কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি - ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি এবং ইসলামের মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি রোগা থেকে মোটা হতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কি খেলে মোটা হওয়া যায়
বর্তমানে ওজন কমানোর যুগে অনেকেই একটু মোটা হতে চান। চিকন মানুষদের নানা রকম কথা শুনতে হয়। যে কোন মানুষদের ঝড় হলে উড়ে যাবে, শুরু কাঠির মত চেহারা, অথবা এ ধরনের নানা রকমের মন্তব্য। শুনে মন খারাপ হয়ে যায়। ওজন বাড়িয়ে এ সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য মন উষখুষ করে। আপনাদের জন্য আজকে আমরা কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি এবং মোটা হওয়ার আরো কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলে আমরা ৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়, কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি, ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়, মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা, মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া শেষ হলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়

অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন ৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় কি? আসলে সত্যি কথা বলতে পাঁচ দিনে মোটা হওয়া সম্ভব নয়। যদি চেষ্টা করেন তাহলে আপনার জন্য ক্ষতি হতে পারে। তবে এমন কিছু উপায় বা ডায়েট রয়েছে যেভাবে চললে আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মোটা হতে পারেন। চলুন সেই উপায়গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেই।

ক্যালোরি যুক্ত খাবার খানঃ ক্যালরি যুক্ত খাবার খেলে মানুষ খুব সহজেই মোটা হতে পারে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট রাখতে হবে। এজন্য আপনি ঘি, মাখন, ডিম, কোমল পানিও, গরু ছাগলের মাংস, আলু ভাজা, চকলেট, খেজুর এ ধরনের খাবার খেতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ক্যালরি যুক্ত খাবার খান তাহলে সাত দিনের মধ্যে আপনার দেহে পরিবর্তন আসবে এবং এটি ৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় বলতে পারেন।

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করুনঃ আমাদের শরীরে যদি প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তাহলে ওজন দিনে দিনে কমে যাবে। সেজন্য আপনারা যারা মোটা হতে চান তারা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাবেন। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে। ডিম, দুধ, ডাল এধরনের খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকে।

ড্রাই ফ্রুট খানঃ ড্রাই ফ্রুট এ প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এবং ফ্যাট থাকে। তাই আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনার খাবার তালিকায় ড্রাই ফ্রুট অবশ্যই রাখুন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুটি কাজু বাদাম এবং দুইটি খেজুর খাবেন। এর সাথে সকালের নাস্তায় কাঠবাদাম এবং পেস্তা বাদাম খেতে পারেন। ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনার ডায়েট চার্টে অবশ্যই বাদাম রাখতে হবে।

টেনশন মুক্ত থাকুনঃ টেনশন মানুষকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই মোটা হতে চাইলে আপনাকে টেনশন মুক্ত থাকতে হবে।

পরিমিত পরিমান ঘুমানঃ শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনাকে প্রতিদিন পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমান এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মানুষের শরীর ও মন ভালো রাখে।

ঘুমানোর আগে মধু খানঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মধু খান। কারণ মধুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে। রাতে আপনি যখন ঘুমান তখন আপনার এনার্জি খরচ হয় না। রাতে আপনি যে ক্যালরি টা গ্রহণ করবেন সেটা আপনার শরীরে পুরোপুরি কাজ করবে। সেজন্য মধুর কোন বিকল্প নাই।

চকলেট এবং চিজ খানঃ সাধারণত আমরা যখন বাইরে খাবার খেতে যাই তখন অন্যদেরকে এসব খাবার খেতে নিষেধ করি। কিন্তু যারা মোটা হতে চান তাদের জন্য বাইরের খাবার খেতে হবে। আইসক্রিম, পিজ্জা, বার্গার, এ ধরনের খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন ডায়েটে চকলেট এবং চিজ খেতে হবে। শরীরের জন্য পানি অত্যন্ত উপকারী। আপনাকে প্রতিদিন বেশি করে পানি খেতে হবে। কারণ, শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে মানুষ শুকিয়ে যায়।

আশা করছি, এই নিয়ম মেনে খাবার খেলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ভালো ফলাফল পাবেন।

কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি

পাতলা এবং চিকন স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় অবহেলা এবং অবজ্ঞার শিকার হয়ে থাকে। এ ধরনের কথা থেকে বাঁচার জন্য এবং তাদের কথার জবাব দেওয়ার জন্য অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। অনেকে এসে গুগলে সার্চ করে থাকেন কি খেলে তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায়। 

আপনাদের জন্য আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা এমন কিছু খাবার এর নাম তুলে ধরব যেগুলো খেলে আপনি কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বাড়াতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাবার গুলো কি।

দুধঃ দুধে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২ এবং নিয়াসিন। এ সকল উপাদানগুলো শরীরকে মোটা বানাতে সহায়তা করে।

মধুঃ মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুটোজ, মন্টোজ, এমাইনো এসিড, খনিজ লবণ, এনজাইম, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫ এবং বি৬ আয়োডিন, জিংক, কপার এবং ক্যালোরি। এগুলো আপনার শরীর মোটা হতে সহায়তা করে।

মাছঃ মাছের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং উৎকৃষ্ট আমিষ রয়েছে। মাছের শতকরা 15 থেকে 25 ভাগ প্রোটিন আছে। এছাড়াও মাঝে এমিনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশ, ভিটামিন এ এবং বি রয়েছে। যেগুলো মোটা হতে সহায়তা করে।

ফলমূলঃ আপনি যদি নিয়মিত আপেল, নাশপাতি, কলা, আঙ্গুর এই ফলগুলো খান তাহলে আপনার শরীরে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনি মোটা হতেও সাহায্য করবে।

শাক সবজিঃ আশ জাতীয় খাবার এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে শক্তি বৃদ্ধি সহ সুস্বাস্থ্য এবং মোটা হতে সাহায্য করবে।

ভাত এবং ভাতের মাড়ঃ ভাত আমাদের সকলের খুবই পরিচিত এবং নিয়মিত খাবার। ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আছে। যা আমাদের মোটা হওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ভাতের চেয়ে ভাতের মাড় মোটা হতে আরও বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বাদামঃ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ক্যালরি, ফাইবার, প্রোটিন এবং ভিটামিন ই রয়েছে। যা খেলে শরীরের ওজন বাড়ার পাশাপাশি মোটা হওয়া সম্ভব।

ডিমঃ ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা আপনাকে মোটা হতে সহায়তা করে। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। যা আপনাকে মোটা এবং শক্তিশালী করে তুলবে। ডিম খুব সহজভাবে আপনি খেতে পারেন। ডিম সেদ্ধ, রান্না, ভাজি অথবা ডিম পোঁচ করেও খেতে পারেন।

আলুঃ আলু আমরা সব সময় বিভিন্ন তরকারির সাথে রান্না করে খায়। আলু সিদ্ধতে শর্করা, তন্ত্র, খনিজ লবণ, ভিটামিন এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে ।আপনি যদি প্রতিদিনের খাবারে আলু খান তাহলে আপনার মোটা হওয়া অবশ্যম্ভ হবে। প্রতিদিন দুটি করে আলু খেলে মোটা হওয়া সম্ভব। এতে কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

খিচুড়িঃ খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকে। যা মোটা হতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। খিচুড়ি তৈরি করার জন্য ডাল ব্যবহার করা হয়। ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খাদ্যশস্য এবং অ্যামাইনো এসিড থাকে। আবার খিচুড়ি রান্নার সময় বিভিন্ন রকম শাক-সবজি ব্যবহার করা হয়। যার ফলে খাবারটির সুষম হয়ে ওঠে।

কিসমিসঃ মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর খাবার হচ্ছে কিসমিস। আঙ্গুর ফল শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। যা সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে করা হয়। এতে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, লৌহ, ফ্লুরাইড, পটাশিয়াম,নিয়াসিন, কোলিন, ভিটামিন বি৬ এবং রিবোফ্লাভিন জাতীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিসমিস রাতে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের শক্তি, ওজন বৃদ্ধি এবং মোটা হওয়া একদম নিশ্চিত।

আশা করছি, কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি সেই সকল খাবার গুলোর সম্পর্কে আপনি পরিচিত হয়েছেন। এই খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন।

ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়

ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় হিসেবে অনেক উদাহরণস্বরূপ হাদীস রয়েছে। খেজুর এবং শসা একসঙ্গে হাওয়া সুন্নাহ। আর শরীয়তের দৃষ্টিতে মোটা হওয়ার জন্য এবং শারীরিক সচ্ছলতার জন্য খেজুরের সাথে শসা খাওয়া উপকারী। খেজুরের সাথে শসা খাওয়ার বিষয়ে হাদিস পাওয়া যায়। 

হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতি বানিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পাঠাবেন। এ জন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিন্তু কোন ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা খাওয়াতে থাকলেন। আমি তাতে উত্তম রূপে স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। (সুনানে আবু দাঊদ হাদিস নং ৩৯০৩)

আবদুল্লাহ ইবনু জাফর রা: বর্ণনা করেছেন, নবী সা: শসা খেজুরের সাথে একত্রে খেতেন। (সহীহ, ইবনু মা-জাত ৩৩২৫)

হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, আমার মা আমাকে রাসূলুল্লাহ সা: এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন বিধায় আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন। কিন্তু তা কোন উপকারে আসলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরুপে দৈহিক পরিপুস্টি লাভ করলাম। (আবু দাউদ,হাদিস নংঃ ৩৩২৪)

পরিশেষে আমরা বলতে পারি, যারা ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তারা নিয়মিত খেজুরের সাথে শসা খেতে থাকুন। কয়েক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবান হবেন আশা করা যায়।

মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা

রোগা হওয়া যেমন সহজ নয় তেমন মোটা হওয়াও খুব একটা সহজ নয়। মোটা হওয়ার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। সেগুলো না মেনে চললে মোটা হওয়া মুশকিল হয়ে যেতে পারে। মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সহ কিছু কৌশল রয়েছে সেগুলো আপনি মেনে চললে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।

দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য দই এবং কলা খুবি উপকারী। অনেকে দুধের সঙ্গে কলা খেতে চান না বা নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা বলেন সকালে দইয়ের সাথে কলা মিশিয়ে খাওয়ার কথা। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অবশ্যই দুধ রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও তার মধ্যে সামান্য অশ্যগন্ধা মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে তা ওজন বাড়তে সহায়তা করবে।

ওজন বাড়ানোর জন্য কখনোই একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়া উচিত নয়। একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাওয়ার চাইতে অল্প অল্প করে খাবার বেশিবার খেতে হবে। তাতে করে খাবার হজম সঠিকভাবে হবে।
আপনি যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে তা আপনার জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর হবে না। সারাদিন আপনি যত ক্যালোরি খরচ করবেন তার তুলনায় ৩০০ থেকে ৫০০ গ্যালারি বেশি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার গুলো রাখতে হবে। 

তাই আপনি আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা, চিনা বাদাম, কিসমিস, খেজুর, আলু বখরা, পনির, ক্রিম, ফুল ক্রিম দই, মুরগির মাংস, মিষ্টি আলু, আলু, কলা, অ্যাভোকাডো, চকলেট, পিনাট বাটার ইত্যাদি রাখতে পারেন।
এই খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে খুব সহজে অল্প দিনের মধ্যে মোটা হতে পারবেন।

মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

মোটা হওয়ার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনাদের জন্য এখন মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরলাম।
  • মোটা হওয়া অর্থাৎ ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটা হওয়ার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালোরি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার রাখুন।
  • সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের বাদাম এবং আখরোট খান। মনে রাখবেন আপনার শরীরে যত বেশি ক্যালরি যাবে তত তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন।
  • খাওয়ার আগে পানি খাবেন না। আবার খাওয়ার মাঝখানে চেষ্টা করবেন পানি না খাওয়ার জন্য। কারনে খাবারের মাঝখানে পানি খেলে ক্ষুধা কমে যায়।
  • যখন খাবার খাবেন তখন খেয়াল রাখবেন আগে প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলো খাওয়ার জন্য এবং শাকসবজি তারপরে খাওয়ার জন্য।
  • যারা নিয়মিত কফি খান তারা কফিতে ক্রিম যোগ করে খেতে পারেন।
  • নিদ্রাহীনতা এবং স্ট্রেস আপনার মোটা হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
  • সব সময় স্বাস্থ্যকর নাস্তা খেতে হবে।
  • অতিরিক্ত তেল এবং ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবে না।
  • দিনে তিন বেলা খাবার খেতে হবে এবং এর ফাঁকে ফাঁকে তিনবেলা হালকা খাবার খেতে হবে।
  • ধূমপান ক্ষুদা নিবারক হিসেবে কাজ করে তাই ধূমপান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
  • শরীরকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিতে হবে। প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
  • অল্প অল্প করে খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এর ফলে আপনার শরীর বেশি পুষ্টি শোষণ করবে এবং আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে‌
  • এছাড়াও আপনি একজন ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ অনুযায়ী আপনার একটি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন।
  • আপনার প্রতিদিন এর খাবারের হিসাব রাখুন। যাতে আপনি জানতে পারেন প্রতিদিন কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন।

মানুষ জানতে চাই এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হয়?
উত্তরঃ ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তায় দুধ, কলা, ডিম, খেজুর এগুলো রাখতে পারেন। সকালে খালি পেটে এ খাবার গুলো খেলে দ্রুত মোটা হতে পারবেন।

প্রশ্নঃ প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ক্যালোরি দেয়। এতে ওজন বাড়ে না। তবে আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে উপকার পাবেন।

প্রশ্নঃ ঘরে বসে ওজন বাড়ানোর উপায়?
উত্তরঃ ঘরে বসে ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে পারেন। যেমন বাদাম, মাখন, দুধ, আলু, স্যুপ ইত্যাদি। অর্থাৎ যে সকল খাবারে ক্যালরি বেশি সে ধরনের খাবার খেলে ঘরে বসে বসে ওজন বাড়াতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ওজন বাড়াতে রুটি কিভাবে খাবেন?
উত্তরঃ আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য রুটি খেতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে চার থেকে ছয়টি রুটি বেশি খেতে হবে এবং এটি আপনাকে সকালে এবং রাতে খেতে হবে।

প্রশ্নঃ কোন ফল খেলে শরীর মোটা হয়?
উত্তরঃ ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম এবং নারিকেলের মতো উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল খেতে হবে। এর সাথে তাজা আম খেতে পারেন এবং এভোকাডো, নারিকেল এগুলো খেতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি, ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়, মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়, মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এবং পাঁচ দিনে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণে আপনি সবগুলো বিষয়ে ভালো ধারণা লাভ করেছেন। 

আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখে পোস্ট করে থাকি। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেজা ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url