আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় - পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় নাকি, পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি আমাশয় রোগে ভুগে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাশয় বিভিন্ন কারণেই হতে পারে আমাশয়। কিন্তু এর থেকে মুক্তি পাওয়া ও খুব কঠিন কিছু নয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা আমাশয় রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। সেই সাথে আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় নাকি এ বিষয়টি সম্পর্কেও জানব বিতাড়িত নিচে দেখুন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায়, পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত, আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায়? পুরাতন আমার আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাশয়ের সকল ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমাশয় হলে করণীয় কি
পরিপাকতন্ত্রের একটি রোগের নাম আমাশয়। আমাশয় একটি জীবাণু বাহিত রোগ। বিভিন্ন রকম পরজীবীর সংক্রমণে এর রোগ হয়। যেমন ব্যাকটেরিয়া, এমিবিয়া এবং অন্যান্য পরজীবী। ভেজাল খাবার দূষিত পানি এবং হাতের জীবাণুর কারণেও আমাশয় হতে পারে। যে সকল খাবার এবং পানিতে ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা থাকলে সেই খাবারগুলো খেলে আমাশয় হতে পারে।
বাথরুম ব্যবহারের পরে এবং খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত না ধুলে অথবা অপরিচ্ছন্ন হাত যদি মুখে দেওয়া হয় তাহলে জীবাণু পেটের মধ্যে চলে যাই এবং অ্যামিবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। রাস্তার পাশের খাবার, বিশেষ করে অপরিষ্কার খাবার আমাশয়ের অন্যতম কারণ। আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা আমাশয় হলে করণীয় কি সেই বিষয়ে জানব
- আমাশয় হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, স্যালাইন, ফলের রস ইত্যাদি খেতে হবে। যাতে শরীরে পানি শূন্যতা না হয়।
- যদি ডায়াসেন্ট্রি হয় তাহলে চর্বি এবং মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। এর বদলে সহজ পাচ্য খাবার যেমন- খিচুড়ি, সেদ্ধ ডাল, ফলমূল এগুলো খেতে হবে। মসৃণ খাবার যেমন কলা, দই এগুলো খেতে পারেন।
- আমাশয় এর জীবাণু দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সবসময় পরিষ্কার পানি পান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
- বাথরুম ব্যবহারের পর এবং খাবার খাওয়ার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়াও খাবারের থালা-বাসন খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। বিশ্রাম নিলে শরীর তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।
- যে সকল শাকসবজি এবং ফলমূল শরীরকে ঠান্ডা রাখে যেমন- কলা, শসা, পেঁপে ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো হজমে সহায়তা করবে এবং পেটে সংক্রমণ কমাবে।
এছাড়া ও নিম্নলিখিত কিছু উপসর্গ যদি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- যদি পায়খানা সাথে প্রচুর রক্ত দেখা যায়।
- ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে জ্বর থাকে।
- শরীর দুর্বল, প্রস্রাব কমে যাওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিলে।
- যদি ওষুধ খাওয়ার পরেও উপসর্গগুলো থাকে।
যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তাহলে আমাশয় সমস্যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।
রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত
আমরা সবাই জানি রক্ত আমাশয় পরিপাকতন্ত্রের একটি রোগ। এই রোগটি হলে খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। নিচে আমরা রক্ত আমাশয় হলে কি কি খাওয়া উচিত সে খাবার গুলোর নাম তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
কাঁচা কলাঃ আমাশয় কমানোর জন্য কাঁচা কলা খুব উপকারী। প্রতিদিন কাঁচা কলার তরকারি, ভর্তা করে খেলে এ রোগ থেকে খুব সহজেই নিস্তার পাবেন।
ডালিমের খোসাঃ আমাশয় দূর করার জন্য ডালিমের খোসা খুবি কার্যকরী। আমাশয় দূর করতে ডালিমের খোসা সামান্য সিদ্ধ করে খেতে পারেন। এতে করে উপকার পাবেন। কাঁচা কিংবা সিদ্ধ ডালিমের খোসা গুড়া করে সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও ডালিম গাছের ছাল গুড়া করে খেলে আমাশয় কমে যায়।
থানকুনি পাতাঃ আমাশয় রোগের চিকিৎসায় থানকুনি পাতার অবদান অনেক। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যদি পানির সাথে থানকুনি পাতার রস করে মধু অথবা চিনির সাথে মিশিয়ে খান তাহলে আমাশয় কমে যাবে। থানকুনি পাতার রস সকালে এবং রাতে দিনে দুইবার খেলে এই সমস্যা কমে যায়।
বেলঃ আমাশয় কমাতে পাকা বেল খুবই ভালো কাজ করে। প্রতিদিন যদি পাকা বেল খেতে পারেন তাহলে আমাশয় থেকে খুব সহজেই উপকৃত হবেন। প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে পাকা বেল অথবা বেলের শরবত বানিয়ে খেলে আমাশয় থেকে মুক্তি পাবেন।
তেতুল পাতা এবং জিরা পানিঃ তেতুল পাতা এবং জিরার মিশ্রণ পানি আমাশয় কমানোর কাজে আসে। আমাশয় কমানোর জন্য তেতুল পাতা শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে। তার সাথে জিরা ভেজে গুড়া করতে হবে। এখন তেতুল পাতার গোড়া এবং জিরার গুড়া এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে পুরাতন আমাশয় কমে যাবে।
পানিঃ আমাশয় কমানোর জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমাশয় হলে কিছুক্ষণ পর পর বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখার জন্য আমাশয় কমাতে পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি খান।
আদা এবং শুটের গুড়াঃ আমাশয় কমানোর জন্য আদা এবং শুটের গুড়া খুবই কার্যকরী। আদা এবং শুটের গুঁড়া পানির সাথে গুলিয়ে খেলে আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন একবার অথবা দুইবার খেলেই সমস্যা খুব দ্রুত চলে যায়।
আমাশয় রোগীদের খাবার তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার রাখতে হবে। যেগুলো আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। আমরা যে খাবারগুলোর নাম উল্লেখ করেছি সেই খাবারগুলো আমাশয় রোগ দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার। চলুন জেনে নেই আমাশয় রোগের জন্য কোন কোন খাবারগুলো খাওয়া নিষেধ।
দুধ বা দুধের তৈরি কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
যে সবজিগুলো খেলে পেটে গ্যাস হয় সেগুলো খাওয়া যাবে না।
- আঙ্গুর বা কিসমিস।
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার।
- প্রচুর তেল দিয়ে রান্না করা খাবার।
- গমের আটা বা গমের তৈরি যে কোন খাবার।
- হোটেলে তৈরি যে কোন খাবার।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার।
- বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া যাবে। তবে যে ফলগুলো খেলে পেটে সমস্যা হয় সেগুলো থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- বাসি বা পচা খাবার খাওয়া যাবেনা।
- মুগ ডাল, মসুর ডাল কোন ধরনের ডাল খাওয়া যাবেনা।
- ভাজাপোড়া এবং বাহিরের যেকোনো খোলা খাবার থেকে বিরত থাকুন।
আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায়
আমাশয় খুবই পরিচিত একটি রোগ। অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায়। আজ আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দিব অর্থাৎ আমাশয় হলে দুধ খাওয়া যায় কিনা।
আমাশয় পরিপাকতন্ত্রের একটি রোগ। দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য এই সময় হজমে একটু সমস্যা হতে পারে। সেজন্য দুধ, ঘি, ভারি ক্রিম এবং উচ্চতর চর্বিযুক্ত কুটির, পনির দ্রব্যগুলো না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও যদি আপনি দুধ খেতে চান তাহলে কাঁচা দুধ খাওয়া যাবে না। কারণ কাঁচা দুধের জীবাণু থাকতে পারে। সেজন্য দুধ ভালো ভাবে ফুটিয়ে খেতে হবে। আশা করছি আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় নাকি এ প্রশ্নের উত্তরটি আপনি জানতে পেরেছেন।
পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আমাদের দেশের প্রায় মানুষ পুরাতন আমাশয় রোগে ভোগে। যারা এ রোগে সংক্রমিত তারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু কোন লাভ হয়না। আমার পরিপাকতন্ত্রের এমন একটি রোগ যা সারাক্ষণ পেটে ব্যথা সহ ডায়রিয়া হতে পারে। আমাশয় রোগ সাধারণত তিন চার দিন সর্বচ্চ এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। কিন্তু কিছু কিছু আমাশয় দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।
সবসময় হয়তোবা সমস্যা হয় না কিন্তু কিছুদিন পর পর প্রায় আমাশয় দেখা দেয়। আর এ ধরনের আমাশয়কে পুরাতন আমাশয় বলা হয়। আমাশয় রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো করলে আপনি খুব ভালো ফলাফল পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
গুড়ের শরবতঃ আমাশয় রোগের জন্য গুড়ের শরবত খুবই উপকারী। গুড়ের শরবত মানুষের পেট পরিষ্কার করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক মুঠ গুড়ের শরবত খেলে আমাশয় রোগের ব্যথা দূর হয়।
অর্জুন গাছের ছালঃ আমাশয় রোগের জন্য অর্জুন গাছের ছাল খুবই উপকারী। অর্জুন গাছ থেকে ছাল তুলে নিয়ে পিসে রস বের করে খেতে পারেন। অর্জুন গাছের ছাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সেজন্য আপনি এর সাথে ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
আম এবং জাম পাতার রসঃ আম পাতার রস খেলে আমাশায় রোগ অনেকটা সেরে যায়। এজন্য আপনি আট দশ টি আম পাতা নিয়ে এসে এটিকে থেতে রস বের করে নিন। এ রস প্রতিদিন দুই তিন চামচ গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
পেঁপেঃ যারা আমাশয় রোগে ভুগছেন তারা অবশ্যই ভারী খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এজন্য কাঁচা পেঁপের তরকারি খেতে পারেন। পাকা পেঁপে ও খেতে পারেন।
কাঁচা কলাঃ আপনি চাইলে কাঁচা কলার তরকারি বা ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন। কাঁচা কলার সাথে গাজর জাতীয় সবজি দিয়ে তরকারি ঝোল করে খেলেও আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বথুয়া শাকঃ একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত এই বথুয়া শাক। যাই হোক এই শাকের রস প্রতিদিন তিন থেকে চার চামচ হালকা গরম করে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এক্ষেত্রে মহিষের দুধ সব থেকে বেশি ভালো।
আমড়া গাছের ছালঃ হাফ কাপ পানিতে পাঁচ গ্রাম আমড়া গাছের আঠা বা আমড়া গাছের ছালের রস ভালোভাবে মিশিয়ে এর সাথে একটু চিনি দিয়ে দিনে দুইবার খেলে আমাশয়ের রক্ত পড়া এবং পুরাতন আমাশয় চলে যাবে।
গাজরঃ গাজর ভালোভাবে ছাল ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে জুস বানিয়ে খেলে আমাশয় রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
কড়া চাঃ এক কাপ পানির সাথে দুই থেকে চার চামচ কালো পাতা ভালোভাবে ফুটে সাথে লেবুর রস মিশিয়ে অন্তত দুইবার খেলে আমাশয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হরিতকিঃ আধা চা চামচ হরিতকির গুড়া এক গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় থেকে মুক্তি মিলে এবং রাতে ভাল ঘুম হয়। তাছাড়া হরিতকির গুড়া ডায়রিয়া এবং পেট ফাঁপা দূর কররে
ডাব ও লেবুঃ আমাশয় রোগীদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে আমাশয় রোগীর শরীর ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এ থেকে মুক্তির পেতে ঘন ঘন লেবু পানি এবং ডাবের পানি খেতে হবে। এর ফলে শরীরে দুর্বলতা অনেকটাই কমে যাবে।
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম
আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় নাকি, রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত, আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই পর্যায়ে আমরা পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জানব। পুরাতন আমাশয় একটি সাধারণ রোগ। যার ফলে পেটের ভেতর হজমের সমস্যা বা অশান্তি দেখা দেয়।
এ ধরনের রোগে গ্যাস, অম্বল, পেট ব্যথা, অস্বস্তি, বমি বমি ভাব এগুলো হতে পারে। এরকম যদি দীর্ঘ সময় যাবত চলে তাহলে এর চিকিৎসা জরুরী। পুরাতন আমাশয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এলোপ্যাথিক ওষুধের নাম গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
আমাশয় রোগ দুই ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল আমাশয় এবং আমিবিক আমাশয়। এই দুই ধরনের আমাশয়ের জন্য আলাদা আলাদা চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ব্যাকটেরিয়াল আমাশয়ঃ ব্যাকটেরিয়াল আমাশয় হলে চিকিৎসকরা সাধারণত এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। যেমন-
- সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin)
- আজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
- সেফট্রায়াক্সোন (Ceftriaxone)
এন্টিবায়োটিকের ডোজ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে।
আমিবিক আমাশয়ঃ এই আমাশয়ের জন্য দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- টিনিডাজল (Tinidazole)
এই ওষুধগুলো প্রায় ৫-১০ দিন পর্যন্ত সঠিক মাত্রায় খেলে আমার শরীর সেরে যায়।
মানুষ জানতে চাই এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ পুরাতন আমাশয় কি খেলে ভালো হয়?
উত্তরঃ পুরাতন আমাশয় বেত ফল খেলে ভালো হয়। এতে প্রোটিন, পটাশিয়াম, পেকটিন, থায়ামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক এসিড রয়েছে যা আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রশ্নঃ কি পাতা খেলে আমাশয় ভালো হয়?
উত্তরঃ থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় এর সাথে আমাশয়ের ক্ষেত্রে খুবই ভালো।
প্রশ্নঃ আমাশয় হলে কলা খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ আমাশয় হলে সহজ পাচ্য খাবার খাওয়া জরুরী। কলা যেহেতু একটি সহজ পাচ্য খাবার তাই আপনি সেই সময় কলা খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমাশয় রোগের লক্ষণ কি কি?
উত্তরঃ আমাশয় হলে জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, টেনেসমাস এবং ডায়রিয়া রেখা দিতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমাশয় হলে কি দুধ খাওয়া যায় নাকি এবং পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। সেই সাথে পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ওষুধের নাম, রক্ত আমাশয় হলে কি করা উচিত এবং আমাশয় হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি, সবগুলো বিষয়ে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আমাদের লেখাটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। লেখা সম্পর্কে যদি কোন মতামত জানানোর থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url