১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের জন্য ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। বিশেষ করে ১ দিনে হাত পা ফর্সা করা উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, এই সকল বিষয় বিস্তারিত তথ্য থাকছে। তাই আপনি যদি ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় ও বডি লোশন কোনটা ভালো জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বডি লোশন কোনটা ভালো
আপনি যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ১ দিনে হাত-পা ফর্সা করার উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো এবং ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত রূপচর্চা করেন থাকেন তাহলে এ বিষয়গুলো জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী তাহলে চলুন দেরি না করে এক দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় বডি লোশন কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ভূমিকা - ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ১ দিনে হাত পা ফর্সা করা উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন, ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম, পুরো বডি ফর্সা করার ক্রিম, মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম, নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। এই সবগুলো বিষয় যদি আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকেরই ভাবনার শেষ নেই। যা ব্যবহার করে দ্রুত হাত ও পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আগের চেয়ে অনেকটা ফর্সা হয়ে উঠবে। সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই জেনে নিন ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে একদিনে হাত পা ফর্সা হয়ে যায়। 

অনেকেই আছেন খুব তাড়াতাড়ি হাত পা ফর্সা করতে চান। তাদের জন্য আমরা ১ দিন হাত পা ফর্সা করার উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি, আর্টিকেলের এই অংশটি পড়লে আপনি ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় জানতে পারবেন। তবে যাদের সংবেদনশীল ত্বক তারা আগে একটা ছোট প্যাচ টেস্ট করে নিবেন এসব গুলো ব্যবহার করার আগে।

মধু ও শশা: মধুর সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানান। পায়ে ও হাতে লাগান। ত্বকের উন্নতি হবে।

নারিকেলের পানি: কোন কালো দাগ কমাতে নারিকেলের পানি সপ্তাহে দুইবার লাগান। নারকেলের পানি হাত ও পা ফর্সা করার জন্য খুবই ভালো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল ম্যাসাজ: অলিভ অয়েল ভালো ফলাফল পেতে এর সঙ্গে একটু কেশর মিশিয়ে নিন। অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে হাত ও পা ফর্সা হয় এবং নরম থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

দই: এটা জিংক ও ল্যাকটিক এসিডের উৎস। যেগুলো ত্বককে ফর্সা করে। দই লাগালে হাত পা ফর্সা ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

দুধঃ কাঁচা দুধের সাথে একটি কাঁচা হলুদ বেটে মিশ্রণ করে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকরী একটি উপাদান।

চন্দনঃ মুলতানি মাটির সঙ্গে চন্দন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপরে একটি পেস্ট বানান এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ত্বকে লাগান।

মসুর ডালঃ মসুর ডাল ভালোভাবে বেটে মিশ্রণ করে দই ও দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। হাত পায়ে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিন। এটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

কাজুবাদামঃ ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজুবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে বেটে নিন। পা হাতে লাগান। ৩০ থেকে ৬০ মিনিট রেখে দিন। ত্বকের উজ্জ্বলতার নিজেই বুঝতে পারবেন।

টমেটোঃ টমেটো ব্লেন্ডার দিয়ে পেস্ট করুন। পেস্ট করার পরে হাতে ও পায়ে এই টমেটো পেস্ট টি লাগান। এটা আপনার ত্বকের ব্রণ ঠিক করবে ও উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

ওটমিলঃ ওট মিল, দই ও টমেটো এক সঙ্গে মিশ্রণ করুন। এটা মিশ্রণ করা শেষ হলে শরীরে লাগালে স্বাভাবিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়। হাত ও পায়ের জন্য ভালো মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

ডিমঃ আপনার ত্বক যদি তেলতেলে হয়, হাত ও পা ফর্সা হওয়ার দারুন উপায় ডিম। ডিমের সাদা অংশ সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগান আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাবটি কেটে যাবে।

জিরাঃ কাঁচা জিরা পানিতে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো হয়ে গেলে পানিটা ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। এই পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করুন দ্রুত ত্বক ফর্সা হবে।

দারুচিনি ও মধুঃ এক চা চামচ মধু ও এক চামচ দারুচিনি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা আপনার হাত ও মুখে ভালো করে লাগান ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।

আলুর রসঃ আলুর রস হাতে ও পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই রস আপনার চামড়া পরিষ্কার করবে এবং স্বাভাবিকভাবে ফর্সা করবে।

আশা করছি, আপনি ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় জানতে পেরেছেন। এই উপাদানগুলো যদি আপনি নিয়ম মেনে ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার হাত-পা ফর্সা হয়ে যাবে।

বডি লোশন কোনটা ভালো

সামনে শীতকাল আসছে। কিন্তু ত্বক নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যায়। শীতের হাওয়া গায়ে লাগলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বক কোমল রাখতে সবাই লোশন ব্যবহার করে। কিন্তু ত্বকের জন্য বডি লোশন কোনটা ভালো বুঝে উঠতে পারে না। কিছু লোশন আছে যা ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সবাই ভয়ে থাকে কি লোশন ত্বকে ব্যবহার করা যায়। বডি লোশন কোনটা ভালো আপনি যদি বডি লোশন কোনটা ভালো জানতে চান তাহলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

নিভিয়াঃ এটি অ্যালোভেরা যুক্ত একটি বডি লোশন। যা ত্বক কে আরাম প্রদান করে, নরম রাখে এবং মোলায়েম রাখে। এই লোশনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যা অন্যান্য লোশান এর থেকে অনেক ভালো। এই লোশন ত্বকে ইউজ করলে খুব রিফ্রেশিং লাগে।

ডাভঃ এ লোশনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ডাভ লোশন শীতের শুষ্কতার হাত থেকে ত্বকের রক্ষা করে। ডাভ নারর্সিং সিক্রেট লোশন যা ত্বকের জন্য খুবই ভাল। এই লোশন ত্বককে রাখে নরম যা অন্যান্য লোশন এর থেকে অনেক ভালো।

লোটাশঃ এই লোশন ত্বককে শুধু মোলায়েম রাখেনা সাথে উজ্জল করে এবং সজীব রাখে। ত্বকে যদি দাগ থাকে তবে সেই দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। এই লোশনটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যা অন্যান্য লোশন এর থেকে অনেক ভালো। এই লোশনটি এইচপিএফ ২৫ যুক্ত।

ভেসলিনঃ এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং পরিবেশ দূষণের হাত থেকে ত্বক কে বাঁচায়। ভেসলিন লোশনে আছে ভিটামিন বি এবং থ্রি যা ত্বকের দাগ কমায়। এ লোশনটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

বোরোপ্লাসঃ এটি এন্টিপেস্টিক বডি লোশন যা আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। বোরো প্লাসে আছে দুধ ও কেশর, ভিটামিন সি।

পন্ডসঃ পন্ডস লোশন আছে ভিটামিন বি৩ ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি। যা ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে সেই সাথে নরমও রাখে।

বোরো প্লাসঃ দুধ ও কেশরের কম্বিনেশনে বোরো প্লাস বডি লোশন তৈরি করা হয়। বোরো প্লাস অ্যান্টিসেপটিক বডি লোশন। যা আপনার ত্বকে সব সময় উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করবে।

ব্লু নেক্টারঃ ব্লু নেকটার লোশনের কোকো বাটার, শিয়া বাটার, আমন্ড বাটার এবং ম্যাঙ্গো বাটার রয়েছে। যা ত্বককে কোমল এবং নরম রাখে। এই লোশন খুব সহজেই ত্বক ভেদ করে ভিতরে ঢুকতে পারে। যার ফলে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তেমন কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই তাই লোশন ত্বকের জন্য খুব ভালো।

কেটোফিল ময়েশ্চারাইজিং লোশনঃ কেটোফিল ময়েশ্চারাইজিং লোশনে কোন প্রকার সুগন্ধি এড করানো থাকে না এবং এটি হাইপো এলার্জিক। তাই এই লোশনটি ইউজ করলে কোনরকম এলার্জির আশঙ্কা থাকে না। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই লোশনটি নির্বাচন করেছে।

হিমালায়া হারবালস্কোপ বাটার ইন্সটেনশিপ বডি লোশনঃ এই বডি লোশন ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনে। ত্বকের ইলাস্টিসিটি এনে দেয়। যার ফলে ত্বক খুব নরম এবং ত্বকের লাবণ্য স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। শরীরের যে অংশ বেশি শুষ্ক হয়ে যায় সে অংশে লোশানটি লাগিয়ে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি প্রবেশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে লোশন দিনে দুইবার ইউজ করতে হবে।

নিউট্রোজেনা বডি ময়েশ্চারাইজারঃ এই লোশনে ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্ট করা রয়েছে। যার ফলে ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক তারা এই লোশনটি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ত্বক ভালো থাকবে।

বায়োটিক বায়ো ক্রিমি কোকোনাট আল্ট্রা রিচ বডি লোশনঃ এই লোশনটি মসুর ডাল, তুলসী পাতার নির্যাস, মুর্গাসের নারিকেল তেল এবং আরো নানা রকম প্রাকৃতিক তেলের নির্যাসে তৈরি। যা আপনার ত্বকের শুষ্কতা সারিয়া তুলতে পারে। এ লোশন টি যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তাই এটি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে খুবই উপকারী হবে।

আশা করছি, বডি লোশন কোনটা ভালো আপনি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এই বডি লোশন গুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই লোশন গুলো ত্বকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায় এবং তাকে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। তাই সবগুলো লোশন সম্পর্কে পড়ে নেওয়ার পারে আপনি নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিন বডি লোশন কোনটা ভালো এবং আপনি কোনটি ব্যবহার করতে চান।

ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন

ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন আসলে ছেলেদের ফর্সা হওয়ার লোশন এর ক্ষেত্রে তেমন কোন নির্দিষ্ট পণ্য নেই বেশিরভাগ লোশা নিয়ে নারী-পুরুষ সবার জন্য উপযুক্ত আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং ত্বকের উপরে নির্ভর করবে আর্টিকেলের উপরের দিকে আমরা একদিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় এবং বডি লোশন কোনটা ভালো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আপনি ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়ার পরে উপরের দুইটি অংশ অর্থাৎ একদিনে হাত-পা ফর্সা করার উপায় এবং বডি লোশন কোনটা ভালো এই বিষয়ে দুটি পড়ে নিবেন তাহলে আপনার কাছে ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন কোনটি পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনি যদি লেখাটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে

ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন নির্বাচন করার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে নিতে হবে চলুন এবারে আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানি

আপনার ত্বকের ধরনঃ আপনার ত্বক কেমন অর্থাৎ অ শুষ্ক তৈলাক্ত বা সংমিশ্রিত ত্বক কিনা তা জেনে নিতে হবে এর ফলে আপনি খুব সহজেই ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন পছন্দ করতে পারবেন যার ফলে আপনার নির্দিষ্ট চাহিদাগুলো পূরণ হবে

লোশনের উপাদানঃ ড হায়ালু রনিক এসিড গ্লিসারিন হাই আলুর অনেক এসিড সিয়া মাখন এলোভেরা এগুলোর মত হাইড্রেটিং উপাদান আছে কি এরকম লোশন গুলো বেছে নিতে হবে এই উপাদানগুলো ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে

সান প্রটেক্টিভ লোশনঃ আপনি যদি সূর্য থেকে সুরক্ষা পেতে চান এমন একটি লোশন খুজে থাকে তাহলে আপনাকে ব্রডস্পেক্টর সান প্রটেক্সান ফ্যাক্টর আছে এমন একটি লোশন বেছে নিতে হবে

সুগন্ধি ঃ কিছু লোশন এর সঙ্গে সুগন্ধি মেশানো থাকে এবং অন্যগুলোতে সুগন্ধ থাকে না আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের সাথে এটি পছন্দ করুন আপনি যদি সুগন্ধ পছন্দ করবেন তাহলে সুগন্ধযুক্ত লোশন নিতে পারেন আর যদি পছন্দ না করেন তাহলে শুধু গন্ধ মুক্ত লোশন নিতে হবে

হাইপো অ্যালার্জেনিক বিকল্পঃ আপনার ত্বকে যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে হাইপো এলার্জি হিসেবে লেবেল যুক্ত বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য একটি উপযুক্ত লোশন নির্বাচন করুন
ছেলেদের পুরো শরীর ফর্সা করার কিছু টিপস

এ কথাটা সত্যি যে শুধুমাত্র ক্রিম ভালো হলেই আপনার শরীর ফর্সা করে দিবে না। তার জন্য নিজেকে কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন জীবাণু এবং সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে হলে রুমাল বা তোয়ালে এবং এরকম আরো যে সকল জিনিসপত্র রয়েছে ব্যক্তিগত জিনিসগুলো কারো সাথে শেয়ার না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির জন্য তাদের নিজস্ব কিছু থাকা উচিত।

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসঃ সময় মত খাবার খেতে হবে। খাবার খাওয়ার জন্য যেকোনো একটি সময় বেছে নিতে হবে। অনিয়মিত খাবার খাওয়ার ফলে আপনার বিপাকে সমস্যা হতে পারে। অবশ্যই পরিমিত পরিমাণ খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত খাবার খেলে হজমে অস্বস্তি এবং ওজন বেড়ে যায়। ভারী মসলাযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। এগুলো দীর্ঘমেয়াদে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবেঃ শরীরের ক্রিয়া-কলাপ গুলো সঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। দিনে অন্ততপক্ষে চার গ্লাসের বেশি পানি খেতে হবে। পানি বাহিত রোগ এবং দূষিত পদার্থ এড়াতে বিশুদ্ধ পানির উৎস কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হবে। সকালে উঠতে হবে।

এ সকল নিয়ম গুলো যদি আপনি ভালোভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হয়ে যাবেন। আশা করি, ছেলেদের ফর্সা হওয়ার বডি লোশন এবং সাথে আরো যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি সেগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন। এই নিয়মগুলো মানার পাশাপাশি ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় এবং বডি লোশন কোনটা ভালো এই অংশ দুটি পড়ে নেবেন তাতে করে আপনাদের আরও বেশি সুবিধা হবে।

৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

অনেকে খুব দ্রুত ফর্সা হতে চাই। তাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ আপনারা অনেকেই ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান। এই ক্রিমগুলো খুব সহজেই আপনার ত্বকে সাত দিনের মধ্যে ফর্সা করে তুলবে। 

বর্তমানে যে সকল ক্রিমগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে আজকে আমরা সেইসব ক্রিমের নাম গুলো আপনাদেরকে জানাবো। তাহলে চলুন এবারে আমরা জেনে আসি কিভাবে ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করে আপনার ত্বকে কালো থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে তুলবেন।

wow fairness cream fairness

আপনি যদি আপনার ত্বক সাত দিনের মধ্যে ফর্সা করতে চান তাহলে wow fairness cream fairness ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো দোকানে গিয়ে আপনি যদি এই ক্রিমের নাম বলেন তাহলেই খুব সহজেই ক্রিমটি পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকে থাকা বিভিন্ন বলি রাখা দূর হবে।

whitening soap

সাত দিনের মধ্যে ফর্সা হতে চাইলে আপনি হোয়াইটনিং সোপ ব্যবহার করতে পারেন এই স্যুপটি ত্বকের জন্য উপকারী এবং যেকোনো তকে এই সবটি ব্যবহার করা যায় কারণ এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুষ্টি উপাদান এবং প্রয়োজন রয়েছে হোয়াইটেনিং স প ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা সরবরাহ করে আপনার শরীরের সব দাগ দূর করতে সহায়তা করবেন

Olay white Residence

৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এবং মেয়েদের ফর্সা হওয়ার জন্য এই ক্রিমটি সবচেয়ে ভালো আপনি যদি নিয়মিত ওলে হোয়াইট রেসিডেন্স ক্রিমটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং ত্বকে ফর্সা ভাব চলে আসবে। এই ক্রিমটি ত্বকের ডার্ক সার্কেল কমাতে সহায়তা করে এবং ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য এই ক্রিমটি আপনি বাজারে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

Himalaya herbal clear complexion

যারা অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যে ফর্সা হতে চান তাদের জন্য হিমালায়া হারবাল ক্রিয়ার কমপ্লেক্সান ক্রিমটি খুবই কার্যকর হবে। এটি ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য খুব বেশি উপযোগী। মত ব্যবহার করে আপনার ত্বক নস্ট্যান্ট গ্লো ফিরে আসবে। আপনার ত্বকের ভিতরে থাকা নানা রকমের সমস্যা দূর হবে এবং তাকে ফর্সা উজ্জ্বল করে দিবে এবং সুন্দর রাখে।

Garnier Light Com

Garnier Light Complete ক্রিমটি আপনাকে মাত্র ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। এ ক্রিমটি সম্পূর্ণভাবে লেবুর নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ত্বকের যত্নে লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি খুবই কার্যকরী। যা ত্বককে আরো বেশি সুন্দর করে তোলে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের দাগ দূর করে।

আশা করছি, ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে যারা ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম খুঁজছিলেন, যারা স্থায়ীভাবে নিজের ত্বক ফর্সা করতে চান তারা এই ক্রিমগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে কোন ক্রিমই ইনস্ট্যান্ট কোন রেজাল্ট দিতে পারে না। সেজন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে ক্রিমটি ব্যবহার করে যেতে হবে। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ত্বক ফর্সা হয়ে যাবে। আশা করছি, আপনি ৭ দিনের ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পুরো বডি ফর্সা করার ক্রিম

অনেকেই শ্যামলা শরীরের রং নিয়ে চিন্তায় থাকেন। চিন্তার চিন্তিত হওয়ার তেমন কোন কারণ নেই। কারণ আপনি খুব সহজেই পুরো বডি ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করে দ্রুত ফর্সা হয়ে যেতে পারবেন। পুরো শরীর ফর্সা করার জন্য পুরো বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়। সবাই চাই নিজের শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, আকর্ষণীয় লুক এবং নিজের ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির জন্য। 

সুন্দর হওয়াটা প্রত্যেকের কাছে এখন নেশার মত। আপনি যদি নিয়মিত শরীরের যত্ন নিতে চান সেক্ষেত্রে একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া ভালো। এতে আপনার শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি নিজেকে নিজে স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় মনে হবে। পুরো বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করে দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিজেকে ফর্সা করে তোলা যায়। সেজন্য আপনি নিচের ক্রিমগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
  • glow & Lovely
  • Aloe vera Whitening cream
  • Ponds White Beauty
  • Olay White Radiance
  • BB cream
  • Vegetable fairness cream
  • Himalaya Herbals fairness
  • Loreal Paris white cream
  • Nivea natural fairness cream
  • Revlon touch & glow
  • Lakme Peach milk
  • Himalaya natural glow cream
  • Clean & clear fairness cream
  • Ayur cold cream
  • Garnier Skin Natural
  • B blunt whiting serums
  • Lakme absolute perfect cream
  • Olay regenerist night recovery cream
প্রিয় পাঠক, উপরের সবগুলো পুরো বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম। আপনি এই ক্রিম গুলো আপনার শরীরের যেকোনো স্থানে হাত-পা এবং মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমগুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি বেছে নিয়ে ব্যবহার করা শুরু করুন। 

কিছুদিন পরে আপনি আপনার আশানুরূপ ফলাফল পাবেন এবং এগুলো কোন সাইড ইফেক্ট নাই। আশা করি, পুরো বডি ফর্সা করার ক্রিম সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণাটি পেয়েছেন। ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায় হিসেবেও আপনারা এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে করে কিছুটা সময় লাগবে কিন্তু কাজ হবে।

মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম

হাত পা শ্যামলা কিংবা কালো হলে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি চিন্তায় থাকে। তারা এটা চায় যে রাতারাতি তাদের হাত-পা ফর্সা হয়ে যাক। মেয়েদের হাত পা ফর্সা হওয়ার জন্য মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম দিয়ে বাজারে অনেক রকমের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। যে ক্রিমগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত নয় এবং সেগুলো ব্যবহার করার উপযুক্ত না। এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে সাইড ইফেক্ট পড়তে পারে। ডাক্তারি পরামর্শে মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার যে সকল ক্রিম ব্যবহার করা হয় সে ক্রিমগুলো নাম নিচে তুলে ধরা হলো।
  • Melacare cream
  • Tretin Cream
  • Gold Bleach Cream
  • Salicid cream
  • Betnovet- N cream
  • Wow Fairness Cream
  • Alioe Vera Gel
  • Motetasone cream
  • Dermovet Ointment
  • Kojic Acid cream
  • Hydroquinone
  • Osufi Body cream
  • Glycolic Acid Cream
  • Doctor whitening cream
মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম আমরা তুলে ধরলাম। আপনি এই ক্রিমগুলোর মধ্য থেকে যে কোন ক্রিম হাত পা ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এগুলোর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন।

শেষ কথা - ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়, বডি লোশন কোনটা ভালো, সাত দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এই সবগুলো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, ১ দিনে হাত-পা ফর্সা করার উপায় এবং বডি লোশন কোনটা ভালো বিষয়গুলো আপনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন। 

আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। আপনি যদি এরকম আরো কোনো বিষয়ে লেখা পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। যদি সেই বিষয়ে আর্টিকেল লেখা না থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি জানানোর কিছু দিনের মধ্যেই ওই বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url