ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ - ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ এর নাম জানব। সেই সাথে ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক এ বিষয়টিও জানার চেষ্টা করব। আপনি যদি চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর জন্য নানা রকম উপায় বের হয়েছে। বিভিন্ন রকম ঔষধও রয়েছে আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
ভূমিকা
চুল পড়ার সমস্যায় আমরা কম বেশি সবাই ভুগেছি। কখনো কখনো চুল পড়া সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক, ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি, ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান, প্রতিদিন কয়টা চুল গজায়, ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ এবং টাক মাথায় চুল গজানোর তেলের নাম জানার চেষ্টা করব।
সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা এখানে আমরা এই সকল বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনাদের জন্য উপস্থাপন করতে চলেছি।
ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক
চুল পড়া দেখে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন যে হয়তো বা মাথায় সব চুল পড়ে একসময় টাক হয়ে যাবেন। অনেকেই জানেন না ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে এগুলা বলেন। একজন মানুষের ছেলে হোক বা মেয়ে হোক প্রতিদিন 50 থেকে 100 টা চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। বিভিন্ন কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। যেমন- ধুলাবালি লাগলে বা দূষণের কারণে।
তবে এটি সাময়িক বিষয়। এ সমস্যার সমাধান আবার প্রাকৃতিক নিয়মে হয়ে যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৫০ টা চুলো সারা দিনে উঠে না। কিন্তু আপনার যদি নিম্নে উল্লেখিত এই উপসর্গগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কিছুটা সতর্ক হতে হবে।
- মাথার সামনের দিকে এবং স্ক্যাল্পে চুলের ঘনত্ব আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।
- ভুরুর চুল কিংবা চোখের পাতা সবখানে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
- মাথায় খুশকির সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে।
- স্ক্যাল্পে ইনফেকশন দেখা দিচ্ছে।
এই উপসর্গগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনার চুল পড়া গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। প্রয়োজনের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি
সব পুরুষই সুন্দর এবং উজ্জ্বল চুলের অধিকারী হতে চান। কিন্তু অকালে চুল পড়ে যাওয়ায় সেই প্রত্যাশিত স্বপ্নের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চুল পড়ার এই প্রকট সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি।
হরমোন জনিত কারণঃ এন্ড্রোজেনিক হরমোন, টেস্টোস্টেরন, এন্ডস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি এই হরমোন গুলো পুরুষের বেশি এবং মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এই হরমোন গুলো চুলের ফলিকলের ওপরে কাজ করে এবং চুল পড়াকে ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি ঝরে পড়ে।
মানসিক চাপঃ মানসিক চাপে থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে পারে। তবে এই চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় প্রাকৃতিক নিয়মে চুল গজায়। তবে দীর্ঘ সময় যদি মানুষের দুশ্চিন্তা থাকে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে না উঠতে পারেন তাহলে অনেক বেশি চুল পড়তে পারে। প্রতিদিন ১০০ টা পর্যন্ত চুল পড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ আপনার শরীরে যদি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল এর অভাব হয় তাহলে চুল পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলেও প্রচুর চুল পড়ে।
জেনেটিকাল কারণঃ আপনার বংশে যদি কারো চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে আপনি উত্তরাধিকার সূত্রেও এই সমস্যাটি পেতে পারেন। এর পিছনে আপনার যে জেনেটিক্যাল প্রবলেম রয়েছে তা আপনাকে বুঝতে হবে।
খুশকিঃ চুল পড়ার প্রত্যক্ষ কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো খুশকি। এলার্জি বা চর্মরোগ থাকলে আরো বেশি পরিমাণে চুল পড়তে পারে।
মাদকাসক্তি ঃ আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে সে আপনার মূল্যবান চুলগুলোকে অসময়ে কেড়ে নিতে পারে। এমনিতেই এইসবের কুফল অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেক।
নিচে আমরা ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আর্টিকেলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান
ছেলে হোক বা মেয়ে হোক চুল পড়া সমস্যায় সবাই ভুগেন। কখনো কখনো চুল পড়া সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শীতকালে বাতাসের আদ্রতা পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই সময় এর প্রভাব মাথার স্কাল্পে পড়ে। স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে দ্রুত চুল পড়ে যায়। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। পরিবেশগত কারণেও চুল পড়ে যায়।
আবার অযত্নের কারনেও অনেক সময় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুলের ক্ষতি হয়। চুল দুর্বল হয়ে যায়। চুল খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যায়। আপনাকে চুলের যত্ন নিতে হবে। চুল যদি ওঠে আপনার মাথা ফাঁকা হয়ে যাবে। সেজন্য এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কোন তেল মাখলে নতুন চুল গজাতে পারে। এমন কিছু তেল রয়েছে যেগুলো স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগায় এবং চুল গজাতে সাহায্য করে।
ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েল চুলের জন্য খুবই কার্যকারী। চুলের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি যোগায়। ক্যাস্টর অয়েল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই চুল নরম রাখতে এই তেল খুবই উপকারী। আপনি চাইলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নারিকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে সেটি মাথার স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর চুলেও লাগাতে হবে। এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করতে হবে। তারপরে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে।
নারিকেল তেলঃ চুলের জন্য নারকেল তেলের বিকল্প কিছু হয় না। চুল ভালো রাখতে নারিকেল তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নারিকেল তেল প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে, তাই নিয়মিত নারিকেলের তেল মাথায় মালিশ করলে অল্প দিনের মধ্যে ফল পাবেন। নারিকেল তেলে থাকা ফ্যাট চুলে আদ্রতা বজায় রাখে। রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলকে আদ্রতা ফিরিয়ে দেয়। পরিমিত পরিমাণে নারিকেল তেল মাথায় মাখতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ তেল কখনোই মাথায় মাখা যাবে না।
আমন্ড অয়েলঃ মাথায় হাত দিলেই যদি চুল উঠে আসে, চুলের আদ্রতা হারিয়ে যায় এমন কিছু হলে আগা গুলো ঝাড়ুর মতো হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে অতিরিক্ত অযত্ন এবং আদ্রতার অভাবে চুলের এমন অবস্থা হয়েছে। এই সময়ে আপনাকে একমাত্র সাহায্য করতে পারে আমন্ড অয়েল। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তোলে।
অলিভ অয়েলঃ গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল স্ক্যাল্পে ডাই হাইড্রেট, টেস্টটোস্টেরন বাইন্ড হতে দেয় না। এ কারণে চুল পড়া বাড়তে পারে। এটি আপনার চুল পড়া কমাবে। এছাড়া নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যদি আপনার চুলে খুব বেশি খুশকি সমস্যা থাকে তবে অলিভ অয়েল আপনাকে তা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। কারণ, এ অলিভ অয়েলে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। যা আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও ময়শ্চারাইজিং উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান হিসেবে কাজ করতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধের কার্যকরী উপায় গুলো।
চুলের গোড়ায় নিয়মিত ভিটামিন ই ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। ভিটামিন এ চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখে।
- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চর্বিযুক্ত, মাছ, মাংস, সয়াসহ প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।
- চুল পড়া রোধ করার জন্য নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যাই।
- ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না। অনেক ছেলেরাই এ বিষয়টি মানে না। ভেজা অবস্থায় চুলের উপরে নরম থাকে। চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ানোর সময় চুল পড়া সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
- চুল পড়া বন্ধ করার জন্য রসুন, পেঁয়াজ বা আদার রস ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। সারারাত রেখে সকালে চুল পরিষ্কার করতে হবে এক সপ্তাহ নিয়মিত এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে হাতেনাতে ফলাফল দেখতে পাবেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান। শরীরের যদি পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাহলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই দৈনিক অন্তত দুই থেকে তিন লিটার অবশ্যই পানি খেতে হবে।
- গ্রিন টি ব্যবহার করলে চুল পড়া অনেকটাই কমে। এ জন্য এককাপ পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে তারপর ঠান্ডা করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগাতে হবে। এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- খেয়াল রাখবেন মাথার ত্বক যেন বেশি তৈলাক্ত না থাকে। অনেকেরই মাথার ত্বক বেশি ঘামে। ঘামের কারণে মাথার ত্বকে বেশি ময়লা জমে। ফলে পুরুষের চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে এলোভেরা এবং নিম যুক্ত শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- ধূমপানের কারণেও চুল ল পড়তে পারে। ধূমপান করলে ত্বকের প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়। তাই ধুমপান করা যাবে না।
- দৈনিক নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। দিনে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। পাশাপাশি সাঁতার কাটা বা সাইকেলিং ও করতে পারেন। এতে করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমে আসবে। ফলে চুল পড়া সমস্যা কমবে।
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ব্যাপারে এক নতুন চিকিৎসা নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। গবেষকরা জানান, যে হাড়ের ক্ষয় রোধে ব্যবহার করা হয় এমন ওষুধ মাথার চুল পড়া কমাতে এক নতুন চিকিৎসা হয়ে উঠতে পারে। গবেষকরা বলেন, অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসায় সাইক্লোস্পোরিং নামক ওষুধ ল্যাবরেটরীতে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যে এটা চুলের গোড়ার উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে এবং চুল বড় হতে উদ্দীপ্ত করে।
যেসব লোকেরা মাথার চুল পড়ে যাওয়া সমস্যা আক্রান্ত তাদের জন্য এটি একটি পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। মানবদেহে এমন একটি প্রোটিন রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিকে গাড়ির ব্রেকের মতো আটকে দেয়। এই ওষুধটি এই প্রোটিন কে আক্রমণ করে চুলের বৃদ্ধি পুনরায় ঘটাতে পারে। বিবিসি বাংলার একটা খবরে জানা যায়, চুল পড়া চিকিৎসা এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি ওষুধ রয়েছে। একটি হচ্ছে মিনিক্সিডিল যা পুরুষ এবং মহিলা সবাই ব্যবহার করতে পারে।
আর অন্যটি হচ্ছে ফেনাস্টেরাইড। যা শুধু পুরুষদের জন্য। তবে ওষুধগুলোর অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং সবার ক্ষেত্রে এগুলো সমানভাবে কার্যকর হয় না। তাই যারা টাকমাথার সমস্যার ভোগে তারা চুল প্রতিস্থাপনের দিকে বেশি ঝুঁকেন। ছেলেদের মাথায় নতুন চুল গজানোর পরিক্ষিত ওষুধের নাম হচ্ছে টুগেইন ৫% এবং ফ্লোরেস ট্যাবলেট একসাথে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আশা করছি, আপনি ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ওষুধ গুলোর নাম জানতে পেরেছেন। তবে এই ওষুধগুলো কখনোই একা একা ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তিনি যেভাবে বলবেন সেভাবে চলার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন।
টাক মাথায় চুল গজানোর তেলের নাম
টাক পড়ার পেছনে কিছু কারণ তো অবশ্যই থাকে। যেমন বংশগত সমস্যা, হরমোন জনিত সমস্যা, অতিরিক্ত চুল পড়া, বয়স জনিত সমস্যা, এমন নানা কিছু থাকে। তবে যে কারণেই টাক পড়ুক না কেন সমাধান লুকিয়ে আছে কয়েকটি তেলের মধ্যে। জেনে নেয়া যাক সেই তেলগুলোর নাম।
- নারকেল তেল
- ক্যাস্টর অয়েল
- অলিভ অয়েল
- কাঠবাদাম তেল
- লাভেন্ডার অয়েল
এই তেল গুলোর বিভিন্ন রকম উপাদান টাক মাথায় চুল বাজাতে সহায়তা করে। আপনি চাইলে এই তেল গুলো থেকে যেকোনো একটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
মানুষ জানতে চাই এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ ছেলেদের মাথায় টাক হয় কেন?
উত্তরঃ ক্রোমোজোমের কারণে ছেলেদের মাথায় টাক হয়। এন্ড্রোজেন হরমোন এবং Y ক্রোমোজোমের ফলে চুল ঝরে পড়ে। এন্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি এবং প্রজননে ভূমিকা রাখে। মেয়েদের দেহে Y ক্রোমোজোম থাকে না। তাই মেয়েদের থেকে ছেলেদের মাথায় টাক পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
প্রশ্নঃ মাথার চুল ওঠার কারণ কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে মাথার চুল উঠতে পারে। পুষ্টির অভাব, ক্রনিক, কোমর বেড কন্ডিশন ও হরমোনের সমস্যা, মাথার ত্বকের সমস্যা, বংশগতির কারণ, কেমোথেরাপি, অপর্যাপ্ত বিশ্রাম, গর্ভকালীন সময়ে, স্ট্রেস এবং অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে মাথার চুল উঠতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন ভিটামিন খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে?
উত্তরঃ চুলের যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই হেয়ার ফলিকলের ড্যামেজ রোধ করে। ভিটামিন ই তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভেঙ্গে যাওয়া চুলের যত্ন নিতে পারে। এছাড়া প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্নঃ চুল গজায় কোন ভিটামিন?
উত্তরঃ সবগুলো ভিটামিনের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি ভিটামিন হচ্ছে বায়োটিন। বায়টিন চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বায়্টিনের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন রকম খাবার থেকে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। যেমন আস্ত শস্য, শাক, মাছ, ডিম ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ চুল পড়ার ট্যাবলেট কোনটি?
উত্তরঃ চুল পড়ার ট্যাবলেট এর নাম ওড়াল ফিনাস্টারাইড। এটি চুল পড়ার হারকে ত্বরান্বিত করে। চুলের ফলিকল গুলোকে ধ্বংস করে এমন একটি হরমোন শরীরের উৎপাদনে বাধা দিয়ে নতুন চুলের বৃদ্ধিকে উত্থাপিত করে। এই ওষুধটি দিনে একবার মুখে নেওয়া হয় এবং প্রতিদিন একই সময় নিলে সব থেকে বেশি উপকারী হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক, ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি, ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান, ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ, টাক মাথায় চুল গজানোর তেলের নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি, আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।
আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমাদের সার্থকতা। কেননা আপনাদের জন্যই আমরা সকল তথ্যগুলো একসঙ্গে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url