এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় - খুশকি দূর করার শ্যাম্পু বাংলাদেশ

আসসালামু আলাইকুম। আজকের আর্টিকেলে আমরা এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রূপচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই অ্যালোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের পাশাপাশি এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করা যায়।
এলোভেরা
আপনি চাইলে আপনার ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরা খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুল ঝলমলে করবে। বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলে আমরা লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়, খুশকি দূর করার শ্যাম্পু বাংলাদেশ, খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়, এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়, মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানব। মাথায় খুশকি সমস্যায় আমরা কমবেশি সবাই ভুগে থাকি। আজকের আর্টিকেলে আমরা এই সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করব। কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে খুশকি দূর করবেন এবং খুশকি দূর করার শ্যাম্পু কোনগুলো সে সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন পড়া শুরু করা যাক।

লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়

আমাদের চুলের যেই সমস্যা গুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো খুশকি। খুশকি আমাদের চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এই খুশকি দূর করতে লেবু বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব।

লেবু ও আমলকিঃ লেবু এবং আমলকির রস একসাথে মিশিয়ে খুশকি দূর করা যায়। এজন্য আপনাকে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং দুই টেবিল চামচ আমলকির রস একসাথে নিয়ে মিশিয়ে প্রতিটি চুলের গোড়ায় আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

লেবু ও মধুঃ খুশকির সমাধান করতে লেবু এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য চার টেবিল চামচ মধু এবং 2 টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে নিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে। চুলের গোড়ায় দশ মিনিট লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে আপনার মাথা থেকে খুশকি চিরতরে বিদায় নেবে।

লেবু এবং টক দইঃ লেবু এবং টক দই আপনার চুলকে সুন্দর এবং মসৃণ করবে। এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ টক দই একসাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত চুলে যত্ন নিলে সহজেই আপনার খুশকি সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি আপনার চুল হবে আরো সুন্দর।

আশা করছি, লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় আমরা নিচে আলোচনা করেছি। এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলের নিচের অংশগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

খুশকি দূর করার শ্যাম্পু বাংলাদেশ

মাথায় যদি খুশকি হয় তাহলে এর প্রভাবে মাথায় চুলকানি এবং চুল ঝরে যেতে পারে। এমন অবস্থায় আমরা বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু কিংবা তেল ব্যবহার করি অথবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপে গ্রহণ করি না। যার ফলে বিভিন্ন প্রকার ও সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল অর্থাৎ ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। যার ভেতরে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস এবং টিনিয়া ক্যাপায়টিস অন্যতম। 

জেনে রাখা ভালো, খুশকি একটি রোগ যা বিভিন্ন রকম কারণে হতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসা করানো উচিত। যদি খুশকির চিকিৎসা যথাযথভাবে না করানো হয় তাহলে ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হতে পারে এবং সে জটিলতার আবার অন্য ধরনের ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। খুশকি দূর করার শ্যাম্পু হিসেবে কিটোকোনাজল 2% এই শ্যাম্পু ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। 

এই শ্যাম্পুটি মেলাসেজিয়া বা পিটারেসিস গ্রুপের যা ইস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া এটি তেল গ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত উৎপাদন নিঃসরণ কমায়। ফলে খুশকি দূর হয়। মাথার চুলকানি সহ নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। অনেক আগে থেকেই কিটোকোনাজল ২% শ্যাম্পুটি এন্টি ড্যানন্ড্রাফ শ্যাম্পু হিসেবে প্রেসক্রিপশন হয়ে আসছে। 

বাংলাদেশে এই শ্যাম্পুটি ড্যানসেল শ্যাম্পু নামে বাজারজাত হয়। এ ধরনের শ্যাম্পু গুলো খুশকি দূর করতে অনেক কাজে লাগে। এছাড়াও বাজারে খুশকি দূর করার জন্য কিছু মেডিকেটেড শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই শ্যাম্পু গুলো জিংক পাইরেথিওন এবং সেলেনিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ। এগুলা একটি কসমেটিক উপাদান এবং খুশকি দূর করতে তেমন একটা কার্যকর নয়। এছাড়া এই শ্যাম্পু গুলো এফডিএ কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

আশা করছি, খুশকি দূর করার শ্যাম্পু বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনি একটি ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি একান্তই খুশকি সমস্যার জন্য মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিবেন। এতে করে আপনার জন্য শ্যাম্পু বাছাই করতে অনেকটা সুবিধা হবে।

খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

চুলের যতগুলো সাধারণ সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে খুশকি সমস্যা একটি। এ সমস্যা তৈরি হয় সাধারণত তৈলাক্ত চুল এবং নোংরা স্কালপের কারণে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন শ্যাম্পু বা কেমিক্যালযুক্ত পণ্য দিয়ে খুশকি সারাতে চান তাহলে তা থেকে আপনার চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। এর চেয়ে ভালো আপনি যদি খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করেন। তাতে করে আপনার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন ভয় থাকে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

কফিঃ কফি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই কার্যকরী উপাদান। এটি এক্সফলিউশন ময়লা এবং জঞ্জাল কমাতে সহায়তা করে। কফি মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং এক্স-ফলিয়েট করে। এর ফলে খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং চুলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এজন্য আপনি নারিকেল তেল গরম করে এতে কফি পাউডার যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই পেস্টটি আপনার মাথায় লাগায়ে ৩০ মিনিট রেখে একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

রসুনঃ খুশকি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি রসুন ব্যবহার করতে পারে।ন রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ফাঙ্গাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও রসুনের রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম, এমাইনো এসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম যা চুলকে উজ্জ্বল এবং মজবুত করে। ভালো ফলাফল পেতে আপনি সপ্তাহে দুইবার রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার খুশকি সমস্যা সমাধান করতে পারে। মাথার ত্বক ভালোভাবে পরিস্কার করে এবং খুশকির চিকিৎসা করে ।এতে এন্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খুশকি দূর করে। আপনি যদি সপ্তাহে দুইবার দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার চুলে লাগান তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

লেবুর রসঃ খুশকি দূর করতে লেবুর রস দুর্দান্ত কাজ করে। লেবু দ্রুত মাথার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্য করে ফেলতে পারে। এজন্য এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ১\৪ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এটি এক ঘন্টা মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে। কারণ সাইট্রিক এসিড এবং এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য চুল থেকে ছত্রাক দূর করবে এবং চুল পড়া রোধ করবে। এরপর একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুল ভালোভাবে ধুয়ে তারপর কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে।

মুলতানি মাটিঃ খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি খনিজ এবং পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা চুলের যে কোনো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য মুলতানি মাটির সাথে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। কয়েক মিনিট মাসাজ করুন এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়

চুল পড়ে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। চুল পড়া সমস্যা আমাদের সবারই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আজকাল খুব চিন্তায় থাকি। খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং পরিবেশ দূষণ চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এজন্য আমাদের চেষ্টা করা উচিত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোন কিছুতেই একদিনে ফল পাওয়া যায় না। তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে।

আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় জানব। এলোভেরা আমাদের চুলে পুষ্টির যোগান দেয়। যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি অন্যতম একটি উপায়। অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং খুশকি কমায়, মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে, এলোভেরা চুলকে হাইড্রেট রাখে। তাই চুলকে শক্তিশালী রাখার জন্য নিয়মিত অ্যালোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে।

এজন্য প্রথমে আপনাকে এলোভেরা হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এজন্য এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল, এক চা চামচ মধু, এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি সরাসরি মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিটের জন্য ভালোভাবে মাসাজ করুন। হেয়ার প্যাকটি মাথায় লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দুই দিন আপনার চুলে লাগান।

এতে করে আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। অ্যালোভেরা চুল পড়া প্রতিরোধ করে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে এবং এলোভেরা তে বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদানগুলি আপনার মাথার ত্বক হাইড্রেট রাখে, চুল কন্ডিশন করে, মাথার ত্বকের যে কোন ধরনের জ্বালা কমায়। এলোভেরা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকল গুলোতে পুষ্টি যোগান দেয়। 

মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং চুলের আদ্রতা ধরে রাখে। চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং মাথার ত্বকে খুশকি মুক্ত রাখে। আপনি যদি আপনার খুশকি দূর করার উপায় খুঁজে দেখেন তাহলে অ্যালোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার এই উপায়টি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। আশা করছি, একটি ভাল ফলাফল পাবেন।

মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায়

শীতকালে মাথার খুশকির প্রকোপ অনেকটাই বেড়ে যায়, এ সময় মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে মাথার ত্বকে চুলকানিও হয়। যদি শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় তারপরেও বারবার খুশকি ফিরে আসে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে যেমন চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তেমনি কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
  • এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় খুবই সহজ। এজন্য শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়ায় অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। 30 মিনিট রাখার পরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে খুশকি কমে যাবে।
  • কিছুটা শ্যাম্পু হাতের তালুতে নিয়ে তার সাথে লবণ মিশিয়ে সেম্পুটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এরপর চুল ভালোভাবে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগাতে হবে।
  • নারিকেল তেল এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এজন্য মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করে ২০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করতে হবে।
  • ভেজা মাথায় বেকিং সোডা লাগালে খুশকি সমস্যা সমাধান হয় এবং চুলকানি কমে।
  • এলোভেরা জেল এর সাথে লবন মিশিয়ে ব্যবহার করলেও খুশকি দূর হয়।
  • নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে মাথার তাকে মেসেজ করে ত্রিশ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু সঙ্গে কয়েক ফোটা মিশিয়ে নিলে উপকার পাবেন।
  • সারারাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মেথি গুলো ভালোভাবে বেটে নিন এবং মেথির সাথে টক দই মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • আদা বাটা এবং টক দই একসাথে মিশিয়ে একটি হেয়ার প্যাক তৈরি করে চুলে এবং মাথার তালুতে ব্যবহার করলে খুশকি সমস্যা দূর হয়।
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস এবং দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে কয়েক মিনিট মাসাজ করুন। তারপর এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে অন্তত একদিন করুন।
  • খুশকি দূর করার জন্য নিম পাতার রস, অলিভ অয়েল এবং নারিকেলের তেল একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য চার চামচ নিমপাতার রস, তিন চামচ অলিভ অয়েল এবং নারিকেল একসাথে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলের গোড়ায়, মাথার ত্বকে ভালোভাবে মাসাজ করুন। ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
আশা করছি, মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি মাথায় খুশকি এবং চুলকানি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে উপকৃত হবেন।

মানুষ জানতে চাই এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা কি খুশকি দূর করে?
উত্তরঃ অ্যালোভেরা আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যার সমাধান করে। অ্যালোভেরা হজম শক্তি বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে, দেহকে সতেজ করে, অ্যালোভেরার বিদ্যমান ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল এবং সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। সেই সাথে এলোভেরা জেল মাথায় ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়।

প্রশ্নঃ এলোভেরা চুলে কিভাবে দিতে হয়?
উত্তরঃ চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার জন্য প্রথমে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তারপর ভেজা চুলে এবং মাথার স্কালপে অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ভালোভাবে লাগাতে হবে, মাথার তালুতে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে।আগা পর্যন্ত ভালোভাবে চুলে মিশ্রণটি লাগাতে হবে।

প্রশ্নঃ অ্যালোভেরা ত্বকের কি উপকার করে?
উত্তরঃ এলোভেরার আন্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের বয়সের ছাপ কমায়, ব্রণের দাগ দূর করে, ট্যান দূর করে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। এলোভেরার এন্টি-ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করে।

প্রশ্নঃ সারারাত চুলে নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তরঃ চুলে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি নারিকেল তেল এবং এলোভেরার দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক সারারাত চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এজন্য আপনাকে দুই টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল এবং এক টেবিল চামচ ভার্জিন নারিকেল তেল নিতে হবে। তারপর এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মাথার চুলে ভালোভাবে লাগাতে হবে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন মুখে অ্যালোভেরা দিলে কি হয়?
উত্তরঃ এলোভেরা তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ফলে নিয়মিত ত্বকে এলোভেরা ব্যবহার করলে এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে, পাশাপাশি ব্রণের দাগ কমায় এবং ফুসকুড়ির মতো সমস্যাও দূর করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়, খুশকি দূর করার শ্যাম্পু বাংলাদেশ, খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়, মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় এ সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি এতক্ষণে আর্টিকেলটি পড়ে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আমরা এটুকু বুঝতে পারি যে অ্যালোভেরা দিয়ে খুব সহজেই খুশকি দূর করা যায়। 

এছাড়াও কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা প্রয়োগ করার মাধ্যমে আমরা মাথার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারি। আমাদের লেখাটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url