মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত - ১০০% মুসলিম দেশ কোনটি
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত। ইসলাম ধর্মে নানারকম সম্প্রদায় উপসম্প্রদায় রয়েছে। আপনি যদি মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মুসলমান ধর্মের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা রয়েছে। যেগুলো আজকের আলোচনায় থাকছে। ধর্মের স্বভাব অদ্ভুত।এক ধর্ম অন্য ধর্মের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইসলাম ধর্ম পালনেও মানবজাতি আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সেগুলোই জানার চেষ্টা করব।
ভূমিকা
বিভিন্ন ইসলামিক সম্প্রদায় এবং শাখা ইসলামকে নানা রকম ভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে। এই সম্প্রদায়গুলা ও বিভিন্ন রকমের আকিদা অনুসরণ করে। এ সকল শাখা এবং সম্প্রদায়ের ভিতরে উপশাখা রয়েছে। ইসলাম বিষয়ে যারা পন্ডিত রয়েছে তাদের বাইরে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে অনেক ঘাটতি রয়েছে। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত তা নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। চলুন মুসলমান ধর্মে মানবজাতির কয় ভাগে বিভক্ত বিষয়টি আলোচনা করে দেখা যাক।
মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত
মুসলমান ধর্মে মানবজাতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। কিন্তু ইসলামের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং শাখা গুলো ইসলামকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে। তাদের মতে ইসলামের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এক এক জন একেক রকমের আকিদা পালন করে। এখন আমরা মুসলমান ধর্মের প্রধান শাখা এবং সম্প্রদায় সমূহ নিয়ে জানব।
সুন্নি ইসলাম
সুন্নি ইসলাম হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে বড় শাখা। সারা বিশ্বে মোট মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৮৫% মানুষ সুন্নি ইসলাম পালন করে। সুন্নি ইসলামকে আহালে সুন্নাহ ওয়াল জামাত অথবা আহালে সুন্নাহ নামে পরিচিত আছে। সুন্নি শব্দটি সুন্নাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। সুন্নাহ শব্দের অর্থ ইসলাম ধর্মের রাসূল (সাঃ) ও তার সাহাবীদের শিক্ষা কর্ম এবং উদাহরণ।
শিয়া ইসলাম
শিয়া ইসলাম ইসলাম ধর্মের তৃতীয় বৃহত্তম শাখা। এ তে মোট মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১০-১৫ %। শিয়া মুসলমানরা ইরাক, ইরান, বাহরাইন এবং আজারবাইজানে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু অংশ এবং সিরিয়া, তুরস্ক, দক্ষিণ এশিয়া, ইয়ামেন, সৌদি আরব, লেবানন এগুলোতে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করে। শিয়া ইসলামের কিছু উপ সম্প্রদায় রয়েছে। যেমন-
- টুইলভাসশিয়া
- ইসমাইলিশিয়া
- জায়েদি
গুলাত আন্দোলনঃ শিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত বিভিন্ন শাখা এবং আন্দোলনের যারা ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আধ্যাত্মিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে সাধারণ বিশ্বাস হতে আলাদা তাদের গুলাত হিসেবে ধরা হয়।
খারিজি ইসলাম
খালিজ শব্দের অর্থ হচ্ছে বাতিল। খারিজ ইসলাম একটি বিলুপ্ত সম্প্রদায়। এর আবির্ভাব ঘটেছিল ইসলামের প্রথম ফিতনা চলাকালীন সময়ে। খারিজিরা প্রথমদিকে আলী (রাঃ) যে আল্লাহর খেলাফত সমর্থন করে এবং পরবর্তীতে তারা আলী (রাঃ) বিরুদ্ধে অবস্থান এবং কুফার মসজিদের হত্যা করে। বর্তমানে খারিজি প্রভাবিত কিছু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব যদিও আছে তারপরেও খারিজি বলতে এমন মুসলমানদের বোঝানো যারা নিজেদের মতবাদ বাদ দিয়ে অন্য কোন মতবাদকে গ্রহণ করে না।
পরিশেষে আমরা এটি বুঝতে পারলাম যে মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত। বলতে গেলে বলতে হয় যে মুসলমান ধর্মে মানব জাতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে সুন্নি ইসলাম আর অন্যটি শিয়া ইসলাম। আশা করছি, মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মুসলিম শব্দের অর্থ কি
মুসলিম শব্দের আভিধানিক অর্থ আত্মসমর্পণ। আর মুসলমান হওয়া মানে আত্মসমর্পণ করা। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন পাকের ঘোষণা করেন, "তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।" তিনি আরো বলেন, "নিশ্চয় ইব্রাহিম, ইয়াকুব, ইউসুফ তাদের পুত্রদের এই বলিয়া ওসিয়ত করিয়াছে বাবারা আল্লাহর দ্বীন তোমাদের হাতে। মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।" এখন কথা হচ্ছে মুসলিম শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণ করা।
আত্মসমর্পণ করতে হবে আল্লাহর কাছে। এটি প্রকাশিত হয় মানুষের চেহারার মাধ্যমে যদি একজন মানুষের কাছে যান এবং আত্মসমর্পণ করেন তাহলে মহান আল্লাহর পরিচয় পাবেন। মুসলিম শব্দ দিয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বোঝানো হয়। এটার আরবি শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে আত্মসমর্পণ করা। এ থেকে বোঝা যায় যদি একজন যদি মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত থাকে এবং আত্মসমর্পণ করে তাহলে কেবল তাকে মুসলিম বলা যায়।
আদর্শ মুসলিম কাকে বলে
আদর্শ মুসলিম কাকে বলে? একজন আদর্শ মুসলিমের বেশ কিছু গুণাবলী থাকবে। যেগুলো দেখলে বোঝা যাবে যে সে একজন আদর্শ মুসলিম ।কোরআন শিক্ষা একজন মুসলিমের জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। সম্পূর্ণ কোরআন জুড়ে মুসলিমের জন্য আছে জীবনে চলার অসম্ভব উপায়। চলুন আদর্শ মুসলিমের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নেওয়া যায়।
আল্লাহ ভীতিঃ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি একজন মুমিনের জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। সে বিশ্বাস করে সে জীবনে যে কাজগুলো করে সবগুলো আল্লাহ জানেন এবং তার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করে দেয়। তাই তার ভেতরে সব সময় আল্লাহ ভীতি থাকে।
ইখলাস বা নিষ্ঠাঃ একজন আদর্শ মুসলিম শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে।
আল্লাহর উপরে ভরসাঃ আল্লাহর উপরে ভরসা একজন মুমিনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।সে বিশ্বাস করে যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করে তার জন্য একমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করবেই এবং তার জন্য সবকিছু নির্দিষ্ট করাই রয়েছে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজঃ একজন আদর্শ মুসলিম ফরজ ইবাদত গুলো যথাযথভাবে পালন করবে। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। একজন আদর্শ মুসলিম নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
ভাল কাজে লিপ্ত থাকাঃ আদর্শ মুসলিম সব সময় ভালো কাজে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করে। সে কখনোই খারাপ কাজে লিপ্ত হয় না।
হালাল উপার্জন করাঃ যে একজন আদর্শ মুসলিম হবে সে জানে অবৈধ উপার্জন আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম বাধা। তাই একজন আদর্শ মুসলিম হালাল উপার্জনের সচেষ্ট থাকবে।
অসহায়দের সহায়তা করাঃ অসহায় মানুষদের সাহায্য করলে আল্লাহ খুশি হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ অসংখ্য বার মানুষের পাশে থাকা নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করাঃ ইসলাম ধর্ম সমাজের অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করতে শেখায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবি। আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা শ্রেষ্ঠ মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তুমি ভালো কাজের নির্দেশ দান করো অসৎ কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহকে ভরসা করো।
দ্বীনের দাওয়াত দেওয়াঃ যেহেতু দ্বীনের পথে আহবান করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব। তাই একজন আদর্শ মুসলিম যেটুকু জানে সেটুকুই মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বেশি বেশি দোয়া করাঃ একজন আদর্শ মুসলিমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল দোয়া। মুমিনরা সর্বাবস্থায় বিনীত হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে থাকে। বিশেষ করে গভীর রাতে আল্লাহর প্রার্থনা করে।
উপরোক্ত গুণাবলী গুলি যদি একজন মানুষের মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে তাকে একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আশা করি, বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
১০০% মুসলিম দেশ কোনটি
মুসলিম দেশগুলোর নাম আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা জরুরী। পৃথিবীতে অনেকগুলো মুসলিম দেশ। রয়েছে সারা বিশ্বে অনেকগুলো মুসলিম দেশ রয়েছে। সকল দেশ সম্পর্কে একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা আবশ্যক। ১০০% মুসলিম দেশ কোনটি এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চান।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই যে ১০০% মুসলিম দেশে তালিকায় রয়েছে মালদ্বীপ এবং সৌদি আরব। ইয়ামেন ৯৯.৮%, আফগানিস্তান ৯০.৭%, ইরান ৯৯%, ওমান ৯৯%, ইরাক ৯৮%। এছাড়াও অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে ৯০% এর উপরে মুসলিম রয়েছে।
এরকম আফ্রিকার কয়েকটি দেশ রয়েছে যেগুলো ১০০% মুসলিম রয়েছে। যেমন মৌরিতানিয়াতে ১০০% মুসলিম রয়েছে। আলজেরিয়াতে ৯৯%, তিউনিসিয়া ৯৮.২%, ছানিয়া ৯৮.৪%, অমরজ ৯৮%, জিবুতি ৯৭ শতাংশ সোমালিয়া ৯৯%। এছাড়াও আরো অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে যেগুলোতে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি।
মুসলমান কোন ভাষার শব্দ
মুসলিম একটি আরবি শব্দ এবং মুসলমান এবং মুসলিম দুটি পারিভাষিক শব্দ। মুসলমান শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণ, অনুগত। মুসলমান হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
মুসলিম সম্প্রদায়
মুসলমান ধর্মে মানব জাতি কয় ভাগে বিভক্ত এবং মুসলিম সম্প্রদায় কয়টি এই দুটি বিষয় একই রকম। তবুও আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আরো একবার বিষয়টি আলোচনা করে দিচ্ছি। মুসলিম সম্প্রদায় সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত। সুন্নি এবং শিয়া। এরা একে অপরকে মুসলিম বলে মানে না। সুন্নি এবং শিয়াদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে মোহাম্মদের আসল উত্তরসূরী। শিয়ারা বিশ্বাস করে আলী ইবনে আবু তালিব মোহাম্মদের সত্যিকারের উত্তরাধিকারী।
আর সুন্নিরা আবু বকরকে এই অবস্থানে রাখে। প্রথম যখন ফিতনা চলছিল শিয়া ও সুন্নি উভয়েই সম্প্রদায় থেকে বিরত হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে শিয়া ও সুন্নি উভয় সম্প্রদায়কে হিংস্রভাবে বিরোধিতা করেছিল। খারিজি ইসলাম এবং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে সুন্নি ইসলামকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- হানাফী, মালিকি, সাফেয়ী, হানবালি।
অন্যদিকে শিয়া ইসলামকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। টুউইলভাস, ইসমাইলিস, জায়েদিস।
মুসলিম বংশের নাম
আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা বাঙালি মুসলিম বংশের নাম গুলো জানব। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যে সকল মুসলমানরা বসবাস করে তাদের পদবী গুলো খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। যদিও ইসলাম ধর্ম মতে কোন পদবী নেই। মুসলমানদের জাতির পিতা ইব্রাহিম আলাইহি সাল্লাম এর কালেও কোন পদবী ছিল না। মূলত পিতার নামেই বংশের পরিচয় হয় এজন্য মুসলিমদের মধ্যে পদবীর ভিন্নতা দেখা যায়। অনেক নিচু বর্ণের হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তাদের পদ ত্যাগ করেননি তাই মুসলমান পদবীর সাথে কিছু হিন্দু পদবীর মিল পাওয়া যায়। চলুন পদবী গুলো জেনে নেওয়া যাক
- আলী
- রহমান
- সৈয়দ
- খন্দকার
- শেখ
- উদ্দিন
- মীর
- আনসারীর
- গাজী
- চিশতী
- পীর
- সাহেব
- ফকির
- মোল্লা
- মিয়াজী
- সাহা
- খাজা
- ফরাজি
- সিদ্দিকী
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা মুসলমান ধর্মে মানবজাতি কয় ভাগে বিভক্ত এবং ১০০% মুসলিম দেশ কোনটি বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, আমাদের লেখাটি পড়ে আপনি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
অথবা আপনার যদি কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলেও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো নতুন নতুন পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url