তবে যদি শরীরে কোন জায়গায় কেটে যায় কিংবা আঘাত লাগে তাহলে সে ক্ষতস্থান যতদিন না শুকাই সে পর্যন্ত আপনি লেবু খেতে পারেন। এতে করে শরীরের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি ভালো হয়। খাবারের পরে লেবু খেলে কিছু উপকারিতার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা রয়েছে। যেমন লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক এসিড এর সাহায্যে হজম করতে সহায়তা করে। 

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। লেবুর রসের মধ্যে থাকে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

তবে একবারে না খেয়ে তিনবেলা খাবারের সাথে খেলে ভালো। এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে লেবু খান। তবে আলসারের সমস্যা থাকলে একটু বুঝে শুনে খাবেন।

প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পরে লেবু পানি মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্য জন্য সব সময় উপকারী নয়। এতে কিছু ভালো দিক ও আছে কিছু ক্ষতির দিকেও আছে।
যে
মন ভালো দিক হলো খাবার খাওয়ার পরে হজমে সাহায্য করে, লেবুতে থাকা এসিড এবং শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে, লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সহায়তা করে।

ক্ষতিকর দিক
  • আপনাকে অবশ্যই লেবু খাওয়ার ভালোভাবে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
  • খাবারের এক ঘন্টা পরে লেবু পানি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো না। হলে শরীর অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যাদের অম্বলে সমস্যা আছে তাদের জন্য লেবু পানি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লেবু খাওয়ার পরে পেট ফাঁপা, বমিভাব হওয়ার ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • যেসব মানুষের লেবু খাওয়ার পরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লেবু খাওয়া উচিত।
  • লেবুর অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত শিকার হতে হয়।
  • সব সময় লেবু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না। সেজন্য লেবু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হলে বিভিন্ন অভ্যাস রপ্ত করার বিকল্প কিছু নেই। আপনি দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে পারেন। তেমন অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে ভীষণ কার্যকর। প্রতিদিন নিয়ম করে যদি আপনি এক থেকে দুই গ্লাস লেবু পানি করেন তাহলে স্বাস্থ্য ও ত্বক থাকবে ভালো।

লেবুকে সুস্বাদু রসালো ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সাইট্রাস ফল বিশ্বের প্রতিটি রান্নাঘরের একটি প্রধান জিনিস। এই ফল উপভোগ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যদি এর টক স্বাদের কারণে খালি খাওয়া যায় না তবে কোন কিছুর সঙ্গে যোগ করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে প্রায় সবার।

এক চিমটি লবণের সঙ্গে লেবু খেলে আপনার বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি একটি সুন্দর স্বাদ। যা খেলে তা মুখের রুচি ফিরিয়ে দিতে কাজ করে। লেবু এই ফলটি সহজেই পাওয়া যায়। উপকারে ভরপুর এবং এতে ক্যালরি কম। লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, জিংক, অ্যান্টি অক্সিজেন। 

টক স্বাদের ফল লেবু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন ভাবে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যারা প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাজ করে। সেই সঙ্গে রোগ সৃষ্টিকারী জীবনুর বিরুদ্ধে লড়াই করে ।

প্রতিদন ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম মেনে লেবু পানি খেলে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেডিসিন দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে ভিটামিন সি এল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। এছাড়াও লেবুতে পিএইচ এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কয়টি লেবু খেলে ওজন কমে

ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত? আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চারটা তাজা লেবু খাবারের সাথে যোগ করতে পারেন। নিয়মিত প্রতিদিন যদি আপনি তিন থেকে চারটা লেবু খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন কমে আসবে এবং আপনি প্রতিদিন ১১৫ মিলিলিটার পর্যন্ত লেবুর রস খেতে পারেন। 

প্রতিদিন ফলের রস এবং লেবুর রস মিলিয়ে ১১৫ মিলিটারের বেশি খাওয়া কিন্তু শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এবং তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়ার লেবুর রস খালি পেটে গরম পানি সাথে মিশিয়ে লেবু খাবেন না। এতে করে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

নিয়মিত লেবু খাওয়ার নিয়মঃ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস পানি আর অর্ধেক লেবু নিয়মিত পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন ডাক্তার চেম্বারের ঠিকানা আপনি ভুলে গেছেন। লেবু পানি পান করা শুধু করলেই ছোট বড় কোন রোগ ধারে কাছে ঘষতে পারে না ।

প্রতিদিন কি লেবু খাওয়া যাবেঃ আপনি যদি প্রতিদিন ৯ টা থেকে ১০ টা লেবু খান তাও কোন সমস্যা নাই। কিন্তু একসাথে লেবু খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ লেবু তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আপনাকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে। এর জন্য আপনি ধরুন তিনটা লেবু দিয়েই এক মগ শরবত বানিয়ে সকালে খালি পেটে খেলেন। এটা আবার ধরুন বিকেলে খেলেন। এভাবে আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন। নিয়মিত পান করলে আপনার শরীরের মেদ ও ওজন কমে যাবে।

প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাবঃ আপনি প্রতিদিন একটা লেবু তিন বেলা ভাগ করে খেতে পারেন। এভাবে খাওয়াটাই সবথেকে ভালো। এতে আছে ভিটামিন সি। যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন লেবু খাওয়া ত্বক ও শরীরে জন্য অনেক কার্যকরী একটি ফল যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে।

লেবু খাওয়ার উপকারিতা

লেবুতে আছে অনেক উপকারিতা। যেমন লেবুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন লেবু খাবার অভ্যাস তৈরি করুন। লেবু আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক যা আপনার কলেস্টেরল মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনবে শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করবে।

লেবুতে ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম মেনে লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক গ্লাস পানি সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। লেবুতে থাকা ফাইবার খাবার পরে প্রসারিত হয়। যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। এটা আপনাকে খাবার থেকে বিরত রাখবে। ফলে ওজন বৃদ্ধির কোন ভয় থাকবে না।

প্রতিদিন কয়টা লেবু খাওয়া যায়ঃ আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা লেবু খেতে পারেন এবং দুই থেকে তিনটা লেবু খাবার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা। অন্য সব খাবারের মতো এই সাইট্রাস ফলটি পরিমাণ মত খাওয়া উচিত। লেবু তে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক যা আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। শরীরের মেদ ও ওজন কমিয়ে দেয়।

লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু আমরা সবাই খেয়ে থাকি। গোশত খেলে অথবা আবহাওয়া গরম হলেই লেবু ঠান্ডা লেবু শরবত আমাদের আকর্ষিত করে তোলে। এটা যে শুধু সাদ কিংবা ঘ্রানে বিভিন্নতা আয়রন রয়েছে এতে। পাশাপাশি রয়েছে লেবুর উপকারিতা এবং সাথে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রয়েছে কিছু অপকারিতা। বর্তমানে লেবুর ব্যবহার শুধু খাবারে সীমাবদ্ধ নাই। 

এটা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর উপকারিতা সম্পন্ন গুণাগুণের কারণে -যেমন রয়েছে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা , লেবুর খোসার উপকারিতা রয়েছে, তেমনি লেবুর উপকারিত, চুলের যত্নের জন্য,মুখের ত্বকের জন্য লেবুর উপকারিতা, গরম পানিতে লেবুর রসের উপকারিতা, ত্বকের যত্ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশী লেবু ও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

আমরা বাঙালি খাবারের সময় যেমন লেবু ব্যবহার করি এমন ভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীও ডাক্তারগণ রোগীদের সমস্যার উপর ভিত্তি করে লেবু খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মূলত লেবু একটু উপকারী ফল। আবার একই সাথে স্বাদ বৃদ্কারি সালাদ। এখন জানা যাক লেবুর পুষ্টি সম্পর্কে। লেবুতে কি কি পুষ্টিগুন আছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।

লেবু হলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের মানবদের জন্য অনেক উপকার করে। 
এছাড়া লেবুর খাদ্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, আন্টি- অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা রকম উপকারী খাদ্য গুন লেবুতে রয়েছে এবং চিকিৎসকরা রোগীদের মধ্যে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখলে বেশি বেশি লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে লেবুর পুষ্টি গুণ আমাদের মানব দেহে উপকারি।
লেবুর উপকারিতা

উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করেঃ আমাদের শরীরের হার্ট অ্যাটাক করার জন্য উচ্চ রক্তচাপ যথেষ্ট। তবে উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত তাদের ক্ষেত্রেই ঘটে। যা যে খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম না থাকে খাদ্যের তালিকায় পটাশিয়ামের ঘাটতি থাকার কারণে অনিয়মিত রক্তচাপ দেখা দেয়। তাই দৈনন্দিন খাবারের তালিকা পরিমাণমতো পটাশিয়াম রিজার্ভ করতে হবে। তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।

লেবুতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ ধারীদের জন্য ডাক্তাররা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। লেবু খেলে আমাদের দেহের পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর হয়ে যায় এবং মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ হাস করে।

লেবু ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ বর্তমানে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কেমোথেরাপি ব্যবহার করে থাকে। তবে ক্যান্সার রোগীদের জন্য লেবু কেমোথেরাপি থেকেও আরো বেশি কার্যকরী। এখন অনেকে চমকে যেতে পারেন সামান্য একটি লেবু যা আমাদের হাতের মুঠোয় থাকে সেটা কিভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

লেবু আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা ক্যান্সারের কোষগুলোকে অবসান বা ধ্বংস করে। শুধু রোগ আক্রান্ত ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস নয়, পাশাপাশি মানবদেহে একটি ক্যান্সার বিরোধী প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবস্থা করে তোলে। যাতে করে পরবর্তীতে কোন ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে না পারে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ক্যান্সার প্রতিরোধের এবং ক্যান্সার ধ্বংসের জন্য লেবু কতটা উপকারী।

লেবুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন সি যে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাই নয় পাশাপাশি এটি আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা দ্বিগুণ করে তোলে। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের বিভিন্ন রকম রোগে ভুগছি তাদের জন্য লেবু বেশ উপকারী। আরো যেমন হাঁপানি; গ্যাস্ট্রিক; ফুসফুসের রোগ কিছুটা কমাতে লেবু বেশ উপকারী একটি ফল। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি।

লেবুতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি রোগ প্রতিরোধ স্তর তৈরি করতে সহায়তা করে। যা আমাদের শরীরের রোগ জীবাণু ও আক্রমণ থেকে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা করে থাকে। তাই প্রতিদিন নিয়ম মত লেবু খাওয়া উচিত।

ত্বকের যত্নে লেবুঃ আমাদের ত্বকের যত্নের জন্য আমরা নানা রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। কিংবা এন্টি অক্সিডেন্ট উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। দিন শেষে অনেকেই ফলাফল পায় ।না সে ক্ষেত্রে আমরা লেবু ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে নানা রকম সাহায্য করে থাকে।

লেবুর ব্যবহার প্রাচীনকাল হতেই হয়ে আসছে। লেবু দ্বারা খুব ভালোভাবে সবকিছু পরিষ্কার করা সম্ভব। একইভাবে আমাদের ত্বক লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক পরিষ্কারক উপাদান ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে অনেক উপাদান। যেমন ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, এন্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বকের কালো দাগ ও পোড়া দাগ দূর করে, বেশি উপকারিতা পেতে লেবুর রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ত্বকের সৌন্দর্য আসবে।

পাকস্থলীকে সুস্থ রাখেঃ আমাদের নানা জায়গায় নানা রকম বিশ্রী ঘটনা সম্মুখীন হতে হয়। পেটে সমস্যা গুলোর মধ্যে হল ডায়রিয়া, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য মত নানা রকম পেটের ব্যথা জনিত সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষের বদহজম সহ কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তাদের জন্য লেবু হতে পারে ভালো একটি সলিউশন।

প্রতিদিন আপনাকে লেবুর রস খেতে হবে। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর রস সহ পানির সাথে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে খেতে পারেন। এটাকে আপনারা শরবত বানিয়ে রেখে দিতে পারেন। এতে করে মুখে কিছুটা রুচিশীল হতে পারে। এরকম যন্ত্রণাদায়ক এবং বিশ্রী পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি এ শরবতের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া অনেকটাই সমাধান হবে।

মুখে দুর্গন্ধ দূর করেঃ আমরা অনেক প্রকার ওষুধ কিংবা মলম বা ক্রিম যাবতীয় ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু দিনশেষে উপযুক্ত ফলাফল পায় না। এছাড়া আমাদের অধিকাংশই মানুষের মুখে দুর্গন্ধ থেকে যায়। এই কারণে দাঁতে ব্যথা সহ নানারকম সমস্যায় ভুগতে হয়। সে ক্ষেত্রে লেবু অনেক উপকার করে থাকে। মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে ভালো উপায় হল লেবুর পানি পান করা। এটি শুধু মুখের দুর্গন্ধই দূর করে না পাশাপাশি মাড়ি ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।

ফুসফুসের জন্য লেবুঃ আমাদের অতিরিক্ত চর্বি লিপিবদ্ধ থাকার জন্য অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ জমে যায়। এক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায়। এগুলো শরীর থেকে বের করে দিতে পারলে ফুসফুস ভালো থাকে। পাশাপাশি ফুসফুস সহ শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ক্ষেত্রে লেবু অনেক উপকারী। 

এরমধ্যে থাকা উপাদানগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে এবং ফুসফুসের মধ্যে থাকা বিষাক্ত/ বর্জ্য পদার্থগুলো বের করে দেয় ও সুস্থ থাকে। এছাড়া হাঁপানি রোগীদের জন্য ফুসফুস ভালো এবং যত্ন নেওয়ার অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে লেবু খুবই কার্যকরী একটি ফল যা আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

বয়সের ছাপ দূর করেঃ সাধারণত আমাদের মধ্যে একটি বয়সের ছাপ পড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের এই বলিরেখা তৈরি হতে পারে। কারো কারো এমনিতেই ত্বকে বলিরেখা তৈরি হয়। এসব ক্ষেত্রে ত্বক থেকে বলি রেখা দূর করতে লেবুর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিন লেবুর রস মিশ্রণ করে বলিরেখা গুলোতে একটানা ১৫ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েকদিন লেবু ও মধু মিশ্রণ লাগানোর মাধ্যমে বয়সের ছাপ দূর করবে।

লেবুর অপকারিতা

উপকারিতার চেয়ে লেবুর অপকারিতায বেশি। তারপরেও লেবু আমাদের প্রতিনিয়ত খাওয়ার রুটিনে থাকে। লেবুর অপকারিতা বা কিছু অসুবিধা দিক জেনে নেওয়া আমাদের জন্য ভালো।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করেঃ আমাদের পাকস্থলীতে অতিরিক্ত লেবুর রস পানি খাওয়ার ফলে এসিড পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফলে কারো কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। একই সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।

বুকের জ্বালা পোড়া বাড়িয়ে দিতে পারেঃ যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লেবু অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন পেট ব্যথা, বুকে জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।

দুর্বলতা ভাব তৈরি করেঃ আমরা যারা খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন করতে পারি না এবং ডায়েট কন্ট্রোল করে থাকি তাদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে লেবু উপকারী। ওজন কমানোর জন্য সাধারণত আমরা সেই পদক্ষেপ গুলো নিয়ে থাকি। এ সময় যদি আমরা অতিরিক্ত লেবু খায় তাহলে শরীরের দুর্বলতা ভাব আসতে পারে। কেননা তখন শরীরে স্বাভাবিকভাবে কার্বোহাইডেট উপাদানগুলো পরিমাণ খুবই কমে যায়।

মাইগ্রনের সমস্যা তৈরি করেঃ যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের লেবুকে ইগনোর করা উচিত। কেননা মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য অনেক বিপদজনক একটি ফল এবং অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা আমাদের মানব দেহের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

দাঁত ক্ষয় হওয়াঃ আমরা সবাই জানি লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। কিছু ক্ষেত্রে সাইট্রিক এসিড আমাদের দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। তাই এক্ষেত্রে ক্ষতিকর নজরে রাখতে হবে। নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে আমরা কিছু ভিন্নতা দেখি যারা প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত টুথ ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে থাকি। লেবু আমাদের দাঁত ক্ষয় হওয়ার জন্য দায়ী।

পরিপাকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ঃ যে কোন এসিড সমৃদ্ধ ফল খেলে এই সমস্যায় পড়তে হয়। লেবু খেলে আমাদের পাকস্থলীতে এসিড তৈরি হয়। যা পাকস্থলীর খাদ্য হজম প্রক্রিয়া কিছুটা ব্যাঘাত ঘটায়। যা আমাদের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে।

এছাড়াও লেবুর অনেকগুলো অপকারিতা রয়েছে। যেমন আমরা দীর্ঘক্ষণ যদি লেবু মুখে নিয়ে থাকি তাহলে মুখের মধ্যে থাকা পাতলা টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আরও অনেক রকম লেবুর ক্ষতি বা অপকারিতা রয়েছে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত, প্রতিদিন কয়টি লেবু খেলে ওজন কমে, লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি এই বিষয়েই গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তারপরও যদি বুঝতে কোন অসুবিধা হয়ে থাকে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url