ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কিডনি এবং বহুল প্রচলিত একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। তাই কিডনি এবং ডায়াবেটিস এর সমস্যা হলে আমাদের একটি খাবার তালিকা তৈরি করে নেয়া উচিত।
আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আমরা যদি যে সকল খাবার গুলো খেলে উপকার হবে তার বাইরে অন্য খাবার খায় তাহলে আমাদের শরীরের রোগ গুলি আরো বৃদ্ধি পাবে। তাহলে চলুন ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের খাবার তালিকা বিস্তারিতভাবে দেখে নেই।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা, ডায়াবেটিস হলে কি খাওয়া যাবেনা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবেনা, কিডনি রোগী কি কি খেতে পারবে না এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে চান এবং ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করতে চান তাহলে আপনার খাবার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এ বিষয়ে খুব ভালো একটি ধারণা পাবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা
কিডনি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা আমাদের শরীরের ছাঁকনি রূপে কাজ করে। আমাদের প্রস্রাব তৈরিতে সহায়তা করে। তাই কিডনি সমস্যা কোন সাধারণ সমস্যা নয়। কিডনির সমস্যা হলে শরীরের আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ডায়াবেটিস আমাদের শরীরে তখনই হয় যখন শরীর নিজে নিজে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এ
র ফলশ্রুতিতে রক্তে শর্করা এবং গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। কেননা প্রতিটি মানবদেহে ইনসুলিন মানুষের শরীরের কোষগুলোতে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। সেজন্য ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ গুলোর ক্ষেত্রে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চলুন আমরা ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে
বর্তমানে সময়ে ডায়াবেটিস মহামারী রোগের আকার ধারণ করেছে। বর্তমান সময়ে এমন কোন পরিবার পাওয়া যাবে না যেই পরিবার এ ডায়াবেটিসের রোগী নেই। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যায়, শরীরের ভেতরের কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি করে। যার ফলে আমাদের শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।
ডায়াবেটিস হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, গলা শুকিয়ে যায়, শরীরে দুর্বলতা আসে, ওজন কমে যায়, কোন ঘা হলে সহজে শুকায় না, রক্তনালী ধ্বংস হয়ে যায়, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা হয়। ডায়াবেটিস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে। টাইপ ১ এন্ড টাইপ ২, জেস্টেশনাল এবং অন্যান্য। ডায়াবেটিস হলে খাওয়া দাওয়ায় অনেক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। চলুন ডায়াবেটিস রোগী কোন কোন খাবার খেতে পারবেন সেগুলো জেনে নিন।
- আঁশ জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা সব ধরনের ফল খেতে পারবে। যেমন তরমুজ, লিচু, মালটা, পেঁপে ইত্যাদি।
- ডায়াবেটিস হলে নিয়মিত শাক সবজি খেতে হবে। যেমন- পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা, গাজর, করলা ইত্যাদি। এগুলোতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। সবুজ শাকসবজি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস রোগ ১৪ শতাংশ কমে যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা
সকালঃ ডায়াবেটিস রোগীরা সকালের খাবারে একটি রুটি এবং এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। এছাড়া একটি সেদ্ধ ডিম এবং কিছু সিদ্ধ সবজি খেতে পারেন।
দুপুরঃ দুপুরের খাবারটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেড় কাপ ভাত সাথে মাছ অথবা চর্বি ছাড়া মাংস ৬০ গ্রাম। অথবা এক কাপ শাক এবং বাকি দেড় কাপ অন্যান্য সবজির খেতে হবে। এছাড়া এক কাপ মাঝারি ঘন ডাল খেতে পারেন।
বিকালঃ বিকালের নাস্তায় কিছু ফল খেতে পারেন। কিন্তু আম, কাঁঠাল, কলা এগুলো খেলে কিছুটা কম পরিমাণ খেতে হবে। তাই সাথে বাদাম খেতে পারেন।
রাতঃ রাতে রুটি অথবা ভাত খেতে পারেন। যদি ভাত খান তাহলে হাফ কাপ এবং যদি রুটি খান তাহলে একটি। সাথে ফ্যাট ছাড়া মাছ অথবা মাংস।
কিডনির সমস্যা হলে কি কি খাওয়া যাবে
আমাদের দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০%। কিডনি আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ পরিশোধন করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হরমোন নিঃসরণ করে, শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে, প্রস্রাব তৈরি করে এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করে। যার জন্য যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে শরীরের অন্যান্য রোগগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই আপনার জানা উচিত কিডনির সমস্যা হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত।
- কিডনির সমস্যা হলে আপনি রসুন খেতে পারেন। কারণ রসুনে বিদ্যমান ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি ভালো রাখে।
- আপনি প্রতিদিন একটি বা দুইটি মাঝারি আকারের কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। পেঁয়াজ কিডনি সুস্থ রাখে।
- আপনি প্রতিদিন আপেল খেতে পারেন। কথায় আছে একটি আপেল নিজেকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখতে পারে। তাই বোঝা যায় আপেলের কত গুণাগুণ রয়েছে।
- ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। কারণ ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা কিডনির জন্য ভালো। প্রতিদিন একটি অথবা দুটি ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে।
- প্রতিদিন দারুচিনি খান। দারুচিনি কিডনির ফাংশন এর যত্ন নেয়। প্রতিদিন এক টুকরা দারুচিনি খান এতে করে মুখের স্বাদ ও বৃদ্ধি পাবে।
কিডনি রোগীর খাবার তালিকা
সকালঃ সকালের নাস্তায় আপনি একটি অথবা দুইটি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। সাথে একটি চালের রুটি এবং লবণ বিহীন এক টেবিল চামচ মাখন খেতে পারেন।
দুপুরঃ দুপুরে আপনি এক কাপ সবজি খেতে পারেন। সবজি হিসেবে ফুলকপি, আলু, বাঁধাকপি এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি একসাথে মিক্স করে খেতে পারেন। সাথে তিন চার কাপ সালাদ খান। লেটুস পাতা, লেবু, মরিচ, শসা, ধনে পাতা এগুলো মিলিয়ে সালাদ তৈরি করে নিতে পারেন।
বিকেলঃ বিকেলের নাস্তায় আপনি কিছু হালকা খাবার খেতে পারেন এবং সাথে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি অবশ্যই খাবেন।
রাতঃ রাতের খাবার এ আপনি চেষ্টা করবেন সবজি খাওয়ার জন্য। সাথে একটু ভাত এবং আধা কাপ সবজির তরকারি।
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা খুব সাবধান সাথে বানাতে হয়। কারণ চিকিৎসার সময় আপনি প্রতিদিন যে খাবার খাবেন তা একটি কার্যকর প্রভাব ফেলবে। তাই ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা তৈরি জন্য একজন ভালো ডায়েটশিয়ানের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেলে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। এছাড়াও আমরা ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এটি অনুসরণ করলে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
ডায়াবেটিস হলে কি খাওয়া যাবে না
প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগীর খাবার আলাদা আলাদা হবে। বয়স উচ্চতা, ওজন, কাজের ধরন, কায়িক শ্রম, জীবন যাপনের পদ্ধতি, আর্থিক অবস্থা সবকিছু বিবেচনায় রেখে খাবারের তালিকা তৈরি করা হয়। ডায়াবেটিস হলে যে সব খাবার খাওয়া বারণ তা কিন্তু নয়। তবে অবশ্যই সতর্কতা মেনে খাদ্য শৃঙ্খল তৈরি করতে হবে। রোজ রোজ একই ধরনের খাবার না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খান। ডায়াবেটিস হলে কি খাওয়া যাবেনা এই সকল খাবার গুলো নিয়মিত তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
- ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই প্রথমে যা দরকার সেটা হল সাদা চিনি যুক্ত সব ধরনের খাবার বর্জন করা। চিনি অন্যান্য খাবারেও আছে। তাই সরাসরি চিনি বাদ দিলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই।
- ডায়াবেটিস হলে রক্তে এবং যকৃতে ক্ষতিকর চর্বি জমে। ফ্যাটি লিভার এবং হার্টের সমস্যা ঝুঁকি বাড়ে। তাই চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যেমন- ঘি, মাখন, মাংসের সাথে লেগে থাকা চর্বি এগুলো খাওয়া যাবে না।
- আমিষের ক্ষেত্রে যে সকল খাবারে চর্বি কম যেমন- মাছ, ডাল, দুধ, ডিম এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ভোজ্য তেলের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিতে হবে।
- প্রতিদিন তাজা ফলমূল খেতে পারেন কিন্তু হিসেব করে খেতে হবে।
- বেশি পরিমাণে টক খেতে হবে। কিন্তু একেবারে না খেয়ে সারা দিনে পাঁচ ছয় বারে খেতে পারেন।
- দুটো খাবারের মাঝে অন্তত তিন চার ঘন্টা ব্যবধান রাখতে হবে। বিশৃঙ্খল ভাবে যখন তখন খাওয়া যাবেনা।
- ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি খাওয়া যাবে না। তার বদলে টক দই, ফল এগুলো খেতে পারেন।
- জর্দা, অ্যালকোহল, তামাক এগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় যদি জিস্টেইশনাল ডায়াবেটিস দেখা দেয় তাহলে খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সুখবর এটাই যে, আর সন্তান জন্ম দানের পরে জিস্টেইশনাল ডায়াবেটিস অনেকটাই ভালো হবে। কিন্তু তারপরেও মা এবং শিশুর সুস্থতার কথা চিন্তা করে সঠিক খাবার ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না।
- জিস্টেইশনাল ডায়াবেটিস যদি দেখা দেয় তাহলে কোমল পানিয় এবং মিষ্টি পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এসব খাবার সুগার এর মাত্রা অনেক বেশি থাকে। আর তেমন কোন পুষ্টি উপাদান থাকে না।
- কড়া করে ভাজা কোন খাবার, চর্বি সহ মাংস। বিশুদ্ধ দুধ তৈরি খাবার ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবেনা। উচ্চ সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন টিনজাত স্যুপ, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। এসব খাবার দেহে পানি ধরে রাখার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি করে।
- সব সময়ই সুষম আবার খেতে হবে। এতে করে তা আপনার সারাদিনের ক্ষুধা ভাব কমিয়ে দিবে এবং অসাস্থকর খাবার খাওয়ার প্রভাব কমে আসবে। এতে করে রক্তের শর্করা স্বাভাবিক থাকবে।
কিডনি রোগী কি কি খেতে পারবে না
রোগী ভেদে কিডনি রোগীর খাবারে অনেক ভিন্নতা থাকে। রক্তে ইলেকট্রোলাইটসের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ইউরিয়া এবং ইউরিক এসিডের পরিমাণ রক্ত এবং ইউরিনে এলবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভেদে সাজাতে হয়। কিডনির ক্ষতি পরিবর্তন হয় না। তাই যারা কিডনির যত্ন নেন না তারা উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
এর ফলে ডায়ালাইসিস করতে হতে পারে বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে। তাই আপনারা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন খাদ্য আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিডনি রোগে কি কি খাবার খেতে পারবে না।
- চিনি
- লবণ
- সোডা
- মাংস
- ক্যাফিন
- বিশেষ কিছু ধরনের সবজি
কিডনির সমস্যা দেখা দিলে এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
মানুষ জানতে চায় এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত?
উত্তরঃ একটি মিটেড গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা এএমজিএফ আর কিডনি বিষয়ে জানার অন্যতম একটি পরীক্ষা। এর মাত্রা ৯০ বা তার বেশি হলে কিডনি স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ ক্রিয়েটিনিন বেশি হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
উত্তরঃ ক্রিয়েটিনিন যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার এবং অন্যান্য খাবারগুলো না খাওয়াই ভালো।
প্রশ্নঃ কাঁচা রসুন খেলে কি কিডনির কোন ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ না কাঁচা রসুন খেলে কিডনির কোন ক্ষতি হয় না। কাঁচা রসুন খেলে কিডনি রোগ সেরে ওঠে। রসুনে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। যা কিডনি রোগের জন্য খুবই উপকারী। রসুনের মধ্যে ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। তাই রসুন খেয়ে একজন কিডনি রোগী সহজেই তার কিডনি রোগ সারিয়ে তুলতে পারেন।
প্রশ্নঃ কি খেলে কিডনি পরিষ্কার হয়?
উত্তরঃ সবুজ শাকসবজি, ক্যানবেরে, জুস, হলুদ, আপেল, রসুন, অলিভ অয়েল ও শরবত এ সকল গুলো খেলে কিডনি পরিষ্কার হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ডায়াবেটিস রোগী কি কি খেতে পারবে, কি খেতে পারবে না, কিডনি রোগী কি খেতে পারবে, কি পারবে না সবগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি এতক্ষণে আর্টিকেলটি পড়ে এই সকল বিষয়ে একটি ভালো ধারণা পেয়েছেন।
সুস্থ থাকার জন্য আপনার একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করা অবশ্যই জরুরি। আশা করছি, আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার খাবারের রুটিন টি সাজিয়ে নিবেন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url